মেহেদী হাসান মিরাজ
ঢাকা: ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন দেশের হয়ে খেলব। সেই লক্ষ্যে বয়সভিত্তিক দলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে ভালো খেলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার পরই স্বপ্নটা আরও ডালপালা মেলে। ওই বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দলের দুটি সিরিজ ছিল। সেই দুটি সিরিজকেই পাখির চোখ করে রেখেছিলাম।
অনেকেই হয়তো চায় অভিষেকটা হোক তুলনামূলক ছোট দলের বিপক্ষে। যাতে ক্যারিয়ারের শুরুতেই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে না হয়। আমরা চাওয়াটা ছিল উল্টো। অনেক আগে থেকেই চিন্তা করতাম আর ভাবতাম–আমার অভিষেকটা যেন হয় বড় দলের বিপক্ষে। বড় দলের বিপক্ষে অভিষেকেই ভালো করতে পারলে নিজেকে ভালোভাবে চেনাতে পারব। আল্লাহর রহমতে আমার সেই আশাটা পূরণ হয়েছিল।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে আমার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ শুরু। ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পাইনি, আশায় ছিলাম টেস্টে হয়তো সুযোগ পাব। প্রথম টেস্টের আগে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয়। সেই প্রস্তুতি ম্যাচের একাদশে আমাকে না রাখায় একটু মন খারাপ হয়েছিল। আমার সেই মন খারাপ দ্রুতই মিলিয়ে যায় যখন দেখি ১৫ সদস্যের টেস্টের দলে আমার নামটা আছে। পরে তো টিম মিটিংয়ে আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় টেস্টে খেলছি।
টেস্ট অভিষেকের সেই মুহূর্তের কথা ভাবলে এখনো রোমাঞ্চিত হই। আমার কাছে তখন মনে হচ্ছিল, একটা ঘোরের মধ্যে আছি। স্বপ্নটা যখন পূরণ হচ্ছিল তখন স্নায়ুচাপের চেয়ে ভালো লাগাই বেশি কাজ করছিল। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ভাই–যাঁদের খেলা এত দিন টিভিতে দেখতাম, তাঁদের সঙ্গেই আমি খেলছি! আমি উইকেট পেলে তাঁরা আমার কাছে আসবেন, হাত মেলাবেন, অনুপ্রাণিত করবেন–ভাবতেই অন্য রকম রোমাঞ্চ কাজ করছিল।
আরেকটি বিষয়, টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে কেন আমাকে খেলানো হয়নি, সেটি আমি জানতে পারি অনেক দিন পরে। ওই সময়ের অধিনায়ক মুশফিক ভাই আমাকে তাঁদের সেই পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন এক আড্ডায়। আসলে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে বেন স্টোকসদের সামনে ‘খোলা বই’ করে দিতে চায়নি। প্রস্তুতি ম্যাচে আমাকে খেলানো হয়নি সে কারণেই। পরিকল্পনাটা সফলও হয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন ছিল। আমার জীবনের জন্য টার্নিং পয়েন্ট তো বটেই। বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে এবং এতে আমার অবদান ছিল–এটা মনে পড়লে এখনো মনের মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। এই ভালো লাগাটা থেকে যাবে সারা জীবন।
ঢাকা: ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন দেশের হয়ে খেলব। সেই লক্ষ্যে বয়সভিত্তিক দলের হয়ে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে ভালো খেলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার পরই স্বপ্নটা আরও ডালপালা মেলে। ওই বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দলের দুটি সিরিজ ছিল। সেই দুটি সিরিজকেই পাখির চোখ করে রেখেছিলাম।
অনেকেই হয়তো চায় অভিষেকটা হোক তুলনামূলক ছোট দলের বিপক্ষে। যাতে ক্যারিয়ারের শুরুতেই কঠিন পরীক্ষায় পড়তে না হয়। আমরা চাওয়াটা ছিল উল্টো। অনেক আগে থেকেই চিন্তা করতাম আর ভাবতাম–আমার অভিষেকটা যেন হয় বড় দলের বিপক্ষে। বড় দলের বিপক্ষে অভিষেকেই ভালো করতে পারলে নিজেকে ভালোভাবে চেনাতে পারব। আল্লাহর রহমতে আমার সেই আশাটা পূরণ হয়েছিল।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে আমার স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ শুরু। ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পাইনি, আশায় ছিলাম টেস্টে হয়তো সুযোগ পাব। প্রথম টেস্টের আগে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয়। সেই প্রস্তুতি ম্যাচের একাদশে আমাকে না রাখায় একটু মন খারাপ হয়েছিল। আমার সেই মন খারাপ দ্রুতই মিলিয়ে যায় যখন দেখি ১৫ সদস্যের টেস্টের দলে আমার নামটা আছে। পরে তো টিম মিটিংয়ে আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয় টেস্টে খেলছি।
টেস্ট অভিষেকের সেই মুহূর্তের কথা ভাবলে এখনো রোমাঞ্চিত হই। আমার কাছে তখন মনে হচ্ছিল, একটা ঘোরের মধ্যে আছি। স্বপ্নটা যখন পূরণ হচ্ছিল তখন স্নায়ুচাপের চেয়ে ভালো লাগাই বেশি কাজ করছিল। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ভাই–যাঁদের খেলা এত দিন টিভিতে দেখতাম, তাঁদের সঙ্গেই আমি খেলছি! আমি উইকেট পেলে তাঁরা আমার কাছে আসবেন, হাত মেলাবেন, অনুপ্রাণিত করবেন–ভাবতেই অন্য রকম রোমাঞ্চ কাজ করছিল।
আরেকটি বিষয়, টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে কেন আমাকে খেলানো হয়নি, সেটি আমি জানতে পারি অনেক দিন পরে। ওই সময়ের অধিনায়ক মুশফিক ভাই আমাকে তাঁদের সেই পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন এক আড্ডায়। আসলে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে বেন স্টোকসদের সামনে ‘খোলা বই’ করে দিতে চায়নি। প্রস্তুতি ম্যাচে আমাকে খেলানো হয়নি সে কারণেই। পরিকল্পনাটা সফলও হয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন ছিল। আমার জীবনের জন্য টার্নিং পয়েন্ট তো বটেই। বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে এবং এতে আমার অবদান ছিল–এটা মনে পড়লে এখনো মনের মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। এই ভালো লাগাটা থেকে যাবে সারা জীবন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) শেষ দিকে মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। আইপিএলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত মোস্তাফিজের পারিশ্রমিক চোখ কপালে তোলার মতো! বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৬ কোটি রুপিতে রুপি (প্রায় ৮ কোটি টাকা) মোস্তাফিজকে দলে নিয়েছে দিল্লি।
৩২ মিনিট আগেবাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের ওয়ানডে সিরিজে রোমাঞ্চ ছাড়া যেন চলছেই না। রাজশাহীতে পরশু প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত। ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেগত বছর নভেম্বরে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলামে দল পাননি মোস্তাফিজুর রহমান। নিলামে দল না পেলেও টুর্নামেন্টের মাঝপথে সুখবর পেলেন বাংলাদেশ দলের এ পেসার। এ বাঁহাতি পেসারকে আইপিএলের বাকি অংশের জন্য দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
২ ঘণ্টা আগেটেস্ট থেকে ভারতের দুই তারকা ক্রিকেটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি অবসর নিলেন এক সপ্তাহের মধ্যে। দুজনেই সামাজিক মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে। রোহিত-কোহলির অবসরের কথা বলতে গিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের নাম।
২ ঘণ্টা আগে