নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: দিমুথ করুণারত্নের ব্যাটে খোঁচা লেগে বলটা যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। ক্যাচটা উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসে ঠিকঠাক জমা হয়েছে কি না তা নিয়ে একটু সন্দেহ। ফিল্ড আম্পায়ার তাই শরণাপন্ন হলেন থার্ড আম্পায়ারের। তা দেখতে বয়েই গেছে শরিফুল ইসলামের। প্রথম টেস্ট উইকেটের আনন্দটা ততক্ষণে সেরে ফেলেছেন বাঁহাতি পেসার।
কাল সকালে বাংলাদেশের ৯৭তম ক্রিকেটার হিসেবে শরিফুলকে স্বপ্নের টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন টিম লিডার খালেদ মাহমুদ। রঙিন জার্সি গায়ে মাড়ানোর ঠিক এক মাসের মধ্যে সাদা জার্সিটাও পেয়ে গেলেন পঞ্চগড়ের তরুণ।
স্বাভাবিকভাবে শরিফুলের প্রথম টেস্ট উইকেটের উদযাপনেও মিশে থাকল স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাস। শরিফুলের এমন উদযাপনের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে ২০২০ যুব বিশ্বকাপে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা জেতাতে এই তরুণ রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উচ্চতার সঙ্গে ফাস্ট বোলারের চিরায়ত শরীরীভাষায় নজর কেড়েছিলেন সবার।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে দুই ডানহাতি পেসারের সঙ্গে বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য আনতে সুযোগ দেওয়া হয়েছে শরিফুলকে। বাহাতি পেসারও হতাশ করেননি। বাংলাদেশ প্রথমদিন যে শ্রীলঙ্কার একটি উইকেট ফেলতে পেরেছে, তা ওই বাঁহাতির কারণেই। বোলারদের হতাশার ভিড়ে তাই ১৬ ওভারে ৩.২৫ ইকোনমিতে ৫২ রান দিয়ে করুনারত্নকে ফেরানো শরিফুলই দিনসেরা বোলার। পাল্লেকেলের নিষ্প্রাণ উইকেটে গতির সঙ্গে উচ্চতা কাজে লাগিয়ে বাউন্সে করুণারত্নে-থিরিমান্নেদের পরীক্ষাও নিয়েছেন বেশ কয়েকবার।
শরিফুলের ক্যারিয়ারের বাঁকবদলের শুরু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। যাঁকে দেখে প্রাণে নাচন উঠেছিল ক্রিকেটার হবেন, সেই মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাঁপিয়েছেন পুরো টুর্নামেন্টে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পান। দেশের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষাটা অবশ্য সে যাত্রায় পূরণ হয়নি শরিফুলের। এরপর দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড যান। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক সেখানেই।
শরিফুলের এত দূর আসার পথটা একেবারেই সহজ ছিল না। ভ্যানচলক বাবার সংসারে অভাব–অনটন লেগে থাকত সারাবছর। পরিবারের অভাব মেটাতে একসময় ঢাকায় এসেও ব্যর্থ হন বাবা দুলাল ইসলাম। ফের ফিরে যান গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে। এই কষ্টের সংসারেও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা এগিয়ে নিয়েছেন শরিফুল। কিছুদিনের মধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় পরিচিতি পেয়ে যান শরিফুল। খ্যাপ খেলতে এ পাড়া–ও পাড়ায় ডাক পড়ত শরিফুলের।
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মোস্তাফিজের বোলিং দেখে শরিফুলের বড় ক্রিকেটার স্বপ্নের ডানা মেলে। শরিফুল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে চাই।’ মোস্তাফিজের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন আগেই পূরণ হয়েছে। এখন তাঁর সামনে মোস্তাফিজের জায়গায় টেস্ট একাদশে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ।
ঢাকা: দিমুথ করুণারত্নের ব্যাটে খোঁচা লেগে বলটা যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। ক্যাচটা উইকেটকিপার লিটনের গ্লাভসে ঠিকঠাক জমা হয়েছে কি না তা নিয়ে একটু সন্দেহ। ফিল্ড আম্পায়ার তাই শরণাপন্ন হলেন থার্ড আম্পায়ারের। তা দেখতে বয়েই গেছে শরিফুল ইসলামের। প্রথম টেস্ট উইকেটের আনন্দটা ততক্ষণে সেরে ফেলেছেন বাঁহাতি পেসার।
কাল সকালে বাংলাদেশের ৯৭তম ক্রিকেটার হিসেবে শরিফুলকে স্বপ্নের টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দেন টিম লিডার খালেদ মাহমুদ। রঙিন জার্সি গায়ে মাড়ানোর ঠিক এক মাসের মধ্যে সাদা জার্সিটাও পেয়ে গেলেন পঞ্চগড়ের তরুণ।
স্বাভাবিকভাবে শরিফুলের প্রথম টেস্ট উইকেটের উদযাপনেও মিশে থাকল স্বপ্ন পূরণের উচ্ছ্বাস। শরিফুলের এমন উদযাপনের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে ২০২০ যুব বিশ্বকাপে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা জেতাতে এই তরুণ রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উচ্চতার সঙ্গে ফাস্ট বোলারের চিরায়ত শরীরীভাষায় নজর কেড়েছিলেন সবার।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে দুই ডানহাতি পেসারের সঙ্গে বোলিং বিভাগে বৈচিত্র্য আনতে সুযোগ দেওয়া হয়েছে শরিফুলকে। বাহাতি পেসারও হতাশ করেননি। বাংলাদেশ প্রথমদিন যে শ্রীলঙ্কার একটি উইকেট ফেলতে পেরেছে, তা ওই বাঁহাতির কারণেই। বোলারদের হতাশার ভিড়ে তাই ১৬ ওভারে ৩.২৫ ইকোনমিতে ৫২ রান দিয়ে করুনারত্নকে ফেরানো শরিফুলই দিনসেরা বোলার। পাল্লেকেলের নিষ্প্রাণ উইকেটে গতির সঙ্গে উচ্চতা কাজে লাগিয়ে বাউন্সে করুণারত্নে-থিরিমান্নেদের পরীক্ষাও নিয়েছেন বেশ কয়েকবার।
শরিফুলের ক্যারিয়ারের বাঁকবদলের শুরু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। যাঁকে দেখে প্রাণে নাচন উঠেছিল ক্রিকেটার হবেন, সেই মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাঁপিয়েছেন পুরো টুর্নামেন্টে। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পান। দেশের জার্সি গায়ে তোলার অপেক্ষাটা অবশ্য সে যাত্রায় পূরণ হয়নি শরিফুলের। এরপর দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড যান। টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক সেখানেই।
শরিফুলের এত দূর আসার পথটা একেবারেই সহজ ছিল না। ভ্যানচলক বাবার সংসারে অভাব–অনটন লেগে থাকত সারাবছর। পরিবারের অভাব মেটাতে একসময় ঢাকায় এসেও ব্যর্থ হন বাবা দুলাল ইসলাম। ফের ফিরে যান গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে। এই কষ্টের সংসারেও ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নটা এগিয়ে নিয়েছেন শরিফুল। কিছুদিনের মধ্যেই পাড়ায় পাড়ায় পরিচিতি পেয়ে যান শরিফুল। খ্যাপ খেলতে এ পাড়া–ও পাড়ায় ডাক পড়ত শরিফুলের।
২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মোস্তাফিজের বোলিং দেখে শরিফুলের বড় ক্রিকেটার স্বপ্নের ডানা মেলে। শরিফুল এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ‘মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে খেলতে চাই।’ মোস্তাফিজের সঙ্গে খেলার স্বপ্ন আগেই পূরণ হয়েছে। এখন তাঁর সামনে মোস্তাফিজের জায়গায় টেস্ট একাদশে নিয়মিত হওয়ার সুযোগ।
লাফ দিয়ে আকাশ ছোঁয়া যদি সম্ভব হতো, হয়তো সেটাও করে ফেলতেন আরমান্দ ডুপ্লান্টিস। পোল ভল্টে বিস্ময় জাগিয়ে তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করেছেন এই সুইডিশ অ্যাথলেট। গতকাল গড়েছেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড। হাঙ্গেরির গ্রাঁ প্রিতে ৬ দশমিক ২৯ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে মাধ্যাকর্ষণকে আরেকবার বুড়ো আঙুল দেখালেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেসকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এমন আবহাওয়ায় মিরপুরে ক্রিকেটারদের আলস্য আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ও স্ট্রেংথ ট্রেইনার নাথান কেলির কাছে এসবের গুরুত্ব নেই। গুমোট আবহাওয়া হোক বা গরম, কাজের বেলায় তিনি একচুল ছাড় দেন না—এটাই বোঝা গেছে শেষ এক সপ্তাহের ফিটনেস ক্যাম্পে।
৪ ঘণ্টা আগেইউরোপিয়ান ফুটবলে নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার তোড়জোড় চলছে। ১৫ আগস্ট থেকে পর্দা উঠবে লা লিগার ৯৫তম মৌসুমের। বার্সেলোনা নামবে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। জাবি আলোনসোকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখা রিয়াল মাদ্রিদও চায় আধিপত্য ফেরাতে। সব মিলিয়ে নতুন মৌসুমে লা লিগায় ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা বিষয়াদি নিয়েই এই উপস
৮ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুর ম্যাচের পরপরই একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে হামজা চৌধুরী খেলবেন তো। সে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো। যদিও হামজাকে দলে রেখেই ২৪ জনের স্কোয়াড সাজিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
৯ ঘণ্টা আগে