Ajker Patrika

ভালো না করার পেছনে বাংলাদেশের উইকেট দায়ী, দাবি মালিকের

ভালো না করার পেছনে বাংলাদেশের উইকেট দায়ী, দাবি মালিকের

বাংলাদেশের রোগটা পুরোনো। নিজেদের কন্ডিশনে জেতো আর বাইরের কন্ডিশনে হতাশ হয়ে ফেরো। এবারের বিশ্বকাপেও তেমনি হতাশার গল্প লেখার কাজটা যেন শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা ৩ ম্যাচ হেরেছে তারা। যার সর্বশেষটা গতকাল স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে। 

ভারতের বিপক্ষে গতকাল ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত শুরুর পরও বড় সংগ্রহ করতে না পারার আক্ষেপে পুড়েছে বাংলাদেশ। পরে তো বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির কাছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানের পরাজয়ের তিক্ত স্বাদও নিতে হয়েছে। বাংলাদেশের এমন পরাজয়ে ম্যাচ শেষে দেশের ক্রিকেটের অবকাঠামোকে দায়ী করেছেন সাকিব আল হাসানের বদলে গতকাল অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের মন্থর ও ঘূর্ণি উইকেটের দিকেই আঙুল তুলেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। 

শান্তর সুরেই কথা বলেছেন শোয়েব মালিকও। পাকিস্তানি ব্যাটারের মতে, বাংলাদেশের মেধাবী ক্রিকেটারের অভাব নেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামোগত সমস্যার কারণেই তারা ধরাশায়ী হচ্ছে। বাংলাদেশ–ভারতের ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল ‘এ’ স্পোর্টসকে এমনটিই জানিয়েছেন মালিক। 

নিয়মিত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি সম্পর্কে ভালোই ধারণা আছে মালিকের। অভিজ্ঞতার কারণেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্সের সমস্যার কারণ কি?। প্রশ্নের জবাবে শোয়েব বলেছেন, ‘অবশ্যই প্রতিভা আছে। অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। বিশ্বকাপে যারা খেলছে, তারাই ওদের সেরা। সেখানে গিয়ে আমরা যখন লিগ খেলি তখন এই ক্রিকেটাররাই ধারাবাহিক পারফর্ম করে। কিন্তু লিগগুলো হয় টি-টোয়েন্টিতে। টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময় ছোট পারফরম্যান্সও অনেক বড় হয়ে যায়। ছোট সংস্করণের ক্ষেত্রে তারা ঠিক আছে।’ 

বাংলাদেশের স্কোর মাঝারি এবং ব্যাটারদের ডট বল খাওয়ার প্রবণতার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মালিক। এর জন্য বাংলাদেশের উইকেটকে দায়ী করেছেন তিনি। পাকিস্তানি ব্যাটার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যখন দলগুলো খেলতে যায় তখন বাংলাদেশের উচিত উইকেট ভালো করার। ঘরের মাঠে টার্ন থাকে, বল নিচু হয়ে যায়। মিরপুরে খেললে অনেক সময় ১১০ রান করা কঠিন হয়ে যায় ২০ ওভারে। বল সিম এবং স্পিন দুটোই হয়। মিরপুরের তুলনায় চট্টগ্রামের কন্ডিশন বেশ ভালো।’ 

বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমস্যার সমাধানও দিয়েছেন মালিক। তিনি বলেছেন, ‘তাদের অবকাঠামোগত ভালো করতে হবে। উইকেটগুলো এতই কঠিন থাকে যে ডট বল খেলতেই হয়। ব্যাটাররা ক্রিজে গিয়ে সেট হতে পারে না। ডট বল না খেললে উইকেট বুঝতে পারা যায় না। বাউন্ডারি থেকেই রান করার চেষ্টা করা হয়। জাতীয় দলেও একই খেলার ধরন দেখা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত