Ajker Patrika

আমিরাতের কাছে ‘লজ্জাজনক’ সিরিজ হার নিয়ে বেশি ভাবছেন না লিটন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১২: ০৫
আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পরও খুব একটা বিব্রত নন লিটন দাস। ছবি: ক্রিকইনফো
আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পরও খুব একটা বিব্রত নন লিটন দাস। ছবি: ক্রিকইনফো

আরব আমিরাতের কাছে সিরিজটা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেই গেল। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হারল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। তবু ‘লজ্জাজনক’ এই সিরিজ হার নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে গত রাতে শারজায় মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আরব আমিরাত। যে দল ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতে, তাদের কাছে ১৬৩ রান কী এমন লক্ষ্য। ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটা গত রাতে নিজেদের করে নিল আমিরাত। ইতিহাস গড়া আমিরাতকে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন লিটন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই এটা আশানুরূপ হলো না যেহেতু আপনি সব সময় সিরিজ জয়ের চিন্তা নিয়ে আসেন। তবু এটা জীবনের একটা অংশ। যখন আপনি ক্রিকেট খেলবেন, তখন প্রতিপক্ষ ভালো খেলবে। তাদের কৃতিত্ব দিতে হবে।’

শারজায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন আরব আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। আমিরাতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চোখে সর্ষেফুল দেখা বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ১০.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৭১ রান। এমন অবস্থা থেকে লিটনদের স্কোর ১০০ পেরোয় কিনা, সেটা নিয়েই ছিল সন্দেহ। লিটন দুই অঙ্ক পেরোলেও (১৪) পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়ের মতো ব্যাটাররা মেরেছেন ডাক। শেষ পর্যন্ত লেজের দিকের দুই ব্যাটার হাসান মাহমুদ (১৬ বলে ২৬*) ও শরীফুল ইসলামের (৭ বলে ১৬*) ক্যামিও ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান। ব্যাটিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে লিটন বলেন, ‘আমরা ব্যাটিংয়ে আজ দুইটা জায়গায় ভুল করেছি। এমন উইকেট ও কন্ডিশনে যেমন ব্যাটিং চাচ্ছিলাম, তেমন আশানুরূপ হয়নি বলে আমার মনে হচ্ছে।’

আমিরাতের কাছে লজ্জাজনক সিরিজ হারের পরও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন লিটন। যেখানে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করেছেন ইমন। তানজিদ হাসান তামিম প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে (৫৯ ও ৪০ রান) দারুণ ব্যাটিং করেছেন। আর গত রাতে জাকের একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ৪১ রান করেছেন বলে বাংলাদেশের স্কোরটা মোটামুটি মানানসই পর্যায়ে গেছে। লিটন বলেন, ‘ইতিবাচক দিক হলো, পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। দুই ম্যাচে হৃদয় ও জাকের ভালো ব্যাটিং করেছে। আর মিডলে দুই জন ভালো বোলিং করেছে।’

আমিরাত পর্ব শেষে বাংলাদেশের পরের গন্তব্য এখন পাকিস্তান। ২৮ মে, ৩০ মে ও ১ জুন বাংলাদেশ-পাকিস্তান খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। সবগুলো ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত