Ajker Patrika

বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, চলছে জরুরি সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। ছবি: বিসিবি
বিসিবির নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। ছবি: বিসিবি

কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই আজ দুপুর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জরুরি সভা বসেছে। সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন সহ–সভাপতি মাহবুব আনাম ও কাজী ইনাম আহমেদ। সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সহ–সভাপতি নাজমুল আবেদীন ফাহিম, পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইফতেখার রহমান মিঠু ও ফাহিম সিনহা। বোর্ড সভায় ছিলেন না আকরাম খান। লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান।

ধারণা করা হচ্ছে, সভার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রেরণ ইস্যু। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন ক্যাটাগরি–১ থেকে নতুন কাউন্সিলর না পাঠান। এরই মধ্যে আইনি পদক্ষেপের হুমকিও এসেছে।

এই সংকটের সূত্রপাত ১১ সেপ্টেম্বর, যখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা তা মানেনি। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের স্বাক্ষরে ৫৩টি ফরম বিসিবিতে জমা পড়লেও, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে সব জেলা ও বিভাগীয় কমিটি ভেঙে গঠিত হয় এডহক কমিটি। সেখান থেকেই নতুন করে কাউন্সিলর পাঠানোর নির্দেশ দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এ নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলে অ্যাডহক কমিটির বাইরে থাকা জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।

তাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই প্রশাসনের স্বাক্ষরে কাউন্সিলর চূড়ান্ত হওয়ার পর কেন নতুন তালিকা চাওয়া হলো, কেন এডহক কমিটি থেকে নাম পাঠানোর নির্দেশ এল—এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তাদের দাবি, বিসিবি সভাপতির চিঠি বিসিবি ও স্থানীয় সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী। গঠনতন্ত্রের ১২.৭ ধারা অনুযায়ী পুনরায় কাউন্সিলর পাঠানোর সুযোগ নেই। একইভাবে ১২.৭ এবং ১৪.২. ১ ধারা অনুসারে সভাপতিরও নতুন নির্দেশনা দেয়ার ক্ষমতা নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবির নির্বাচনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপেরও সুযোগ নেই।

এর আগে কাউন্সিলর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বারবার বাড়ানো নিয়েও ক্ষোভ জমেছে জেলা ও বিভাগীয় সংগঠকদের মধ্যে। তার ওপর গত বৃহস্পতিবার বিসিবি সভাপতির পক্ষ থেকে যুব ও ক্রীড়া সচিবকে দেয়া বিশেষ নির্দেশনামূলক চিঠি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। ক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা এখন আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন।

তবে শুধু কাউন্সিলর বিতর্ক নয়, আজকের জরুরি সভায় আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর মধ্যে আছে চার ক্লাবের মালিকানা দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি এবং তৃতীয় বিভাগে ১৪ ক্লাবের কাউন্সিলর মনোনয়ন ইস্যু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত