রানা আব্বাস, আবুধাবি থেকে
এই কদিন আবুধাবির হোটেল পার্ক রোটানার দুয়ার সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্তই ছিল। কাল বাংলাদেশ দলের আবুধাবি ছাড়ার সময় ছবিটা ঠিক উল্টে গেল। লবি দূরে থাক, প্রধান ফটকেও দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
অগত্যা তপ্ত রোদে হোটেলের পাশে ফুটপাতে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা নাসুম আহমেদের প্রেস মিট হয়ে গেল। গত পরশু আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় ম্যাচটির নায়ক তিনি। সাকল্যে ৩ মিনিটের প্রেস মিট; তাতেই সবাই ঘেমে-নেয়ে একসা। মরুর গরম এমনই। গরমের চেয়ে নাসুমের বেশি তাড়া ছিল টিম বাস ধরার। গত ১০ দিন বাংলাদেশ দল ঘাঁটি গেড়েছিল আবুধাবির এই পার্ক রোটানা হোটেলে। কাল তারা সেখান থেকে চলে গেল দুবাইয়ে।
দুবাইয়ে থাকলেও আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দলের চোখ থাকবে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। যেখানে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। লঙ্কানরা আজ জিতলে তো কথা নেই, বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার ফোরে। আর আফগানিস্তান জিতলে তখন জটিল হিসাব-নিকাশে যা হয়, তা-ই হবে। যদি হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচে পড়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের যাত্রা গ্রুপ পর্বেই থেমে যায়, তাহলে কাল দুবাই থেকে বাংলাদেশ দল ধরবে ঢাকার ফ্লাইট।
এই যখন সমীকরণ, বাংলাদেশ নিশ্চয়ই চাইবে আজ শ্রীলঙ্কা জিতে যাক। কিন্তু নাসুম দিচ্ছেন কূটনৈতিক উত্তর, ‘যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। নির্দিষ্ট কারও জন্য দোয়া বা সাপোর্ট করার প্রয়োজন মনে করছি না। যেটা লেখা আছে, সেটাই হবে। যা হবার, তা-ই হবে।’
এটা ঠিক, কূটনৈতিক উত্তরই এখানে শ্রেয়। একটা দল নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে জানাবে না যে তারা অমুক দলকে সমর্থন করছে। এসব হিসাব-নিকাশের প্রয়োজন পড়ত না, যদি বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিতে পারত। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলেও সমীকরণ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ থাকত। যা হওয়ার তো হয়ে গেছে। তবে নাসুমের প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ বসে থাকার পর সুযোগ পেলেও ‘প্রত্যাবর্তন’ শব্দে ওজর-আপত্তি ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারের। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, এশিয়া কাপে আসার আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি ম্যাচসেরা হয়েছিলেন।
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের মতো দুর্দান্ত এক টি-টোয়েন্টি দলের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ম্যাচের নায়ক হওয়াটা নিশ্চয়ই ‘স্পেশাল’। এ ব্যাপারে নাসুম একমত। বলছিলেন, ‘এর আগেও অনেক ছিল (সেরা বোলিং)। তবে কালকেরটা (পরশু) একটু বেশি স্পেশাল। কাল (পরশু) আমাদের ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল।’
দুই ওপেনার অসাধারণ শুরু এনে দেওয়ার পরও শেষের দিকে ঝড় না ওঠাতে পারায় বাংলাদেশ বোলিংয়ে নেমেছিল ১৫-২০ রানের ঘাটতি নিয়ে। আবুধাবির উইকেটে ১৬০-১৭০ রান জেতার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশ দারুণ শুরুর পরও করতে পারল ৫ উইকেটে ১৫৪ রান। সেই ঘাটতি বুঝতে দেননি ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে আসা নাসুম। পাওয়ারপ্লেতে নিজের প্রথম স্পেলে নাসুম ৩ ওভারে ১ মেডেনে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রথম ৬ ওভারে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তান আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। আফগান ওপেনার আতালকে ফিরিয়ে নাসুম দুই হাত উঁচু করে যে উদ্যাপন করেছেন, সেটিতে উচ্ছ্বাস নয়, ছিল সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা। উদ্যাপন নিয়ে তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তো একজন আছেন। তাঁর প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আমি হাত উঁচু করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’
গত চার বছরে নাসুমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সাকিব-রাজ্জাক যেভাবে ‘অটোমেটিক চয়েস’ হিসেবে খেলেছেন লম্বা সময় ধরে, নাসুমের সেই সুযোগ এখনো আসেনি। কখনো কন্ডিশন-ফরম্যাট-প্রতিপক্ষ, কখনো দলের সমন্বয়ের কারণে একাদশের বাইরে থাকতে হয়। এ নিয়ে নাসুম বিচলিত নন; বরং তিনি সব সময় মানসিকভাবে তৈরি থাকেন সুযোগ এলে নিজের সেরাটা দেওয়ার, ‘আমি সব সময় খেলার জন্য প্রস্তুত থাকি। যখনই সুযোগ আসে, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার। কিন্তু অনেক সময় হয়, আবার হয় না।’
নাসুম কিংবা তাঁর পুরো দলের ঝলক কি আরও দেখা যাবে ২০২৫ এশিয়া কাপে? উত্তরটা জানতেই তো আজ পুরো বাংলাদেশের চোখ থাকছে আবুধাবিতে।
এই কদিন আবুধাবির হোটেল পার্ক রোটানার দুয়ার সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্তই ছিল। কাল বাংলাদেশ দলের আবুধাবি ছাড়ার সময় ছবিটা ঠিক উল্টে গেল। লবি দূরে থাক, প্রধান ফটকেও দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
অগত্যা তপ্ত রোদে হোটেলের পাশে ফুটপাতে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা নাসুম আহমেদের প্রেস মিট হয়ে গেল। গত পরশু আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় ম্যাচটির নায়ক তিনি। সাকল্যে ৩ মিনিটের প্রেস মিট; তাতেই সবাই ঘেমে-নেয়ে একসা। মরুর গরম এমনই। গরমের চেয়ে নাসুমের বেশি তাড়া ছিল টিম বাস ধরার। গত ১০ দিন বাংলাদেশ দল ঘাঁটি গেড়েছিল আবুধাবির এই পার্ক রোটানা হোটেলে। কাল তারা সেখান থেকে চলে গেল দুবাইয়ে।
দুবাইয়ে থাকলেও আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দলের চোখ থাকবে আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই। যেখানে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। লঙ্কানরা আজ জিতলে তো কথা নেই, বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার ফোরে। আর আফগানিস্তান জিতলে তখন জটিল হিসাব-নিকাশে যা হয়, তা-ই হবে। যদি হিসাব-নিকাশের মারপ্যাঁচে পড়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের যাত্রা গ্রুপ পর্বেই থেমে যায়, তাহলে কাল দুবাই থেকে বাংলাদেশ দল ধরবে ঢাকার ফ্লাইট।
এই যখন সমীকরণ, বাংলাদেশ নিশ্চয়ই চাইবে আজ শ্রীলঙ্কা জিতে যাক। কিন্তু নাসুম দিচ্ছেন কূটনৈতিক উত্তর, ‘যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। নির্দিষ্ট কারও জন্য দোয়া বা সাপোর্ট করার প্রয়োজন মনে করছি না। যেটা লেখা আছে, সেটাই হবে। যা হবার, তা-ই হবে।’
এটা ঠিক, কূটনৈতিক উত্তরই এখানে শ্রেয়। একটা দল নিশ্চয়ই প্রকাশ্যে জানাবে না যে তারা অমুক দলকে সমর্থন করছে। এসব হিসাব-নিকাশের প্রয়োজন পড়ত না, যদি বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিতে পারত। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলেও সমীকরণ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা সহজ থাকত। যা হওয়ার তো হয়ে গেছে। তবে নাসুমের প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্ত। দুই ম্যাচ বসে থাকার পর সুযোগ পেলেও ‘প্রত্যাবর্তন’ শব্দে ওজর-আপত্তি ৩০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারের। তিনি মনে করিয়ে দিলেন, এশিয়া কাপে আসার আগে সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিনি ম্যাচসেরা হয়েছিলেন।
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের মতো দুর্দান্ত এক টি-টোয়েন্টি দলের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ম্যাচের নায়ক হওয়াটা নিশ্চয়ই ‘স্পেশাল’। এ ব্যাপারে নাসুম একমত। বলছিলেন, ‘এর আগেও অনেক ছিল (সেরা বোলিং)। তবে কালকেরটা (পরশু) একটু বেশি স্পেশাল। কাল (পরশু) আমাদের ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল।’
দুই ওপেনার অসাধারণ শুরু এনে দেওয়ার পরও শেষের দিকে ঝড় না ওঠাতে পারায় বাংলাদেশ বোলিংয়ে নেমেছিল ১৫-২০ রানের ঘাটতি নিয়ে। আবুধাবির উইকেটে ১৬০-১৭০ রান জেতার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশ দারুণ শুরুর পরও করতে পারল ৫ উইকেটে ১৫৪ রান। সেই ঘাটতি বুঝতে দেননি ইনিংসের শুরুতে বোলিংয়ে আসা নাসুম। পাওয়ারপ্লেতে নিজের প্রথম স্পেলে নাসুম ৩ ওভারে ১ মেডেনে ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রথম ৬ ওভারে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তান আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। আফগান ওপেনার আতালকে ফিরিয়ে নাসুম দুই হাত উঁচু করে যে উদ্যাপন করেছেন, সেটিতে উচ্ছ্বাস নয়, ছিল সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা। উদ্যাপন নিয়ে তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তো একজন আছেন। তাঁর প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আমি হাত উঁচু করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি।’
গত চার বছরে নাসুমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সাকিব-রাজ্জাক যেভাবে ‘অটোমেটিক চয়েস’ হিসেবে খেলেছেন লম্বা সময় ধরে, নাসুমের সেই সুযোগ এখনো আসেনি। কখনো কন্ডিশন-ফরম্যাট-প্রতিপক্ষ, কখনো দলের সমন্বয়ের কারণে একাদশের বাইরে থাকতে হয়। এ নিয়ে নাসুম বিচলিত নন; বরং তিনি সব সময় মানসিকভাবে তৈরি থাকেন সুযোগ এলে নিজের সেরাটা দেওয়ার, ‘আমি সব সময় খেলার জন্য প্রস্তুত থাকি। যখনই সুযোগ আসে, চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার। কিন্তু অনেক সময় হয়, আবার হয় না।’
নাসুম কিংবা তাঁর পুরো দলের ঝলক কি আরও দেখা যাবে ২০২৫ এশিয়া কাপে? উত্তরটা জানতেই তো আজ পুরো বাংলাদেশের চোখ থাকছে আবুধাবিতে।
অম্ল-মধুর এক ম্যাচই কাটালেন দুনিথ ভেল্লালাগে। আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে তাঁর দল শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচেই আফগান ব্যাটার মোহাম্মদ নবির কাছে তাঁকে হজম করতে হয় টানা ৫ ছক্কা। সবমিলিয়ে শেষ ওভারে ৩২ রান খরচ করেন তিনি। পরে সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতা ভুলিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কার ৬ উইকেটের জয়।
৫ ঘণ্টা আগেসুপার ফোরে যাওয়ার জন্য ১০১ রান হলেই চলত শ্রীলঙ্কার। তাতে ম্যাচ হারলেও তাদের ‘আসে-যায়’-এর কিছু ছিল না। কিন্তু টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য যখন শিরোপা ধরে রাখা, তখন আফগানদের কাছে হারলে চলে!
৫ ঘণ্টা আগেলঙ্কান বোলারদের তোপে বড় পুঁজি আফগানদের জন্য কঠিনই ছিল। কিন্তু ওস্তাদের মার যে হয় শেষ রাতে। ওস্তাদের ভূমিকাটা বেশ সাদরেই নিলেন মোহাম্মদ নবি। দুনিথ ভেল্লালাগের শেষ ওভারে ৫ ছক্কা মেরে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একটা পর্যায়ে দেড় শ পেরোনো মুশকিল মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের।
৭ ঘণ্টা আগে২৫ বছর পর উৎসে ফিরলেন জোসে মরিনিও। প্রধান কোচ হিসেবে যে ক্লাবে ডাগআউটে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু, সেই বেনফিকায় ফিরলেন তিনি। গতকাল দুই বছরের জন্য মরিনিওর ফেরার কথা নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজ ক্লাবটি।
৮ ঘণ্টা আগে