ক্রীড়া ডেস্ক
১৩ বছরের এক ছেলে করন। গরিব অনাথ আশ্রমে থাকা এই বালকের একটি স্বপ্ন হচ্ছে বড় ক্রিকেটার হওয়া। দৈবভাবে কপিল দেবের একটি ব্যাট হাতে পায় করন। সেই ব্যাটেই ঝড় তোলে সে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ৩ ইনিংসে ভারতের হয়ে করনের ব্যাটে আসে ৩৩৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭০ রানও করেন করন। এটা ছিল বলিউডের ‘চেইন কুলি কি মেইন কুলি’ সিনেমার কাহিনি। এই সিনেমার গল্পকে অনেকটা বাস্তবে রূপ দিলেন ভারতের বিস্ময় বালক বৈভব সূর্যবংশী। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, তবে আইপিএল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে কম কী!
১৪ বছর বয়সে একজন বালক আর কী করতে পারে? পড়াশোনায় দারুণ কিছু করে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। সৃজনশীল মেধায় ব্যতিক্রম কিছু অর্জন করতে পারে। কিন্তু বৈভব গতরাতে যা করেছে, তা মহাবিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই। ১৪ বছর বয়সী একটা ছেলে আন্তর্জাতিক মানের সব বোলারদের মেরে ছাতু করে দিচ্ছে, কাল সিনেমার দৃশ্যেরই যেন পুনর্নির্মাণ দেখলেন জয়পুরের দর্শকেরা। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে আইপিএলের ইতিহাসই নতুন করে লিখে ফেলেছে বৈভব। ১১ ছক্কা এবং ৭ চারে ১০১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
বৈভবের এই অর্জনে আলোড়িত ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিং থেকে শুরু এখনকার সূর্যকুমার যাদব। রাজস্থান কোচ রাহুল দ্রাবিড় চোট থেকে সেরে উঠছেন অনেকটাই। নিয়মিত চলাফেরা করতে এখন হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন। চোখের সামনে এক বিস্ময়বালকের কীর্তি দেখে পায়ের যন্ত্রণা ভুলিয়ে গিয়েছিলেন দ্রাবিড়। বৈভবকে অভিনন্দিত করতে হুইল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে শিশুর মতো উদ্যাপন করেছিলেন। গতকাল মহাকাব্যিক ইনিংসের পর বৈভবকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শচীন টেন্ডুলকার লেখেন, ‘বৈভবের নির্ভীক মানসিকতা, দ্রুত ব্যাট স্পিড, বলের লেংথ দ্রুত পড়তে পারা এবং বলের পেছনে শক্তি সঞ্চার করার দক্ষতাই ছিল এই দুর্দান্ত ইনিংসের মূল উপাদান।’ ইনস্টাগ্রামে বৈভবের ছবি শেয়ার করে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা লেখেন, ‘ক্লাস’।
আগের ম্যাচে মাহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে দেখা হয়েছিল বৈভবের। সেই সাক্ষাৎ নিয়ে রাজস্থানের ম্যানেজার রমি ভিন্দার বলেন, ‘গত ম্যাচে গুয়াহাটিতে খেলার সময় সে ধোনির সঙ্গে দেখা করেছিল। আমি দুজনের মধ্যে কিছু মিল দেখতে পাচ্ছি। দুজনেই শান্ত ও ঠান্ডা মেজাজের, কিন্তু মাঠে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেন।’ পরে ধোনি বৈভবের অনেক প্রশংসা করে ভিন্দারকে বলেছেন, ‘তোমাদের দলে একটা বেবি আছে। সেই বেবি কিন্তু পরিণত ক্রিকেটারের মতো দুর্দান্ত সব শট খেলছে!’ ভিন্দার আরও বলেছেন, ‘বৈভব বিরাট কোহলিকে অনেক পছন্দ করে। কোহলি তাকে বলেছেন, কীভাবে মাটিতে পা রেখে চলতে হয়, বিনয়ী থাকতে হয় এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।’
ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে বৈভব নিজের ইনিংস নিয়ে বলেছে, সে আর কিছুই খেয়াল করেনি। শুধু বল দেখেছে আর মেরেছে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেছিলে, ‘গত তিন চার মাস ধরে যা অনুশীলন করছি, সেটার ফল পাচ্ছি। মাঠের কী অবস্থা, সেদিকে তাকাইনি। শুধু বলের দিকেই তাকিয়েছি। আইপিএলে এমন সেঞ্চুরি করা স্বপ্নের মতো।’
১৩ বছরের এক ছেলে করন। গরিব অনাথ আশ্রমে থাকা এই বালকের একটি স্বপ্ন হচ্ছে বড় ক্রিকেটার হওয়া। দৈবভাবে কপিল দেবের একটি ব্যাট হাতে পায় করন। সেই ব্যাটেই ঝড় তোলে সে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ৩ ইনিংসে ভারতের হয়ে করনের ব্যাটে আসে ৩৩৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৭০ রানও করেন করন। এটা ছিল বলিউডের ‘চেইন কুলি কি মেইন কুলি’ সিনেমার কাহিনি। এই সিনেমার গল্পকে অনেকটা বাস্তবে রূপ দিলেন ভারতের বিস্ময় বালক বৈভব সূর্যবংশী। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, তবে আইপিএল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়ে কম কী!
১৪ বছর বয়সে একজন বালক আর কী করতে পারে? পড়াশোনায় দারুণ কিছু করে তাক লাগিয়ে দিতে পারে। সৃজনশীল মেধায় ব্যতিক্রম কিছু অর্জন করতে পারে। কিন্তু বৈভব গতরাতে যা করেছে, তা মহাবিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বেই। ১৪ বছর বয়সী একটা ছেলে আন্তর্জাতিক মানের সব বোলারদের মেরে ছাতু করে দিচ্ছে, কাল সিনেমার দৃশ্যেরই যেন পুনর্নির্মাণ দেখলেন জয়পুরের দর্শকেরা। গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে আইপিএলের ইতিহাসই নতুন করে লিখে ফেলেছে বৈভব। ১১ ছক্কা এবং ৭ চারে ১০১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
বৈভবের এই অর্জনে আলোড়িত ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, যুবরাজ সিং থেকে শুরু এখনকার সূর্যকুমার যাদব। রাজস্থান কোচ রাহুল দ্রাবিড় চোট থেকে সেরে উঠছেন অনেকটাই। নিয়মিত চলাফেরা করতে এখন হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন। চোখের সামনে এক বিস্ময়বালকের কীর্তি দেখে পায়ের যন্ত্রণা ভুলিয়ে গিয়েছিলেন দ্রাবিড়। বৈভবকে অভিনন্দিত করতে হুইল চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে শিশুর মতো উদ্যাপন করেছিলেন। গতকাল মহাকাব্যিক ইনিংসের পর বৈভবকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শচীন টেন্ডুলকার লেখেন, ‘বৈভবের নির্ভীক মানসিকতা, দ্রুত ব্যাট স্পিড, বলের লেংথ দ্রুত পড়তে পারা এবং বলের পেছনে শক্তি সঞ্চার করার দক্ষতাই ছিল এই দুর্দান্ত ইনিংসের মূল উপাদান।’ ইনস্টাগ্রামে বৈভবের ছবি শেয়ার করে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা লেখেন, ‘ক্লাস’।
আগের ম্যাচে মাহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে দেখা হয়েছিল বৈভবের। সেই সাক্ষাৎ নিয়ে রাজস্থানের ম্যানেজার রমি ভিন্দার বলেন, ‘গত ম্যাচে গুয়াহাটিতে খেলার সময় সে ধোনির সঙ্গে দেখা করেছিল। আমি দুজনের মধ্যে কিছু মিল দেখতে পাচ্ছি। দুজনেই শান্ত ও ঠান্ডা মেজাজের, কিন্তু মাঠে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেন।’ পরে ধোনি বৈভবের অনেক প্রশংসা করে ভিন্দারকে বলেছেন, ‘তোমাদের দলে একটা বেবি আছে। সেই বেবি কিন্তু পরিণত ক্রিকেটারের মতো দুর্দান্ত সব শট খেলছে!’ ভিন্দার আরও বলেছেন, ‘বৈভব বিরাট কোহলিকে অনেক পছন্দ করে। কোহলি তাকে বলেছেন, কীভাবে মাটিতে পা রেখে চলতে হয়, বিনয়ী থাকতে হয় এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।’
ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে বৈভব নিজের ইনিংস নিয়ে বলেছে, সে আর কিছুই খেয়াল করেনি। শুধু বল দেখেছে আর মেরেছে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেছিলে, ‘গত তিন চার মাস ধরে যা অনুশীলন করছি, সেটার ফল পাচ্ছি। মাঠের কী অবস্থা, সেদিকে তাকাইনি। শুধু বলের দিকেই তাকিয়েছি। আইপিএলে এমন সেঞ্চুরি করা স্বপ্নের মতো।’
কাশ্মীরের পেহেলগামে নৃশংস হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। ভারত দাবি করেছে, এর পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা। ভারত সরকার তাদের দেশে পাকিস্তানের বিভিন্ন নিউজ সাইট, ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেরে দিয়েছে। ক্রিকেটাররাও জড়িয়ে গেছেন বাগ্যুদ্ধে। শোয়েব আখতারের ইউটি
৩ ঘণ্টা আগেসাত বছর চলছে সাদমান ইসলামের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেখা পেয়েছেন নিজের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি, সঙ্গে পূর্ণ করলেন ১০০০ রান। বাংলাদেশের ১৮ তম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান সাদমানের।
৩ ঘণ্টা আগে৩ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ দল। তৃতীয় সেশনেও ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২৫৯ রান পর্যন্ত ছিল সেই তিন উইকেটই। কিন্তু শেষ বিকেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার ঘূর্ণি জাদুতে বেশ এলোমেলো হয়ে যায় ব্যাটিং। শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবু ৬৪ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ
৫ ঘণ্টা আগে