রানা আব্বাস, দুবাই থেকে
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের (মঙ্গলবার) আগে তিন দিনের একটা বিরতি পাওয়া গেছে। টানা হারে ক্লান্ত বাংলাদেশ দল বিরতির দুই দিনই থাকছে বিশ্রামে। এ সময়ে তারা একটু ফিরে দেখতে চাইছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের চাওয়া-পাওয়ায় এতটা পার্থক্য হলো কীভাবে?
গতকাল দুপুরে দুবাইয়ের দেইরা এলাকায় এক রেস্তোরাঁয় দেখা হলো তিন বাংলাদেশি দর্শকের সঙ্গে। আলমগীর, সাজু ও মিঠু ঢাকা থেকে আরব আমিরাতে এসেছেন বাংলাদেশের খেলা দেখতে। দলের পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই যারপরনাই হতাশ। শারজায় শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিততে বাংলাদেশের হেরে যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারছেন না। এই ব্যর্থতায় তাঁদের কেউ কাঠগড়ায় তুলছেন মুশফিকুর রহিমকে, যিনি পরশু উইন্ডিজের বিপক্ষে স্কুপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। কারও চোখে হারের পেছনে ডেথ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যয়বহুল বোলিং দায়ী। কেউ আবার শেষ দিকে দলের ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতিকে বড় করে দেখছেন। দলের বাজে ফিল্ডিংও সামনে আসছে।
দর্শক-সমর্থক কেন, হতাশায় ডুবে আছে আসলে পুরো বাংলাদেশই। দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন গতকাল বলছিলেন, ‘আসলে আমরা সবাই হতাশ। বিশেষ করে গতকাল (পরশু) হেরে সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। (সুপার টুয়েলভে) তিন ম্যাচের দুটিতে আমাদের জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সর্বশেষ ম্যাচের হারটা হৃদয় ভেঙে যাওয়ার মতো ছিল। জিততে পারলে মানসিকভাবে অনেক চাঙা হতাম আমরা। সেটি হয়তো পরের দুটি ম্যাচেও কাজে লাগত।’
যে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে এত কথা হয়েছে, টানা তিন হারে সেটি অনেকটাই ধূসর হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য, টুর্নামেন্টটা ভালোভাবে শেষ করে। আর সেটি করতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ কিছু করতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে। সুমন গতকাল বলছিলেন, ‘এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। বিশ্বকাপের সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ দুটো আমরা যেন ভালোভাবে শেষ করতে পারি। সেমিফাইনালের সুযোগ হয়তো নেই। যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, দলের জন্য অনেক ভালো হবে। বিশ্বকাপে যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম, সেটা পূরণ হয়নি। সামনে কিন্তু অনেক খেলা আছে। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কীভাবে ভালো করা যায় আমরা সে চেষ্টা করব।’
কেন আশা পূরণ হয়নি, সেটির কারণও খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। সাদা বলের ক্রিকেটে ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ভালো করলেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে কেন সেটি হচ্ছে না—কারণ খুঁজতে গিয়ে সুমন সামনে আনলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটকে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলছেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং উইকেট তৈরি করতে হবে। আমরা যখন বিপিএল বা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলি, বেশির ভাগ ম্যাচ একই উইকেটে খেলা হওয়ায় অনেক সময় ভালো পিচ পাই না। যে কারণে আমাদের পাওয়ার হিটার তৈরি হচ্ছে না। এই ফরম্যাটে যদি ভালো করতে হয়, যদি পাওয়ার হিটার পেতে হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট ভালো হতে হবে। যেখানে ধারাবাহিক ১৮০–২০০ রানের স্কোর হবে। এই ঘাটতি থেকে গেলে পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো কঠিন হয়ে যায়।’
টানা হারের সঙ্গে বাংলাদেশের দুঃসংবাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে অনিশ্চয়তা আছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে ৪৮ ঘণ্টার বিশ্রামের পর আজ দেখা হবে তিনি ম্যাচটা খেলতে পারবেন কিনা। বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান চোটে পড়ে খেলতে পারেননি উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি। তিন দিনের বিশ্রাম শেষে আগামীকাল বোঝা যাবে তাঁর অবস্থা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের (মঙ্গলবার) আগে তিন দিনের একটা বিরতি পাওয়া গেছে। টানা হারে ক্লান্ত বাংলাদেশ দল বিরতির দুই দিনই থাকছে বিশ্রামে। এ সময়ে তারা একটু ফিরে দেখতে চাইছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের চাওয়া-পাওয়ায় এতটা পার্থক্য হলো কীভাবে?
গতকাল দুপুরে দুবাইয়ের দেইরা এলাকায় এক রেস্তোরাঁয় দেখা হলো তিন বাংলাদেশি দর্শকের সঙ্গে। আলমগীর, সাজু ও মিঠু ঢাকা থেকে আরব আমিরাতে এসেছেন বাংলাদেশের খেলা দেখতে। দলের পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই যারপরনাই হতাশ। শারজায় শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিততে বাংলাদেশের হেরে যাওয়াটা কিছুতেই মানতে পারছেন না। এই ব্যর্থতায় তাঁদের কেউ কাঠগড়ায় তুলছেন মুশফিকুর রহিমকে, যিনি পরশু উইন্ডিজের বিপক্ষে স্কুপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। কারও চোখে হারের পেছনে ডেথ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যয়বহুল বোলিং দায়ী। কেউ আবার শেষ দিকে দলের ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতিকে বড় করে দেখছেন। দলের বাজে ফিল্ডিংও সামনে আসছে।
দর্শক-সমর্থক কেন, হতাশায় ডুবে আছে আসলে পুরো বাংলাদেশই। দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন গতকাল বলছিলেন, ‘আসলে আমরা সবাই হতাশ। বিশেষ করে গতকাল (পরশু) হেরে সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। (সুপার টুয়েলভে) তিন ম্যাচের দুটিতে আমাদের জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সর্বশেষ ম্যাচের হারটা হৃদয় ভেঙে যাওয়ার মতো ছিল। জিততে পারলে মানসিকভাবে অনেক চাঙা হতাম আমরা। সেটি হয়তো পরের দুটি ম্যাচেও কাজে লাগত।’
যে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে এত কথা হয়েছে, টানা তিন হারে সেটি অনেকটাই ধূসর হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের একটাই লক্ষ্য, টুর্নামেন্টটা ভালোভাবে শেষ করে। আর সেটি করতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ কিছু করতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে। সুমন গতকাল বলছিলেন, ‘এখনো দুটি ম্যাচ বাকি আছে। বিশ্বকাপের সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ দুটো আমরা যেন ভালোভাবে শেষ করতে পারি। সেমিফাইনালের সুযোগ হয়তো নেই। যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, দলের জন্য অনেক ভালো হবে। বিশ্বকাপে যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলাম, সেটা পূরণ হয়নি। সামনে কিন্তু অনেক খেলা আছে। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কীভাবে ভালো করা যায় আমরা সে চেষ্টা করব।’
কেন আশা পূরণ হয়নি, সেটির কারণও খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। সাদা বলের ক্রিকেটে ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ভালো করলেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে কেন সেটি হচ্ছে না—কারণ খুঁজতে গিয়ে সুমন সামনে আনলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেটকে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলছেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ভালো ব্যাটিং উইকেট তৈরি করতে হবে। আমরা যখন বিপিএল বা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলি, বেশির ভাগ ম্যাচ একই উইকেটে খেলা হওয়ায় অনেক সময় ভালো পিচ পাই না। যে কারণে আমাদের পাওয়ার হিটার তৈরি হচ্ছে না। এই ফরম্যাটে যদি ভালো করতে হয়, যদি পাওয়ার হিটার পেতে হয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট ভালো হতে হবে। যেখানে ধারাবাহিক ১৮০–২০০ রানের স্কোর হবে। এই ঘাটতি থেকে গেলে পাওয়ার প্লে কাজে লাগানো কঠিন হয়ে যায়।’
টানা হারের সঙ্গে বাংলাদেশের দুঃসংবাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে অনিশ্চয়তা আছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়া বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে ৪৮ ঘণ্টার বিশ্রামের পর আজ দেখা হবে তিনি ম্যাচটা খেলতে পারবেন কিনা। বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান চোটে পড়ে খেলতে পারেননি উইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি। তিন দিনের বিশ্রাম শেষে আগামীকাল বোঝা যাবে তাঁর অবস্থা।
কয়েক মাস আগেও নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। এবার সেই শান্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেবল টেস্টে। কারণ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব কদিন আগেই উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের কাঁধে...
১০ মিনিট আগেআন্তর্জাতিক ও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নাসুম আহমেদ বেশ পরিচিত মুখই। বাংলাদেশের যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তাঁর নাম চলে আসে আপনাআপনি। সেই নাসুম এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে জায়গা পাননি। একই ঘরানার বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম সুযোগ পেয়েছেন এই সিরিজে।
২ ঘণ্টা আগেঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটার নিজেকে মেলে ধরতে পারেন না। নাঈম শেখ তাঁদেরই একজন। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হলেও ২০২৩ সালের পর বাংলাদেশের জার্সিতে আর তিনি খেলতে পারেননি। অবশেষে প্রায় ২ বছর পর ফিরলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
২ ঘণ্টা আগেহেডিংলিতে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে চলছে রানের বন্যা। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৪৭১ রানে খেলতে নেমে ইংল্যান্ড ৪৬৫ রানে অলআউট ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ রানের লিড নিয়ে খেলতে নামে ভারত।
৩ ঘণ্টা আগে