নেদারল্যান্ডস দল বাংলাদেশে আসছে আগামীকাল সকালে। সিলেটে ৩০ আগস্ট শুরু হচ্ছে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাংলাদেশের কাছে যে সিরিজ এশিয়া কাপের প্রস্তুতি, নেদারল্যান্ডসের কাছে সেটি প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার আরেকটি উপলক্ষ। ডাচদের প্রধান কোচ রায়ান কুক, যিনি ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ। আজকের পত্রিকাকে তিনি সবিস্তার জানালেন সিরিজ নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আবার আসছেন, সেটা আবার প্রতিপক্ষের প্রধান কোচ হয়ে। কেমন লাগছে?
রায়ান কুক: বাংলাদেশে আবার আসাটা দারুণ ব্যাপার। পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে ছিলাম। খেলোয়াড় ও স্টাফের অনেকের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক আছে। হ্যাঁ, এবার তো প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে যাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: নেদারল্যান্ডস এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসছে। সিরিজ নিয়ে কতটা আশাবাদী? ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতার সেই ম্যাচের মতো সিলেটেও ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্য নিশ্চয়ই?
কুক: আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি। আপনি জানেন, গত বিশ্বকাপে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের রসদ পেয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে এসে আমরা নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষা করতে চাই।
প্রশ্ন: ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই হারটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক বড় ক্ষত। ওই জয়টা সিলেটেও কি আপনাদের বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে?
কুক: হ্যাঁ, অবশ্যই। বলতে চাইছি, কলকাতায় ওই জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় জয়। আমরা সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়েছিলাম (ধর্মশালায়)। আমরা দুর্দান্ত ছন্দে এগোচ্ছি এবং আত্মবিশ্বাসী। এবার সিরিজ জিততে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হবে। যদিও ভিন্ন সংস্করণে খেলা। দুই দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করব ওই ম্যাচ থেকে নেওয়ার এবং এই সিরিজে কাজে লাগানোর।
প্রশ্ন: মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৩ ওয়ানডের বিপরীতে ডাচরা দুটিতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে আবার ৫ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে কি বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়ে ডাচরা?
কুক: আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২০২২ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। দুটি ম্যাচই কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আরেকটু ভালো খেলতে পারলে দুটি ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সেরা ১০ দলের একটি হওয়া। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, আমরা আরও দুটি ম্যাচ জিততে পারব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ একটি দলকে কতটা বদলে দিতে পারে?
কুক: এখনকার সময়ে পাওয়ার হিটিং কোচ দলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। বড় স্কোর গড়তে, নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে অনেক দল এখন এভাবেই এগোচ্ছে। যখন বাংলাদেশে ছিলাম, তখন বিষয়টা আমরাও সামনে এনেছিলাম। এখন সব দলই এমন খেলোয়াড় দলে নিতে চায়, যে নিয়মিত বাউন্ডারি মারতে পারবে। এ কারণে হিটিং কোচ আনছে দলে। আমিও কৌতূহল নিয়ে দেখতে আগ্রহী যে এটা কতটা কাজে দেয়। হিটিং একটা ইউনিক স্কিল। খুব কঠিন কাজ। আমি নিশ্চিত, ভালো ফল পেতে তারা কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রশ্ন: সিলেটের নেদারল্যান্ডস সিরিজটা ট্রু উইকেটে হতে পারে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই কি তাহলে হতে যাচ্ছে?
কুক: সিলেটে খেলতে যাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ওখানে আমিও আগে কয়েকবার গিয়েছি। জানি, উইকেট খুব ভালো। যেটা বললেন, ট্রু উইকেটে হতে যাচ্ছে, আমরা উন্মুখ হয়ে আছি ভালো কিছু করতে। ব্যাটে-বলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে। বাংলাদেশ যেহেতু এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে, তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতি হবে, যেহেতু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আমাদের দল খুব একটা অভিজ্ঞ নয়, কিছু খেলোয়াড়ের জন্য অনেক শিক্ষণীয়ও হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। আপনার চোখে গত ৪ বছরে এই দলের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?
কুক: প্রতিটি দলই নিজেদের মূল্যায়ন করে এগোয়। কখনো দলের ফল খুব ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। বাংলাদেশ কতটা ভালো করছে নাকি করছে না, সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না। বাংলাদেশ দল একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই তাদের দলে ম্যাচ জেতানো কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা মুখিয়ে আছি তাদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলতে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে অনেক দিন ছিলেন। সবচেয়ে ভালো লাগার স্মৃতি কোনটি?
কুক: একাধিক স্মৃতি আছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়, (২০১৯) বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় খুব ভালো স্মৃতি। অসাধারণ খেলেছিল খেলোয়াড়েরা। দলে যখন যারাই ছিল, সবার মধ্যে দারুণ সম্পর্কের ফলে এই সাফল্য। আমি বাংলাদেশের সময়টা অনেক উপভোগ করেছি। দলের ফলও দারুণ ছিল। অনেকের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, যেটা আরও দৃঢ় হয়েছে গত দুই বছরে। এটা আমার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আবার আসছেন, সেটা আবার প্রতিপক্ষের প্রধান কোচ হয়ে। কেমন লাগছে?
রায়ান কুক: বাংলাদেশে আবার আসাটা দারুণ ব্যাপার। পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে ছিলাম। খেলোয়াড় ও স্টাফের অনেকের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক আছে। হ্যাঁ, এবার তো প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে যাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: নেদারল্যান্ডস এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসছে। সিরিজ নিয়ে কতটা আশাবাদী? ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতার সেই ম্যাচের মতো সিলেটেও ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্য নিশ্চয়ই?
কুক: আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি। আপনি জানেন, গত বিশ্বকাপে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের রসদ পেয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে এসে আমরা নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষা করতে চাই।
প্রশ্ন: ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই হারটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক বড় ক্ষত। ওই জয়টা সিলেটেও কি আপনাদের বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে?
কুক: হ্যাঁ, অবশ্যই। বলতে চাইছি, কলকাতায় ওই জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় জয়। আমরা সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়েছিলাম (ধর্মশালায়)। আমরা দুর্দান্ত ছন্দে এগোচ্ছি এবং আত্মবিশ্বাসী। এবার সিরিজ জিততে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হবে। যদিও ভিন্ন সংস্করণে খেলা। দুই দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করব ওই ম্যাচ থেকে নেওয়ার এবং এই সিরিজে কাজে লাগানোর।
প্রশ্ন: মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৩ ওয়ানডের বিপরীতে ডাচরা দুটিতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে আবার ৫ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে কি বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়ে ডাচরা?
কুক: আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২০২২ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। দুটি ম্যাচই কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আরেকটু ভালো খেলতে পারলে দুটি ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সেরা ১০ দলের একটি হওয়া। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, আমরা আরও দুটি ম্যাচ জিততে পারব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ একটি দলকে কতটা বদলে দিতে পারে?
কুক: এখনকার সময়ে পাওয়ার হিটিং কোচ দলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। বড় স্কোর গড়তে, নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে অনেক দল এখন এভাবেই এগোচ্ছে। যখন বাংলাদেশে ছিলাম, তখন বিষয়টা আমরাও সামনে এনেছিলাম। এখন সব দলই এমন খেলোয়াড় দলে নিতে চায়, যে নিয়মিত বাউন্ডারি মারতে পারবে। এ কারণে হিটিং কোচ আনছে দলে। আমিও কৌতূহল নিয়ে দেখতে আগ্রহী যে এটা কতটা কাজে দেয়। হিটিং একটা ইউনিক স্কিল। খুব কঠিন কাজ। আমি নিশ্চিত, ভালো ফল পেতে তারা কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রশ্ন: সিলেটের নেদারল্যান্ডস সিরিজটা ট্রু উইকেটে হতে পারে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই কি তাহলে হতে যাচ্ছে?
কুক: সিলেটে খেলতে যাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ওখানে আমিও আগে কয়েকবার গিয়েছি। জানি, উইকেট খুব ভালো। যেটা বললেন, ট্রু উইকেটে হতে যাচ্ছে, আমরা উন্মুখ হয়ে আছি ভালো কিছু করতে। ব্যাটে-বলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে। বাংলাদেশ যেহেতু এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে, তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতি হবে, যেহেতু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আমাদের দল খুব একটা অভিজ্ঞ নয়, কিছু খেলোয়াড়ের জন্য অনেক শিক্ষণীয়ও হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। আপনার চোখে গত ৪ বছরে এই দলের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?
কুক: প্রতিটি দলই নিজেদের মূল্যায়ন করে এগোয়। কখনো দলের ফল খুব ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। বাংলাদেশ কতটা ভালো করছে নাকি করছে না, সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না। বাংলাদেশ দল একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই তাদের দলে ম্যাচ জেতানো কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা মুখিয়ে আছি তাদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলতে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে অনেক দিন ছিলেন। সবচেয়ে ভালো লাগার স্মৃতি কোনটি?
কুক: একাধিক স্মৃতি আছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়, (২০১৯) বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় খুব ভালো স্মৃতি। অসাধারণ খেলেছিল খেলোয়াড়েরা। দলে যখন যারাই ছিল, সবার মধ্যে দারুণ সম্পর্কের ফলে এই সাফল্য। আমি বাংলাদেশের সময়টা অনেক উপভোগ করেছি। দলের ফলও দারুণ ছিল। অনেকের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, যেটা আরও দৃঢ় হয়েছে গত দুই বছরে। এটা আমার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
নেদারল্যান্ডস দল বাংলাদেশে আসছে আগামীকাল সকালে। সিলেটে ৩০ আগস্ট শুরু হচ্ছে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাংলাদেশের কাছে যে সিরিজ এশিয়া কাপের প্রস্তুতি, নেদারল্যান্ডসের কাছে সেটি প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার আরেকটি উপলক্ষ। ডাচদের প্রধান কোচ রায়ান কুক, যিনি ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ। আজকের পত্রিকাকে তিনি সবিস্তার জানালেন সিরিজ নিয়ে নিজেদের ভাবনার কথা। হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আবার আসছেন, সেটা আবার প্রতিপক্ষের প্রধান কোচ হয়ে। কেমন লাগছে?
রায়ান কুক: বাংলাদেশে আবার আসাটা দারুণ ব্যাপার। পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে ছিলাম। খেলোয়াড় ও স্টাফের অনেকের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক আছে। হ্যাঁ, এবার তো প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে যাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: নেদারল্যান্ডস এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসছে। সিরিজ নিয়ে কতটা আশাবাদী? ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতার সেই ম্যাচের মতো সিলেটেও ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্য নিশ্চয়ই?
কুক: আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি। আপনি জানেন, গত বিশ্বকাপে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের রসদ পেয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে এসে আমরা নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষা করতে চাই।
প্রশ্ন: ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই হারটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক বড় ক্ষত। ওই জয়টা সিলেটেও কি আপনাদের বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে?
কুক: হ্যাঁ, অবশ্যই। বলতে চাইছি, কলকাতায় ওই জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় জয়। আমরা সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়েছিলাম (ধর্মশালায়)। আমরা দুর্দান্ত ছন্দে এগোচ্ছি এবং আত্মবিশ্বাসী। এবার সিরিজ জিততে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হবে। যদিও ভিন্ন সংস্করণে খেলা। দুই দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করব ওই ম্যাচ থেকে নেওয়ার এবং এই সিরিজে কাজে লাগানোর।
প্রশ্ন: মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৩ ওয়ানডের বিপরীতে ডাচরা দুটিতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে আবার ৫ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে কি বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়ে ডাচরা?
কুক: আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২০২২ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। দুটি ম্যাচই কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আরেকটু ভালো খেলতে পারলে দুটি ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সেরা ১০ দলের একটি হওয়া। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, আমরা আরও দুটি ম্যাচ জিততে পারব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ একটি দলকে কতটা বদলে দিতে পারে?
কুক: এখনকার সময়ে পাওয়ার হিটিং কোচ দলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। বড় স্কোর গড়তে, নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে অনেক দল এখন এভাবেই এগোচ্ছে। যখন বাংলাদেশে ছিলাম, তখন বিষয়টা আমরাও সামনে এনেছিলাম। এখন সব দলই এমন খেলোয়াড় দলে নিতে চায়, যে নিয়মিত বাউন্ডারি মারতে পারবে। এ কারণে হিটিং কোচ আনছে দলে। আমিও কৌতূহল নিয়ে দেখতে আগ্রহী যে এটা কতটা কাজে দেয়। হিটিং একটা ইউনিক স্কিল। খুব কঠিন কাজ। আমি নিশ্চিত, ভালো ফল পেতে তারা কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রশ্ন: সিলেটের নেদারল্যান্ডস সিরিজটা ট্রু উইকেটে হতে পারে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই কি তাহলে হতে যাচ্ছে?
কুক: সিলেটে খেলতে যাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ওখানে আমিও আগে কয়েকবার গিয়েছি। জানি, উইকেট খুব ভালো। যেটা বললেন, ট্রু উইকেটে হতে যাচ্ছে, আমরা উন্মুখ হয়ে আছি ভালো কিছু করতে। ব্যাটে-বলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে। বাংলাদেশ যেহেতু এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে, তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতি হবে, যেহেতু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আমাদের দল খুব একটা অভিজ্ঞ নয়, কিছু খেলোয়াড়ের জন্য অনেক শিক্ষণীয়ও হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। আপনার চোখে গত ৪ বছরে এই দলের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?
কুক: প্রতিটি দলই নিজেদের মূল্যায়ন করে এগোয়। কখনো দলের ফল খুব ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। বাংলাদেশ কতটা ভালো করছে নাকি করছে না, সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না। বাংলাদেশ দল একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই তাদের দলে ম্যাচ জেতানো কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা মুখিয়ে আছি তাদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলতে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে অনেক দিন ছিলেন। সবচেয়ে ভালো লাগার স্মৃতি কোনটি?
কুক: একাধিক স্মৃতি আছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়, (২০১৯) বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় খুব ভালো স্মৃতি। অসাধারণ খেলেছিল খেলোয়াড়েরা। দলে যখন যারাই ছিল, সবার মধ্যে দারুণ সম্পর্কের ফলে এই সাফল্য। আমি বাংলাদেশের সময়টা অনেক উপভোগ করেছি। দলের ফলও দারুণ ছিল। অনেকের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, যেটা আরও দৃঢ় হয়েছে গত দুই বছরে। এটা আমার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আবার আসছেন, সেটা আবার প্রতিপক্ষের প্রধান কোচ হয়ে। কেমন লাগছে?
রায়ান কুক: বাংলাদেশে আবার আসাটা দারুণ ব্যাপার। পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশে ছিলাম। খেলোয়াড় ও স্টাফের অনেকের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক আছে। হ্যাঁ, এবার তো প্রতিপক্ষের কোচ হিসেবে যাচ্ছি। বাংলাদেশে অনেক কিছু শিখেছি।
প্রশ্ন: নেদারল্যান্ডস এই প্রথম বাংলাদেশে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে আসছে। সিরিজ নিয়ে কতটা আশাবাদী? ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতার সেই ম্যাচের মতো সিলেটেও ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্য নিশ্চয়ই?
কুক: আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি। আপনি জানেন, গত বিশ্বকাপে আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের রসদ পেয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটা দ্বিপক্ষীয় সিরিজে খেলতে এসে আমরা নিজেদের দক্ষতার পরীক্ষা করতে চাই।
প্রশ্ন: ২০২৩ বিশ্বকাপে কলকাতায় নেদারল্যান্ডসের কাছে ওই হারটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক বড় ক্ষত। ওই জয়টা সিলেটেও কি আপনাদের বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে?
কুক: হ্যাঁ, অবশ্যই। বলতে চাইছি, কলকাতায় ওই জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় জয়। আমরা সেবার দক্ষিণ আফ্রিকাকেও হারিয়েছিলাম (ধর্মশালায়)। আমরা দুর্দান্ত ছন্দে এগোচ্ছি এবং আত্মবিশ্বাসী। এবার সিরিজ জিততে অবশ্যই এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা হবে। যদিও ভিন্ন সংস্করণে খেলা। দুই দলে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমরা চেষ্টা করব ওই ম্যাচ থেকে নেওয়ার এবং এই সিরিজে কাজে লাগানোর।
প্রশ্ন: মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ৩ ওয়ানডের বিপরীতে ডাচরা দুটিতেই জিতেছে। টি-টোয়েন্টিতে আবার ৫ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারের ক্রিকেটে কি বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়ে ডাচরা?
কুক: আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২০২২ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছি। দুটি ম্যাচই কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আরেকটু ভালো খেলতে পারলে দুটি ম্যাচ জেতার সুযোগ ছিল। আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের সেরা ১০ দলের একটি হওয়া। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ হয়ে আছি। আশা করি, আমরা আরও দুটি ম্যাচ জিততে পারব টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ যোগ হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে একজন পাওয়ার হিটিং কোচ একটি দলকে কতটা বদলে দিতে পারে?
কুক: এখনকার সময়ে পাওয়ার হিটিং কোচ দলের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। বড় স্কোর গড়তে, নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকাতে অনেক দল এখন এভাবেই এগোচ্ছে। যখন বাংলাদেশে ছিলাম, তখন বিষয়টা আমরাও সামনে এনেছিলাম। এখন সব দলই এমন খেলোয়াড় দলে নিতে চায়, যে নিয়মিত বাউন্ডারি মারতে পারবে। এ কারণে হিটিং কোচ আনছে দলে। আমিও কৌতূহল নিয়ে দেখতে আগ্রহী যে এটা কতটা কাজে দেয়। হিটিং একটা ইউনিক স্কিল। খুব কঠিন কাজ। আমি নিশ্চিত, ভালো ফল পেতে তারা কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রশ্ন: সিলেটের নেদারল্যান্ডস সিরিজটা ট্রু উইকেটে হতে পারে। একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই কি তাহলে হতে যাচ্ছে?
কুক: সিলেটে খেলতে যাচ্ছি, এটা দারুণ ব্যাপার। ওখানে আমিও আগে কয়েকবার গিয়েছি। জানি, উইকেট খুব ভালো। যেটা বললেন, ট্রু উইকেটে হতে যাচ্ছে, আমরা উন্মুখ হয়ে আছি ভালো কিছু করতে। ব্যাটে-বলে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে। বাংলাদেশ যেহেতু এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছে, তাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতি হবে, যেহেতু আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আমাদের দল খুব একটা অভিজ্ঞ নয়, কিছু খেলোয়াড়ের জন্য অনেক শিক্ষণীয়ও হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। আপনার চোখে গত ৪ বছরে এই দলের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?
কুক: প্রতিটি দলই নিজেদের মূল্যায়ন করে এগোয়। কখনো দলের ফল খুব ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। বাংলাদেশ কতটা ভালো করছে নাকি করছে না, সেটা নিয়ে মন্তব্য করব না। বাংলাদেশ দল একটা রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই তাদের দলে ম্যাচ জেতানো কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা মুখিয়ে আছি তাদের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলতে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে অনেক দিন ছিলেন। সবচেয়ে ভালো লাগার স্মৃতি কোনটি?
কুক: একাধিক স্মৃতি আছে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়, (২০১৯) বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় খুব ভালো স্মৃতি। অসাধারণ খেলেছিল খেলোয়াড়েরা। দলে যখন যারাই ছিল, সবার মধ্যে দারুণ সম্পর্কের ফলে এই সাফল্য। আমি বাংলাদেশের সময়টা অনেক উপভোগ করেছি। দলের ফলও দারুণ ছিল। অনেকের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক, যেটা আরও দৃঢ় হয়েছে গত দুই বছরে। এটা আমার জন্য অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
৮ ঘণ্টা আগেনতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচ ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন
৯ ঘণ্টা আগেমিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক
কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
বিশাখাপত্তনমে ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তারের পরিবর্তে একাদশে এসেছিলেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা ও নিশিতা আক্তার নিশি। কারণ, মারুফা ও নাহিদা চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি দেখে খেলানো হয়নি সেদিন টসের সময় জানিয়েছিলেন জ্যোতি। নাহিদা-মারুফা ছাড়া সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ১০ উইকেটে। আগামীকাল মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে জ্যোতির দল খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগে মারুফা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ফাহিমা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে আজ ফাহিমা বলেন, ‘প্রথমত মারুফা পুরোপুরি সেরে উঠেছে। সে গত দুই দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আগামীকালের ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে।’
এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাহিদা-মারুফা নিয়েছেন পাঁচটি করে উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তাঁরা। গতকাল তাঁদের (নাহিদা-মারুফা) অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ হেরেছে ১০ উইকেটে। ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ২৪.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২০২ রান করে ফেলে অজিরা। আগামীকাল যদি মারুফা ফেরেন, সেটা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির এক কারণ হবে।
শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে এখন ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। দুই ম্যাচই জ্যোতি-স্বর্ণা আক্তাররা খেলবেন নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। তিন-চার নম্বর স্থানের জন্য লড়াই চলছে ছয় দলের। যার মধ্যে ছয়, সাত ও আটে থাকা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান প্রত্যেকেরই ২ পয়েন্ট। জ্যোতির দলের নেট রানরেট -০.৬৭৬ এবং শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের নেট রানরেট -১.৫৬৪ ও -১.৮৮৭। প্রত্যেকেই খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। এদিকে গতকাল ইন্দোরে ম্যাচ শুরুর আগে ৭ ও ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন ও চার নম্বরে অবস্থান ছিল ইংল্যান্ড ও ভারতের। দুই দলের জন্যই এটা পঞ্চম ম্যাচ। আর পাঁচ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে।
ফাহিমা খাতুনও নিজেদের শেষ দুই ম্যাচকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে ৩২ বছর বয়সী এই লেগস্পিনার বলেন, ‘টুর্নামেন্টটা আমরা ভালোভাবে শুরু করেছি। প্রত্যেক দলের বিপক্ষেই ভালো খেলেছি। মোমেন্টাম ধরে রাখার চেষ্টা করব এবং শেষ দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নেওয়ার চেষ্টা করব।’
ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রাণপণে লড়েও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্বর্ণা আক্তারের বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির (৩৪ বলে) রেকর্ড গড়েছিলেন। তাঁর শেষের ঝড়ে স্কোরবোর্ডে সেদিন ২৩২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেটে জিতেছিল ৩ বল হাতে রেখে। সেই দুই ম্যাচ হারের ক্ষত এখনো ভুলতেই পারছেন না ফাহিমা, ‘আমার মতে শেষ কয়েকটা ম্যাচে হারলেও ইতিবাচক দিক ছিল। ব্যাটাররা ভালো করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে গিয়েছিলাম। তবে ব্যাটাররা এখন ভালো খেলছে। আরও কয়েকজন ব্যাটারের ভালো করতে হবে। আশা করি, আমরা আরও ভালো খেলতে পারি।’ এমনকি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষের দিকে বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল, সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ফাহিমা।
কলম্বোতে ২ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতে এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছিল ১১৩ বল হাতে রেখে। কিন্তু পরবর্তীতে টানা চার ম্যাচ হেরে বেকায়দায় পড়ে যায় দলটি। নিজেদের শেষ ম্যাচ ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন:
কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
বিশাখাপত্তনমে ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তারের পরিবর্তে একাদশে এসেছিলেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা ও নিশিতা আক্তার নিশি। কারণ, মারুফা ও নাহিদা চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি দেখে খেলানো হয়নি সেদিন টসের সময় জানিয়েছিলেন জ্যোতি। নাহিদা-মারুফা ছাড়া সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ১০ উইকেটে। আগামীকাল মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে জ্যোতির দল খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই ম্যাচের আগে মারুফা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ফাহিমা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে আজ ফাহিমা বলেন, ‘প্রথমত মারুফা পুরোপুরি সেরে উঠেছে। সে গত দুই দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আগামীকালের ম্যাচে তাকে পাওয়া যাবে।’
এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নাহিদা-মারুফা নিয়েছেন পাঁচটি করে উইকেট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন তাঁরা। গতকাল তাঁদের (নাহিদা-মারুফা) অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ হেরেছে ১০ উইকেটে। ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ২৪.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২০২ রান করে ফেলে অজিরা। আগামীকাল যদি মারুফা ফেরেন, সেটা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির এক কারণ হবে।
শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে এখন ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। দুই ম্যাচই জ্যোতি-স্বর্ণা আক্তাররা খেলবেন নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বেলা সাড়ে তিনটায় শুরু হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। তিন-চার নম্বর স্থানের জন্য লড়াই চলছে ছয় দলের। যার মধ্যে ছয়, সাত ও আটে থাকা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান প্রত্যেকেরই ২ পয়েন্ট। জ্যোতির দলের নেট রানরেট -০.৬৭৬ এবং শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের নেট রানরেট -১.৫৬৪ ও -১.৮৮৭। প্রত্যেকেই খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। এদিকে গতকাল ইন্দোরে ম্যাচ শুরুর আগে ৭ ও ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন ও চার নম্বরে অবস্থান ছিল ইংল্যান্ড ও ভারতের। দুই দলের জন্যই এটা পঞ্চম ম্যাচ। আর পাঁচ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পাঁচ নম্বরে।
ফাহিমা খাতুনও নিজেদের শেষ দুই ম্যাচকে ‘পাখির চোখ’ করেছেন। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে ৩২ বছর বয়সী এই লেগস্পিনার বলেন, ‘টুর্নামেন্টটা আমরা ভালোভাবে শুরু করেছি। প্রত্যেক দলের বিপক্ষেই ভালো খেলেছি। মোমেন্টাম ধরে রাখার চেষ্টা করব এবং শেষ দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নেওয়ার চেষ্টা করব।’
ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রাণপণে লড়েও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্বর্ণা আক্তারের বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির (৩৪ বলে) রেকর্ড গড়েছিলেন। তাঁর শেষের ঝড়ে স্কোরবোর্ডে সেদিন ২৩২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেটে জিতেছিল ৩ বল হাতে রেখে। সেই দুই ম্যাচ হারের ক্ষত এখনো ভুলতেই পারছেন না ফাহিমা, ‘আমার মতে শেষ কয়েকটা ম্যাচে হারলেও ইতিবাচক দিক ছিল। ব্যাটাররা ভালো করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে গিয়েছিলাম। তবে ব্যাটাররা এখন ভালো খেলছে। আরও কয়েকজন ব্যাটারের ভালো করতে হবে। আশা করি, আমরা আরও ভালো খেলতে পারি।’ এমনকি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষের দিকে বাজে ফিল্ডিংয়ের খেসারত দিয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল, সেটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ফাহিমা।
কলম্বোতে ২ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতে এবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছিল ১১৩ বল হাতে রেখে। কিন্তু পরবর্তীতে টানা চার ম্যাচ হেরে বেকায়দায় পড়ে যায় দলটি। নিজেদের শেষ ম্যাচ ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন:
আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি।
২৬ আগস্ট ২০২৫নতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচ ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন
৯ ঘণ্টা আগেমিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক
নতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচটা ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন, যা তিনি হয়তো নিজেও কল্পনা করেননি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ ওয়ানডে অধিনায়ক দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন শুবমান গিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৬ ওভারে ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে অজিরা ২৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রতিটি সংস্করণের প্রথম ম্যাচে হারের বাজে রেকর্ডে নাম উঠে গেল গিলের। নবম ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় এই ব্যাটার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন বিরাট কোহলি-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।
ভারতের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ গিল খেলেছেন গত বছরের জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। হারারেতে ভারত সেই ম্যাচ হেরেছিল ১৩ রানে। টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়ক হিসেবে যাত্রাটা তাঁর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালে। এ বছরের জুনে হেডিংলিতে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ইনিংসেই ১৪৭ রান করেছিলেন। রানবন্যার এই টেস্টে ভারত হেরেছিল ৫ উইকেটে।
অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রতিটি সংস্করণের প্রথম ম্যাচে হারের রেকর্ডে নাম আছে সর্বোচ্চ দুজন করে ক্রিকেটার আছে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের। বিব্রতকর এই রেকর্ডের তালিকায় থাকা দুই কিউই ক্রিকেটার হলেন স্টিভেন ফ্লেমিং ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ—এই পাঁচ দলের আছেন একজন করে ক্রিকেটার।
পার্থে আজ ৭ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ জিততে গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের এখন শেষ দুই ম্যাচ জিততে হবে। ২৩ ও ২৫ অক্টোবর হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের ভেন্যু অ্যাডিলেড ও সিডনি। ওয়ানডে সিরিজ শেষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রতিটি সংস্করণের প্রথম ম্যাচে হার
স্টিভেন ফ্লেমিং (নিউজিল্যান্ড)
শন পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা)
তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড)
হ্যামিলটন মাসাকাদজা (জিম্বাবুয়ে)
বিরাট কোহলি (ভারত)
মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
শুবমান গিল (ভারত)
নতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচটা ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন, যা তিনি হয়তো নিজেও কল্পনা করেননি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ ওয়ানডে অধিনায়ক দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন শুবমান গিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস মেথডে ২৬ ওভারে ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে অজিরা ২৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রতিটি সংস্করণের প্রথম ম্যাচে হারের বাজে রেকর্ডে নাম উঠে গেল গিলের। নবম ক্রিকেটার হিসেবে ভারতীয় এই ব্যাটার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। এই তালিকায় আছেন বিরাট কোহলি-মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো তারকা ক্রিকেটাররা।
ভারতের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ গিল খেলেছেন গত বছরের জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। হারারেতে ভারত সেই ম্যাচ হেরেছিল ১৩ রানে। টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়ক হিসেবে যাত্রাটা তাঁর শুরু হয়েছে ২০২৫ সালে। এ বছরের জুনে হেডিংলিতে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ইনিংসেই ১৪৭ রান করেছিলেন। রানবন্যার এই টেস্টে ভারত হেরেছিল ৫ উইকেটে।
অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রতিটি সংস্করণের প্রথম ম্যাচে হারের রেকর্ডে নাম আছে সর্বোচ্চ দুজন করে ক্রিকেটার আছে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের। বিব্রতকর এই রেকর্ডের তালিকায় থাকা দুই কিউই ক্রিকেটার হলেন স্টিভেন ফ্লেমিং ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ—এই পাঁচ দলের আছেন একজন করে ক্রিকেটার।
পার্থে আজ ৭ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ জিততে গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের এখন শেষ দুই ম্যাচ জিততে হবে। ২৩ ও ২৫ অক্টোবর হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচের ভেন্যু অ্যাডিলেড ও সিডনি। ওয়ানডে সিরিজ শেষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া।
অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট, ওয়ানডে ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির প্রতিটি সংস্করণের প্রথম ম্যাচে হার
স্টিভেন ফ্লেমিং (নিউজিল্যান্ড)
শন পোলক (দক্ষিণ আফ্রিকা)
তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা)
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড)
হ্যামিলটন মাসাকাদজা (জিম্বাবুয়ে)
বিরাট কোহলি (ভারত)
মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
শুবমান গিল (ভারত)
আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি।
২৬ আগস্ট ২০২৫কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
৮ ঘণ্টা আগেমিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়লেন গতকাল মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই। উইন্ডিজের বিপক্ষে এ ওয়ানডেতে ৯ ওভারে ৩৫ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন রিশাদ। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি আট নম্বরে নেমে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার বলেন, ‘এটার অর্থ আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ দিয়েছেন।’ ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। রিশাদকে নিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমি আর সুমন মিলে পরিকল্পনা করেছিলাম। হাইপারফরম্যান্সে তাকে (রিশাদ) আমরা ভালোভাবে পরিচর্যা করি। রিশাদকে নিয়ে একটু কষ্ট হচ্ছিল। কারণ, তার জন্য দল পাচ্ছিলাম না। এনসিএলে লেগস্পিনার খেলানোর ব্যবস্থা করেছিলাম, যাতে বাধ্যতামূলক একজন খেলাতে পারে; দীর্ঘ পরিসরের খেলায় বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পায়।’
জুবায়ের হোসেন লিখন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব রিশাদের আগে এই দুই লেগস্পিনার খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে রিশাদ এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের একাদশে নিয়মিত ক্রিকেটার বনে গেছেন। রিশাদের মতো লেগস্পিনার কীভাবে পেল বাংলাদেশ, সে গল্প বলতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘লেগস্পিন নিয়ে এই দেশে একটা সংস্কৃতি আছে। আমরা তাৎক্ষণিক পারফরম্যান্স চাই। লেগস্পিনারকে সময় দিতে হয়, সেটা আমরা সবাই জানি। ক্লাবে এ ধরনের সাপোর্ট আমরা পাই না। তো প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট, প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট, যা-ই বলেন, সব জায়গায় একই চর্চা চলতে থাকে। লেগস্পিনার বের করে আনা অনেক কঠিন কাজ ছিল। প্রথম দিকে লিখনকে দেখেছিলাম, এরপর আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, তারপর রিশাদ। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত রিশাদ ১২ ওয়ানডেতে ৫.২৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। অথচ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই সংস্করণে তাঁর শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। ক্যারিয়ারের প্রথম ৭ ওয়ানডেতে ৬.০৫ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এ ছাড়া দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি তাঁর ক্যামিও ইনিংস ও ফিল্ডিংটাও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ২৩ বছর বয়সী এই লেগস্পিনারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে নান্নু বলেন, রিশাদের ভালো গুণ হলো যথেষ্ট পরিশ্রমী। সামর্থ্যের চেয়ে অনেক বেশি চেষ্টা করেছেন।
মিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়লেন গতকাল মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই। উইন্ডিজের বিপক্ষে এ ওয়ানডেতে ৯ ওভারে ৩৫ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন রিশাদ। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি আট নম্বরে নেমে ১৩ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার বলেন, ‘এটার অর্থ আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ দিয়েছেন।’ ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। রিশাদকে নিয়ে নান্নু বলেন, ‘আমি আর সুমন মিলে পরিকল্পনা করেছিলাম। হাইপারফরম্যান্সে তাকে (রিশাদ) আমরা ভালোভাবে পরিচর্যা করি। রিশাদকে নিয়ে একটু কষ্ট হচ্ছিল। কারণ, তার জন্য দল পাচ্ছিলাম না। এনসিএলে লেগস্পিনার খেলানোর ব্যবস্থা করেছিলাম, যাতে বাধ্যতামূলক একজন খেলাতে পারে; দীর্ঘ পরিসরের খেলায় বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পায়।’
জুবায়ের হোসেন লিখন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব রিশাদের আগে এই দুই লেগস্পিনার খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থিতু হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে রিশাদ এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের একাদশে নিয়মিত ক্রিকেটার বনে গেছেন। রিশাদের মতো লেগস্পিনার কীভাবে পেল বাংলাদেশ, সে গল্প বলতে গিয়ে নান্নু বলেন, ‘লেগস্পিন নিয়ে এই দেশে একটা সংস্কৃতি আছে। আমরা তাৎক্ষণিক পারফরম্যান্স চাই। লেগস্পিনারকে সময় দিতে হয়, সেটা আমরা সবাই জানি। ক্লাবে এ ধরনের সাপোর্ট আমরা পাই না। তো প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট, প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট, যা-ই বলেন, সব জায়গায় একই চর্চা চলতে থাকে। লেগস্পিনার বের করে আনা অনেক কঠিন কাজ ছিল। প্রথম দিকে লিখনকে দেখেছিলাম, এরপর আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, তারপর রিশাদ। সবকিছু মিলিয়ে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত রিশাদ ১২ ওয়ানডেতে ৫.২৮ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। অথচ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই সংস্করণে তাঁর শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। ক্যারিয়ারের প্রথম ৭ ওয়ানডেতে ৬.০৫ ইকোনমিতে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। এ ছাড়া দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি তাঁর ক্যামিও ইনিংস ও ফিল্ডিংটাও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। ২৩ বছর বয়সী এই লেগস্পিনারকে প্রশংসায় ভাসিয়ে নান্নু বলেন, রিশাদের ভালো গুণ হলো যথেষ্ট পরিশ্রমী। সামর্থ্যের চেয়ে অনেক বেশি চেষ্টা করেছেন।
আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি।
২৬ আগস্ট ২০২৫কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
৮ ঘণ্টা আগেনতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচ ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
দল ভালো না করলেও মিরাজ কখনো ব্যাটিংয়ে, কখনো বোলিংয়ে তাঁর কার্যকারিতা দেখিয়ে চলেছেন। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে চার ফিফটি তিনি করেছেন। কিন্তু একজন অধিনায়ক যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে না পারেন, তখন তাঁর ইমপ্যাক্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের দুই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে। এমনকি মিরাজের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ এ বছর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে।
কোনো কিছুই যখন পক্ষে নেই মিরাজের, তখন তাঁর পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মিরপুরে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ওয়ানডেতে ৮১ রানে হারানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নান্নু। সাংবাদিকদের বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম বলেন, ‘যেকোনো অধিনায়ককে কিন্তু একটা-দুইটা সিরিজ দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। কমপক্ষে ৬-৭টা সিরিজ যদি না দেওয়া যায়, বেশি সময় যদি না দেওয়া হয়, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না একজন অধিনায়ক কীভাবে একটা দলকে চালাচ্ছে। সুতরাং একটা-দুইটা সিরিজে হবে না।’
যদি উইন্ডিজকে মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ধবলধোলাই করতে পারে, তাহলে ৯ নম্বরে উঠবে মিরাজ-নাসুমদের দল। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা ৯ নম্বরের মধ্যে থাকলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে বাংলাদেশ। কারণ, আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে। মিরপুরে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ওয়ানডেতে ৮১ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ কেবল প্রথম ধাপ পেরিয়েছে। মিরাজ ব্যাটিংয়ে ১৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ১০ ওভারে কেবল ১৬ রান দিয়েছেন।
নান্নুর মতে, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই মিরাজ অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সাংবাদিকদের বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম বলেন, ‘তার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অধিনায়ক ছিল। যথেষ্ট ভালো ক্রিকেটার। মেধা যথেষ্ট আছে। তার কাছে অধিনায়কত্ব কঠিন কিছু না। যেভাবে দলকে পরিচালনা করছে, সামনে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভালো কিছু করবে বলে আশা করি।’ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ হবে ২১ ও ২৩ অক্টোবর। এই দুই ম্যাচই মিরপুরে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে। তবে মিরাজের নেতৃত্বে দুই টেস্ট খেলে বাংলাদেশ একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে।
বাংলাদেশের জার্সিতে অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ডটা মোটেও সুখকর নয় মেহেদী হাসান মিরাজের। তাঁর নেতৃত্বে ১১ ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে কেবল দুটি ম্যাচ। পরিসংখ্যানগত হিসাব বাদ দিলেও তাঁর নেতৃত্বগুণ নিয়ে চলছে সমালোচনা। বিশেষ করে, সদ্য সমাপ্ত আফগানিস্তান সিরিজে ভরাডুবির পর আরও বেশি সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
দল ভালো না করলেও মিরাজ কখনো ব্যাটিংয়ে, কখনো বোলিংয়ে তাঁর কার্যকারিতা দেখিয়ে চলেছেন। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে চার ফিফটি তিনি করেছেন। কিন্তু একজন অধিনায়ক যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে না পারেন, তখন তাঁর ইমপ্যাক্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-আফগানিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের দুই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে। এমনকি মিরাজের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ এ বছর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে।
কোনো কিছুই যখন পক্ষে নেই মিরাজের, তখন তাঁর পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মিরপুরে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ওয়ানডেতে ৮১ রানে হারানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন নান্নু। সাংবাদিকদের বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম বলেন, ‘যেকোনো অধিনায়ককে কিন্তু একটা-দুইটা সিরিজ দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। কমপক্ষে ৬-৭টা সিরিজ যদি না দেওয়া যায়, বেশি সময় যদি না দেওয়া হয়, তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না একজন অধিনায়ক কীভাবে একটা দলকে চালাচ্ছে। সুতরাং একটা-দুইটা সিরিজে হবে না।’
যদি উইন্ডিজকে মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ধবলধোলাই করতে পারে, তাহলে ৯ নম্বরে উঠবে মিরাজ-নাসুমদের দল। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে সেরা ৯ নম্বরের মধ্যে থাকলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারবে বাংলাদেশ। কারণ, আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে। মিরপুরে গতকাল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ওয়ানডেতে ৮১ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ কেবল প্রথম ধাপ পেরিয়েছে। মিরাজ ব্যাটিংয়ে ১৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ১০ ওভারে কেবল ১৬ রান দিয়েছেন।
নান্নুর মতে, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই মিরাজ অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সাংবাদিকদের বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম বলেন, ‘তার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে অধিনায়ক ছিল। যথেষ্ট ভালো ক্রিকেটার। মেধা যথেষ্ট আছে। তার কাছে অধিনায়কত্ব কঠিন কিছু না। যেভাবে দলকে পরিচালনা করছে, সামনে আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করে ভালো কিছু করবে বলে আশা করি।’ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচ হবে ২১ ও ২৩ অক্টোবর। এই দুই ম্যাচই মিরপুরে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হবে। তবে মিরাজের নেতৃত্বে দুই টেস্ট খেলে বাংলাদেশ একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে।
আমরা প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। ম্যাচ জিতলে সিরিজ জেতার ভাবনাও আসে। আশা করি, এই সিরিজেও ম্যাচ জিততে পারব। (২০২৬) বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভালো করায় (খেলার যোগ্যতা অর্জন করা) আমরা আত্মবিশ্বাসী মনেই আসছি।
২৬ আগস্ট ২০২৫কারিয়ারে প্রথম নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে কাঁপিয়ে দিচ্ছেন মারুফা আক্তার। বিশেষ করে, নতুন বলে তাঁকে খেলতে ব্যাটারদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের যখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই, তখন মারুফাকে নিয়ে দূর হলো দুশ্চিন্তা।
৮ ঘণ্টা আগেনতুন যুগের ওয়ানডে শুরুটা ভারতের জন্য হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতোই। পার্থে আজ ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ওয়ানডেতে এমনিতেই দফায় দফায় বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। উপরন্তু সেই ম্যাচ ডাকওয়ার্থ লুইস অ্যান্ড স্টার্ন (ডিএলএস) ভারত ৭ উইকেটে হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। হেরে শুবমান গিল এমন এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন
৯ ঘণ্টা আগেমিরপুরের পিচে যতই কালো জাদু থাকুক, সেই পিচে ২০৭ রান করে চোখ বুজে থাকার কোনো উপায় নেই। উপরন্তু সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের উদ্বোধনী জুটিতে যখন ৫১ রান আসে, তখন দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় আপনাআপনি। কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁর লেগস্পিন ভেলকিতে গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে কুপোকাত করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
১০ ঘণ্টা আগে