নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
লর্ডসে ‘লর্ড’ বেশে মাঠ ছাড়লেন অ্যান্ডারসন—মুখে হাসিটা ফোটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের কল্যাণেই। ইংলিশদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জেমি-অ্যাটকিনসনেরই।
জেমি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল ব্যাটিং করা ইনিংস খেলেছেন—১১৯ বলে ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া অ্যাটকিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০৬ রানে ১২ উইকেট, হাতে তোলেন ম্যাচসেরা পুরস্কারও। গত ১৩০ বছরে অভিষেক টেস্টে এটি ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। ১৮৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জন ফেরিস ৯২ রানে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রেড মার্টিনের শিকার ১০২ রানে ১২ উইকেট।
জয়ের নায়ক অ্যাটকিনসন হলেও ম্যাচ তো অ্যান্ডারসনের। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৮৮ টেস্টে ৭০৪ উইকেট, ৯৯১ আন্তর্জাতিক উইকেটশিকারির বিদায়—২২ গজে সুইং মাস্টারের অমরত্ব লেখা হয়ে গেছে তো আগেই।
কৈশোর পেরিয়ে মুখাবয়বে তারুণ্যের ছাপ। ২০০২ সালে ঝাঁকড়া চুলের সেই তরুণের ওয়ানডে অভিষেকটা রীতিমতো বিবর্ণ করে দেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর রিকি পন্টিং। এমসিজিতে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) ৬ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট, পরে তাঁকে আর বোলিং আক্রমণে আনার সাহসই পাননি ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেন।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম বলটাই ‘নো’! দ্বিতীয় বলে চার, তৃতীয় বলটা আবার নো, পরের তিন বলে দুটি চার হজম করতে হলো জেমস অ্যান্ডারসনকে। জিম্বাবুয়ান ওপেনার ডিওন ইব্রাহিম মরেছিলেন সেই তিনটি চার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পন্টিং-গিলক্রিস্টের তাণ্ডব—৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৪ রান।
সকালের সূর্য যেমন কখনো কখনো দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে না, অ্যান্ডারসনের বেলায়ও তা-ই। প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে নিজেকে বিরল প্রজাতির ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেই বুটজোড়া তুলে রাখলেন।
কিংবদন্তিদের তালিকায় অনেক আগেই নাম লেখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৯১ উইকেট—এতেই কি অমরত্ব পেয়ে গেলেন জিমি? অর্থের ঝনঝনানি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের ভিড়ে ১৮৮ টেস্ট আর ৭০৪ উইকেটের কথা কল্পনা করাও কঠিন এই প্রজন্মের পেসারদের। মুত্তিয়া মুরালিধরনের ১৩৪৭, শেন ওয়ার্নের ১০০৭ উইকেট থাকলেও একজন পেসার হিসেবে জিমির রেকর্ড অবিশ্বাস্য!
উইকেটে ওয়াসিম আকরাম-গ্লেন ম্যাকগ্রাদের ছাড়িয়ে গেছেন আরও আগে। নিজেকে অনন্য প্রমাণ করে এবার শেষের কবিতায় অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ২২ বছরের মধুর প্রেমের সম্পর্কটা এবার ছিন্ন করতে নামছেন। যেখানে টেস্টের অভিষেক, সেই লর্ডসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ‘লর্ড’ জিমি অ্যান্ডারসন।
বয়স ৪২ ছুঁই ছুঁই, ঔজ্জ্বল্য কমেনি সুইং কিংবা নিয়ন্ত্রণে। উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শেষ মহড়ায় তিনি যা করেছিলেন, তাতে সাহস করে বলার উপায় ছিল না—এখনই অবসরে যান জিমি! গত সপ্তাহে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম স্পেলেই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লঙ্কাশায়ারের পেসার। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন ৭ উইকেট।
পেশাদার ক্রিকেটে ২৫১২ উইকেটশিকারি জিমি জানেন, এবার থামা উচিত; ‘কবে যাচ্ছ’—কেউ বলার আগেই উঁচু শিরে থামা উচিত। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০০৯ সালে। টেস্ট ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে সাদা বলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন অনেক আগেই।
বিদায়ী টেস্টে মাঠে নামার আগে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ‘আপাতত মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন কান্না আটকে রাখতে পারি।’ যাঁর নামের পাশে কত কত উইকেট, বিজেতা হয়ে মাঠ ছাড়লেন, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিপুল দর্শক দাঁড়িয়ে কারতালিতে সম্মান জানিয়ে বিদায় জানালেন জিমিকে।
ম্যাচ শেষে মাইকেল আথারটন দেওয়া বিদায়ী বক্তব্যে জিমি বললেন, ‘আমার মনে হয় আবেগটা ধরে রাখতে পেরেছি। যেভাবে দুই দল আর দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে সকালটা আমার জন্য অনেক আবেগের হয়ে উঠেছিল। এখনো চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমি অনেক গর্বিত। ২০ বছর ক্রিকেট খেলা অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার ফল।’ ২২ বছরের মহাকাব্যের সমাপ্তি তাই অশ্রুতে নয়, হাত উঁচিয়ে মিষ্টি হাসিতেই মাঠ থেকে মিলিয়ে গেলেন এক কিংবদন্তি।

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
লর্ডসে ‘লর্ড’ বেশে মাঠ ছাড়লেন অ্যান্ডারসন—মুখে হাসিটা ফোটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের কল্যাণেই। ইংলিশদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জেমি-অ্যাটকিনসনেরই।
জেমি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল ব্যাটিং করা ইনিংস খেলেছেন—১১৯ বলে ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া অ্যাটকিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০৬ রানে ১২ উইকেট, হাতে তোলেন ম্যাচসেরা পুরস্কারও। গত ১৩০ বছরে অভিষেক টেস্টে এটি ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। ১৮৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জন ফেরিস ৯২ রানে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রেড মার্টিনের শিকার ১০২ রানে ১২ উইকেট।
জয়ের নায়ক অ্যাটকিনসন হলেও ম্যাচ তো অ্যান্ডারসনের। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৮৮ টেস্টে ৭০৪ উইকেট, ৯৯১ আন্তর্জাতিক উইকেটশিকারির বিদায়—২২ গজে সুইং মাস্টারের অমরত্ব লেখা হয়ে গেছে তো আগেই।
কৈশোর পেরিয়ে মুখাবয়বে তারুণ্যের ছাপ। ২০০২ সালে ঝাঁকড়া চুলের সেই তরুণের ওয়ানডে অভিষেকটা রীতিমতো বিবর্ণ করে দেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর রিকি পন্টিং। এমসিজিতে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) ৬ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট, পরে তাঁকে আর বোলিং আক্রমণে আনার সাহসই পাননি ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেন।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম বলটাই ‘নো’! দ্বিতীয় বলে চার, তৃতীয় বলটা আবার নো, পরের তিন বলে দুটি চার হজম করতে হলো জেমস অ্যান্ডারসনকে। জিম্বাবুয়ান ওপেনার ডিওন ইব্রাহিম মরেছিলেন সেই তিনটি চার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পন্টিং-গিলক্রিস্টের তাণ্ডব—৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৪ রান।
সকালের সূর্য যেমন কখনো কখনো দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে না, অ্যান্ডারসনের বেলায়ও তা-ই। প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে নিজেকে বিরল প্রজাতির ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেই বুটজোড়া তুলে রাখলেন।
কিংবদন্তিদের তালিকায় অনেক আগেই নাম লেখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৯১ উইকেট—এতেই কি অমরত্ব পেয়ে গেলেন জিমি? অর্থের ঝনঝনানি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের ভিড়ে ১৮৮ টেস্ট আর ৭০৪ উইকেটের কথা কল্পনা করাও কঠিন এই প্রজন্মের পেসারদের। মুত্তিয়া মুরালিধরনের ১৩৪৭, শেন ওয়ার্নের ১০০৭ উইকেট থাকলেও একজন পেসার হিসেবে জিমির রেকর্ড অবিশ্বাস্য!
উইকেটে ওয়াসিম আকরাম-গ্লেন ম্যাকগ্রাদের ছাড়িয়ে গেছেন আরও আগে। নিজেকে অনন্য প্রমাণ করে এবার শেষের কবিতায় অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ২২ বছরের মধুর প্রেমের সম্পর্কটা এবার ছিন্ন করতে নামছেন। যেখানে টেস্টের অভিষেক, সেই লর্ডসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ‘লর্ড’ জিমি অ্যান্ডারসন।
বয়স ৪২ ছুঁই ছুঁই, ঔজ্জ্বল্য কমেনি সুইং কিংবা নিয়ন্ত্রণে। উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শেষ মহড়ায় তিনি যা করেছিলেন, তাতে সাহস করে বলার উপায় ছিল না—এখনই অবসরে যান জিমি! গত সপ্তাহে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম স্পেলেই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লঙ্কাশায়ারের পেসার। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন ৭ উইকেট।
পেশাদার ক্রিকেটে ২৫১২ উইকেটশিকারি জিমি জানেন, এবার থামা উচিত; ‘কবে যাচ্ছ’—কেউ বলার আগেই উঁচু শিরে থামা উচিত। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০০৯ সালে। টেস্ট ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে সাদা বলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন অনেক আগেই।
বিদায়ী টেস্টে মাঠে নামার আগে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ‘আপাতত মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন কান্না আটকে রাখতে পারি।’ যাঁর নামের পাশে কত কত উইকেট, বিজেতা হয়ে মাঠ ছাড়লেন, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিপুল দর্শক দাঁড়িয়ে কারতালিতে সম্মান জানিয়ে বিদায় জানালেন জিমিকে।
ম্যাচ শেষে মাইকেল আথারটন দেওয়া বিদায়ী বক্তব্যে জিমি বললেন, ‘আমার মনে হয় আবেগটা ধরে রাখতে পেরেছি। যেভাবে দুই দল আর দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে সকালটা আমার জন্য অনেক আবেগের হয়ে উঠেছিল। এখনো চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমি অনেক গর্বিত। ২০ বছর ক্রিকেট খেলা অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার ফল।’ ২২ বছরের মহাকাব্যের সমাপ্তি তাই অশ্রুতে নয়, হাত উঁচিয়ে মিষ্টি হাসিতেই মাঠ থেকে মিলিয়ে গেলেন এক কিংবদন্তি।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
লর্ডসে ‘লর্ড’ বেশে মাঠ ছাড়লেন অ্যান্ডারসন—মুখে হাসিটা ফোটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের কল্যাণেই। ইংলিশদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জেমি-অ্যাটকিনসনেরই।
জেমি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল ব্যাটিং করা ইনিংস খেলেছেন—১১৯ বলে ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া অ্যাটকিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০৬ রানে ১২ উইকেট, হাতে তোলেন ম্যাচসেরা পুরস্কারও। গত ১৩০ বছরে অভিষেক টেস্টে এটি ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। ১৮৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জন ফেরিস ৯২ রানে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রেড মার্টিনের শিকার ১০২ রানে ১২ উইকেট।
জয়ের নায়ক অ্যাটকিনসন হলেও ম্যাচ তো অ্যান্ডারসনের। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৮৮ টেস্টে ৭০৪ উইকেট, ৯৯১ আন্তর্জাতিক উইকেটশিকারির বিদায়—২২ গজে সুইং মাস্টারের অমরত্ব লেখা হয়ে গেছে তো আগেই।
কৈশোর পেরিয়ে মুখাবয়বে তারুণ্যের ছাপ। ২০০২ সালে ঝাঁকড়া চুলের সেই তরুণের ওয়ানডে অভিষেকটা রীতিমতো বিবর্ণ করে দেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর রিকি পন্টিং। এমসিজিতে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) ৬ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট, পরে তাঁকে আর বোলিং আক্রমণে আনার সাহসই পাননি ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেন।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম বলটাই ‘নো’! দ্বিতীয় বলে চার, তৃতীয় বলটা আবার নো, পরের তিন বলে দুটি চার হজম করতে হলো জেমস অ্যান্ডারসনকে। জিম্বাবুয়ান ওপেনার ডিওন ইব্রাহিম মরেছিলেন সেই তিনটি চার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পন্টিং-গিলক্রিস্টের তাণ্ডব—৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৪ রান।
সকালের সূর্য যেমন কখনো কখনো দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে না, অ্যান্ডারসনের বেলায়ও তা-ই। প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে নিজেকে বিরল প্রজাতির ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেই বুটজোড়া তুলে রাখলেন।
কিংবদন্তিদের তালিকায় অনেক আগেই নাম লেখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৯১ উইকেট—এতেই কি অমরত্ব পেয়ে গেলেন জিমি? অর্থের ঝনঝনানি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের ভিড়ে ১৮৮ টেস্ট আর ৭০৪ উইকেটের কথা কল্পনা করাও কঠিন এই প্রজন্মের পেসারদের। মুত্তিয়া মুরালিধরনের ১৩৪৭, শেন ওয়ার্নের ১০০৭ উইকেট থাকলেও একজন পেসার হিসেবে জিমির রেকর্ড অবিশ্বাস্য!
উইকেটে ওয়াসিম আকরাম-গ্লেন ম্যাকগ্রাদের ছাড়িয়ে গেছেন আরও আগে। নিজেকে অনন্য প্রমাণ করে এবার শেষের কবিতায় অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ২২ বছরের মধুর প্রেমের সম্পর্কটা এবার ছিন্ন করতে নামছেন। যেখানে টেস্টের অভিষেক, সেই লর্ডসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ‘লর্ড’ জিমি অ্যান্ডারসন।
বয়স ৪২ ছুঁই ছুঁই, ঔজ্জ্বল্য কমেনি সুইং কিংবা নিয়ন্ত্রণে। উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শেষ মহড়ায় তিনি যা করেছিলেন, তাতে সাহস করে বলার উপায় ছিল না—এখনই অবসরে যান জিমি! গত সপ্তাহে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম স্পেলেই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লঙ্কাশায়ারের পেসার। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন ৭ উইকেট।
পেশাদার ক্রিকেটে ২৫১২ উইকেটশিকারি জিমি জানেন, এবার থামা উচিত; ‘কবে যাচ্ছ’—কেউ বলার আগেই উঁচু শিরে থামা উচিত। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০০৯ সালে। টেস্ট ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে সাদা বলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন অনেক আগেই।
বিদায়ী টেস্টে মাঠে নামার আগে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ‘আপাতত মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন কান্না আটকে রাখতে পারি।’ যাঁর নামের পাশে কত কত উইকেট, বিজেতা হয়ে মাঠ ছাড়লেন, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিপুল দর্শক দাঁড়িয়ে কারতালিতে সম্মান জানিয়ে বিদায় জানালেন জিমিকে।
ম্যাচ শেষে মাইকেল আথারটন দেওয়া বিদায়ী বক্তব্যে জিমি বললেন, ‘আমার মনে হয় আবেগটা ধরে রাখতে পেরেছি। যেভাবে দুই দল আর দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে সকালটা আমার জন্য অনেক আবেগের হয়ে উঠেছিল। এখনো চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমি অনেক গর্বিত। ২০ বছর ক্রিকেট খেলা অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার ফল।’ ২২ বছরের মহাকাব্যের সমাপ্তি তাই অশ্রুতে নয়, হাত উঁচিয়ে মিষ্টি হাসিতেই মাঠ থেকে মিলিয়ে গেলেন এক কিংবদন্তি।

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
লর্ডসে ‘লর্ড’ বেশে মাঠ ছাড়লেন অ্যান্ডারসন—মুখে হাসিটা ফোটেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের কল্যাণেই। ইংলিশদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জেমি-অ্যাটকিনসনেরই।
জেমি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি বল ব্যাটিং করা ইনিংস খেলেছেন—১১৯ বলে ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া অ্যাটকিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০৬ রানে ১২ উইকেট, হাতে তোলেন ম্যাচসেরা পুরস্কারও। গত ১৩০ বছরে অভিষেক টেস্টে এটি ইংল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। ১৮৯২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জন ফেরিস ৯২ রানে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। ১৮৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফ্রেড মার্টিনের শিকার ১০২ রানে ১২ উইকেট।
জয়ের নায়ক অ্যাটকিনসন হলেও ম্যাচ তো অ্যান্ডারসনের। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১৮৮ টেস্টে ৭০৪ উইকেট, ৯৯১ আন্তর্জাতিক উইকেটশিকারির বিদায়—২২ গজে সুইং মাস্টারের অমরত্ব লেখা হয়ে গেছে তো আগেই।
কৈশোর পেরিয়ে মুখাবয়বে তারুণ্যের ছাপ। ২০০২ সালে ঝাঁকড়া চুলের সেই তরুণের ওয়ানডে অভিষেকটা রীতিমতো বিবর্ণ করে দেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর রিকি পন্টিং। এমসিজিতে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) ৬ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট, পরে তাঁকে আর বোলিং আক্রমণে আনার সাহসই পাননি ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসেন।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম বলটাই ‘নো’! দ্বিতীয় বলে চার, তৃতীয় বলটা আবার নো, পরের তিন বলে দুটি চার হজম করতে হলো জেমস অ্যান্ডারসনকে। জিম্বাবুয়ান ওপেনার ডিওন ইব্রাহিম মরেছিলেন সেই তিনটি চার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে পন্টিং-গিলক্রিস্টের তাণ্ডব—৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৬৪ রান।
সকালের সূর্য যেমন কখনো কখনো দিনের পূর্বাভাস দিতে পারে না, অ্যান্ডারসনের বেলায়ও তা-ই। প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে নিজেকে বিরল প্রজাতির ফাস্ট বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেই বুটজোড়া তুলে রাখলেন।
কিংবদন্তিদের তালিকায় অনেক আগেই নাম লেখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৯১ উইকেট—এতেই কি অমরত্ব পেয়ে গেলেন জিমি? অর্থের ঝনঝনানি ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের ভিড়ে ১৮৮ টেস্ট আর ৭০৪ উইকেটের কথা কল্পনা করাও কঠিন এই প্রজন্মের পেসারদের। মুত্তিয়া মুরালিধরনের ১৩৪৭, শেন ওয়ার্নের ১০০৭ উইকেট থাকলেও একজন পেসার হিসেবে জিমির রেকর্ড অবিশ্বাস্য!
উইকেটে ওয়াসিম আকরাম-গ্লেন ম্যাকগ্রাদের ছাড়িয়ে গেছেন আরও আগে। নিজেকে অনন্য প্রমাণ করে এবার শেষের কবিতায় অ্যান্ডারসন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে ২২ বছরের মধুর প্রেমের সম্পর্কটা এবার ছিন্ন করতে নামছেন। যেখানে টেস্টের অভিষেক, সেই লর্ডসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন ‘লর্ড’ জিমি অ্যান্ডারসন।
বয়স ৪২ ছুঁই ছুঁই, ঔজ্জ্বল্য কমেনি সুইং কিংবা নিয়ন্ত্রণে। উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে শেষ মহড়ায় তিনি যা করেছিলেন, তাতে সাহস করে বলার উপায় ছিল না—এখনই অবসরে যান জিমি! গত সপ্তাহে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম স্পেলেই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন লঙ্কাশায়ারের পেসার। প্রথম ইনিংসে শিকার করেন ৭ উইকেট।
পেশাদার ক্রিকেটে ২৫১২ উইকেটশিকারি জিমি জানেন, এবার থামা উচিত; ‘কবে যাচ্ছ’—কেউ বলার আগেই উঁচু শিরে থামা উচিত। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৫ সালে, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০০৯ সালে। টেস্ট ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে সাদা বলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন অনেক আগেই।
বিদায়ী টেস্টে মাঠে নামার আগে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ‘আপাতত মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি যেন কান্না আটকে রাখতে পারি।’ যাঁর নামের পাশে কত কত উইকেট, বিজেতা হয়ে মাঠ ছাড়লেন, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিপুল দর্শক দাঁড়িয়ে কারতালিতে সম্মান জানিয়ে বিদায় জানালেন জিমিকে।
ম্যাচ শেষে মাইকেল আথারটন দেওয়া বিদায়ী বক্তব্যে জিমি বললেন, ‘আমার মনে হয় আবেগটা ধরে রাখতে পেরেছি। যেভাবে দুই দল আর দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে সকালটা আমার জন্য অনেক আবেগের হয়ে উঠেছিল। এখনো চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। আমি অনেক গর্বিত। ২০ বছর ক্রিকেট খেলা অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার ফল।’ ২২ বছরের মহাকাব্যের সমাপ্তি তাই অশ্রুতে নয়, হাত উঁচিয়ে মিষ্টি হাসিতেই মাঠ থেকে মিলিয়ে গেলেন এক কিংবদন্তি।

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস, দলের প্রথম ম্যাচে অন্তত সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। করেছেন মাত্র ১১ রান। আর তাঁর দল বিপিএলে নবাগত নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৪ রান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে ৬৫ রানে হেরেছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট বরাবরই চওড়া। সব সময়ই রান পান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতার দিকে তাকিয়েই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস। উইকেটে এসে ১১টি বল খেলেছেন। ২টি চারে ১১ রান করে মেহেদী হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাব্বির হোসেনের হাতে। নাঈম আউট হয়ে গেলেও আরেক ওপেনার মির্জা বেগ এক প্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন। আর তাতেই টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেওয়া চট্টগ্রামের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৪ রান।
ওপেনিংয়ে ২৯ রানের জুটির পর মাহফিজুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৫ রান যোগ করেন মির্জা বেগ। দলের ৬৪ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান মাহফিজুল। তবে এরপরই জাতীয় দলের টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের বড় জুটিটি গড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। মাহমুদুল হাসান জয়ও তেমন রান করতে পারেননি। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বোলারদের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে ১২ বলে করেন ১৭ রান। চট্টগ্রাম রয়্যালসের অধিনায়ক মেহেদী হাসান উইকেটে এসে অবশ্য রান তোলার গতি বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন। সাব্বির হোসেনের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে করেন ২৬ রান। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস।
১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারেই অলআউট নোয়াখালী। ওপেনার মাজ সাদাকাত ২৭ বলে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। হায়দার আলী ২৪ বলে করেন ২৮ রান। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংসে আর মাত্র একজনই—হাবিবুর রহমান সোহান রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেন।
ইনিংসের শেষ বলে বোলার হাসান মাহমুদকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ৬৯ বলে ৮০ রান করেন তিনি। ৭টি চার ও ২ ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। বল হাতে সবচেয়ে সফল তানভির ইসলাম; ৩৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল, মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম।

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
১২ জুলাই ২০২৪
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
বেঙ্গালুরুতে গুজরাটের বিপক্ষে ৬১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। এই ইনিংস খেলার পথে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অন্তত ৫ হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ের মালিক বনে গেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। আগের রেকর্ডটি ছিল মাইকেল বেভানের দখলে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটারের গড় ৫৭.৮৬। ৫৭.৮৭ গড় নিয়ে তাঁকে পেছনে ফেললেন কোহলি।
তিনে আছেন স্যাম হেইন। এই ইংলিশ ব্যাটারের গড় ৫৭.৭৬। পরের স্থান দুটিতে আছেন চেতেশ্বর পূজারা (৫৭.০১) ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৫৬.৬৮)। বিশ্ব রেকর্ডের ম্যাচে ৭৭ রানের ইনিংসের পাশাপাশি দুটি ক্যাচ নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন কোহলি। আগের ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিপক্ষে ১৩১ রানের ইনিংস খেলে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৬ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। পেছনে ফেলেন ব্যাটিং মাস্টার শচীন টেন্ডুলকারকে।
একই দিন মুম্বাইয়ের হয়ে উত্তরখন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন রোহিত। জয়পুরে ওপেনিং করতে নেমে পেসার দেবেন্দ্র বোরার বলে জগমোহন নগরকোটির হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাতেই দীর্ঘ ১৩ বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বলে আউট হলেন। এর আগে সবশেষ ২০১২ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন রোহিত।

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
১২ জুলাই ২০২৪
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি। নাঈম ব্যর্থ হলেও দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। তাঁর ফিফটিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ১৭৪ রানের পুঁজি পেয়েছে চট্টগ্রাম।
দেখেশুনেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন দুই ওপেনার নাঈম ও তাহির। কখনো ধীরগতি আবার কখনো সুযোগ পেলে হাত খুলে খেলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন এই পাকিস্তান ক্রিকেটার। বিপরীত চিত্র নাঈমের। উইকেটে থিতু হতে পারেননি তিনি। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান রানা। তাঁর করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। ১১ বলে ২ বাউন্ডারিতে সমান রান করেন এই ব্যাটার। বাকি ৩ রান দৌঁড়ে নেন।
এই পরিসংখ্যান নাঈমের চিরাচরিত দূর্বলতাই তুলে ধরছে। সিঙ্গেলে দুর্বল হওয়ায় শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সাবলীয় ব্যাটিং করতে বেগ পেতে হয় তাঁকে। আছে ফুটওয়ার্কের সমস্যা। বাউন্ডারি আদায় করে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন নাঈম। যেদিন বাউন্ডারি মারতে ব্যর্থ হন সেদিন বেশ ধুঁকতে দেখা যায় তাঁকে। কিংবা ফেরেন শুরুতেই। আজ তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষীই হলেন ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার। নিলামে সিলেট টাইটান্স, নোয়াখালী এবং রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাঈমকে দলে ভেড়ায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ালেন নাঈম।
নাঈম প্যাভিলিয়নে বসে দেখেছেন তাহিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। হাসান মাহমুদের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ৮০ রান করেন তাহির। ৬৯ বল খেললেও চট্টগ্রামের দুর্বল ব্যাটিং লাইনের বিবেচনায় তাঁর এই ইনিংসের গুরুত্ব অনেক। ১৩ বলে ২৬ রান এনে দেন শেখ মেহেদি হাসান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৭ ও মাহফিজুল ইসলাম করেন ১৬ রান। নোয়াখালীর হয়ে ৯ রানে ২ উইকেট নেন সাব্বির। মাজ সাদাকাত, জহির খান, রানা ও মাহমুদ নেন একটি করে উইকেট।

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
১২ জুলাই ২০২৪
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল সিরিজের পুরুষ দ্বৈতে অল বাংলাদেশ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে গৌরব-তানভীর জুটি ২১-১৯, ১৭-২১ ও ২২-২০ সেটে মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটিকে হারিয়ে সোনা জিতেছে।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেটে গৌরব সিংহ ও আবদুল জহির তানভীর জুটি ২১-১৯ পয়েন্টে জেতে। দ্বিতীয় সেটে কোর্ট পরিবর্তন করার পর ভাগ্য বদলে যায় মিজানুর রহমান ও রাহাতুন নাঈম জুটির। টানা পয়েন্ট পেতে শুরু করেন তাঁরা। এই সেটে ৭-১ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েও ১৫-১৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় গৌরব-তানভীর জুটি। মিজান ও নাঈম জুটি ২১-১৭ পয়েন্টে জিতলে ১-১ সেটে ড্র হয় খেলা।
তৃতীয় সেটেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে উভয় জুটি। ২০-২০ পয়েন্টে সমান ছিল দুই জুটিই। কিন্তু শেষপর্যন্ত টানা দুই পয়েন্ট পেয়ে ২২-২০ পয়েন্টে শেষ সেট জিতে ২-১ সেটে চ্যাম্পিয়ন হয় গৌরব-তানভীর জুটি।

জিমি সমান জেমি (স্মিথ), অ্যান্ডারসন সমান অ্যাটকিনসন (গাস)। দুই নতুনের নামের মধ্যে যেন জেমস অ্যান্ডারসনের নামেরও একটা নির্যাস! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিমির বিদায়ী টেস্টে রঙিন অভিষেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ ও গাস অ্যাটকিনসনের।
১২ জুলাই ২০২৪
বিপিএলের খেলোয়াড় নিলামে এবার সবচেয়ে বেশি ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কোটি টাকার ওপরে দাম পাওয়া একমাত্র ক্রিকেটারও তিনি। কিন্তু যে প্রত্যাশায় এই দামে তাঁকে কিনে নিয়েছিল চট্টগ্রাম রয়্যালস...
৩ ঘণ্টা আগে
বিজয় হাজারে ট্রফিতে আজকের দিনটা দুই রকমের হয়ে থাকল বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার জন্য। দিল্লির হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে এদিন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন কোহলি। অন্যদিকে শূন্য রানে আউট হয়ে তেতো অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত।
৫ ঘণ্টা আগে
দলে ছিলেন নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হওয়া নাঈম শেখ। ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় এই ব্যাটারকে কিনেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে চরমভাবে হতাশ করেছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে