নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: পাল্লেকেতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে উইকেট নিয়ে আক্ষেপে পুড়েছিলেন বোলাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মিটিয়েছেন তাসকিন-তাইজুলরা। ক্যাচ মিস না হলে চিত্রটা আরও অন্যরকম হতে পারতো। তুবও প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে অনেকটাই সফল বাংলাদেশের বোলাররা। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা করেছে ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান।
১ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিনের উইকেট নামক সোনার হরিণের খোঁজ পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। সেই আক্ষেপটা দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে মিটিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এদিন অবশ্য প্রথম ঘণ্টাটা ভালোভাবেই পার করেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমান্নে আর ওসাদা ফার্নান্দো। তবে বাংলাদেশের পেসারদের লাইন-লেংথের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছিল তাদের।
পানিপানের বিরতির পরই মূলত লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন তাসকিন-তাইজুলরা। ১০৪তম ওভারে তাসকিনের করা প্রথম বলটি লেগ গ্ল্যান্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত সেঞ্চুরিয়ান থিরিমান্নে। আউট হওয়ার আগে নিজের নামের পাশে ১৪০ রান যোগ করেন তিনি। ওই ওভারেই তাসকিন আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন। ম্যাথুসকে করা বলটি গুড লেংথে পড়ে ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে লিটনের হাতে ধরা পড়েন। কেউ বুঝতেই পারেননি যে সেটি আউট ছিল, তাই কেউ আবেদনও করেনি। পরে টিভি রিপ্লেতে ‘আল্ট্রা এজ’য়ে দেখা যায় সেটি আউট ছিল।
এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ইনিংসটা অবশ্য বড় করতে পারেননি ম্যাথুস। তিন ওভার পরে সেই তাসকিনের বলেই আউট হন ম্যাথুস। তাসকিনের বল ম্যাথুসের ব্যাটের কানায় লেগে লিটনের তালুবন্দি হয়। পাঁচ রান করে আউট হন ম্যাথুস। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বেশি সুবধা করতে পারেননি। দুই রান করে তাইজুলের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন। ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর বাংলাদেশের বোলাদের বেশ ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে থাকেন ওসাদা ও পাথুম নিশাঙ্কা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৪ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। দলীয় ৩৮২ রানে নিশাঙ্কাকে (৩০) বোল্ড করেন তাসকিন। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাওয়া ওসাদাও সেঞ্চুরি মিস করেছেন। পরের ওভারে মেহেদি মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে লিটনের বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাচে পরিণত হন ওসাদা। ৮১ রান করে আউট হন তিনি। ৬ উইকেটে ৪২৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে বৃষ্টির বাধায় পরে ম্যাচ। ৬ উইকেটে ৪৩৬ রান তোলার পর খেলা বন্ধও হয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হয়। শুরতেই উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। কিন্তু তাসকিনের দুর্ভাগ্য যেন কাটছেই না। রমেশ মেন্ডিসের দেওয়া ক্যাচ স্লিপে তালবন্দি করতে পারেননি নাজমুল। প্রথম দিনেও তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ ধরতে পারেননি শান্ত।
৬ উইকেটে ৪৬৯ রান করার পর খেলা আবার বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৃষ্টিতে নয়, খেলা বন্ধ হয় আলোক স্বল্পতা। কিছুক্ষণ পর আম্পায়াররা দ্বিতীয় দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করেন। নিরোশান ডিকভেলা ৬৪ আর রমেশ মেন্ডিসে ২২ রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দ্বিতীয় দিন শেষে
শ্রীলঙ্কা: ৪৬৯/৬ (করুনারত্নে ১১৮, থিরিমান্নে ১৪০, ফার্নান্দো ৮১, ডিকভেলা ৬৪*, মেন্ডিসে ২২*; তাসকিন ৩/১১৯ শরিফুল ১/৫২, তাইজুল ১/৮৩, শরিফুল ১/৯১, মিরাজ ১/১০২)
ঢাকা: পাল্লেকেতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে উইকেট নিয়ে আক্ষেপে পুড়েছিলেন বোলাররা। দ্বিতীয় দিন শেষে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মিটিয়েছেন তাসকিন-তাইজুলরা। ক্যাচ মিস না হলে চিত্রটা আরও অন্যরকম হতে পারতো। তুবও প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে অনেকটাই সফল বাংলাদেশের বোলাররা। দিন শেষে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানরা করেছে ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান।
১ উইকেটে ২৯১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিনের উইকেট নামক সোনার হরিণের খোঁজ পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। সেই আক্ষেপটা দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে মিটিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এদিন অবশ্য প্রথম ঘণ্টাটা ভালোভাবেই পার করেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমান্নে আর ওসাদা ফার্নান্দো। তবে বাংলাদেশের পেসারদের লাইন-লেংথের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছিল তাদের।
পানিপানের বিরতির পরই মূলত লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন তাসকিন-তাইজুলরা। ১০৪তম ওভারে তাসকিনের করা প্রথম বলটি লেগ গ্ল্যান্স করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত সেঞ্চুরিয়ান থিরিমান্নে। আউট হওয়ার আগে নিজের নামের পাশে ১৪০ রান যোগ করেন তিনি। ওই ওভারেই তাসকিন আরও একটি উইকেট পেতে পারতেন। ম্যাথুসকে করা বলটি গুড লেংথে পড়ে ম্যাথুসের ব্যাট ছুঁয়ে লিটনের হাতে ধরা পড়েন। কেউ বুঝতেই পারেননি যে সেটি আউট ছিল, তাই কেউ আবেদনও করেনি। পরে টিভি রিপ্লেতে ‘আল্ট্রা এজ’য়ে দেখা যায় সেটি আউট ছিল।
এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ইনিংসটা অবশ্য বড় করতে পারেননি ম্যাথুস। তিন ওভার পরে সেই তাসকিনের বলেই আউট হন ম্যাথুস। তাসকিনের বল ম্যাথুসের ব্যাটের কানায় লেগে লিটনের তালুবন্দি হয়। পাঁচ রান করে আউট হন ম্যাথুস। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বেশি সুবধা করতে পারেননি। দুই রান করে তাইজুলের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন। ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর বাংলাদেশের বোলাদের বেশ ভালোভাবেই মোকাবেলা করতে থাকেন ওসাদা ও পাথুম নিশাঙ্কা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৪ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। দলীয় ৩৮২ রানে নিশাঙ্কাকে (৩০) বোল্ড করেন তাসকিন। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাওয়া ওসাদাও সেঞ্চুরি মিস করেছেন। পরের ওভারে মেহেদি মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে লিটনের বুদ্ধিদীপ্ত ক্যাচে পরিণত হন ওসাদা। ৮১ রান করে আউট হন তিনি। ৬ উইকেটে ৪২৫ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে বৃষ্টির বাধায় পরে ম্যাচ। ৬ উইকেটে ৪৩৬ রান তোলার পর খেলা বন্ধও হয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর খেলা আবার শুরু হয়। শুরতেই উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। কিন্তু তাসকিনের দুর্ভাগ্য যেন কাটছেই না। রমেশ মেন্ডিসের দেওয়া ক্যাচ স্লিপে তালবন্দি করতে পারেননি নাজমুল। প্রথম দিনেও তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ ধরতে পারেননি শান্ত।
৬ উইকেটে ৪৬৯ রান করার পর খেলা আবার বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৃষ্টিতে নয়, খেলা বন্ধ হয় আলোক স্বল্পতা। কিছুক্ষণ পর আম্পায়াররা দ্বিতীয় দিনের খেলা সমাপ্তি ঘোষণা করেন। নিরোশান ডিকভেলা ৬৪ আর রমেশ মেন্ডিসে ২২ রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দ্বিতীয় দিন শেষে
শ্রীলঙ্কা: ৪৬৯/৬ (করুনারত্নে ১১৮, থিরিমান্নে ১৪০, ফার্নান্দো ৮১, ডিকভেলা ৬৪*, মেন্ডিসে ২২*; তাসকিন ৩/১১৯ শরিফুল ১/৫২, তাইজুল ১/৮৩, শরিফুল ১/৯১, মিরাজ ১/১০২)
আঙুলের ইশারায় সুনীল গাভাস্কার বোঝাচ্ছিলেন ‘ডিগবাজি দাও’। কারণ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এভাবেই উদ্যাপন করেন ঋষভ পন্ত। গাভাস্কারও বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন তখন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও এল উদ্যাপনের সুযোগ। কিন্তু গাভাস্কারের অনুরোধ রাখেননি পন্ত। ডান হাতের আঙুল উল্টো ঘুরিয়ে চোখের কাছে এনে...
৭ ঘণ্টা আগেগল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
১২ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
১২ ঘণ্টা আগে