আহমেদ রিয়াদ, কানপুর থেকে
কানপুরের গ্রিন পার্কের আকাশ গতকাল তৃতীয় দিনে মেঘ থাকলেও একফোঁটা বৃষ্টি হয়নি। সময় যত গড়িয়েছে, আকাশ থেকে মেঘের আস্তরণ ক্রমেই সরেছে। কিন্তু প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশন থেকে বন্ধ থাকা ম্যাচ গতকাল তৃতীয় দিনেও গড়ানো সম্ভব হয়নি। লাঞ্চের পর ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করিয়ে আবার খেলা মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা জাগার পরও পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে।
বৃষ্টি নেই, ঝড় নেই; নিরাপত্তার কোনো শঙ্কাও নেই। তবু মাঠে গড়াল না তৃতীয় দিনের খেলা। খেলা মাঠে না গড়ানোয় উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন খোদ ভারতীয় দর্শক ও সংবাদমাধ্যম। গতকাল সকাল তিন দফায় ম্যাচ অফিশিয়ালরা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা, দুপুর ১২টা আর সবশেষ বেলা ২টায়। এরপর ২টায় সংবাদমাধ্যমের কাছে তথ্য সরবরাহ করা হয়, তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত। তবে কী কারণে পরিত্যক্ত, তা ম্যাচ অফিশিয়াল থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার কোনো কর্তাব্যক্তিই ব্যাখ্যা দেননি। এতে প্রেসবক্সে উপস্থিত ভারতীয় সাংবাদিকেরা চটেছেন ভেন্যুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তির ওপর।
তবে টিভি ধারাভাষ্যে বলা হয়, আগের দুই দিনের বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় খেলা গড়ায়নি। কোথাও কোথাও কাদা দেখা গেছে। রোদের অভাবে মাঠ শুকানো যায়নি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি ভেন্যু কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শূন্য মাঠে কোনো মাঠকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। ভারতের অন্যতম প্রাচীন ভেন্যু গঙ্গাপাড়ের গ্রিন পার্কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো নয়। ফ্লাডলাইটের আলোও যথেষ্ট নয়। পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা জেনেও কেন এখানে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন, সে এক প্রশ্ন।
সূত্র জানিয়েছে, হোম সিজনের শুরুতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মারা কানপুরে খেলতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ফ্লাডলাইটের আলো কম থাকায় দেড় ঘণ্টা আগে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। সেই টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ উইকেট। তবু বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজিব শুক্লার এলাকা হওয়ায় অনেকটা জোর করে কানপুরে টেস্ট আয়োজন। চতুর্থ দিন বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা না থাকলেও মাঠ প্রস্তুত হবে কি না, সে শঙ্কা থাকছেই। এতে পরিষ্কার ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে কানপুর টেস্ট। তাতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল থেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাটার শঙ্কায় উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার ওপর ভারতীয় দলের যেমন বিরক্তি বাড়ছে, তেমনি ক্ষোভ বাড়ছে ভারতীয় দর্শক ও তাদের সংবাদমাধ্যমের। আর তাতে বাংলাদেশের মিলতে যাচ্ছে সুখবর—পাওয়া যাবে ৪ পয়েন্ট।
গতকাল কয়েক হাজার দর্শক মাঠে এসেছেন বৃষ্টিবিঘ্নিত বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা দেখতে। সকাল থেকে গ্যালারিতে বসে ভুভুজেলা, বাঁশি ও আড্ডায় গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছেন। মাঝেমধ্যে ড্রেসিংরুম থেকে বেরোনো ক্রিকেটারদের একঝলক দেখতে পেলে ঢাকঢোল আর ভুভুজেলার আওয়াজ তুলেছেন। মুশফিকুর রহিম কিংবা ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবালকেই যেমন ফাঁকা মাঠে শ্যাডো করতে দেখে কী আনন্দ তাঁদের। তবে শেষ পর্যন্ত একটা বলও মাঠে না গড়ানোয় গাঁটের পয়সা উশুল না হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। এ নিয়ে যেন বিরক্তির শেষ নেই স্বাগতিক দর্শকদের।
কানপুরের গ্রিন পার্কের আকাশ গতকাল তৃতীয় দিনে মেঘ থাকলেও একফোঁটা বৃষ্টি হয়নি। সময় যত গড়িয়েছে, আকাশ থেকে মেঘের আস্তরণ ক্রমেই সরেছে। কিন্তু প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশন থেকে বন্ধ থাকা ম্যাচ গতকাল তৃতীয় দিনেও গড়ানো সম্ভব হয়নি। লাঞ্চের পর ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষা করিয়ে আবার খেলা মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা জাগার পরও পরিত্যক্ত ঘোষণা হয়েছে।
বৃষ্টি নেই, ঝড় নেই; নিরাপত্তার কোনো শঙ্কাও নেই। তবু মাঠে গড়াল না তৃতীয় দিনের খেলা। খেলা মাঠে না গড়ানোয় উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন খোদ ভারতীয় দর্শক ও সংবাদমাধ্যম। গতকাল সকাল তিন দফায় ম্যাচ অফিশিয়ালরা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা, দুপুর ১২টা আর সবশেষ বেলা ২টায়। এরপর ২টায় সংবাদমাধ্যমের কাছে তথ্য সরবরাহ করা হয়, তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত। তবে কী কারণে পরিত্যক্ত, তা ম্যাচ অফিশিয়াল থেকে শুরু করে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার কোনো কর্তাব্যক্তিই ব্যাখ্যা দেননি। এতে প্রেসবক্সে উপস্থিত ভারতীয় সাংবাদিকেরা চটেছেন ভেন্যুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তির ওপর।
তবে টিভি ধারাভাষ্যে বলা হয়, আগের দুই দিনের বৃষ্টিতে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় খেলা গড়ায়নি। কোথাও কোথাও কাদা দেখা গেছে। রোদের অভাবে মাঠ শুকানো যায়নি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি ভেন্যু কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা শূন্য মাঠে কোনো মাঠকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। ভারতের অন্যতম প্রাচীন ভেন্যু গঙ্গাপাড়ের গ্রিন পার্কের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ভালো নয়। ফ্লাডলাইটের আলোও যথেষ্ট নয়। পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা জেনেও কেন এখানে টেস্ট ম্যাচ আয়োজন, সে এক প্রশ্ন।
সূত্র জানিয়েছে, হোম সিজনের শুরুতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মারা কানপুরে খেলতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ফ্লাডলাইটের আলো কম থাকায় দেড় ঘণ্টা আগে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। সেই টেস্ট জিততে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ উইকেট। তবু বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজিব শুক্লার এলাকা হওয়ায় অনেকটা জোর করে কানপুরে টেস্ট আয়োজন। চতুর্থ দিন বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা না থাকলেও মাঠ প্রস্তুত হবে কি না, সে শঙ্কা থাকছেই। এতে পরিষ্কার ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে কানপুর টেস্ট। তাতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল থেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাটার শঙ্কায় উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার ওপর ভারতীয় দলের যেমন বিরক্তি বাড়ছে, তেমনি ক্ষোভ বাড়ছে ভারতীয় দর্শক ও তাদের সংবাদমাধ্যমের। আর তাতে বাংলাদেশের মিলতে যাচ্ছে সুখবর—পাওয়া যাবে ৪ পয়েন্ট।
গতকাল কয়েক হাজার দর্শক মাঠে এসেছেন বৃষ্টিবিঘ্নিত বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনের খেলা দেখতে। সকাল থেকে গ্যালারিতে বসে ভুভুজেলা, বাঁশি ও আড্ডায় গ্যালারি মাতিয়ে রেখেছেন। মাঝেমধ্যে ড্রেসিংরুম থেকে বেরোনো ক্রিকেটারদের একঝলক দেখতে পেলে ঢাকঢোল আর ভুভুজেলার আওয়াজ তুলেছেন। মুশফিকুর রহিম কিংবা ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবালকেই যেমন ফাঁকা মাঠে শ্যাডো করতে দেখে কী আনন্দ তাঁদের। তবে শেষ পর্যন্ত একটা বলও মাঠে না গড়ানোয় গাঁটের পয়সা উশুল না হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। এ নিয়ে যেন বিরক্তির শেষ নেই স্বাগতিক দর্শকদের।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ২০২৩ সালে আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পরের দুই বছরে কত সময় গড়িয়ে গেছে। অবশেষে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ফুরোল বাংলাদেশের অপেক্ষা।
১ ঘণ্টা আগেদুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল ফুটবল দল। ২০০২ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ের পর আর কখনো ফাইনালেই উঠতে পারেনি সেলেসাওরা। হেক্সা মিশনের লক্ষ্যে নেমে কোয়ার্টার ফাইনাল-সেমিফাইনালেই থেমে যাচ্ছে ব্রাজিলের পথচলা।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। একই মাঠে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া প্রোটিয়ারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৩২ রান করেছিল।
২ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল ও পিএসএল। দুটি টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরুর দিনক্ষণ জানানো হয়েছে। সমস্যাটা হয়েছে এখানেই। বিশেষ করে, আইপিএলের কারণে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে