Ajker Patrika

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে কিউইদের হারাল শ্রীলঙ্কা

আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৪: ০৪
সুপার ওভারের রোমাঞ্চে কিউইদের হারাল শ্রীলঙ্কা

অকল্যান্ডে রোমাঞ্চকর এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচই দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। শ্রীলঙ্কার হয়ে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়েছিলেন দাসুন শানাকা। কিন্তু শেষ বলে ৭ রানের সমীকরণে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।

শানাকার করা শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ টাই করে নায়ক বনে যান ইশ সোধি। এরপর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। নির্ধারিত ওভারে ম্যাচ টাই করলেও পরে আর জিততে পারেনি লেগ-স্পিনারের দল।

সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানের লক্ষ্য দেয় কিউইরা। ৪ বল বাকি থাকতেই এবার ম্যাচ জিতে যায় লঙ্কানরা। অ্যাডাম মিলনের করা প্রথম দুই বলে ৭ রান এলে পরের ৪ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। তবে তৃতীয় বলে কিউই পেসার নো বলের সঙ্গে বাউন্ডারি দিলে সফরকারীরা প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় পায়।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডকে ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্যই দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে তাদের ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল উইকেট দিয়ে। প্রথম বলেই পাথুম নিশাঙ্কাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মিলনে। পরে শুরুর থাকা সামলে দলকে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেন দুই কুশল। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরা।

২৫ রানে মেন্ডিস ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত আউট হন ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও। চতুর্থ উইকেটে চরিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে দলের সর্বোচ্চ ১০৩ রানের জুটি গড়েন পেরেরা। দুজনের দুর্দান্ত এই জুটিতেই ১৯৬ রান করে শ্রীলঙ্কা। ৬৭ রানে আসালাঙ্কা আউট হলেও ম্যাচে অপরাজিত থাকেন প্রায় দেড় বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই বাঁ হাতি ব্যাটার। ৪৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিউইদের বড় লক্ষ্য দেওয়ার পেছনে শেষ দিকে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসটির অবদান অনেক।

১৯৭ রানের লক্ষ্য ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের শুরুটা হয় আরও বাজে। প্রথম ওভারে রানের খাতা না খুলেই মহেশ তিকশানার চতুর্থ বলে সাজঘরে ফেরেন টিম সেইফার্ট। পরের ওভারের প্রথম বলে ফেরেন আরেক ওপেনার চাদ বোয়েস।

৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিউইরা যখন বিপদে তখন দলকে পথ দেখান টম লাথাম ও ড্যারিল মিচেল। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। ২৭ রানে অধিনায়ক লাথাম ফিরে যাওয়ার পর মার্ক চ্যাপম্যানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মিচেল। দুজনে মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১২ রানের ব্যবধানে দুজনে ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে কিউইরা।

চ্যাপম্যান ৩৩ রানে ফিরলেও ফিফটি করে আউট হয়েছেন মিচেল (৬৬)। শেষ দিকে কঠিন হয়ে যাওয়া ম্যাচকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জিমি নিশাম, রাচিন রবীন্দ্র ও সোধিরা। জয় এনে দিতে না পারলেও শেষ বলে ছয় মেরে ম্যাচ টাই করেছিলেন সোধি। সুপার ওভারে লক্ষ্যটা কম দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর জেতা হয়নি তাঁদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণা দিতেই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে’, চিরকুটে লেখা

জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন: আইএসপিআর

ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার ‘হুমকি’, রাবিতে ১৫ আগস্টের কনসার্টে যাচ্ছে না আর্টসেল

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত