অয়ন রায়, ঢাকা

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল কাল এশিয়া কাপ জেতার পর একটা কথা বেশ ঘুরেফিরে আসছে। বাংলাদেশ যুব দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল যতটা বড় মঞ্চে সফল হয়েছে, পুরুষ জাতীয় দল অর্থাৎ সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে দলে খেলেন, তাঁদের বড় মঞ্চে তেমন কোনো সাফল্য নেই।
এটির বিপরীতে কেউ কেউ অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বাঁকবদল ঘটেছে ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ে। গত দুই যুগে দেশে যে ক্রিকেট উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, সেটার সূত্র ওখান থেকেই। আজ যুব দল কিংবা নারী দলের বড় সাফল্যের সূত্রও ’৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, পুরুষ দলের ওই আইসিসি ট্রফি জয় দেশের ক্রিকেটকে আজ এখানে এনেছে। কিন্তু সেখান থেকে যতটা ওপরে ওঠা কিংবা বড় মঞ্চে সাফল্য প্রত্যাশিত ছিল, সেটি পূরণ না হওয়ায় প্রশ্নটা আসছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে হয়ে উঠেছে সমীহজাগানো এক দল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো পরাক্রমশালী দলও বাংলাদেশকে এখন আর হালকাভাবে নেয় না। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে আইসিসি ইভেন্টেও হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেই বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ পেয়েছে আলাদা এক পরিচিতি। বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ জয় এখন আর ‘অঘটন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এত এত জয়ের পরও আছে অনেক প্রশ্ন। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিজেদের শক্তি কতটা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে? দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতলেও বহুজাতিক টুর্নামেন্টে এসে বারবার খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ২০১২,২০১৬ ও ২০১৮—তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে তিনবারই বাংলাদেশ হয়েছে রানার্সআপ। এর মধ্যে ২০১৬,২০১৮—এই দুবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ২০১২ এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ২ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। ১১ বছর আগে কাছাকাছি গিয়ে শিরোপা না ছোঁয়ার বেদনায় সাকিবের অঝোরে কান্নার দৃশ্য এখনো গেঁথে রয়েছে ভক্ত-সমর্থকদের মনে। ২০০৯ সালে একবার ও ২০১৮ সালে দুইবার—এই তিনবার ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়েও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি সাকিব-মাশরাফিদের। ছেলেদের ক্রিকেটের বড় শিরোপা এসেছে ২০১৯ সালে। চার বছর আগে বিশ্বকাপের ঠিক আগে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে।
আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠা। সেবার মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। ১৯৯৯ থেকে ২০২৩—সাতবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেললেও বাংলাদেশ কখনোই খেলতে পারেনি সেমিফাইনাল। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাটাই ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আটবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেও বাংলাদেশ উঠতে পারেনি সেমিফাইনালে।
গত দুই দশকে বড় শিরোপা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্যাবিনেটে উঠেছে নারী আর যুব দলের সৌজন্যে। ২০১৮ নারী এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার ফাইনাল খেলেই বাজিমাত করে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যে ভারতের সামনে সাকিব-তামিমদের বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট নকআউট পর্বে স্নায়ুচাপ সামলাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে, সেখানেই যেন পার্থক্য গড়ে দিল বাংলাদেশের নারী ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। আর গতকাল দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল জিতে নিল অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ।
তা বাংলাদেশের ‘বড়’ দল অর্থাৎ যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা, যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা, যারা সবচেয়ে বেশি থাকেন আলোচনায়, যাদের এত নাম-ডাক, সেই জাতীয় পুরুষ দল কবে জিতবে বড় মঞ্চের শিরোপা? বিসিবির যে বিভাগের অধীনে থাকে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ দল, সে বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস গতকাল আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলছিলেন, ‘জুনিয়র ক্রিকেট (বয়সভিত্তিক) আর মূল ধারার ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য। তবে মানি, বড় মঞ্চে সাফল্য দরকার। তবে ওই পর্যায়ে যেতে সময় লাগবে।’
মূল এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে জিততে হলে সবার আগে নিজেদের ক্রিকেট কাঠামো, খেলোয়াড়-কোচদের উন্নত সুযোগ-সুবিধা, সৃজনশীল চিন্তা, উদ্যোগ, স্বচ্ছতা আর সংস্কৃতিতে উন্নতি আনা জরুরি। এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অনেক পিছিয়ে। শক্তিশালী ক্রিকেট কাঠামো, সুযোগ-সুবিধা, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাবান ক্রিকেট বোর্ড হওয়ার পরও ভারত গত ১০ বছরে কোনো আইসিসির ইভেন্ট জিততে পারেনি। সেখানে দুর্বল ক্রিকেট কাঠামো আর সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ যদি দ্রুত বড় কোনো শিরোপা জিতে ফেলে, সেটি হবে ভীষণ অবাক করারই ব্যাপার!

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল কাল এশিয়া কাপ জেতার পর একটা কথা বেশ ঘুরেফিরে আসছে। বাংলাদেশ যুব দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল যতটা বড় মঞ্চে সফল হয়েছে, পুরুষ জাতীয় দল অর্থাৎ সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে দলে খেলেন, তাঁদের বড় মঞ্চে তেমন কোনো সাফল্য নেই।
এটির বিপরীতে কেউ কেউ অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় বাঁকবদল ঘটেছে ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ে। গত দুই যুগে দেশে যে ক্রিকেট উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, সেটার সূত্র ওখান থেকেই। আজ যুব দল কিংবা নারী দলের বড় সাফল্যের সূত্রও ’৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, পুরুষ দলের ওই আইসিসি ট্রফি জয় দেশের ক্রিকেটকে আজ এখানে এনেছে। কিন্তু সেখান থেকে যতটা ওপরে ওঠা কিংবা বড় মঞ্চে সাফল্য প্রত্যাশিত ছিল, সেটি পূরণ না হওয়ায় প্রশ্নটা আসছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে হয়ে উঠেছে সমীহজাগানো এক দল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারতের মতো পরাক্রমশালী দলও বাংলাদেশকে এখন আর হালকাভাবে নেয় না। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে আইসিসি ইভেন্টেও হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেই বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ পেয়েছে আলাদা এক পরিচিতি। বাংলাদেশের কোনো ম্যাচ জয় এখন আর ‘অঘটন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এত এত জয়ের পরও আছে অনেক প্রশ্ন। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিজেদের শক্তি কতটা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে? দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতলেও বহুজাতিক টুর্নামেন্টে এসে বারবার খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ২০১২,২০১৬ ও ২০১৮—তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে তিনবারই বাংলাদেশ হয়েছে রানার্সআপ। এর মধ্যে ২০১৬,২০১৮—এই দুবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ২০১২ এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে ২ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। ১১ বছর আগে কাছাকাছি গিয়ে শিরোপা না ছোঁয়ার বেদনায় সাকিবের অঝোরে কান্নার দৃশ্য এখনো গেঁথে রয়েছে ভক্ত-সমর্থকদের মনে। ২০০৯ সালে একবার ও ২০১৮ সালে দুইবার—এই তিনবার ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়েও শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি সাকিব-মাশরাফিদের। ছেলেদের ক্রিকেটের বড় শিরোপা এসেছে ২০১৯ সালে। চার বছর আগে বিশ্বকাপের ঠিক আগে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে।
আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে ওঠা। সেবার মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলেছিল ভারতের বিপক্ষে। ১৯৯৯ থেকে ২০২৩—সাতবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেললেও বাংলাদেশ কখনোই খেলতে পারেনি সেমিফাইনাল। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলাটাই ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আটবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেও বাংলাদেশ উঠতে পারেনি সেমিফাইনালে।
গত দুই দশকে বড় শিরোপা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্যাবিনেটে উঠেছে নারী আর যুব দলের সৌজন্যে। ২০১৮ নারী এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার ফাইনাল খেলেই বাজিমাত করে বাংলাদেশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যে ভারতের সামনে সাকিব-তামিমদের বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট নকআউট পর্বে স্নায়ুচাপ সামলাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে, সেখানেই যেন পার্থক্য গড়ে দিল বাংলাদেশের নারী ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। আর গতকাল দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল জিতে নিল অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ।
তা বাংলাদেশের ‘বড়’ দল অর্থাৎ যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি উন্মাদনা, যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা, যারা সবচেয়ে বেশি থাকেন আলোচনায়, যাদের এত নাম-ডাক, সেই জাতীয় পুরুষ দল কবে জিতবে বড় মঞ্চের শিরোপা? বিসিবির যে বিভাগের অধীনে থাকে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ দল, সে বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস গতকাল আজকের পত্রিকাকে এ বিষয়ে বলছিলেন, ‘জুনিয়র ক্রিকেট (বয়সভিত্তিক) আর মূল ধারার ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য। তবে মানি, বড় মঞ্চে সাফল্য দরকার। তবে ওই পর্যায়ে যেতে সময় লাগবে।’
মূল এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে জিততে হলে সবার আগে নিজেদের ক্রিকেট কাঠামো, খেলোয়াড়-কোচদের উন্নত সুযোগ-সুবিধা, সৃজনশীল চিন্তা, উদ্যোগ, স্বচ্ছতা আর সংস্কৃতিতে উন্নতি আনা জরুরি। এখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অনেক পিছিয়ে। শক্তিশালী ক্রিকেট কাঠামো, সুযোগ-সুবিধা, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ও ক্ষমতাবান ক্রিকেট বোর্ড হওয়ার পরও ভারত গত ১০ বছরে কোনো আইসিসির ইভেন্ট জিততে পারেনি। সেখানে দুর্বল ক্রিকেট কাঠামো আর সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশ যদি দ্রুত বড় কোনো শিরোপা জিতে ফেলে, সেটি হবে ভীষণ অবাক করারই ব্যাপার!

বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
ড্রয়ের পথে আছে ময়মনসিংহ-ঢাকার ম্যাচ। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে জিততে পারে যে কেউ। ড্র কিংবা ফল–দুইটাই হতে পারে সিলেট-রংপুরের ম্যাচে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম খুলনা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে
২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
কানাডার রাজধানী অটোয়ার টিডি প্লেস স্টেডিয়ামে গত রাতে ক্যাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া মুখোমুখি হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে অটোয়ার আবহাওয়া নিয়ে। দ্য অ্যাথলেটিকের গতকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডার অন্টারিও প্রদেশজুড়ে মৌসুমের প্রথম বড় তুষারঝড় শুরু হয়েছে। ফাইনালের দিন অটোয়ায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার তুষার জমা হয়েছিল। ম্যাচজুড়ে তুষারপাত এতই বেশি ছিল যে তুষার সরাতে অনেক সময় লেগেছে। যে খেলা দুই ঘণ্টায় শেষ হতো, শেষ হতে লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা।
তুষারের মধ্যে ফুটবল কানাডায় নতুন কিছু না হলেও এমন পরিস্থিতিতে মাঠের টাচলাইন, পেনাল্টি এলাকার দাগ আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তুষার সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল তুষার পরিষ্কারক যান স্নোপ্লাউ, তুষার ওড়ানোর যন্ত্র স্নোব্লোয়ার্স আর কোদাল। এত কিছু করেও খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়েছে। তুষারের মধ্যে খেলার ব্যাপারে ফুটবলাররা রোমাঞ্চ অনুভব করলেও খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো পাস দিতে পারছিলেন না। বল প্রায়ই আটকে যাচ্ছিল।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্যাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া ফাইনালে প্রথম গোলের দেখা মেলে ৩৩ মিনিটে। মিডফিল্ডার ফ্রেজার এয়ার্ড লক্ষ্যভেদ করেছেন পেনাল্টি থেকেই। ৭ মিনিট পরই সেই গোল অটোয়া শোধ করে। তুষারের মধ্যে লাফিয়ে উঠে দৃষ্টিনন্দন বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান অটোয়া দাভিদ রদ্রিগেজ। ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাঝে যে ৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হতো, সেটা হয়নি। টানা আধা ঘণ্টা খেলা হয়েছে। ১০৫ মিনিটে আরেক গোল করে অটোয়াকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেজ। তাতেই কানাডা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া।

বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
কানাডার রাজধানী অটোয়ার টিডি প্লেস স্টেডিয়ামে গত রাতে ক্যাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া মুখোমুখি হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া। কিন্তু ম্যাচের ফল ছাপিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে অটোয়ার আবহাওয়া নিয়ে। দ্য অ্যাথলেটিকের গতকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডার অন্টারিও প্রদেশজুড়ে মৌসুমের প্রথম বড় তুষারঝড় শুরু হয়েছে। ফাইনালের দিন অটোয়ায় প্রায় ২০ সেন্টিমিটার তুষার জমা হয়েছিল। ম্যাচজুড়ে তুষারপাত এতই বেশি ছিল যে তুষার সরাতে অনেক সময় লেগেছে। যে খেলা দুই ঘণ্টায় শেষ হতো, শেষ হতে লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা।
তুষারের মধ্যে ফুটবল কানাডায় নতুন কিছু না হলেও এমন পরিস্থিতিতে মাঠের টাচলাইন, পেনাল্টি এলাকার দাগ আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তুষার সরাতে ব্যবহার করা হচ্ছিল তুষার পরিষ্কারক যান স্নোপ্লাউ, তুষার ওড়ানোর যন্ত্র স্নোব্লোয়ার্স আর কোদাল। এত কিছু করেও খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়েছে। তুষারের মধ্যে খেলার ব্যাপারে ফুটবলাররা রোমাঞ্চ অনুভব করলেও খেলোয়াড়েরা ঠিকমতো পাস দিতে পারছিলেন না। বল প্রায়ই আটকে যাচ্ছিল।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্যাভালরি এফসি-আতলেতিকো অটোয়া ফাইনালে প্রথম গোলের দেখা মেলে ৩৩ মিনিটে। মিডফিল্ডার ফ্রেজার এয়ার্ড লক্ষ্যভেদ করেছেন পেনাল্টি থেকেই। ৭ মিনিট পরই সেই গোল অটোয়া শোধ করে। তুষারের মধ্যে লাফিয়ে উঠে দৃষ্টিনন্দন বাইসাইকেল কিকে বল জালে পাঠান অটোয়া দাভিদ রদ্রিগেজ। ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা বারবার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মাঝে যে ৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হতো, সেটা হয়নি। টানা আধা ঘণ্টা খেলা হয়েছে। ১০৫ মিনিটে আরেক গোল করে অটোয়াকে এগিয়ে দেন রদ্রিগেজ। তাতেই কানাডা প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আতলেতিকো অটোয়া।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল কাল এশিয়া কাপ জেতার পর একটা কথা বেশ ঘুরেফিরে আসছে। বাংলাদেশ যুব দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল যতটা বড় মঞ্চে সফল হয়েছে, পুরুষ জাতীয় দল অর্থাৎ সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে দলে খেলেন, তাঁদের বড় মঞ্চে তেমন কোনো সাফল্য নেই।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
ড্রয়ের পথে আছে ময়মনসিংহ-ঢাকার ম্যাচ। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে জিততে পারে যে কেউ। ড্র কিংবা ফল–দুইটাই হতে পারে সিলেট-রংপুরের ম্যাচে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম খুলনা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার মনি ও পুষ্পিতা জামান। চার সেটের লড়াইয়ে প্রথম সেটেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন আর্চার মিলে ৫৪-এর বেশি স্কোর করতে পারেননি। সেখানে ইরান প্রথম শটে তির সাতে ফেললেও সেট শেষ করে ৫৬ স্কোর নিয়ে। দ্বিতীয় সেট জিতে পয়েন্ট সমান করে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেট ড্র হলেও চতুর্থ সেটে বাজিমাত ইরান।
ইরানের বিপক্ষে লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় হতাশ বন্যা আক্তার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। ইরানের সঙ্গে এই মাঠেই টিম খেলেছিল। ওই ম্যাচে আমি ছিলাম না। তবে হেরেছিলাম। এবার জিততে হবে, এমন লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। বাতাস ছিল, কিন্তু তেমন প্রভাব পড়েনি। চাপ ছিল না। মনের মধ্যে আনন্দ কাজ করছিল। সতীর্থদেরও বলাবলি করছিলাম যে পদক নেব আমরা। কিন্তু সেটা হয়নি।’
ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হারের দায়ও নিলেন বন্যা, ‘সিনিয়র হিসেবে খেলছি আমি। আমার দায়িত্ব আছে। সতীর্থরাও যেন ভালো করে। তাদের সমর্থন দিতে হবে। সবাই যেন স্নায়ুর চাপে ভেঙে না পড়ে সে সমর্থনটুকু দিতে হবে। এশিয়া কাপে এই ইভেন্টে এর আগে ফাইনালে উঠেছিলাম। আজ ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছি। পরের ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে কী কারণে হেরেছি সেই ভুল করব না। আজকে আমাদের দুর্বল পয়েন্ট ছিল-শুরু ভালো হয়নি। ব্যক্তিগত এককেও সেরাটা দিতে চাই। সেটা দিতে পারলে পদক জিতব আশা করি।’
এর আগে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ২৩৪-২২৭ ব্যবধানে হারেন বন্যারা। আর ইরান ২৩৭-২২৭ ব্যবধানে হারে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। রিকার্ভ পুরুষ দলীয় ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৫-৩ সেট পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ।
রিকার্ভ নারী এককে শেষ ষোলোয় উঠেছেন ইতি খাতুন, সোনালি রায়, সিমা আক্তার শিমু ও মনিরা আক্তার। পুরুষ এককে আগে থেকেই শেষ ষোলোয় আছেন রামকৃষ্ণ সাহা। সাগর ইসলাম বাদে রাকিব মিয়া ও আব্দুর রহমান আলিফও জায়গা করে নেন শেষ ষোলোয়। শেষ ২৪ রাউন্ডে সাগর ৬-৪ সেট পয়েন্টে হেরে যান ভিয়েতনামের লি কুয়োক ফংয়ের কাছে। কম্পাউন্ড পুরুষে শেষ ষোলোয় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিমু বাছাড়। নারী এককে শেষ ষোলোয় খেলবেন বন্যা, পুষ্পিতা ও কুলসুম। শেষ ২৪ রাউন্ডে বাদ পড়েছেন মিথিলা আক্তার।

এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার মনি ও পুষ্পিতা জামান। চার সেটের লড়াইয়ে প্রথম সেটেই পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন আর্চার মিলে ৫৪-এর বেশি স্কোর করতে পারেননি। সেখানে ইরান প্রথম শটে তির সাতে ফেললেও সেট শেষ করে ৫৬ স্কোর নিয়ে। দ্বিতীয় সেট জিতে পয়েন্ট সমান করে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেট ড্র হলেও চতুর্থ সেটে বাজিমাত ইরান।
ইরানের বিপক্ষে লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় হতাশ বন্যা আক্তার। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। ইরানের সঙ্গে এই মাঠেই টিম খেলেছিল। ওই ম্যাচে আমি ছিলাম না। তবে হেরেছিলাম। এবার জিততে হবে, এমন লক্ষ্য স্থির করেছিলাম। বাতাস ছিল, কিন্তু তেমন প্রভাব পড়েনি। চাপ ছিল না। মনের মধ্যে আনন্দ কাজ করছিল। সতীর্থদেরও বলাবলি করছিলাম যে পদক নেব আমরা। কিন্তু সেটা হয়নি।’
ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হারের দায়ও নিলেন বন্যা, ‘সিনিয়র হিসেবে খেলছি আমি। আমার দায়িত্ব আছে। সতীর্থরাও যেন ভালো করে। তাদের সমর্থন দিতে হবে। সবাই যেন স্নায়ুর চাপে ভেঙে না পড়ে সে সমর্থনটুকু দিতে হবে। এশিয়া কাপে এই ইভেন্টে এর আগে ফাইনালে উঠেছিলাম। আজ ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে হেরেছি। পরের ম্যাচে লক্ষ্য থাকবে কী কারণে হেরেছি সেই ভুল করব না। আজকে আমাদের দুর্বল পয়েন্ট ছিল-শুরু ভালো হয়নি। ব্যক্তিগত এককেও সেরাটা দিতে চাই। সেটা দিতে পারলে পদক জিতব আশা করি।’
এর আগে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ২৩৪-২২৭ ব্যবধানে হারেন বন্যারা। আর ইরান ২৩৭-২২৭ ব্যবধানে হারে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। রিকার্ভ পুরুষ দলীয় ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৫-৩ সেট পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ।
রিকার্ভ নারী এককে শেষ ষোলোয় উঠেছেন ইতি খাতুন, সোনালি রায়, সিমা আক্তার শিমু ও মনিরা আক্তার। পুরুষ এককে আগে থেকেই শেষ ষোলোয় আছেন রামকৃষ্ণ সাহা। সাগর ইসলাম বাদে রাকিব মিয়া ও আব্দুর রহমান আলিফও জায়গা করে নেন শেষ ষোলোয়। শেষ ২৪ রাউন্ডে সাগর ৬-৪ সেট পয়েন্টে হেরে যান ভিয়েতনামের লি কুয়োক ফংয়ের কাছে। কম্পাউন্ড পুরুষে শেষ ষোলোয় বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিমু বাছাড়। নারী এককে শেষ ষোলোয় খেলবেন বন্যা, পুষ্পিতা ও কুলসুম। শেষ ২৪ রাউন্ডে বাদ পড়েছেন মিথিলা আক্তার।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল কাল এশিয়া কাপ জেতার পর একটা কথা বেশ ঘুরেফিরে আসছে। বাংলাদেশ যুব দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল যতটা বড় মঞ্চে সফল হয়েছে, পুরুষ জাতীয় দল অর্থাৎ সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে দলে খেলেন, তাঁদের বড় মঞ্চে তেমন কোনো সাফল্য নেই।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
ড্রয়ের পথে আছে ময়মনসিংহ-ঢাকার ম্যাচ। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে জিততে পারে যে কেউ। ড্র কিংবা ফল–দুইটাই হতে পারে সিলেট-রংপুরের ম্যাচে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম খুলনা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক

ড্রয়ের পথে আছে ময়মনসিংহ-ঢাকার ম্যাচ। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে জিততে পারে যে কেউ। ড্র কিংবা ফল–দুইটাই হতে পারে সিলেট-রংপুরের ম্যাচে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম খুলনা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৫২ রান করেছে খুলনা। জয়ের জন্য শেষদিনে ১৮৫ রান করতে হবে তাদের। সৌম্য ৩৪ ও অমিত মজুমদার ১০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে ১২৭ রানে এগিয়ে আছে সিলেট। ১৭৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দলটি। শেষদিনের শুরুতে সিলেটকে অলআউট করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে রংপুরের সামনে। সে কাজটা করতে হবে বোলারদেরকেই।
কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে ময়মনসিংহের বিপক্ষে ১১১ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা। শুভাগত হোম চৌধুরীর দলের করা ৩৩৬ রানের জবাবে ২২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ঢাকা। এই ম্যাচে ফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল। জবাবে বিনা উইকেটে ৫ রান তোলেছে পদ্মাপাড়ের দলটি। শেষদিনে আরও ২৪১ রান করতে হবে তাদের। মিজানুর রহমান, সাব্বির হোসেন, সাব্বির রহমান, প্রীতম কুমারদের নিয়ে সাজানো ব্যাটিং লাইনের পক্ষে এই রান করা খুব কঠিন কিছু নয়। তবে প্রতিপক্ষ দলে থাকা তানভীর ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত মিশু, রুয়েল মিয়াদের মতো বোলারদের কথা ভেবে কিছুটা চিন্তাও থাকছে তাদের সামনে।

ড্রয়ের পথে আছে ময়মনসিংহ-ঢাকার ম্যাচ। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে জিততে পারে যে কেউ। ড্র কিংবা ফল–দুইটাই হতে পারে সিলেট-রংপুরের ম্যাচে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম খুলনা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৫২ রান করেছে খুলনা। জয়ের জন্য শেষদিনে ১৮৫ রান করতে হবে তাদের। সৌম্য ৩৪ ও অমিত মজুমদার ১০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে ১২৭ রানে এগিয়ে আছে সিলেট। ১৭৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দলটি। শেষদিনের শুরুতে সিলেটকে অলআউট করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে রংপুরের সামনে। সে কাজটা করতে হবে বোলারদেরকেই।
কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে ময়মনসিংহের বিপক্ষে ১১১ রানে পিছিয়ে আছে ঢাকা। শুভাগত হোম চৌধুরীর দলের করা ৩৩৬ রানের জবাবে ২২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ঢাকা। এই ম্যাচে ফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ২৪৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল। জবাবে বিনা উইকেটে ৫ রান তোলেছে পদ্মাপাড়ের দলটি। শেষদিনে আরও ২৪১ রান করতে হবে তাদের। মিজানুর রহমান, সাব্বির হোসেন, সাব্বির রহমান, প্রীতম কুমারদের নিয়ে সাজানো ব্যাটিং লাইনের পক্ষে এই রান করা খুব কঠিন কিছু নয়। তবে প্রতিপক্ষ দলে থাকা তানভীর ইসলাম, ইয়াসির আরাফাত মিশু, রুয়েল মিয়াদের মতো বোলারদের কথা ভেবে কিছুটা চিন্তাও থাকছে তাদের সামনে।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল কাল এশিয়া কাপ জেতার পর একটা কথা বেশ ঘুরেফিরে আসছে। বাংলাদেশ যুব দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল যতটা বড় মঞ্চে সফল হয়েছে, পুরুষ জাতীয় দল অর্থাৎ সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে দলে খেলেন, তাঁদের বড় মঞ্চে তেমন কোনো সাফল্য নেই।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পাঠানো চিঠিতে তাবিথের লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘আপনার মতো অভিজ্ঞ ও মর্যাদাপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, যা আমাদের জন্য এক গর্বের বিষয়। আমি গত ৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে প্রদত্ত বক্তব্য সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল খেলাকে নিয়ে অত্যন্ত অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক মন্তব্য করা হয়, যা শুধু ফুটবল নয়, পুরো ক্রীড়াসমাজের জন্যই হতাশাজনক। আমরা এই মন্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই পত্রকে আমাদের আনুষ্ঠানিক আপত্তি হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ক্রিকেট কনফারেন্স থেকে এমন মনোভাব প্রকাশ পাওয়া সত্যিই দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক। আমরা সবাই খেলাধুলাকে একটি ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা আমাদের জাতিকে একত্র করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে গর্ব ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। আমরা উভয়ই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন একসঙ্গে কাজ করবে একটি সুস্থ, দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
কিন্তু যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘অভিজাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘মারামারি’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে, এটি কি কোনো ধরনের হুমকি?
এমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন বক্তব্য ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি চরম অসম্মানজনক, যা ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী। গণমানুষের প্রাণের খেলা ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, কোটি মানুষের আবেগ, ঐক্য ও গৌরবের প্রতীক। এই ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়রাই মুক্তিযুদ্ধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত যে, বাংলাদেশে ফুটবলের অভিভাবক হিসেবে আমি ও আমার নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি, হাজার হাজার খেলোয়াড় এবং কোটি কোটি ভক্তের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই এ ঘটনায় আমি আপনার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক ও জনসম্মুখে ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছি।
আপনার প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও সম্মান অটুট। আমি বিশ্বাস করি, আপনি একজন জাতীয় ক্রীড়াবিদ ও সম্মানিত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনার প্ল্যাটফর্মকে কোনো ভুল উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে দেবেন না; বরং আপনি এখনই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেশের কোটি ক্রীড়ামোদীর মনে সৃষ্ট আঘাত ও বিভ্রান্তি দূর করবেন।
বাংলাদেশে ক্রিকেটসহ সব খেলাধুলার সফল যাত্রা কামনা করছি।’
এর আগে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট কনফারেন্স। সেখানে ফুটবল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিসিবি পরিচালক ও গায়ক আসিফ আকবর। ফুটবলের জন্য ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে ফুটবল অঙ্গনে। প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পাঠানো চিঠিতে তাবিথের লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো—
‘আপনার মতো অভিজ্ঞ ও মর্যাদাপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, যা আমাদের জন্য এক গর্বের বিষয়। আমি গত ৯ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে প্রদত্ত বক্তব্য সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল খেলাকে নিয়ে অত্যন্ত অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক মন্তব্য করা হয়, যা শুধু ফুটবল নয়, পুরো ক্রীড়াসমাজের জন্যই হতাশাজনক। আমরা এই মন্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই পত্রকে আমাদের আনুষ্ঠানিক আপত্তি হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ক্রিকেট কনফারেন্স থেকে এমন মনোভাব প্রকাশ পাওয়া সত্যিই দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক। আমরা সবাই খেলাধুলাকে একটি ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা আমাদের জাতিকে একত্র করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে গর্ব ও অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে। আমরা উভয়ই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে, দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন একসঙ্গে কাজ করবে একটি সুস্থ, দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
কিন্তু যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘অভিজাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘মারামারি’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে, এটি কি কোনো ধরনের হুমকি?
এমন দৃষ্টিকটু ও অশোভন বক্তব্য ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রতি চরম অসম্মানজনক, যা ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থী। গণমানুষের প্রাণের খেলা ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, কোটি মানুষের আবেগ, ঐক্য ও গৌরবের প্রতীক। এই ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়রাই মুক্তিযুদ্ধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত যে, বাংলাদেশে ফুটবলের অভিভাবক হিসেবে আমি ও আমার নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি, হাজার হাজার খেলোয়াড় এবং কোটি কোটি ভক্তের প্রতিনিধিত্ব করি। তাই এ ঘটনায় আমি আপনার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক ও জনসম্মুখে ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছি।
আপনার প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও সম্মান অটুট। আমি বিশ্বাস করি, আপনি একজন জাতীয় ক্রীড়াবিদ ও সম্মানিত ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনার প্ল্যাটফর্মকে কোনো ভুল উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে দেবেন না; বরং আপনি এখনই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেশের কোটি ক্রীড়ামোদীর মনে সৃষ্ট আঘাত ও বিভ্রান্তি দূর করবেন।
বাংলাদেশে ক্রিকেটসহ সব খেলাধুলার সফল যাত্রা কামনা করছি।’
এর আগে গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সে আসিফ বলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল কাল এশিয়া কাপ জেতার পর একটা কথা বেশ ঘুরেফিরে আসছে। বাংলাদেশ যুব দল কিংবা নারী ক্রিকেট দল যতটা বড় মঞ্চে সফল হয়েছে, পুরুষ জাতীয় দল অর্থাৎ সাকিব-তামিম-মুশফিকেরা যে দলে খেলেন, তাঁদের বড় মঞ্চে তেমন কোনো সাফল্য নেই।
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বৃষ্টি, তুষারপাতের মধ্যে ফুটবল খেলা একেবারে নতুন কিছু নয়। পাড়ার ফুটবলের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গত রাতে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যা হয়েছে, সেটা রীতিমতো অবাক করার মতো। প্রবল তুষারপাতের মধ্যে শমিত শোমদের খেলা শেষ করতে অনেক দেরি হয়েছে।
৩১ মিনিট আগে
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে কম্পাউন্ড থেকে পদকের আশা করেছিলেন বাংলাদেশ কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ। তাঁকে হতাশই করল কম্পাউন্ড নারী দল। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে ইরানের কাছে ২২৭-২২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হেরেছে তারা।
১ ঘণ্টা আগে
ড্রয়ের পথে আছে ময়মনসিংহ-ঢাকার ম্যাচ। বরিশাল-রাজশাহীর ম্যাচে জিততে পারে যে কেউ। ড্র কিংবা ফল–দুইটাই হতে পারে সিলেট-রংপুরের ম্যাচে। সেদিক থেকে ব্যতিক্রম খুলনা। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয়রা।
১ ঘণ্টা আগে