Ajker Patrika

‘ফতুল্লা মাঠটা দেখে আমার কান্না পাচ্ছিল’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ১০
আজ রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা স্টেডিয়াম। অথচ এই মাঠে একসময় নিয়মিত হতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এখান থেকেই উঠে এসেছেন রনি তালুকদার, অমিত হাসান, এনামুল হক কিংবা জিসান আলমের মতো ক্রিকেটাররা। সেই মাঠের করুণ চিত্র দেখে চোখ ভিজে এল বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের।

আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে কোয়াব ও ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড আইডিয়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিবির সভাপতি এসব কথা বলেন।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘এখানে আসার আগে আমি ফতুল্লা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। এর করুণ অবস্থা দেখে কান্না চলে আসছে। অথচ এখানে অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়দের আরও সুযোগ-সুবিধা দরকার। এখানে তিনটি উইকেট আছে। আমাদের পরিকল্পনা অন্তত ২০টি উইকেট বানানো। এখন ১২ মাস খেলা হয়। খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচিং স্টাফদের সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন করতে হবে। ভবিষ্যৎ তামিম-সাকিবরা এখান থেকেই উঠে আসবেন। আমাদের ইচ্ছা আছে, নারায়ণগঞ্জে ইনডোর স্টেডিয়াম করার। তাহলে ক্রিকেটাররা সব সময় খেলার মধ্যে থাকতে পারবে।’

নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান আলম সম্প্রতি টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ফিফটি করেছেন। সেটির সঙ্গে ফতুল্লার বর্তমান চিত্র মিলিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি। তাঁর ভাষায়, ‘গতকাল জিসান ফিফটি করেছে বিশ্বমানের ক্রিকেটে, আর আজকে দেখলাম সে যেখানে অনুশীলন করে তার অবস্থা কেমন! এটা মেলানো যায় না।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন, সিসিডিএমের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদুজ্জামান মাসুদ, কোয়াব নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি জাকারিয়া ইমতিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শান্তর সেঞ্চুরিতে জয়ে শুরু রাজশাহীর

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১৯
অধিনায়কের হাত ধরে রাজশাহীর শুরুটা হলো দারুণ। ছবি: ফেসবুক
অধিনায়কের হাত ধরে রাজশাহীর শুরুটা হলো দারুণ। ছবি: ফেসবুক

২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ম্যাচে দেখা গেল দারুণ লড়াই। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে হাই স্কোরিং ম্যাচে সিলেট টাইটান্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী। অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তানজিদ হাসান তামিম যখন ফেরেন তখন তাদের স্কোরবোর্ড ছিল ১৯ রান। ১৯ বলে ২০ রান করে সাহিবজাদা ফারহান আউট হলে ৬২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজশাহী। রানরেট তখন আটেরও নিচে। জয়ের জন্য দরকার ৭৩ বলে ১২৯ রান।

শান্ত ও মুশফিকের অসামান্য ব্যাটিং দৃঢ়তায় এই সমীকরণ মিলিয়েছে তারা। এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি তাঁরা দুজন। তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই দুজন। দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন শান্ত। ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। ৫৮ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ঘর। টি–টোয়েন্টিতে এটা তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।

মুশফিক ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তাঁর ৩১ বলের ইনিংস। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কের বাউন্ডারিতেই জয় নিশ্চিত হয় রাজশাহীর। রুয়েল মিয়ার করা ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরেই উদ্‌যাপন শুরু করেন তিনি। দুই কানে হাত দিয়ে মুশফিক যেন বোঝাতে চাইলেন এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি।

এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি এবং আফিফ হোসেন, রনি তালুকদারদের মাঝারি মানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তোলে সিলেট। ৩৩ বলে ইমনের অবদান ৬৫ রান। তাঁর ১৯৬.৯৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। আফিফের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। আফিফের ৩৩ রানের আগে রনি ৪১ ও সাইম আইয়ুব করেন ২৮ রান। ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার সন্দীপ লামিচানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজও উইকেট পেয়েছেন রিশাদ, উঠেছেন চূড়ায়

ক্রীড়া ডেস্ক    
পার্থের বিপক্ষে আজ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
পার্থের বিপক্ষে আজ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ছবি: ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলতে গিয়েই নিজের জাত চেনাচ্ছেন রিশাদ হোসেন। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে এই বাংলাদেশি লেগস্পিনারকে দলে টানে হোবার্ট হারিকেন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিচ্ছেন রিশাদ।

নজরকাড়া বোলিংয়ে হোবার্টের হয়ে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে নিচ্ছেন রিশাদ। তারই ধারাবাহিকতায় বিগ ব্যাশের চলমান আসরে এখন হোবার্টের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে গেলেন তিনি। সবশেষ আজ পার্থ স্করচার্জের বিপক্ষে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন রিশাদ। প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে তাঁর সংগ্রহ ৬ উইকেট। এত উইকেট নিতে পারেনি হোবার্টের আর কোনো বোলার। সব মিলিয়ে তালিকার পাঁচে আছেন রিশাদ।

শীর্ষস্থানের দখল নিয়েছেন জ্যাক এডওয়ার্ডস। ৪ ম্যাচে সিডনি সিক্সার্সের এই অজি পেসারের শিকার ৮ উইকেট। সমান সাতটি করে উইকেট নিয়ে দুই ও তিন নম্বরে আছেন পিটার সিডল ও টম কারান। রিশাদের সমান ৬ উইকেট নিয়ে চারে আছেন জোয়েল ডেভিস।

পার্থের বিপক্ষে ৩ উইকেট নেওয়ার দিনে বল হাতে কিছুটা খরুচে ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারের কোটায় ৮.২৫ ইকোনমিতে ৩৩ রান দেন তিনি। এই স্পিনারের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন কুপার কনোলি, অ্যারন হার্ডি ও লরি ইভান্স। ২ উইকেট নেন রাইলি মেরেডিথ। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন তিনি।

সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বিগ ব্যাশে অভিষেক হয় রিশাদের। সে ম্যাচে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন। মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ২১ রান খরচায় তুলে নেন ১ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাসকিনদের পেছনে ফেলে ভুটানের বোলারের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৪
মাত্র ৭ রানে ৮ উইকেট নেন এই স্পিনার। ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ৭ রানে ৮ উইকেট নেন এই স্পিনার। ছবি: সংগৃহীত

সোনম ইয়েশি; ক্রিকেট বিশ্বে নামটি একেবারেই অচেনা। এবার ভুটানের এই অচেনা ক্রিকেটারই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন। আজ মিয়ানমারের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন তাসকিন আহমেদদের মতো পেসারদের।

মিয়ানমারের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেট তুলে নিয়েছেন ইয়েশি। যা এই সংস্করণের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। সর্বোচ্চ বোলিং ফিগারের আগের রেকর্ডটি ছিল সায়াজরুল ইদরুসের দখলে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কুয়ালালামপুরে চীনের বিপক্ষে ৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার এই বোলার।

সায়াজরুল ছাড়াও টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে সমান সাতটি করে উইকেট নেওয়ার কীর্তি রয়েছে অ্যাকারম্যান, তাসকিন ও আলী দাঊদের দখলে। তাঁদের রেকর্ড ভেঙে গেল ভুটানের আনকোড়া এক বোলারের কাছে।

গেলেফু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ দিন মিয়ানমারের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করেন ইয়েশি। ৮ উইকেট নেওয়ার পথে একটি মেডেনে খরচ করেন মাত্র ৭ রান। ইয়েশির এমন অর্জন ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে ভুটানের সরকারি ক্রিকেট চ্যানেলগুলোতে। ভক্তদের কাছ থেকেও প্রশংসা পাচ্ছেন এই স্পিনার।

টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া অন্য তিন বোলারের মধ্যে একজন কেবল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কীর্তি গড়েন। ১১ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেন বাহরাইনের দাঊদ। তাসকিন ৭ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের পর্বে। ঢাকার বিপক্ষে ১৯ রান খরচায় ৭ ব্যাটারকে তুলে নেন এই গতিতারকা। অ্যাকারম্যান ৭ উইকেট নেন বিয়ারসের বিপক্ষে। ৪ ওভারে ১৮ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শেষের তাণ্ডবে শান্তদের ১৯১ রানের লক্ষ্য দিল সিলেট, ইমনের ঝোড়ো ফিফটি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ১১
৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: বিসিবি
৩৩ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন। ছবি: বিসিবি

রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুব যখন ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন, তখনই সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে শোনা যায় হর্ষধ্বনি। সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে পুরোটা জুড়েই ভক্ত-সমর্থকেরা উল্লাস করেছেন। মাঝখানে রান তোলার গতি কিছুটা কমে গেলেও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করেছে সিলেট।

রাজশাহী ওয়ারিয়র্স-সিলেট টাইটান্স ম্যাচ দিয়ে আজ শুরু হয়েছে ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাটিং পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন সিলেট করেছে ১৯০ রান।শেষ ৪ ওভারে তারা যোগ করেছে ৫২ রান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া সিলেটের দুই ওপেনার সাইম-রনি দারুণ শুরু এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ২৫ বলে ৩৬ রান যোগ করেন তাঁরা (সাইম-রনি)। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়েছেন সাইম। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্দোকে পুল করতে যান সাইম। ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

৩৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায় সিলেটের। একটা পর্যায়ে মিরাজের দলের স্কোর হয়ে যায় ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সে সময় ইমনের স্কোর ছিল ১১ বলে ১৪ রান। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে ৪১ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়েন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। এই জুটি গড়ার পথে ২৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ইমন।

ইনিংসের ২০তম ওভারের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে তানজিম হাসান সাকিবকে তিনটি চার মারেন আফিফ। সেই ওভারের পঞ্চম বলে তানজিম সাকিবকে মিড উইকেটে পুশ করে ২ রান নিতে যান আফিফ। সীমানা থেকে স্ট্রাইকপ্রান্তের স্টাম্প বরাবর সাহিবজাদা ফারহান সরাসরি থ্রো করেন। ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ইনিংসের শেষ বলে ইথান ব্রুকসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রানে শেষ হয়েছে সিলেট টাইটান্সের ইনিংস।

সিলেটের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ইমন। ৩৩ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ৫ ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। পাঁচ ছক্কার মধ্যে একটা মেরেছেন কাভারের ওপরে। রাজশাহীর সন্দীপ লামিচানে ৪ ওভারে ৩৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সিলেটের ওপেনার রনি তালুকদার (৪১) ও টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের (২০) উইকেট দুটি নিয়েছেন লামিচানে। রনি ৩৪ বলে করেছেন ৪১ রান। জাজাই ২০ রান করতে খেলেছেন ১৮ বল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত