নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তামিম ইকবাল আর ফারুক আহমেদ গত কয়েক মাসে যতবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন, বেশির ভাগ মাঠের বাইরের বিষয়ে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে ক্রিকেট প্রশাসনিক সম্পর্কিত। তামিমকে প্রায় সময় একটা প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে, তিনি ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান কি না। আর কদিন পরপর নানা বিতর্কিত বিষয়ে নাম এলেও ফারুক ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন, সহজে মাঠ ছাড়ার চিন্তা তাঁর নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের সময় ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে ক্রিকেট অঙ্গনে নানা আলোচনা, গুঞ্জন ও সমীকরণের জন্ম দিয়েছে—কারা হবেন কাউন্সিলর কিংবা কারা এবার জায়গা করে নেবেন বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে।
২০১৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে, দু-একজন পরিচালক বাদে বেশির ভাগই এসেছেন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া। একতরফা নির্বাচনে নিজেদের ছক অনুযায়ী টানা তিনবার নাজমুল হোসেন পাপন বিসিবির সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ড চলেছে টানা ১২ বছর। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে ফারুক আর নাজমুল আবেদীন ফাহিম অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে। পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের অধিকাংশ পরিচালক আত্মগোপনে যাওয়ায় সভাপতি ফারুক বিসিবি চালিয়ে নিচ্ছেন ৯ পরিচালককে নিয়ে।
ফারুকের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ যেহেতু আর ছয় মাস; তাই এখন শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রস্তুতি। বর্তমানের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ক্লাব, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পর্যায়ে পরিবর্তনের যে হাওয়া লেগেছে; সেটির প্রভাব বিসিবির কাউন্সিলরশিপেও পড়ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে কাউন্সিলরদের রদবদল হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এক হয়েছিলেন বিএনপিপন্থী সংগঠকেরা। সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ইশরাক হোসেন (বর্তমানে বিসিবির কাউন্সিলর ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে) থাকলেও বিশেষ নজর কাড়ে তামিমের উপস্থিতি।
একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে তামিমের উপস্থিতি কি নতুন কোনো সমীকরণ দাঁড় করাচ্ছে আগামী বিসিবি নির্বাচনের আগে? তামিম বিসিবি সভাপতি হতে চান কি না—এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে তাঁকে আগে পরিচালক পদে নির্বাচিত হতে হবে। কালকের অনুষ্ঠানে বোর্ড পরিচালকের পদে থেকেও যাঁরা নিজের জেলা বা বিভাগে লিগ পর্যন্ত আয়োজন করতে পারেন না, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে কিছু না করেন, তাহলে তার বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই।’ যাঁরা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের নীতিনির্ধারক হচ্ছেন, তাঁদের যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার আহ্বান তামিমের, ‘ক্রিকেট বোর্ডে কারা আমাদের নীতিনির্ধারক? কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? কারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছে? যাঁরা বোর্ডের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের আমাদের নিয়ে কী স্বপ্ন আছে? তাদের ক্রিকেট বোঝার ক্ষমতা কতটা? এসবের সঙ্গে আমাদের ভালো খেলা, জেতা না জেতা—সবকিছু জড়িত।’
তামিম যেহেতু ধীরে ধীরে সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হচ্ছেন, বোর্ডে তাঁর আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে এখনো তাঁর অনেক সমীকরণ মেলানো বাকি। ওদিকে জটিল সমীকরণ মেলাতে গিয়ে কদিন পরপর নানাভাবে বিতর্কিত হচ্ছেন ফারুক। ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘এই বোর্ডে আমি নিঃসঙ্গ।’ বোর্ডের স্থায়ী আমানত (এফডিআর) কয়েকটি ব্যাংকে স্থানান্তর, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘গোল্ডেন ভিসা’ সুবিধায় ব্যবসা পরিচালনা, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। কাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের’ সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ফারুক বলেন, ‘এ অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। যদি আমার ওই তথাকথিত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকত, তাহলে আজ আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারতাম না। আমি তো বর্তমান সরকারের আমলেই বিসিবির দায়িত্ব নিয়েছি। যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, তাদের প্রতি অনুরোধ, এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে বিরত থাকুন।’
তামিম ইকবাল আর ফারুক আহমেদ গত কয়েক মাসে যতবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন, বেশির ভাগ মাঠের বাইরের বিষয়ে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বললে ক্রিকেট প্রশাসনিক সম্পর্কিত। তামিমকে প্রায় সময় একটা প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে, তিনি ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চান কি না। আর কদিন পরপর নানা বিতর্কিত বিষয়ে নাম এলেও ফারুক ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন, সহজে মাঠ ছাড়ার চিন্তা তাঁর নেই।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের সময় ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে ক্রিকেট অঙ্গনে নানা আলোচনা, গুঞ্জন ও সমীকরণের জন্ম দিয়েছে—কারা হবেন কাউন্সিলর কিংবা কারা এবার জায়গা করে নেবেন বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে।
২০১৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে, দু-একজন পরিচালক বাদে বেশির ভাগই এসেছেন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া। একতরফা নির্বাচনে নিজেদের ছক অনুযায়ী টানা তিনবার নাজমুল হোসেন পাপন বিসিবির সভাপতি হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ড চলেছে টানা ১২ বছর। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে ফারুক আর নাজমুল আবেদীন ফাহিম অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে। পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের অধিকাংশ পরিচালক আত্মগোপনে যাওয়ায় সভাপতি ফারুক বিসিবি চালিয়ে নিচ্ছেন ৯ পরিচালককে নিয়ে।
ফারুকের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ যেহেতু আর ছয় মাস; তাই এখন শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রস্তুতি। বর্তমানের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ক্লাব, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পর্যায়ে পরিবর্তনের যে হাওয়া লেগেছে; সেটির প্রভাব বিসিবির কাউন্সিলরশিপেও পড়ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে কাউন্সিলরদের রদবদল হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এক হয়েছিলেন বিএনপিপন্থী সংগঠকেরা। সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ইশরাক হোসেন (বর্তমানে বিসিবির কাউন্সিলর ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে) থাকলেও বিশেষ নজর কাড়ে তামিমের উপস্থিতি।
একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে তামিমের উপস্থিতি কি নতুন কোনো সমীকরণ দাঁড় করাচ্ছে আগামী বিসিবি নির্বাচনের আগে? তামিম বিসিবি সভাপতি হতে চান কি না—এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে তাঁকে আগে পরিচালক পদে নির্বাচিত হতে হবে। কালকের অনুষ্ঠানে বোর্ড পরিচালকের পদে থেকেও যাঁরা নিজের জেলা বা বিভাগে লিগ পর্যন্ত আয়োজন করতে পারেন না, তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ নিজের জেলার ক্রিকেট উন্নয়নে কিছু না করেন, তাহলে তার বোর্ডে আসার প্রয়োজন নেই।’ যাঁরা দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের নীতিনির্ধারক হচ্ছেন, তাঁদের যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার আহ্বান তামিমের, ‘ক্রিকেট বোর্ডে কারা আমাদের নীতিনির্ধারক? কারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? কারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করছে? যাঁরা বোর্ডের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের আমাদের নিয়ে কী স্বপ্ন আছে? তাদের ক্রিকেট বোঝার ক্ষমতা কতটা? এসবের সঙ্গে আমাদের ভালো খেলা, জেতা না জেতা—সবকিছু জড়িত।’
তামিম যেহেতু ধীরে ধীরে সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হচ্ছেন, বোর্ডে তাঁর আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে এখনো তাঁর অনেক সমীকরণ মেলানো বাকি। ওদিকে জটিল সমীকরণ মেলাতে গিয়ে কদিন পরপর নানাভাবে বিতর্কিত হচ্ছেন ফারুক। ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘এই বোর্ডে আমি নিঃসঙ্গ।’ বোর্ডের স্থায়ী আমানত (এফডিআর) কয়েকটি ব্যাংকে স্থানান্তর, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘গোল্ডেন ভিসা’ সুবিধায় ব্যবসা পরিচালনা, আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। কাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের’ সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ফারুক বলেন, ‘এ অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। যদি আমার ওই তথাকথিত ফ্যাসিস্ট রেজিমের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকত, তাহলে আজ আপনাদের সামনে দাঁড়াতে পারতাম না। আমি তো বর্তমান সরকারের আমলেই বিসিবির দায়িত্ব নিয়েছি। যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়, তাদের প্রতি অনুরোধ, এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে বিরত থাকুন।’
জয়ের জন্য ১৩৬ রানের লক্ষ্যটা কি খুব বড় ছিল? মোটেও না। কিন্তু মাঝারি মানের এই লক্ষ্যতাড়ায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে অস্থিরতা দেখালেন, স্ট্যাম্পের বাইরের বল চেজ করে খেলতে গিয়ে আত্মাহুতি দিলেন নিজেদের, তাতে ম্যাচটি যাঁরা দেখেছেন তাঁদের উপলব্ধি এটাই—এই দলের শেখার এখনো অনেক বাকি!
৮ ঘণ্টা আগেরাজস্থান রয়্যালসের প্রধান কোচের ভূমিকায় এর আগেও ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে পুরোনো দায়িত্বে ফিরছেন শ্রীলঙ্কার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো।
৮ ঘণ্টা আগেআগের দিন বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় ভারত। তাই আজ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সুপার ফোরের লড়াইটি হয়ে দাঁড়ায় এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল। যে দল জিতবে সে দলই নাম লেখাবে ফাইনাল।
১০ ঘণ্টা আগেমোস্তাফিজুর রহমানের বল সালমান আলী আগার ব্যাট ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল উইকেটের পেছনে থাকা জাকের আলীর গ্লাভসে। বোলার-ফিল্ডাররা আবেদন করলেও আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। দলের বিপর্যয়ে যখন ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখানোর কথা, তখনই দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেলেন অধিনায়ক সালমান।
১০ ঘণ্টা আগে