ক্রীড়া ডেস্ক
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের পর বেঙ্গালুরু এখন উৎসবের আবহে থাকার কথা। সামাজিক মাধ্যমে দেখা যেত উদযাপনের কতশত ছবি। কিন্তু এক নিমিষে সব ‘হরিষে বিষাদে’ পরিণত হয়। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী শহর এখন শোকে স্তব্ধ।
বিরাট কোহলি, শচীন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে হার্শা ভোগলে—সবাই সামাজিক মাধ্যমে বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক স্পর্শ করেছে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকেও। ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে গতকাল মুম্বাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর ক্রিকেটীয় বিষয় নিয়ে কথাবার্তা তো বলেছেন। বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে নিজের দুঃখের কথাও জানিয়েছেন তিনি। ভারতের প্রধান কোচ বলেন, ‘যা গতকাল (পরশু) ঘটেছে, সত্যিই দুঃখজনক। যে সমস্ত মানুষ তাঁদের প্রিয়জন হারিয়েছেন, শোকস্তব্ধ সেই সব মানুষদের প্রতি আমার হৃদয় কাঁদছে। আশা করি, এমনটা আর কখনো ঘটবে না। কারণ, আমার মতে এখানে সবার দায় রয়েছে। দায়িত্বরত নাগরিকদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আরসিবিকে রোববার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পুলিশের থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না বিধায় পুলিশের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। উদযাপনটা করা হয়েছে পরশুই। ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর শিরোপা জয়ের উৎসব অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ থেকে ‘ভিক্টরি প্যারেড’ করেই ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছেছেন বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা। শিরোপাজয়ী দলের আগমন নিয়ে বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা লাগাম ছাড়িয়ে গেছে বলেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। ১১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গম্ভীরের কাছে জয় উদযাপনের চেয়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রধান কোচ বলেন, ‘যদি আমরা রোড শো আয়োজন করতে না পারি, তাহলে দরকারই নেই। সোজাসাপটা কথা। আমি জানি ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে সঙ্গে সবাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ফ্যান বেজ আরও উত্তেজিত হয়। তবে গতকাল (পরশু) যা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না। এমনকি আমি যখন খেলতাম, তখন এসব রোডশো পছন্দ করতাম না। এখনো করি না ও ভবিষ্যতেও রোডশোর বিপক্ষে। জয় গুরুত্বপূর্ণ। উদযাপনও গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানুষের জীবন হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডিতে হতাহতের ঘটনায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, তাদের ইভেন্ট পার্টনার ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট ও কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশ এফআইআর করেছে। এফআইআরের একটা কপি ক্রিকইনফো দেখেছে। পুলিশের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৪ জুন সকালে সামাজিক মাধ্যমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাদের বিজয় মিছিল ও চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয়। দর্শকেরা স্টেডিয়ামে ফ্রিতে ঢুকতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল দেখানে। এমন ঘোষণার পর লাখ লাখ মানুষ চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের গেট খোলার পরই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। অতিরিক্ত ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়িতে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।’
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে যে জিতত, সে-ই হতো প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরে বেঙ্গালুরু। চতুর্থবার ফাইনালে উঠে বেঙ্গালুরু কাটাল শিরোপাখরা। ম্যাচ শেষে আহমেদাবাদের স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে কোহলিময়। সবার মুখে মুখেই তখন কোহলির নাম। অন্যদিকে পাঞ্জাব ২০১৪ সালের পর ফাইনালে উঠেও রানার্সআপ হয়েই থাকতে হলো।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের পর বেঙ্গালুরু এখন উৎসবের আবহে থাকার কথা। সামাজিক মাধ্যমে দেখা যেত উদযাপনের কতশত ছবি। কিন্তু এক নিমিষে সব ‘হরিষে বিষাদে’ পরিণত হয়। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী শহর এখন শোকে স্তব্ধ।
বিরাট কোহলি, শচীন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে হার্শা ভোগলে—সবাই সামাজিক মাধ্যমে বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক স্পর্শ করেছে ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকেও। ভারতীয় ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে গতকাল মুম্বাইয়ে সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর ক্রিকেটীয় বিষয় নিয়ে কথাবার্তা তো বলেছেন। বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডি নিয়ে নিজের দুঃখের কথাও জানিয়েছেন তিনি। ভারতের প্রধান কোচ বলেন, ‘যা গতকাল (পরশু) ঘটেছে, সত্যিই দুঃখজনক। যে সমস্ত মানুষ তাঁদের প্রিয়জন হারিয়েছেন, শোকস্তব্ধ সেই সব মানুষদের প্রতি আমার হৃদয় কাঁদছে। আশা করি, এমনটা আর কখনো ঘটবে না। কারণ, আমার মতে এখানে সবার দায় রয়েছে। দায়িত্বরত নাগরিকদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আরসিবিকে রোববার অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পুলিশের থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে না বিধায় পুলিশের এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি। উদযাপনটা করা হয়েছে পরশুই। ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর শিরোপা জয়ের উৎসব অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। বেঙ্গালুরুর বিধান সৌধ থেকে ‘ভিক্টরি প্যারেড’ করেই ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পৌঁছেছেন বিরাট কোহলি, রজত পাতিদার, ক্রুনাল পান্ডিয়ারা। শিরোপাজয়ী দলের আগমন নিয়ে বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা লাগাম ছাড়িয়ে গেছে বলেই ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। ১১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গম্ভীরের কাছে জয় উদযাপনের চেয়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রধান কোচ বলেন, ‘যদি আমরা রোড শো আয়োজন করতে না পারি, তাহলে দরকারই নেই। সোজাসাপটা কথা। আমি জানি ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে সঙ্গে সবাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ফ্যান বেজ আরও উত্তেজিত হয়। তবে গতকাল (পরশু) যা ঘটেছে, সেটার সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না। এমনকি আমি যখন খেলতাম, তখন এসব রোডশো পছন্দ করতাম না। এখনো করি না ও ভবিষ্যতেও রোডশোর বিপক্ষে। জয় গুরুত্বপূর্ণ। উদযাপনও গুরুত্বপূর্ণ। তবে মানুষের জীবন হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
বেঙ্গালুরু ট্র্যাজেডিতে হতাহতের ঘটনায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, তাদের ইভেন্ট পার্টনার ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট ও কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশ এফআইআর করেছে। এফআইআরের একটা কপি ক্রিকইনফো দেখেছে। পুলিশের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘৪ জুন সকালে সামাজিক মাধ্যমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাদের বিজয় মিছিল ও চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দেয়। দর্শকেরা স্টেডিয়ামে ফ্রিতে ঢুকতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল দেখানে। এমন ঘোষণার পর লাখ লাখ মানুষ চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। স্থানীয় সময় বেলা ৩টা ১০ মিনিটে চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের গেট খোলার পরই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। অতিরিক্ত ভিড়ে ধাক্কাধাক্কি, হুড়োহুড়িতে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালেও অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।’
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে যে জিতত, সে-ই হতো প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরে বেঙ্গালুরু। চতুর্থবার ফাইনালে উঠে বেঙ্গালুরু কাটাল শিরোপাখরা। ম্যাচ শেষে আহমেদাবাদের স্টেডিয়াম হয়ে ওঠে কোহলিময়। সবার মুখে মুখেই তখন কোহলির নাম। অন্যদিকে পাঞ্জাব ২০১৪ সালের পর ফাইনালে উঠেও রানার্সআপ হয়েই থাকতে হলো।
পরশু ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অনেককেই বাজিয়ে দেখেছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অভিষেক করিয়েছেন তিন ফুটবলারের। কারও পারফরম্যান্সেই অসন্তুষ্ট নন তিনি। যা তাঁকে ফেলে দিয়ে মধুর সমস্যায়। ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শুরুর একাদশ ঠিক করার ক্ষেত্রে ফুটবলারদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
৬ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরী আগমনের পর থেকেই আলোচনায় বাংলাদেশের মাঝমাঠ। শমিত শোম যোগ হওয়ায় যা বাড়তি মাত্রা দিয়ে। যদিও বাংলাদেশের জার্সিতে এখনো অভিষেক হয়নি শমিতের। তবে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচটি পরশু জাতীয় স্টেডিয়ামে বসেই দেখেছেন তিনি। দলের সবকিছু তাঁর ভালো লাগলেও আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন মিডফিল্ডে হামজা, জামাল ভূঁইয়া
৭ ঘণ্টা আগেশাহ্ সিমেন্টের শুভেচ্ছাদূত হলেন জাতীয় দলের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এ উপলক্ষে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। হামজা বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কাজ করে চলা দেশের নাম্বার ওয়ান সিমেন্ট ব্র্যান্ড শাহ্ সিমেন্টের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমি যুক্ত হয়েছি। আশা করি এই পথচলা দারুণ হবে।’
৮ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি আগেই বলেছিলেন, চিলির বিপক্ষে সুযোগ দেবেন নতুনদের। যেই কথা, সেই কাজ। অভিষেক করালেন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর। ১৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার অভিষেকে গড়লেন কীর্তি, একইসঙ্গে তাঁর দুয়ারে কড়া নাড়ছে রিয়াল মাদ্রিদও।
৯ ঘণ্টা আগে