দেখতে দেখতে শেষের পথে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামীকাল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। এর আগে সাত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একবার করে শিরোপা জিতেছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল যে-ই শিরোপা জিতবে, সে-ই সঙ্গী হবে ক্যারিবিয়ানদের।
চলুন তাহলে জেনে নেই আগের সাত ফাইনালের গল্প:
১। ভারত: ১৫৭ / ৫ (২০) ; পাকিস্তান: ১৫২ / ১০ (১৯.৩) ; ফলাফল: ভারত ৫ রানে জয়ী। ভেন্যু: জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা; ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: ইরফান পাঠান (৪-০-১৬-৩)
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে 'হাইভোল্টেজ' ফাইনালে বাজিমাত করে ভারত।
ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওপেনার গৌতম গম্ভীরের ফিফটি (৫৪ বলে ৭৫) ও রোহিত শর্মার ছোট ক্যামিও ইনিংসে (১৬ বলে ৩০* রান) ভারত ২০ ওভারে করে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে ব্যাটিং করেন মিসবাহ-উল-হক। শেষের দিকে ম্যাচের উত্তেজনা আরও চরমে ওঠে। শেষ ৪ বলে ৬ রান দরকার, এমন পরিস্থিতিতে যোগিন্দর শর্মাকে স্কুপ করতে যান মিসবাহ। ফাইন লেগে শ্রীশান্থ ক্যাচ ধরলে পুরো ভারতীয় ডাগআউট উল্লাসে মেতে ওঠে। আর হাঁটু গেড়ে মিসবাহর বসে থাকার চিত্রটা যেন পুরো পাকিস্তান দলেরই ‘প্রতীকী চিত্র’। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন পেসার ইরফান পাঠান।
২। শ্রীলঙ্কা: ১৩৮ / ৬ (২০) ; পাকিস্তান: ১৩৯ / ২ (১৮.৪) ; ফলাফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: লর্ডস, ইংল্যান্ড; ২১ জুন, ২০০৯ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: শহীদ আফ্রিদি (৪০ বলে ৫৪* রান ও ৪-০-২০-১)
জোহানেসবার্গের শিরোপা ফসকানোর আক্ষেপ লর্ডসের ফাইনালে ঘোচায় পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের ঝাল পাকিস্তান এবার ঝেরেছে শ্রীলঙ্কার ওপরে। লর্ডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আমিরদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান সাঙ্গাকারা। ৫২ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা করে ৬ উইকেটে ১৩৮ রান। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান বেশ সাবধানেই এগোতে থাকে। কামরান আকমল-শাহজিব হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৮ রান। আকমলের বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন শহিদ আফ্রিদি। দুর্দান্ত এক ফিফটি করে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস ও ২০ রানে ১ উইকেট-অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হয়েছিলেন আফ্রিদি।
৩। অস্ট্রেলিয়া: ১৪৭ / ৬ (২০) ; ইংল্যান্ড: ১৪৮ /৩ (১৭) ; ফলাফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: ব্রিজটাউন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ১৬ মে,২০১০ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: ক্রেগ কিসওয়েটার (৪৯ বলে ৬৩ রান)
ক্রিকেটের জনক হয়েও শিরোপা যেন ইংল্যান্ডের কাছে ছিল 'সোনার হরিণ'। বারবার ফাইনালে গিয়ে ইংল্যান্ডের শিরোপা না ছোঁয়ার আক্ষেপ যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সেই অধরা শিরোপার আক্ষেপ ইংলিশরা ঘোচায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে।
ব্রিজটাউনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক পল কলিংউড। ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা রীতিমতো সংগ্রাম করতে থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান। ফিফটি করেছিলেন ডেভিড হাসি (৫৪ বলে ৫৯ রান)।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কেভিন পিটারসেন-ক্রেগ কিসওয়েটার করেন ৬৮ বলে ১১১ রানের জুটি। যা মূলত ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ১৮ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংলিশরা। ৪৯ বলে ৬৩ রান করে ফাইনাল সেরা হয়েছেন কিসওয়েটার।
৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৭ / ৬ (২০) ; শ্রীলঙ্কা: ১০১ / ১০ (১৮.৪) ; ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৬ রানে জয়ী। ভেন্যু: কলম্বো, শ্রীলঙ্কা; ৭ অক্টোবর, ২০১২ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: মারলন স্যামুয়েলস (৫৬ বলে ৭৮ রান ও ৪-০-১৫-১)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথম ফাইনাল খেলে শ্রীলঙ্কা। বারবার ফাইনালে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া শ্রীলঙ্কার কাছে সুযোগ ছিল সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর। কিন্তু কলম্বোর প্রেমাদাসায় স্বাগতিকদের দুঃস্বপ্নের রাত উপহার দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কলম্বোয় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে উইন্ডিজরা করে ১৩৭ রান। দুর্দান্ত এক ফিফটি করেছিলেন মারলন স্যামুয়েলস (৫৬ বলে ৭৮ রান)।
শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা বেশ দারুণ এগোচ্ছিল। একটা পর্যায়ে লঙ্কানদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৮ রান। তবে এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ইনিংস। ৫৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ৩৬ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি শিরোপা ঘরে তোলে উইন্ডিজরা।
৫৬ বলে ৭৮ রান এবং ১৫ রানে ১ উইকেটের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস।
৫। ভারত: ১৩০ / ৪ (২০) ; শ্রীলঙ্কা: ১৩৪ /৪ (১৭.৫) ; ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: মিরপুর, বাংলাদেশ; ৬ এপ্রিল, ২০১৪ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: কুমার সাঙ্গাকারা (৩৫ বলে ৫২* রান)
শ্রীলঙ্কা ফাইনালে যাবে কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হবে না-এমনটা যেন ধ্রুব সত্য হয়ে গিয়েছিল। ২০০৭,২০০৯, ২০১১ ও ২০১২-চারটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার গল্পটা যেন কাছে গিয়ে ফিরে আসার গল্প। তবে 'একবার না পারিলে দেখ শতবার'- উক্তিটির স্বার্থকতা অবশেষে প্রমাণ করেছে লঙ্কানরা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতে লঙ্কানরা।
মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ভারত করে ৪ উইকেটে ১৩০ রান। ৫৮ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি।
১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের মনে যেন আগের টুর্নামেন্টগুলোর জুজু ভর করছিল। তবে শিরোপা জিততে যেন কুমার সাঙ্গাকারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৩২ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন এই ব্যাটার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছক্কা মেরে লঙ্কানদের আনন্দে ভাসান পেরেরা। ৩৫ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন সাঙ্গাকারা।
৬। ইংল্যান্ড: ১৫৫ /৯ (২০) ; ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬১ / ৬ (১৯.৪) ; ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: কলকাতা, ভারত; ১০ নভেম্বর, ২০২২ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: মারলন স্যামুয়েলস (৬৬ বলে ৮৫ রান)
আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ইংল্যান্ডের জুজু, তা প্রমাণ হলো আবারও। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে শেষ হাসি হাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা ঘরে তোলে উইন্ডিজরা।
ইডেনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করে ইংল্যান্ড। ফাইনালে ৩৬ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রুট।
১৫৬ এর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রানেই হারায় ৩ উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ম্যাচে ফেরে উইন্ডিজ। ৬৯ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন মারলন স্যামুয়েলস-ডোয়াইন ব্রাভো। আর সব নাটক যেন জমেছিল শেষ ওভারের জন্যই। শেষ ওভারে উইন্ডিজদের দরকার ছিল ১৯ রান। কার্লোস ব্রাথওয়েটের বিপক্ষে বোলিংয়ে আসেন বেন স্টোকস। প্রথম ৪ বলে ৪ ছক্কায় উইন্ডিজদের দ্বিতীয় শিরোপা এনে দেন ব্রাথওয়েট। জয়ের নায়ক ব্রাথওয়েট হলেও ৬৬ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন স্যামুয়েলস।
৭। নিউজিল্যান্ড: ১৭২ /৪ (২০) ; অস্ট্রেলিয়া: ১৭৩ /২ (১৮.৫) ; ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত; ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: মিচেল মার্শ (৫০ বলে ৭৭ *)
ওয়ানডেতে পাঁচবার শিরোপা জিতলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো শিরোপা ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। অবশেষে এই সংস্করণের শিরোপাও নিজেদের করে নেয় দলটি। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়ানরা। তাতে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে আরও একটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে হোঁচট খেল কিউইরা।
দুবাইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কেন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ফিফটিতে (৪৮ বলে ৮৫ রান) ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ৪ উইকেটে ১৭২ রান। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জশ হ্যাজলউড।
১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৫ রানেই ১ম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ায় দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ৫৯ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শ। ওয়ার্নারকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন বোল্ট। আর তৃতীয় উইকেটে ৩৯ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন মার্শ-গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টিম সাউদিকে চার মেরে তুলির শেষ আঁচড় দেন ম্যাক্সওয়েল। ৫০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মার্শ।
দেখতে দেখতে শেষের পথে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামীকাল মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শেষ হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। এর আগে সাত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একবার করে শিরোপা জিতেছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া। আগামীকাল যে-ই শিরোপা জিতবে, সে-ই সঙ্গী হবে ক্যারিবিয়ানদের।
চলুন তাহলে জেনে নেই আগের সাত ফাইনালের গল্প:
১। ভারত: ১৫৭ / ৫ (২০) ; পাকিস্তান: ১৫২ / ১০ (১৯.৩) ; ফলাফল: ভারত ৫ রানে জয়ী। ভেন্যু: জোহানেসবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা; ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: ইরফান পাঠান (৪-০-১৬-৩)
প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে 'হাইভোল্টেজ' ফাইনালে বাজিমাত করে ভারত।
ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওপেনার গৌতম গম্ভীরের ফিফটি (৫৪ বলে ৭৫) ও রোহিত শর্মার ছোট ক্যামিও ইনিংসে (১৬ বলে ৩০* রান) ভারত ২০ ওভারে করে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে ব্যাটিং করেন মিসবাহ-উল-হক। শেষের দিকে ম্যাচের উত্তেজনা আরও চরমে ওঠে। শেষ ৪ বলে ৬ রান দরকার, এমন পরিস্থিতিতে যোগিন্দর শর্মাকে স্কুপ করতে যান মিসবাহ। ফাইন লেগে শ্রীশান্থ ক্যাচ ধরলে পুরো ভারতীয় ডাগআউট উল্লাসে মেতে ওঠে। আর হাঁটু গেড়ে মিসবাহর বসে থাকার চিত্রটা যেন পুরো পাকিস্তান দলেরই ‘প্রতীকী চিত্র’। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন পেসার ইরফান পাঠান।
২। শ্রীলঙ্কা: ১৩৮ / ৬ (২০) ; পাকিস্তান: ১৩৯ / ২ (১৮.৪) ; ফলাফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: লর্ডস, ইংল্যান্ড; ২১ জুন, ২০০৯ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: শহীদ আফ্রিদি (৪০ বলে ৫৪* রান ও ৪-০-২০-১)
জোহানেসবার্গের শিরোপা ফসকানোর আক্ষেপ লর্ডসের ফাইনালে ঘোচায় পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের ঝাল পাকিস্তান এবার ঝেরেছে শ্রীলঙ্কার ওপরে। লর্ডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আমিরদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ান সাঙ্গাকারা। ৫২ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা করে ৬ উইকেটে ১৩৮ রান। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তান বেশ সাবধানেই এগোতে থাকে। কামরান আকমল-শাহজিব হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৮ রান। আকমলের বিদায়ের পর তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন শহিদ আফ্রিদি। দুর্দান্ত এক ফিফটি করে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি।
৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস ও ২০ রানে ১ উইকেট-অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হয়েছিলেন আফ্রিদি।
৩। অস্ট্রেলিয়া: ১৪৭ / ৬ (২০) ; ইংল্যান্ড: ১৪৮ /৩ (১৭) ; ফলাফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: ব্রিজটাউন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ১৬ মে,২০১০ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: ক্রেগ কিসওয়েটার (৪৯ বলে ৬৩ রান)
ক্রিকেটের জনক হয়েও শিরোপা যেন ইংল্যান্ডের কাছে ছিল 'সোনার হরিণ'। বারবার ফাইনালে গিয়ে ইংল্যান্ডের শিরোপা না ছোঁয়ার আক্ষেপ যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সেই অধরা শিরোপার আক্ষেপ ইংলিশরা ঘোচায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে।
ব্রিজটাউনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক পল কলিংউড। ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা রীতিমতো সংগ্রাম করতে থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান। ফিফটি করেছিলেন ডেভিড হাসি (৫৪ বলে ৫৯ রান)।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কেভিন পিটারসেন-ক্রেগ কিসওয়েটার করেন ৬৮ বলে ১১১ রানের জুটি। যা মূলত ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। ১৮ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ইংলিশরা। ৪৯ বলে ৬৩ রান করে ফাইনাল সেরা হয়েছেন কিসওয়েটার।
৪। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৭ / ৬ (২০) ; শ্রীলঙ্কা: ১০১ / ১০ (১৮.৪) ; ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৬ রানে জয়ী। ভেন্যু: কলম্বো, শ্রীলঙ্কা; ৭ অক্টোবর, ২০১২ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: মারলন স্যামুয়েলস (৫৬ বলে ৭৮ রান ও ৪-০-১৫-১)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথম ফাইনাল খেলে শ্রীলঙ্কা। বারবার ফাইনালে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া শ্রীলঙ্কার কাছে সুযোগ ছিল সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর। কিন্তু কলম্বোর প্রেমাদাসায় স্বাগতিকদের দুঃস্বপ্নের রাত উপহার দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কলম্বোয় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে উইন্ডিজরা করে ১৩৭ রান। দুর্দান্ত এক ফিফটি করেছিলেন মারলন স্যামুয়েলস (৫৬ বলে ৭৮ রান)।
শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে শ্রীলঙ্কা বেশ দারুণ এগোচ্ছিল। একটা পর্যায়ে লঙ্কানদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৮ রান। তবে এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লঙ্কানদের ইনিংস। ৫৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ৩৬ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি শিরোপা ঘরে তোলে উইন্ডিজরা।
৫৬ বলে ৭৮ রান এবং ১৫ রানে ১ উইকেটের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস।
৫। ভারত: ১৩০ / ৪ (২০) ; শ্রীলঙ্কা: ১৩৪ /৪ (১৭.৫) ; ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: মিরপুর, বাংলাদেশ; ৬ এপ্রিল, ২০১৪ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: কুমার সাঙ্গাকারা (৩৫ বলে ৫২* রান)
শ্রীলঙ্কা ফাইনালে যাবে কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হবে না-এমনটা যেন ধ্রুব সত্য হয়ে গিয়েছিল। ২০০৭,২০০৯, ২০১১ ও ২০১২-চারটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার গল্পটা যেন কাছে গিয়ে ফিরে আসার গল্প। তবে 'একবার না পারিলে দেখ শতবার'- উক্তিটির স্বার্থকতা অবশেষে প্রমাণ করেছে লঙ্কানরা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতকে হারিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপা জেতে লঙ্কানরা।
মিরপুরে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। লঙ্কান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ভারত করে ৪ উইকেটে ১৩০ রান। ৫৮ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি।
১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭৮ রানেই ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের মনে যেন আগের টুর্নামেন্টগুলোর জুজু ভর করছিল। তবে শিরোপা জিততে যেন কুমার সাঙ্গাকারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে থিসারা পেরেরার সঙ্গে ৩২ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন এই ব্যাটার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছক্কা মেরে লঙ্কানদের আনন্দে ভাসান পেরেরা। ৩৫ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন সাঙ্গাকারা।
৬। ইংল্যান্ড: ১৫৫ /৯ (২০) ; ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬১ / ৬ (১৯.৪) ; ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: কলকাতা, ভারত; ১০ নভেম্বর, ২০২২ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: মারলন স্যামুয়েলস (৬৬ বলে ৮৫ রান)
আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ইংল্যান্ডের জুজু, তা প্রমাণ হলো আবারও। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে শেষ হাসি হাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে প্রথম দল হিসেবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা ঘরে তোলে উইন্ডিজরা।
ইডেনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করে ইংল্যান্ড। ফাইনালে ৩৬ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রুট।
১৫৬ এর লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রানেই হারায় ৩ উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ম্যাচে ফেরে উইন্ডিজ। ৬৯ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন মারলন স্যামুয়েলস-ডোয়াইন ব্রাভো। আর সব নাটক যেন জমেছিল শেষ ওভারের জন্যই। শেষ ওভারে উইন্ডিজদের দরকার ছিল ১৯ রান। কার্লোস ব্রাথওয়েটের বিপক্ষে বোলিংয়ে আসেন বেন স্টোকস। প্রথম ৪ বলে ৪ ছক্কায় উইন্ডিজদের দ্বিতীয় শিরোপা এনে দেন ব্রাথওয়েট। জয়ের নায়ক ব্রাথওয়েট হলেও ৬৬ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ফাইনাল সেরা হয়েছিলেন স্যামুয়েলস।
৭। নিউজিল্যান্ড: ১৭২ /৪ (২০) ; অস্ট্রেলিয়া: ১৭৩ /২ (১৮.৫) ; ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী। ভেন্যু: দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত; ১৪ নভেম্বর, ২০২১ ম্যান অব দ্যা ফাইনাল: মিচেল মার্শ (৫০ বলে ৭৭ *)
ওয়ানডেতে পাঁচবার শিরোপা জিতলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো শিরোপা ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। অবশেষে এই সংস্করণের শিরোপাও নিজেদের করে নেয় দলটি। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়ানরা। তাতে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে আরও একটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে হোঁচট খেল কিউইরা।
দুবাইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। কেন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ফিফটিতে (৪৮ বলে ৮৫ রান) ২০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করে ৪ উইকেটে ১৭২ রান। ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন জশ হ্যাজলউড।
১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৫ রানেই ১ম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়ায় দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ৫৯ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শ। ওয়ার্নারকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন বোল্ট। আর তৃতীয় উইকেটে ৩৯ বলে ৬৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন মার্শ-গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। টিম সাউদিকে চার মেরে তুলির শেষ আঁচড় দেন ম্যাক্সওয়েল। ৫০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মার্শ।
পেশাদার কারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ফুটবল ম্যাচ খেলার রেকর্ড কার? এই প্রশ্নে এখন নাম নিতে হবে ব্রাজিলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ফ্যাবিওর। ৪৪ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৩৯১টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন। এই রেকর্ডে তিনি পেছনে ফেলেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলকিপার পিটার শিলটনকে।
১২ ঘণ্টা আগেএপ্রিলে এএইচএফ কাপে ছিলেন দলের অধিনায়ক। অথচ হকি এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি পুষ্কর খীসা মিমো। শুধু তা-ই নয়, বাদ পড়েছেন মঈনুল ইসলাম কৌশিক ও নাঈম উদ্দিন। মিমোর দাবি, সিনিয়রদের পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। দল নির্বাচনে হকি ফেডারেশনে গতকাল বাগ্বিতণ্ডাও হয়েছে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে।
১২ ঘণ্টা আগেদারুণ জয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক ভুটানকে আজ ৩-১ গোলে হারিয়েছে অর্পিতা বিশ্বাসের দল। বাংলাদেশের হয়ে জোড়া গোল করেন আলপি আক্তার।
১৪ ঘণ্টা আগেবিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেওয়া ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ উদ্যোগের প্রশংসায় করছেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এই উদ্যোগের ভালো দিকগুলো যত দিন না বাস্তবায়ন করা হবে, তত দিন কোনো ফল আসবে না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
১৪ ঘণ্টা আগে