রানা আব্বাস, দিল্লি থেকে
সন্ধ্যায় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। সকালে হুট করে সেটি বাতিল। বাতিলের কারণ, দিল্লির বায়ুদূষণ। বাতাসের মান খারাপ হওয়ায় এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের কেউ কেউ কাশিতেও নাকি আক্রান্ত হয়েছেন।
পরশু শ্রীলঙ্কার ম্যাচের আগে শরীর খারাপ যেন না হয়, সেই সতর্কতা থেকে দুপুরে জুমার নামাজের সময় সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহদের মুখে মাস্কও পরে থাকতে দেখা গেল। আজও যদি বাতাসের মান ভালো না হয়, অগত্যা অনুশীলন করতে যেতেই হবে দলকে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া তখন আর উপায় থাকবে না।
দিল্লির বাতাসের মতো দলের ড্রেসিংরুমের ‘বাতাস’ও খুব একটা ভালো নয়। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষায়, ‘ড্রেসিংরুম অনেক নীরব হয়ে গেছে।’ হারতে হারতে ক্লান্ত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের দেখলেও বোঝা যায়, কতটা ভেঙে পড়েছে একটা দল।
সন্ধ্যায় টিম হোটেলের সামনে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। অকপটেই কিছু ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ আর হতাশা ব্যক্ত করে গেলেন। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বললেন, ‘আমরা যেভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দেখি, সেই অনুযায়ী ২৫-৩০ শতাংশও খেলতে পারিনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল। মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করেছে, কিন্তু কোনো কাজেই আসেনি। লিটনের ফিফটিগুলো দেড় শ করার সুযোগ ছিল। ফিল্ডিং ভালো করলেও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ পড়েছে। বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স কবে দেখেছি, জানা নেই।’
যতই ভেঙে পড়ুন ক্রিকেটাররা, দেশে ফেরার আগপর্যন্ত সূচি অনুযায়ী ম্যাচ তো খেলতে হবে। হতাশার মধ্যেই জেগে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। সুজন তাই বললেন, ‘বেঁচে তো থাকতে হবে। কাল আবার সূর্য উঠবে, আমাদের লড়তে হবে। সবার চেয়ে ওদেরই (খেলোয়াড়) বেশি কষ্ট হচ্ছে। ওরা অনুভব করছে, একেবারে ভালো করতে পারছে না। ৬ নভেম্বরের ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেন ভালো খেলতে হবে। ভালো দল হিসেবে এসে ভালো করতে পারিনি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য আছে।’
বাংলাদেশ দলের এই বাজে পারফরম্যান্সে বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। বিশ্বকাপের এই ভরাডুবিতে দর্শক-সমর্থকেরা তো একেবারে বিসিবির শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে দলের অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচক প্যানেল—প্রতিটি জায়গায় পরিবর্তন চান। যেকোনো ভরাডুবির পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে কখনো একসঙ্গে এত পরিবর্তন কখনো দেখা যায়নি। এবারও সেটির ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে বিসিবি কখনো কখনো এ পরিস্থিতিতে প্রধান কোচকে বিদায় করে থাকে।
সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে যেভাবে স্টিভ রোডসকে ঢাকায় ডেকে এনে বিদায় করা হয়েছিল। তবে বর্তমান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার আগে এত কঠিন সিদ্ধান্তে বিসিবি যেতে পারবে কি না, সেটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। হাথুরু কতটা জটিল মানুষ, বিসিবির সেটা অজানা নয়। চুক্তির আগেই চাকরিচ্যুত করায় নিজের দেশের বোর্ডকেই হাথুরু আদালতে তোলার মানুষ। আর বিসিবি তো সেখানে তাঁকে ‘ভালোবেসে’ এনেছে।
এটা ঠিক, দ্বিতীয় দফায় হাথুরুর মধুচন্দ্রিমা আর নেই। বিসিবির নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ কোচকে নিয়ে নিদারুণ হতাশ। কলকাতায় প্রধান কোচের সঙ্গে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানতে চেয়েছিলেন ব্যর্থতার ব্যাখ্যা। টিম ডিরেক্টর সুজন হাথুরুর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই কিছু বলতে না চাইলেও তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্টের পর কোচের কাজের ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত, ‘বিশ্বকাপ শেষ হয়নি। বললে খুব ভালো বার্তা যাবে না। বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর ওপর আস্থা রাখতে হবে। বিশ্বকাপ শেষ হলে অবশ্যই বিসিবিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত। কেন ব্যর্থ হলাম, এত প্রত্যাশা ছিল আমাদের নিয়ে, সেমিফাইনালে খেলার প্রত্যাশা ছিল। এখন আমরা ৯-১০ নম্বরে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত।’
সুজন অকপটেই জানালেন, দলের সিদ্ধান্ত তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনোই দরকার ছিল না। সব মিলিয়ে হাথুরুর ভবিষ্যৎ যেটাই হোক, বিশ্বকাপের পর বিসিবির কাঠগড়ায় তাঁকে উঠতেই হচ্ছে।
সন্ধ্যায় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। সকালে হুট করে সেটি বাতিল। বাতিলের কারণ, দিল্লির বায়ুদূষণ। বাতাসের মান খারাপ হওয়ায় এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের কেউ কেউ কাশিতেও নাকি আক্রান্ত হয়েছেন।
পরশু শ্রীলঙ্কার ম্যাচের আগে শরীর খারাপ যেন না হয়, সেই সতর্কতা থেকে দুপুরে জুমার নামাজের সময় সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহদের মুখে মাস্কও পরে থাকতে দেখা গেল। আজও যদি বাতাসের মান ভালো না হয়, অগত্যা অনুশীলন করতে যেতেই হবে দলকে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া তখন আর উপায় থাকবে না।
দিল্লির বাতাসের মতো দলের ড্রেসিংরুমের ‘বাতাস’ও খুব একটা ভালো নয়। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষায়, ‘ড্রেসিংরুম অনেক নীরব হয়ে গেছে।’ হারতে হারতে ক্লান্ত বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের দেখলেও বোঝা যায়, কতটা ভেঙে পড়েছে একটা দল।
সন্ধ্যায় টিম হোটেলের সামনে সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। অকপটেই কিছু ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ আর হতাশা ব্যক্ত করে গেলেন। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বললেন, ‘আমরা যেভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দেখি, সেই অনুযায়ী ২৫-৩০ শতাংশও খেলতে পারিনি। বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল। মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করেছে, কিন্তু কোনো কাজেই আসেনি। লিটনের ফিফটিগুলো দেড় শ করার সুযোগ ছিল। ফিল্ডিং ভালো করলেও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ পড়েছে। বাংলাদেশের এমন পারফরম্যান্স কবে দেখেছি, জানা নেই।’
যতই ভেঙে পড়ুন ক্রিকেটাররা, দেশে ফেরার আগপর্যন্ত সূচি অনুযায়ী ম্যাচ তো খেলতে হবে। হতাশার মধ্যেই জেগে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। সুজন তাই বললেন, ‘বেঁচে তো থাকতে হবে। কাল আবার সূর্য উঠবে, আমাদের লড়তে হবে। সবার চেয়ে ওদেরই (খেলোয়াড়) বেশি কষ্ট হচ্ছে। ওরা অনুভব করছে, একেবারে ভালো করতে পারছে না। ৬ নভেম্বরের ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যেন ভালো খেলতে হবে। ভালো দল হিসেবে এসে ভালো করতে পারিনি। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সামর্থ্য আছে।’
বাংলাদেশ দলের এই বাজে পারফরম্যান্সে বড় ধরনের পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। বিশ্বকাপের এই ভরাডুবিতে দর্শক-সমর্থকেরা তো একেবারে বিসিবির শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে দলের অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচক প্যানেল—প্রতিটি জায়গায় পরিবর্তন চান। যেকোনো ভরাডুবির পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে কখনো একসঙ্গে এত পরিবর্তন কখনো দেখা যায়নি। এবারও সেটির ব্যতিক্রম হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে বিসিবি কখনো কখনো এ পরিস্থিতিতে প্রধান কোচকে বিদায় করে থাকে।
সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপে যেভাবে স্টিভ রোডসকে ঢাকায় ডেকে এনে বিদায় করা হয়েছিল। তবে বর্তমান প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার আগে এত কঠিন সিদ্ধান্তে বিসিবি যেতে পারবে কি না, সেটি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। হাথুরু কতটা জটিল মানুষ, বিসিবির সেটা অজানা নয়। চুক্তির আগেই চাকরিচ্যুত করায় নিজের দেশের বোর্ডকেই হাথুরু আদালতে তোলার মানুষ। আর বিসিবি তো সেখানে তাঁকে ‘ভালোবেসে’ এনেছে।
এটা ঠিক, দ্বিতীয় দফায় হাথুরুর মধুচন্দ্রিমা আর নেই। বিসিবির নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ কোচকে নিয়ে নিদারুণ হতাশ। কলকাতায় প্রধান কোচের সঙ্গে বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জানতে চেয়েছিলেন ব্যর্থতার ব্যাখ্যা। টিম ডিরেক্টর সুজন হাথুরুর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই কিছু বলতে না চাইলেও তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্টের পর কোচের কাজের ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত, ‘বিশ্বকাপ শেষ হয়নি। বললে খুব ভালো বার্তা যাবে না। বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর ওপর আস্থা রাখতে হবে। বিশ্বকাপ শেষ হলে অবশ্যই বিসিবিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে ময়নাতদন্ত হওয়া উচিত। কেন ব্যর্থ হলাম, এত প্রত্যাশা ছিল আমাদের নিয়ে, সেমিফাইনালে খেলার প্রত্যাশা ছিল। এখন আমরা ৯-১০ নম্বরে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত।’
সুজন অকপটেই জানালেন, দলের সিদ্ধান্ত তৈরিতে সমস্যা হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনোই দরকার ছিল না। সব মিলিয়ে হাথুরুর ভবিষ্যৎ যেটাই হোক, বিশ্বকাপের পর বিসিবির কাঠগড়ায় তাঁকে উঠতেই হচ্ছে।
গল টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। পরশু কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এর আগে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকেরা। পিঠের বাঁ পাশে চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন পেসার মিলান রত্নায়েকে। গলে খেলার সময় ব্যথা পান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেতাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিকের কথা বললে বাংলাদেশের নামই উঠে আসবে সবার প্রথমে। ২০১৫ সালে বিদায় নেওয়ার পর কোচিংয়ের চেয়ে তিনি বেশি জড়িত ছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়। সেই ডাচ কোচ লুডভিক ডি ক্রুইফ আবার আলোচনায় দেশের ফুটবলে।
২ ঘণ্টা আগেজিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার—সব মিলিয়ে বাজে সময় পার করা বাংলাদেশ দলের জন্য কদিন আগে শেষ হওয়া গল টেস্টটা আসলেই বিশেষ কিছু। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও এসেছে সেঞ্চুরি।
২ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস আগেও নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক। এবার সেই শান্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেবল টেস্টে। কারণ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব কদিন আগেই উঠেছে মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের কাঁধে...
৩ ঘণ্টা আগে