রানা আব্বাস
ম্যাচ শুরুর তখন দুই ঘণ্টাও বাকি নেই। মাঠে এসেই দুই সতীর্থ তাওহীদ হৃদয় আর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত গেলেন নেটে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নতুন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।
অধিনায়ককে রানে ফেরাতে ম্যাচের কিছুক্ষণ আগেও টেকনিক নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করলেন হেম্প। টেকনিক, ব্যাটিং স্ট্যান্স, মাথার অবস্থান—শান্তর ব্যাটিংয়ে ‘ফাইন টিউনিংয়ে’র কাজ চলছিল ম্যাচের আগে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নেট শেষে যখন মূল মাঠে ফিরছেন, দর্শকেরা চিৎকার করছেন দূর থেকে, ‘আজ ফিফটি চাই শান্ত ভাই!’ কেউ কেউ আবার রানে না ফিরলে ‘খবর আছে’ বলে রসিকতার সুরে হুমকিও দিয়ে রাখলেন।
শুধু দর্শকেরাই নন, শান্তর ব্যাটে রান দেখার অপেক্ষায় ছিল আসলে পুরো বাংলাদেশ দল। সিলেটেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ২২ বলে করেছেন ২০ রান। তার আগে বিপিএলে শান্ত ছিলেন একেবারেই নিজের ছায়া হয়ে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১২ ইনিংসে মাত্র ১৭৫ রান, গড় ১৪.৫৮, স্ট্রাইকরেটও ভালো নয়, ৯৩. ৫৮। ফিফটি পাচ্ছিলেন না সর্বশেষ ১১ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। অথচ গত বছর কী দুর্দান্ত সময় না গেছে তাঁর। ব্যাটে রানের ফল্গুধারা বইছে, আছে নেতৃত্বগুণও। সাকিব আল হাসানের জায়গায় তাঁর কাঁধে তাই তিন সংস্করণের দায়িত্ব বর্তেছে। শান্তর যখন পারফর্মিং ক্যাপ্টেন হিসেবে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সময়, তখনই ভুগছিলেন রানখরায়।
অধিনায়ক যখন ভালো করতে পারেন না, স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তাটা বেশি থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের। কাল শান্ত শুধু দলকে সিরিজে ফেরাতে নয়, নেমেছিলেন নিজের রানখরা কাটাতেও। সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন অধিনায়ক। শুরু থেকেই ধীরলয়ে এগিয়েছেন। ৩০ রান করতে বাউন্ডারি মেরেছেন ৩ টি। এর মধ্যে দুটি বাউন্ডারি কাট শটে। নেটে কাল যাঁর পাশে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলে, হৃদয়কে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে গড়লেন ৫৫ বলে ৮৭ রানের জুটি।
প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্য পাহাড়সম ছিল না। আর লিটন দাস-সৌম্যর ওপেনিং জুটি তুলে দিয়ে গেছে ৪১ বলে ৬৮ রান। এরপরও শান্তর তাড়াহুড়ো করে ছন্দে ফেরার সুযোগটা হাতছাড়া করাটা হতো চরম বোকামি। সেটা করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। দল যত জয়ের প্রান্তে গেছে, শান্তর স্ট্রোক-প্লের প্রদর্শনী তত বেড়েছে। পুরো ২০২৪ বিপিএলে যাঁর কোনো ছক্কা নেই, সেই তিনি কাল হাঁকিয়েছেন দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ফিফটি পেয়েছেন, সেটিও দারুণ স্টাইলে। বাংলাদেশের জিততে দরকার ছিল ২ রান, শান্তর ফিফটি পেতে লাগত ৩ রান। দাসুন শানাকাকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে গ্রিন গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে ফিফটি পূর্ণ করলেন শান্ত। জয় আর ফিফটি দুটিই নিশ্চিত হলো অধিনায়কের শটে।
নিজের পারফরম্যান্স আর দলের জয়ে বেশ খুশি শান্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘জিততে পেরে ভালো লাগছে। দুটি ম্যাচেই ভালো খেলেছি আমরা। দুর্ভাগ্য ওই ম্যাচ (প্রথমটি) জিততে পারিনি। দল হিসেবে খেলছি, খুবই খুশি। বিপিএল আমার ভালো যায়নি। চেষ্টা করছি, আজ একটু ভালো হয়েছে। চেষ্টা করব সামনে এটা ধরে রাখতে।’
তবে শান্ত মনে করেন না, ম্যাচের আগে নেটে ব্যাটিংয়ের ফল তিনি ম্যাচে পেয়েছেন, ‘কী নিয়ে কাজ করছিলাম (নেটে হেম্পের সঙ্গে), বলতে চাই না। টেকনিক্যাল বিষয়। ওই কাজে যে আজ (কাল) সফল হয়েছি, তা নয়। কিছু জায়গায় ঠিক করার চেষ্টা করছি। ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে।’
টানা টস জিতেছেন। শেষ ম্যাচেও টস জিততে চান? শান্ত পরিষ্কার বললেন, ‘টস নয়, ম্যাচ জিততে চাই।’
ম্যাচ শুরুর তখন দুই ঘণ্টাও বাকি নেই। মাঠে এসেই দুই সতীর্থ তাওহীদ হৃদয় আর এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত গেলেন নেটে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নতুন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।
অধিনায়ককে রানে ফেরাতে ম্যাচের কিছুক্ষণ আগেও টেকনিক নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করলেন হেম্প। টেকনিক, ব্যাটিং স্ট্যান্স, মাথার অবস্থান—শান্তর ব্যাটিংয়ে ‘ফাইন টিউনিংয়ে’র কাজ চলছিল ম্যাচের আগে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নেট শেষে যখন মূল মাঠে ফিরছেন, দর্শকেরা চিৎকার করছেন দূর থেকে, ‘আজ ফিফটি চাই শান্ত ভাই!’ কেউ কেউ আবার রানে না ফিরলে ‘খবর আছে’ বলে রসিকতার সুরে হুমকিও দিয়ে রাখলেন।
শুধু দর্শকেরাই নন, শান্তর ব্যাটে রান দেখার অপেক্ষায় ছিল আসলে পুরো বাংলাদেশ দল। সিলেটেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ২২ বলে করেছেন ২০ রান। তার আগে বিপিএলে শান্ত ছিলেন একেবারেই নিজের ছায়া হয়ে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১২ ইনিংসে মাত্র ১৭৫ রান, গড় ১৪.৫৮, স্ট্রাইকরেটও ভালো নয়, ৯৩. ৫৮। ফিফটি পাচ্ছিলেন না সর্বশেষ ১১ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। অথচ গত বছর কী দুর্দান্ত সময় না গেছে তাঁর। ব্যাটে রানের ফল্গুধারা বইছে, আছে নেতৃত্বগুণও। সাকিব আল হাসানের জায়গায় তাঁর কাঁধে তাই তিন সংস্করণের দায়িত্ব বর্তেছে। শান্তর যখন পারফর্মিং ক্যাপ্টেন হিসেবে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সময়, তখনই ভুগছিলেন রানখরায়।
অধিনায়ক যখন ভালো করতে পারেন না, স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে নিয়ে দুশ্চিন্তাটা বেশি থাকবে টিম ম্যানেজমেন্টের। কাল শান্ত শুধু দলকে সিরিজে ফেরাতে নয়, নেমেছিলেন নিজের রানখরা কাটাতেও। সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর উইকেটে এসেছিলেন অধিনায়ক। শুরু থেকেই ধীরলয়ে এগিয়েছেন। ৩০ রান করতে বাউন্ডারি মেরেছেন ৩ টি। এর মধ্যে দুটি বাউন্ডারি কাট শটে। নেটে কাল যাঁর পাশে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলে, হৃদয়কে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে গড়লেন ৫৫ বলে ৮৭ রানের জুটি।
প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্য পাহাড়সম ছিল না। আর লিটন দাস-সৌম্যর ওপেনিং জুটি তুলে দিয়ে গেছে ৪১ বলে ৬৮ রান। এরপরও শান্তর তাড়াহুড়ো করে ছন্দে ফেরার সুযোগটা হাতছাড়া করাটা হতো চরম বোকামি। সেটা করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। দল যত জয়ের প্রান্তে গেছে, শান্তর স্ট্রোক-প্লের প্রদর্শনী তত বেড়েছে। পুরো ২০২৪ বিপিএলে যাঁর কোনো ছক্কা নেই, সেই তিনি কাল হাঁকিয়েছেন দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ফিফটি পেয়েছেন, সেটিও দারুণ স্টাইলে। বাংলাদেশের জিততে দরকার ছিল ২ রান, শান্তর ফিফটি পেতে লাগত ৩ রান। দাসুন শানাকাকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে গ্রিন গ্যালারিতে আছড়ে ফেলে ফিফটি পূর্ণ করলেন শান্ত। জয় আর ফিফটি দুটিই নিশ্চিত হলো অধিনায়কের শটে।
নিজের পারফরম্যান্স আর দলের জয়ে বেশ খুশি শান্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘জিততে পেরে ভালো লাগছে। দুটি ম্যাচেই ভালো খেলেছি আমরা। দুর্ভাগ্য ওই ম্যাচ (প্রথমটি) জিততে পারিনি। দল হিসেবে খেলছি, খুবই খুশি। বিপিএল আমার ভালো যায়নি। চেষ্টা করছি, আজ একটু ভালো হয়েছে। চেষ্টা করব সামনে এটা ধরে রাখতে।’
তবে শান্ত মনে করেন না, ম্যাচের আগে নেটে ব্যাটিংয়ের ফল তিনি ম্যাচে পেয়েছেন, ‘কী নিয়ে কাজ করছিলাম (নেটে হেম্পের সঙ্গে), বলতে চাই না। টেকনিক্যাল বিষয়। ওই কাজে যে আজ (কাল) সফল হয়েছি, তা নয়। কিছু জায়গায় ঠিক করার চেষ্টা করছি। ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে।’
টানা টস জিতেছেন। শেষ ম্যাচেও টস জিততে চান? শান্ত পরিষ্কার বললেন, ‘টস নয়, ম্যাচ জিততে চাই।’
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
৪ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
৮ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৯ ঘণ্টা আগে