Ajker Patrika

জীবনের গল্পই তো সিরাজের নিরন্তর অনুপ্রেরণা

ক্রীড়া ডেস্ক    
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ওভাল টেস্টে জিতেছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। ছবি: ক্রিকইনফো
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে সর্বোচ্চ ২৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। ওভাল টেস্টে জিতেছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। ছবি: ক্রিকইনফো

মাত্রই শেষ হওয়া অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজে ১৮৫.৩ ওভার বল করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ; যা এই সিরিজে যেকোনো বোলারের চেয়ে বেশি। পেসাররা সাধারণত দৌড়ে এসে জোরের ওপর বল করেন। তাই একজন স্পিনারের চেয়ে বেশি ক্যালরি পোড়াতে হয় পেসারদের। কিন্তু এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি ক্যালরি খরচ করতে হয়েছে মোহাম্মদ সিরাজকে।

তার চেয়ে বড় কথা, প্রতিটি স্পেলেই নিজের বোলিংয়ের মানদণ্ড ধরে রেখে বল করেছেন তিনি। একই গতিতে বল করে গেছেন নিয়ত। দুর্দান্ত ফিট না হলে ধারাবাহিকভাবে একই গতিতে বল করা অসম্ভব! তো কীভাবে নিজেকে সুপার ফিট করে তুলে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সিরাজ? তাঁর ভাই মোহাম্মদ ইসমাইল শুনিয়েছেন এমন ফিটনেসের পেছনে সিরাজের ত্যাগের গল্প।

হায়দরাবাদে গেছেন আর বিরিয়ানি খাননি, এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে। অথচ হায়দরাবাদে বাস করলেও এখন বিরিয়ানি পাতে তোলেন না সিরাজ। তাঁর ভাই ইসমাইল বললেন, ‘ফিট থাকার জন্য ও অনেক পরিশ্রম করেছে। বাইরের খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। হায়দরাবাদে থাকলেও খুব কমই বিরিয়ানি খায়। কখনো খেলেও সেটি বাড়িতে রান্না করা।’ শুধু কি বিরিয়ানি? ইসমাইল বললেন, ‘পিৎজা, ফাস্ট ফুডেও এখন অরুচি তাঁর।’

তবে এই অভ্যাস এক দিনে হয়নি। এর পেছনে রয়েছে তাঁর বাবা মোহাম্মদ গাউসের প্রেরণাও। সামান্য একজন অটোচালক ছিলেন গাউস, সব সময় যিনি স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর ছেলে ভারতের জার্সি গায়ে ক্রিকেট খেলবে। ২০২১ সালে তিনি যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে, তখন মারা যান সিরাজের বাবা। বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। তবে নিজের ফিটনেস নিয়ে তখনো এতটা ‘সিরিয়াস’ ছিলেন না তিনি। যতটা হয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের দল থেকে বাদ পড়ার পর। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে নিজেকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েননি; বরং নতুন প্রতিজ্ঞায় নিজেকে গড়ে তুলে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। শুরু হয় নতুন উদ্যমে পরিশ্রম। ভাই ইসমাইল বললেন, ‘ও হার মানতে জানে না। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে জায়গা না পেলেও হতাশ হয়নি। উল্টো আরও পরিশ্রম করেছে। জিমে গেছে। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এখন তারই ফল পাচ্ছে।’

গতি ধরে রেখে লম্বা স্পেলে বল করতে পারছেন। মাত্রই শেষ হওয়া সিরিজে শুধু বেশি ওভার বলই করেননি সিরাজ, সবচেয়ে বেশি ২৩ উইকেটও নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে এত বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি আছে শুধু আর একজনেরই—জসপ্রীত বুমরা। ২০২১-২২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও বুমরা ঠিক ২৩ উইকেটই নিয়েছিলেন। তবে বুমরা সেই সিরিজে বল করেছিলেন সিরাজের চেয়ে বেশি—১৮৭ ওভার।

ওভালে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট। এতেও একটা কীর্তি গড়েন তিনি, যা আর কোনো ভারতীয় পেসারের নেই। সেটি কী! ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে ইংল্যান্ডের অন্তত ৪ ব্যাটারকে ৭ বার করে আউট করেছেন। যে নজির শুধু ভারত কেন, নেই এশিয়ার আর কোনো বোলারের।

বাবা গাউস মারা যাওয়ার পর প্রতিটি ক্রিকেট সফরের আগে বাবার কবর জিয়ারত করেন সিরাজ। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেও ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু বাবার কবর জিয়ারতই নয়, বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে দোয়া চান মায়ের কাছেও। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগেও মা শাবানা বেগমকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘আম্মি, আমার জন্য দোয়া কোরো, আমি যেন ভালো খেলতে পারি, যেন ভারতকে জিতিয়ে দিতে পারি।’ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে শাবানা বলেন, ‘সে তার আব্বুকে অনেক ভালোবাসত। আমি সব সময় ওর জন্য দোয়া করি। আল্লাহ আমার বাচ্চাকে সবকিছুতেই সফল করুক।’

graph

ইসমাইল বললেন, তাঁর বাবার চাওয়া ছিল, সিরাজ একদিন বড় ক্রিকেটার হবে। ইসমাইলের ভাষায়, ‘আব্বু বলতেন, “একদিন তুই অনেক বড় নাম করবি, ভারতের হয়ে খেলবি। ” যখন আব্বু মারা গেলেন, তখন সিরাজ ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু আম্মি বলেছিলেন, ‘যা হবার হয়ে গেছে, এখন খেলার দিকে মন দাও।’”

বাবার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতেই নিজেকে সুপার ফিট হিসেবে তৈরি করে তোলা সিরাজের। ভাই ইসমাইল বললেন, ‘সিরাজ সব সময় বলে, ‘আব্বুর জন্য খেলতে হবে, তাঁর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’ এখন ওর ফিটনেস অন্য লেভেলে।’

আজকের সিরাজ হয়ে ওঠার পেছনে হাত আছে বিরাট কোহলিরও। সিরাজ আগ্রাসন, ক্ষুধা—সবই বিরাটের কাছ থেকে পাওয়া জানিয়ে ইসমাইল বলে গেলেন, ‘২০১৮ সালের আইপিএলটা যখন সিরাজের খারাপ কেটেছিল, তখন অনেকে ওকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বিরাট ভাইয়া পাশে ছিলেন। ঝুঁকি নিয়ে ওর ওপর ভরসা রেখেছিলেন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সিরাজ নিজেই বলেছে, ওর ক্যারিয়ারের সবকিছু বিরাট ভাইয়ার জন্য।’ আজ যখন সিরাজের অর্জনে গর্বিত গোটা ভারত, তখন কোহলির গর্বটা তো একটু বেশিই হওয়ার কথা!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্যারিয়ার বাঁচাতে ডি ভিলিয়ার্সের সহায়তা চাইলেন সূর্যকুমার

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারতের ওয়ানডে দলে ফিরতে চান এই ব্যাটার। ছবি: এক্স
ভারতের ওয়ানডে দলে ফিরতে চান এই ব্যাটার। ছবি: এক্স

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের নিয়মিত মুখ হলেও লম্বা সময় ধরে ওয়ানডে দলের বাইরে আছেন সূর্যকুমার যাদব। এই সংস্করণে ফেরার জন্য সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টাই করছেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ার বাঁচাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সের সহায়তা চাইলেন তারকা ক্রিকেটার।

সূর্যকুমারের নেতৃত্বে সবশেষ এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৯৩ টি-টোয়েন্টির ৮৮ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেছেন ২৭৩৪ রান। গড় ৩৬.৯৪, স্ট্রাইকরেট ১৬৪.২০।

টি-টোয়েন্টিতে ভালো করলেও ওয়ানডেতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সূর্যকুমার। ৩৭ ম্যাচের ৩৫ ইনিংসে করেছেন ৭৭৩ রান। ফিফটি মাত্র চারটি। ব্যাটিং গড় ২৫.৭৬। এমন পারফরম্যান্সের কারণে তাঁর প্রতি ভরসা রাখতে পারেননি নির্বাচকরা।

সবশেষ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর এই সংস্করণে ভারতের হয়ে মাঠে নামা হয়নি সূর্যকুমারের। তবে হাল ছাড়ছেন না এই ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে যদি দেখা হয় তাহলে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, সে কীভাবে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডের ভারসাম্য বজায় রেখেছে। আমি তাঁর মতো পারছি না। আমি ভেবেছিলাম ওয়ানডে ক্রিকেট টি-টোয়েন্টির মতো খেলা উচিত। আমি ডি ভিলিয়ার্সকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, উভয় সংস্করণে সফল হওয়ার জন্য সে কী করেছে।’

ওয়ানডে দলে ফেরার জন্য ক্যারিয়ারের পরবর্তী তিন–চার বছর গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সূর্যকুমার, ‘ডি ভিলিয়ার্স, তুমি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো? যদি শুনে থাকো তাহলে দয়া করে দ্রুত আমার সাথে যোগাযোগ করো। কারণ আমার সামনে তিন-চার বছর গুরুত্বপূর্ণ। আমি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতেও খুব আগ্রহী। দয়া করে আমাকে সাহায্য করো। আমি টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের টেস্ট দলে ফিরলেন পন্ত, এবারও নেই শামি

ক্রীড়া ডেস্ক    
ম্যানচেস্টার টেস্টে পায়ে চোট পেয়েছিলেন পন্ত। ছবি: বিসিসিআই
ম্যানচেস্টার টেস্টে পায়ে চোট পেয়েছিলেন পন্ত। ছবি: বিসিসিআই

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন ঋষভ পন্ত। চোট কাটিয়ে উঠায় জাতীয় দলে ফেরাটা তাঁর জন্য ছিল কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সে অপেক্ষা শেষ হয়েছে। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য দল দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। পন্ত ফিরলেও এবারও উপেক্ষিত থেকে গেলেন মোহাম্মদ শামি।

ম্যানচেস্টার টেস্টে পায়ে চোট পান পন্ত। এই চোট তাঁকে এশিয়া কাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে দূরে রাখে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে চার দিনের ম্যাচে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন পন্ত। সাড়ে তিন মাসের অপেক্ষা শেষে ফের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর অপেক্ষায় আছেন তিনি। এন জগদিশানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে পন্তকে।

রঞ্জি ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শামি। উত্তরখণ্ডের বিপক্ষে সাত উইকেট নেন এই ডানহাতি গতি তারকা। গুজরাটের বিপক্ষে তাঁর শিকার আট উইকেট। এরপরও শামিকে বিবেচনায় আনেননি নির্বাচকরা।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স আগামী ১৪ নভেম্বর সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ টেস্ট শুরু হবে ২২ নভেম্বর। ভেন্যু গৌহাটির বারশাপাড়ার ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

ভারতে টেস্ট দল: শুবমান গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, সাই সুদর্শন, দেবদূত পাড়িকল, ধ্রুব জুরেল, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, যশপ্রীত বুমরা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ সিং, আকাশ দীপ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, মোহাম্মদ সিরাজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হামজা-শমিতকে নিয়েই নেপাল-ভারত ম্যাচের দল

নিজস্ব প্রতিবদেক
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৩
দলে আছেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোমের মতো ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
দলে আছেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোমের মতো ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে

চলতি মাসে নিজেদের মাঠে নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ম্যাচ দুটির জন্য আজ ২৭ সদস্যের দল দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। যথারীতি দলে আছেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোমের মতো ফুটবলাররা।

দলে রাখা হয়নি ফাহামিদুল ইসলামকে। সবশেষ গত মাসে হংকংয়ের বিপক্ষে ও জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন এই ফুটবলার। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের বাইলজ অনুযায়ী, কোনো ফুটবলার দুটি হলুদ কার্ড দেখলে পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন। ফাহামিদুলের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে একই ভেন্যুতে ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে জামাল, হামজারা। দুটি ম্যাচই শুরু হবে রাত ৮টায়।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। ‘সি’ গ্রুপ থেকে ভারতের সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দলের। এর আগে গত মার্চে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। সে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় হামজার।

বাংলাদেশ দল:

গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, পাপ্পু হোসেন ও মেহেদী হাসান শ্রাবন।

ডিফেন্ডার: তারিক রায়হান কাজি, রহমত মিয়া, শাকিল আহমেদ তপু, আবদুল্লাহ ওমর, শাকিল হোসেন, জায়ান আহমেদ, তপু বর্মন, তাজউদ্দিন ও সাদ উদ্দিন।

মিডফিল্ডার: শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, মোঃ সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, হামজা চৌধুরী ও শমিত শোম।

ফরোয়ার্ড: মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন, আরমান ফয়সাল আকাশ, শাহরিয়ার ইমন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রাকিব হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘শিগগিরই অবসর নেব’, রোনালদোর বার্তা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৪
৯৫২টি গোল করেছেন রোনালদো। ছবি: এক্স
৯৫২টি গোল করেছেন রোনালদো। ছবি: এক্স

গত মাসে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জানিয়েছিলেন, অবসরে যাওয়ার আগে এক হাজার গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চান তিনি। এবার নিজের সেই কথা থেকে সরে এলেন সাত নম্বর জার্সিধারী। পরিবারের কথা ভেবে শিগগিরই অবসরে যেতে চান তিনি।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪১ এ পা দেবেন রোনালদো। এই বয়সে এসেও দারুণ ফর্মে আছেন। এখনো পর্তুগাল জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তিনি। আল নাসরে তো তাঁকে মানা হয় প্রাণভোমরা হিসেবে। সৌদি আরবের ক্লাবটির হয়ে মাঠে নামলেই পান গোলের দেখা। রোনালদোর জোড়া গোল ভর দিয়ে সৌদি প্রো লিগের সবশেষ ম্যাচে আল ফেইহাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে আল নাসর।

রোনালদোর বর্তমান গোলসংখ্যা ৯৫২ টি। হাজারতম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করতে চাইলে আরও ৪৮ বার জালে বল জড়াতে হবে তাঁকে। এজন্য যে অন্তত আরও দেড় মৌসুম খেলা চালিয়ে যেতে হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফর্ম না থাকলে তো অপেক্ষা আরও বেড়ে যাবে। পরিবারের কথা ভেবে তাই অবসর সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে ভাবছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসের মতো ইউরোপ সেরা ক্লাবের হয়ে খেলা রোনালদো।

সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান রোনালদোর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কবে অবসর নেবেন? জবাবে পর্তুগিজ তারকা বলেন, ‘শিগগিরই।’ অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া যে মোটেও সহজ হবে না সেটাও জানালেন রোনালদো, ‘অবসরের জন্য আমি প্রস্তুত থাকব। তবে আমার জন্য এটা খুবই কঠিন হবে।’

পরিবারের জন্য ফুটবল ছাড়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ব্যাখ্যা করেছেন ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন, ‘সবকিছুরই শুরু আছে। সবকিছু আবার শেষও হয়ে যায়। ফুটবল ছাড়ার পর নিজেকে এবং পরিবারকে সময় দিতে পারব। আমার বাচ্চাদের লালন-পালনের জন্য সময় ব্যয় করতে পারব।’

অবসরে যাওয়ার পর ফুটবলে কাটানো দারুণ সময়গুলো মিস করবেন রোনালদো, ‘আমি ২৫,২৬, ২৭ বছর বয়স থেকেই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি। আমার মনে হয় আমি সেই চাপ সহ্য করতে সক্ষম হব। ফুটবলে গোল করার জন্য যে অ্যাড্রেনালিন নিঃসৃত হয়, তার সাথে আর কিছুরই তুলনা হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত