আইসিসি বলছে, চোখ রাখুন তাসকিনের দিকেও

প্রথমবারের মতো ‘হাইব্রিড মডেলের’ এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে আজ। উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট রাঙাবেন এমন ৬ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে আইসিসি। 

সেই তালিকায় বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মূলত প্রতিটি দল থেকে একজন করে ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছে আইসিসি। বাকি পাঁচ দেশের ক্রিকেটাররা হচ্ছেন—বাবর আজম, জাসপ্রীত বুমরাহ, গুলশান ঝা, রশিদ খান ও মাহেশ তিকশানা। তালিকায় একমাত্র ব্যাটার হিসেবে শুধু পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবরই আছেন। 

চলুন দেখে নিই আইসিসির চোখে ৬ তারকাকে—

বাবর আজম (পাকিস্তান) 
বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে তিন সংস্করণেই সেরা ব্যাটার বাবর আজম। ওয়ানডে সংস্করণে তো আইসিসির শীর্ষ ব্যাটারও তো। দলের ভারের সঙ্গে রান করার দায়িত্বও এই সংস্করণে ১৮ সেঞ্চুরির মালিকের উপর থাকবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই ইনিংসেও দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি। ৫৩ ও ৬০ রান করেছেন। ঘরের মাঠে টুর্নামেন্ট হওয়ায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করারও সুযোগ পাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী ব্যাটার। অবশ্য বেশির ভাগ ম্যাচই শ্রীলঙ্কায় হবে। তাসকিন আহমেদ (বাংলাদেশ) 
কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের পেস বোলিংয়ের নেতা তাসকিন আহমেদ। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টেও তাঁর কাঁধেই দায়িত্ব থাকবে বোলিংয়ে বাংলাদেশকে পথ দেখানোর। সাম্প্রতিক সময়ে দলের হয়ে বেশ ছন্দেও আছেন ২৮ বছর বয়সী পেসার। প্রথমবার বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে গিয়ে জিম আফ্রো টি–টেনেও দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। বুলাওয়ে ব্রেভসের হয়ে ৭ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার। 

জাসপ্রীত বুমরা (ভারত) 
চোটের কারণেই সর্বশেষ এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি জাসপ্রীত বুমরা। পরে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপও মিস করেছিলেন তিনি। চোট কাটিয়ে দীর্ঘ দিন দলে ফিরে নিশ্চয়ই সুদে আসলে বুঝে নিতে চাইবেন ভারতীয় পেসার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে ৪ উইকেট নিয়ে ফেরারটাও দুর্দান্ত হয়েছে তাঁর। এবার এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রত্যাবর্তনটা রাঙানোর সুযোগ থাকছে ২৯ বছর বয়সী পেসারের। 

রশিদ খান (আফগানিস্তান) 
রশিদ খানের মুখোমুখি হয়েছেন আর তাঁর স্পিন বোলিংয়ের মায়ায় বোকা হননি খুব কম ব্যাটারই আছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ধোঁকা দিচ্ছেন তিনি। শুধু জাতীয় দলের হয়ে নন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও ধারাবাহিক ছন্দে আছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার। এশিয়া কাপেও ২৪ বছর বয়সী লেগ স্পিনারকে কেন্দ্র করেই দল সাজাচ্ছে আফগানরা। বোলিংয়ের সঙ্গে শেষ দিকে ঝোড়ো ব্যাটিংও করতে পারেন তিনি

মহেশ তিকশানা (শ্রীলঙ্কা) 
ঊরুর চোটে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এশিয়া কাপ শেষ হওয়ায় স্পিন বোলিংয়ের নেতৃত্ব থাকবে মহেশ তিকশানার কাঁধে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শিরোপা ধরে রাখতে হলে অফ স্পিনারকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। শ্রীলঙ্কা হাইব্রিড মডেলের সহ–আয়োজক হওয়ায় ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়া সুযোগও থাকছে তাঁর সামনে। সেরা ছন্দেও আছেন তিনি। লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে ৭ উইকেট পেলেও দলকে বিশ্বকাপে উঠানোর পথে আইসিসির বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ২১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলার ছিলেন ২৩ বছর বয়সী স্পিনার। 

গুলশান ঝা (নেপাল) 
প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে নেপাল। হিমালয়ের দেশটির মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বে সুযোগ পাওয়ার পেছনে সন্দ্বীপ লামিচানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে অবদান রেখেছেন বোলিং অলরাউন্ডার গুলশান ঝা। ১৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। ডান হাতে বোলিং করা এই উদীয়মান তারকা শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলতে পারেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ডের কাছে ২ উইকেটে হারলেও অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংসটিই তার প্রমাণ।