রানা আব্বাস, সিলেট থেকে
অনুশীলন শেষে কাল টিম বাসে ওঠার আগে মুশফিকুর রহিম উইকেট একটু দেখে এলেন। সবুজাভ উইকেট দেখে ঢাকা থেকে উড়ে যাওয়া কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সঙ্গে হালকা রসিকতাও বুঝি করলেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার। দেশের ক্রিকেটের বিখ্যাত পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে শুধু মুশফিকই আছেন জাতীয় দলে। যদিও এরই মধ্যে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু টেস্ট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ যে টেস্ট খেলেছিল, ২০২০ সালে মিরপুরে সেই টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল। আরেকটি জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাটারের কাছে দুর্দান্ত কিছুর আশা করতেই পারে তাঁর দল। মুশফিক অনেক দিন হলো টেস্টে উইকেটকিপিং করেন না। এই টেস্টে তাহলে দলের কিপিং করবেন কে? দলে যে একাধিক কিপার-ব্যাটার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করে বললেন, ‘টস করার পরই জানতে পারবেন!’ সর্বশেষ টেস্টে যে লিটন দাস কিপিং করেছেন, তিনি দলে নেই। মাহিদুল অঙ্কন যদি একাদশে জায়গা না পান, সে ক্ষেত্রে জাকির আলী অনিককেই দাঁড়াতে হবে উইকেটের পেছনে।
উইকেটকিপিংয়ের চেয়ে যে বিষয়ে বেশি উত্তর দিতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তকে, সেটি হলো ঘরের মাঠে গত বছর টেস্টে বিবর্ণ পারফরম্যান্স। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে তিনটি ম্যাচ জিতেছে, প্রতিটিই দেশের বাইরে। পাকিস্তানকে পাকিস্তানেই ধবলধোলাই করে এসেছিল বাংলাদেশ। অথচ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার কাছে তারাই নাস্তানাবুদ। গত বছরের ব্যর্থতা ঝেড়ে এ বছর দেশের মাঠে ধারাবাহিক ভালো খেলার দারুণ সুযোগ শান্তদের। নিজেদের মাঠে যে চারটি টেস্ট খেলবে, এর দুটি জিম্বাবুয়ে আর দুটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গত বছরের ‘০-৪’ স্কোরলাইনকে এবার ‘৪-০’ করে ফেলতে শান্তও আশাবাদী, ‘প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড না জিম্বাবুয়ে, তা না ভেবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য আছে ঘরের মাঠে ভালো ফল করার। এই বছর যে পাঁচ-ছয়টা টেস্ট আছে, প্রতিটিতে ভালো ফল আনা সম্ভব।’
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই কিনা বাংলাদেশ এবার একটু ভিন্ন পথে হাঁটছে। ঘূর্ণি উইকেটের ফাঁদ নয়, বরং পেস-সহায়ক উইকেটে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে তারা। সেটি হলে সিলেট টেস্ট রূপ নিতে পারে ‘ব্যাটল অব পেসে’। সিরিজের আগমুহূর্তে দলের পেস আক্রমণের নেতা তাসকিন আহমেদকে হারালেও হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তানজিম সাকিবকে নিয়ে গড়া পেসত্রয়ী জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ জানানোর যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। রানার গতিকে যদিও বড় হুমকি মনে করছে না জিম্বাবুয়ে; বরং তারা ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচিকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ নিয়ে শান্তদের কঠিন পরীক্ষা নিতে চায়। তাহলে তো রানা-মুজারাবানির গতির রোমাঞ্চ দেখার আশা করাই যায়!
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকেও পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তাইজুল ইসলাম আর মেহেদী হাসান মিরাজের মতো অভিজ্ঞরা ভালোই জানেন, ঘরের মাঠে স্পিন ভেলকিতে কীভাবে নাচাতে হয় প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের।
তবে এই বাস্তবতা সবারই জানা, এখন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াই আগের মতো ঠিক জমে না! সিরিজের ‘প্রোডাক্ট’ বিক্রি করতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বিসিবির। এই দলটার বিপক্ষে দারুণ কিছু করলে খুব বেশি কৃতিত্ব নেই শান্তদের। তবে হারলে তীব্র সমালোচনা হবে নিশ্চিত। সিলেটেই ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের যন্ত্রণা কি ভুলে গেছেন মুশফিকেরা? তবু পরিসংখ্যান-রেকর্ড এক পাশে রেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ‘গরিবের অ্যাশেজ’ দেখার আশায়, তখন চোখ রাঙাচ্ছে বেরসিক আবহাওয়া। সপ্তাহজুড়েই যে সিলেটে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
অনুশীলন শেষে কাল টিম বাসে ওঠার আগে মুশফিকুর রহিম উইকেট একটু দেখে এলেন। সবুজাভ উইকেট দেখে ঢাকা থেকে উড়ে যাওয়া কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সঙ্গে হালকা রসিকতাও বুঝি করলেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার। দেশের ক্রিকেটের বিখ্যাত পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে শুধু মুশফিকই আছেন জাতীয় দলে। যদিও এরই মধ্যে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন শুধু টেস্ট।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ যে টেস্ট খেলেছিল, ২০২০ সালে মিরপুরে সেই টেস্টে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ছিল। আরেকটি জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলের সবচেয়ে সিনিয়র ব্যাটারের কাছে দুর্দান্ত কিছুর আশা করতেই পারে তাঁর দল। মুশফিক অনেক দিন হলো টেস্টে উইকেটকিপিং করেন না। এই টেস্টে তাহলে দলের কিপিং করবেন কে? দলে যে একাধিক কিপার-ব্যাটার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রসিকতা করে বললেন, ‘টস করার পরই জানতে পারবেন!’ সর্বশেষ টেস্টে যে লিটন দাস কিপিং করেছেন, তিনি দলে নেই। মাহিদুল অঙ্কন যদি একাদশে জায়গা না পান, সে ক্ষেত্রে জাকির আলী অনিককেই দাঁড়াতে হবে উইকেটের পেছনে।
উইকেটকিপিংয়ের চেয়ে যে বিষয়ে বেশি উত্তর দিতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তকে, সেটি হলো ঘরের মাঠে গত বছর টেস্টে বিবর্ণ পারফরম্যান্স। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যে তিনটি ম্যাচ জিতেছে, প্রতিটিই দেশের বাইরে। পাকিস্তানকে পাকিস্তানেই ধবলধোলাই করে এসেছিল বাংলাদেশ। অথচ ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার কাছে তারাই নাস্তানাবুদ। গত বছরের ব্যর্থতা ঝেড়ে এ বছর দেশের মাঠে ধারাবাহিক ভালো খেলার দারুণ সুযোগ শান্তদের। নিজেদের মাঠে যে চারটি টেস্ট খেলবে, এর দুটি জিম্বাবুয়ে আর দুটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গত বছরের ‘০-৪’ স্কোরলাইনকে এবার ‘৪-০’ করে ফেলতে শান্তও আশাবাদী, ‘প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড না জিম্বাবুয়ে, তা না ভেবে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য আছে ঘরের মাঠে ভালো ফল করার। এই বছর যে পাঁচ-ছয়টা টেস্ট আছে, প্রতিটিতে ভালো ফল আনা সম্ভব।’
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই কিনা বাংলাদেশ এবার একটু ভিন্ন পথে হাঁটছে। ঘূর্ণি উইকেটের ফাঁদ নয়, বরং পেস-সহায়ক উইকেটে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে তারা। সেটি হলে সিলেট টেস্ট রূপ নিতে পারে ‘ব্যাটল অব পেসে’। সিরিজের আগমুহূর্তে দলের পেস আক্রমণের নেতা তাসকিন আহমেদকে হারালেও হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তানজিম সাকিবকে নিয়ে গড়া পেসত্রয়ী জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ জানানোর যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। রানার গতিকে যদিও বড় হুমকি মনে করছে না জিম্বাবুয়ে; বরং তারা ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচিকে নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ নিয়ে শান্তদের কঠিন পরীক্ষা নিতে চায়। তাহলে তো রানা-মুজারাবানির গতির রোমাঞ্চ দেখার আশা করাই যায়!
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকেও পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই। তাইজুল ইসলাম আর মেহেদী হাসান মিরাজের মতো অভিজ্ঞরা ভালোই জানেন, ঘরের মাঠে স্পিন ভেলকিতে কীভাবে নাচাতে হয় প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের।
তবে এই বাস্তবতা সবারই জানা, এখন বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের লড়াই আগের মতো ঠিক জমে না! সিরিজের ‘প্রোডাক্ট’ বিক্রি করতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বিসিবির। এই দলটার বিপক্ষে দারুণ কিছু করলে খুব বেশি কৃতিত্ব নেই শান্তদের। তবে হারলে তীব্র সমালোচনা হবে নিশ্চিত। সিলেটেই ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের কাছে হারের যন্ত্রণা কি ভুলে গেছেন মুশফিকেরা? তবু পরিসংখ্যান-রেকর্ড এক পাশে রেখে ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ‘গরিবের অ্যাশেজ’ দেখার আশায়, তখন চোখ রাঙাচ্ছে বেরসিক আবহাওয়া। সপ্তাহজুড়েই যে সিলেটে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ১২৫ রানের বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের লিড কত হলে যথেষ্ট ছিল? দুই টেস্টে পারফরম্যান্স বিবেচনায় ৩০০-৩৫০ তাড়া করে আবার নিউজিল্যান্ডকে লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়া—নিশ্চয় সহজ হতো না জিম্বাবুয়ের জন্য। কিন্তু হাতে সময় থাকায় কিউই ব্যাটাররা রীতিমতো ছেলেখেলা শুরু করেছেন স্বাগতিক বোলারদের নিয়ে!
১ ঘণ্টা আগেফুটবলের দেশ ক্রোয়েশিয়া। ইউরোপের এই দেশ খেলে ক্রিকেটও। দেশটির টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক জ্যাক ভুকুসিচ তো একটা বিশ্ব রেকর্ডই গড়ে ফেললেন!
২ ঘণ্টা আগেগ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাবে নিয়মরক্ষার ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আজিজুল হাকিম তামিমের দল। ফাইনালের আগে স্বাগতিকদের গুঁড়িয়ে দিয়ে দারুণ প্রস্তুতিও সেরে নিল তারা। রাউন্ড রবিন পদ্ধতির...
২ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ২০২৫-২৬ অ্যাশেজে ইংল্যান্ডকে ধবলধোলাই হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তাঁর মতে, সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৫-০ ব্যবধানে জয় পাবে।
৩ ঘণ্টা আগে