নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হিউস্টনে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র। যেকোনো সংস্করণে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতল তারা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অবলীলায় জয়ের পর আজ স্বাগতিকেরা জিতল শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে যেন আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশকে ক্রিকেট শিখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রিশাদ হোসেন-মোস্তাফিজুর রহমানদের দাপুটে বোলিংয়ে ১৪৪ রানেই যুক্তরাষ্ট্রকে আটকে রাখে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ছন্দ পায়নি তাদের ব্যাটাররা। এ ম্যাচেও খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটাররা। মিডল অর্ডার আর লোয়ার অর্ডারেও আজ বড় ইনিংস ছিল না। শেষ ৩২ রানে হারিয়েছে তারা ৬ উইকেট।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। উইকেটও ছিল একটি। আলী খানের বলে মোনাঙ্ক প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে শেষ উইকেট ফেরেন রিশাদ হোসেন। ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
প্রথম টি-টোয়েন্টি হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক কৌশলে নামে বাংলাদেশ দল। টস জিতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর একাদশে লিটন দাসকেও আর রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। বলা যায়, সিরিজ বাঁচানো ম্যাচে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাননি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ওপেনিংয়ে বদল এনেও সুফল পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৌম্য সরকার। লিটনের জায়গায় ফেরা তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাটিং করছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। বলের লাইন মিস করে পঞ্চম ওভারে স্পিনার জাসদিপ সিংয়ের বলে হয়েছেন বোল্ড। ১৫ বলে ২০ রানে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের ৪৮ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। বেশ কিছু ম্যাচ ধরেই রানের জন্য সংগ্রাম করছেন শান্ত। সমালোচনা হচ্ছিল তাঁর টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট নিয়েও। এ ম্যাচেও বেশ সংগ্রামই করেছেন। থিতু হয়েও ওয়ানডের মতো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ৩৬ রানে রানআউট হয়েছেন। ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান।
এর মধ্যে হৃদয়ও ফেরেন ২১ বলে ২৫ রানে। তারপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩, জাকের আলী অনিক ৪ রানে এবং ২৩ বলে সাকিব ৩০ রানে আউট হলে হারের শঙ্কা জেগে ওঠে। লোয়ার অর্ডারও সেভাবে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি, ফলে হারই লিখা হয় বাংলাদেশের নামের পাশে। যুক্তরাষ্ট্রের আলী খান ৩টি, সৌরভ নেত্রভালকার ও শেডলি ফন শলকউইক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ম্যাচে দুই পেসার নিয়ে খেলে বোলিংয়ে ডেথ ওভারে ভুগেছে বাংলাদেশ দল। শেষ দিকে বল হাতে নিতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামের সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিবকে রাখে সফরকারীরা। বাদ পড়েন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। বোলিং আক্রমণ পরিবর্তন এনেও অবশ্য শুরুতে সুফল পায়নি বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ার-প্লের পরের ওভারেই অবশ্য স্বস্তি ফিরে অতিথিদের মধ্যে।
প্রথম দুই ওভার একটু দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেল। সেটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারলেন না তাঁরা। সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসেই বাংলাদেশকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। লং অনে তানজিদ তামিমের ক্যাচে টেইলরকে ৩১ রানে ফেরান এই লেগ স্পিনার। পরের বলে ফেরান তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আন্দ্রিস গাউসকে (০)। প্রথম ম্যাচেও গাউসকে ফিরিয়েছিলেন রিশাদ।
তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোনসকে নিয়ে ৬০ রানের কার্যকর একটি জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। যার সৌজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরটা ১৪৩ হয়। প্যাটেল ৪২ ও জোনস ফেরেন ৩৫ রানে। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ, মোস্তাফিজ ও শরীফুল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
হিউস্টনে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল যুক্তরাষ্ট্র। যেকোনো সংস্করণে বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতল তারা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অবলীলায় জয়ের পর আজ স্বাগতিকেরা জিতল শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে যেন আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশকে ক্রিকেট শিখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রিশাদ হোসেন-মোস্তাফিজুর রহমানদের দাপুটে বোলিংয়ে ১৪৪ রানেই যুক্তরাষ্ট্রকে আটকে রাখে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ছন্দ পায়নি তাদের ব্যাটাররা। এ ম্যাচেও খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেননি টপ অর্ডার ব্যাটাররা। মিডল অর্ডার আর লোয়ার অর্ডারেও আজ বড় ইনিংস ছিল না। শেষ ৩২ রানে হারিয়েছে তারা ৬ উইকেট।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। উইকেটও ছিল একটি। আলী খানের বলে মোনাঙ্ক প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে শেষ উইকেট ফেরেন রিশাদ হোসেন। ১৯.৩ ওভারে ১৩৮ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
প্রথম টি-টোয়েন্টি হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক কৌশলে নামে বাংলাদেশ দল। টস জিতে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর একাদশে লিটন দাসকেও আর রাখেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। বলা যায়, সিরিজ বাঁচানো ম্যাচে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাননি কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
ওপেনিংয়ে বদল এনেও সুফল পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৌম্য সরকার। লিটনের জায়গায় ফেরা তানজিদ হাসান তামিম ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাটিং করছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। বলের লাইন মিস করে পঞ্চম ওভারে স্পিনার জাসদিপ সিংয়ের বলে হয়েছেন বোল্ড। ১৫ বলে ২০ রানে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের ৪৮ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠে বাংলাদেশ। বেশ কিছু ম্যাচ ধরেই রানের জন্য সংগ্রাম করছেন শান্ত। সমালোচনা হচ্ছিল তাঁর টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেট নিয়েও। এ ম্যাচেও বেশ সংগ্রামই করেছেন। থিতু হয়েও ওয়ানডের মতো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ৩৬ রানে রানআউট হয়েছেন। ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান।
এর মধ্যে হৃদয়ও ফেরেন ২১ বলে ২৫ রানে। তারপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩, জাকের আলী অনিক ৪ রানে এবং ২৩ বলে সাকিব ৩০ রানে আউট হলে হারের শঙ্কা জেগে ওঠে। লোয়ার অর্ডারও সেভাবে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি, ফলে হারই লিখা হয় বাংলাদেশের নামের পাশে। যুক্তরাষ্ট্রের আলী খান ৩টি, সৌরভ নেত্রভালকার ও শেডলি ফন শলকউইক ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ম্যাচে দুই পেসার নিয়ে খেলে বোলিংয়ে ডেথ ওভারে ভুগেছে বাংলাদেশ দল। শেষ দিকে বল হাতে নিতে হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। দ্বিতীয় ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান ও শরীফুল ইসলামের সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিবকে রাখে সফরকারীরা। বাদ পড়েন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। বোলিং আক্রমণ পরিবর্তন এনেও অবশ্য শুরুতে সুফল পায়নি বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। পাওয়ার-প্লের পরের ওভারেই অবশ্য স্বস্তি ফিরে অতিথিদের মধ্যে।
প্রথম দুই ওভার একটু দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেল। সেটি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারলেন না তাঁরা। সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসেই বাংলাদেশকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। লং অনে তানজিদ তামিমের ক্যাচে টেইলরকে ৩১ রানে ফেরান এই লেগ স্পিনার। পরের বলে ফেরান তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আন্দ্রিস গাউসকে (০)। প্রথম ম্যাচেও গাউসকে ফিরিয়েছিলেন রিশাদ।
তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোনসকে নিয়ে ৬০ রানের কার্যকর একটি জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। যার সৌজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোরটা ১৪৩ হয়। প্যাটেল ৪২ ও জোনস ফেরেন ৩৫ রানে। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ, মোস্তাফিজ ও শরীফুল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
গলে ম্যাচ ড্র হওয়া অনেকটা চোখ কপালে ওঠার মতো। সমুদ্রঘেঁষা এই ভেন্যুতে সবশেষ ২৬ ম্যাচে কোনো দলই ড্রয়ের জন্য সমঝোতা করেনি। বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে ইতি টানল সেই ধারাবাহিকতার। ম্যাচটি কি জেতার জন্য খেলতে পারত না বাংলাদেশ? পারত না আরেকটু আগে ইনিংস ঘোষণা করতে? সেই প্রশ্নগুলোই রাখা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে...
৯ ঘণ্টা আগেএক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আগেও দেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত প্রায় দুই বছর আগে সেই ক্লাবে নাম লেখান। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে জোড়া সেঞ্চুরি করে নতুন কীর্তি গড়লেন তিনি। বাংলাদেশের কোনো অধিনায়কই এর আগে এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। এই রেকর্ডে নাম লেখানোর কথা আগে থেকে জানতেন না শান্ত।
১০ ঘণ্টা আগেকিছু কি মনে পড়ছে? না পড়লেও অবশ্য দোষের কিছু নেই। মেলবোর্নে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৭ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে তোপের মুখে পড়েন ঋষভ পন্ত। তাঁর আউটের ধরন দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে মাইক হাতে তিরস্কার করতে থাকেন ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বলে
১১ ঘণ্টা আগেদিন শেষ হতে তখনো বাকি আরও ৫ ওভার। ৩০ বলে শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেট পড়ে যাবে এমন ভাবাটা আকাশ-কুসুম কল্পনার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তাই বাস্তবতা মেনে নিয়ে ছুটে গেলেন লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে করমর্দন করতে। বাকিরাও তা অনুসরণ করতে থাকেন।
১১ ঘণ্টা আগে