
এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ

প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ মেলেনি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) খেলছেন, ভালো করছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো পর্যন্ত কতটা সন্তুষ্ট?
শরীফুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগছে। অনেক দিন পর ৫০ ওভারের ফরম্যাট খেললাম। ৬ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছি, ইকোনমি ৪.৮৮—এ ধরনের উইকেটে খারাপ নয়। উইকেট তো দেখতেই পাচ্ছেন, বোলারদের জন্য তেমন কিছু নেই। বিকেএসপির উইকেটগুলো খুবই ব্যাটিং-সহায়ক, যেখানে পেসারদের জন্য বোলিং করাটা কঠিন। মিরপুরের উইকেটও একই রকম।
প্রশ্ন: বিপিএলের শুরুটা ভালো যায়নি, তবে শেষ দিকে দারুণ ছন্দে ফিরলেন। কোচ শন টেইটের সঙ্গে কাজ করেছেন—তিনি আপনার কোন দিকগুলো নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
শরীফুল: শন টেইটের সঙ্গে পরিচয় আগেই ছিল। দুই বছর আগে তিনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কোচ ছিলেন। এবার চিটাগং কিংসের কোচ হিসেবে আসার পর দারুণভাবে সহায়তা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচ ভালো হয়নি, তখন তিনি বলেছিলেন, তুমি চোট থেকে ফিরেছ, পুরো ছন্দে আসতে সময় লাগবে। আমাকে ইতিবাচক থাকতে বলতেন, আগের ভালো পারফরম্যান্সের কথা মনে করিয়ে দিতেন। অনুশীলনে স্পট বোলিংয়ে ম্যাচের মতো পূর্ণ শক্তি ও স্কিল দিয়ে বল করার পরামর্শ দিতেন। এসব মেনে চলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি। আমাদের নাজমুল ভাইও (নাজমুল হোসেন) পাশে ছিলেন। বলের গ্রিপিং, গতি এবং সিম মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করেছি—বিশেষ করে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বল বাতাসে ঘুরিয়ে স্ট্যাম্পে আনার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন এগুলো ধীরে ধীরে রপ্ত করতে পারছি, আর ম্যাচেও সেটার ফল পাচ্ছি।
প্রশ্ন: বিপিএলে আপনার পারিশ্রমিক কি পুরোপুরি পেয়েছেন?
শরীফুল: চিটাগাং কিংসের মালিক আমাদের জানিয়েছেন, বিসিবি পারিশ্রমিক দেবে। আমরাও বিসিবির কাছে খোঁজ নিয়েছি, তারা দ্রুতই জানাবে। এখনো বিসিবি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিপিএল শেষ হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পুরো পারিশ্রমিক পরিশোধের নিয়ম রয়েছে, যা কয়েক দিন আগেই পেরিয়ে গেছে। আমাদের জানানো হয়েছে, আজ-কালের মধ্যে তারা বিস্তারিত জানাবে। ঈদের ছুটি আসছে, তাই আমরা আশা করছি, ছুটির আগেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। ২০২৩ সালটা দারুণ গিয়েছিল আপনার। তিন সংস্করণে মিলিয়ে নিয়েছিলেন ৫২ উইকেট। দলে ফিরতে নিজেকে কীভাবে তৈরি করছেন?
শরীফুল: হ্যাঁ, ২০২৩ সাল আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়গুলোর একটি ছিল। সব সময় চেষ্টা করি সে রকম পারফরম্যান্স ধরে রাখার, আরও উন্নতি করার। লক্ষ্য একটাই, ২০২৩ সালের পারফরম্যান্সের চেয়ে ভালো করা এবং জাতীয় দলে ফিরে আরও ভালো সার্ভিস দেওয়া। ইনশা আল্লাহ, কঠোর পরিশ্রম করে আরও ভালোভাবে ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার আর নাহিদ রানার শৈশবের কোচ আলমগীর কবির। তিনি আপনাকে কীভাবে সহায়তা করেন?
শরীফুল: যখনই খারাপ সময় যায়, স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি সব সময় দারুণভাবে গাইড করেন—আমাকে, নাহিদকেও। প্রত্যেক ক্রিকেটারের একজন ব্যক্তিগত কোচ থাকে, আমার ক্ষেত্রে আলমগীর স্যার সেই ব্যক্তি। আমরা নিয়মিত বোলিং নিয়ে আলোচনা করি। যখন তিনি আমার কাছে থাকেন না, তখন আমি ম্যাচের বোলিং ভিডিও পাঠাই, তাঁর পরামর্শ নিই। কাছাকাছি থাকলে তো সরাসরি গিয়ে কাজ করি। স্যার দিকনির্দেশনা দেন, কীভাবে আমার বোলিং আরও নিখুঁত করা যায়, কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার। ভালো সময় হোক বা খারাপ, আমি সব সময় স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি।
প্রশ্ন: একদিন নেটে নাহিদ রানার ব্যাটিংয়ের সময়ে হালকা স্লেজিং করছিলেন। নাহিদ কি ব্যাটিংয়েও আপনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়?
শরীফুল: (হাসি) ছোটবেলা থেকেই নাহিদের সঙ্গে পরিচয়, ও খুব ভালো মনের একজন মানুষ। গতি আছে ওর বোলিংয়ে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, দ্রুতগতির বোলার হয়েও নাহিদ দ্রুতগতির বল ভালোভাবে খেলতে পারে না! আমি তুলনামূলকভাবে পেস ভালো খেলতে পারি। তাই নেটে একসঙ্গে অনুশীলন করলে আমরা একে অন্যকে স্লেজিং করি, সেটা অবশ্যই মজা হিসেবেই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের বাইরে আছেন। এখন পেস বোলিং বিভাগে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা; এঁদের সঙ্গে লড়াইটা কেমন উপভোগ করছেন?
শরীফুল: জাতীয় দলে পেসারদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা থাকা খুবই দরকার। বাংলাদেশে যত বেশি পেসার তৈরি হবে, ততই আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো। এতে দল গড়তে সুবিধা হবে, একজন চোট পেলে সহজেই বিকল্প পাওয়া যাবে। সবাই দলে জায়গা পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের প্রস্তুত রাখবে। তাসকিন ভাই, সাকিব, নাহিদ রানাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আছে, সেটাই স্বাভাবিক। এটাই একজন খেলোয়াড়ের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। ওরা দেশের হয়ে খেলছে, আমিও ফিরতে চাই। প্রতিযোগিতা যত কঠিন হবে, নিজেকে উন্নত করার তাগিদও তত বাড়বে।
প্রশ্ন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ও গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেছেন। সামনে কি আরও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সম্ভাবনা আছে?
শরীফুল: এখনো কোনো কথা হয়নি। বিসিবি আমাদের বছরে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক।
প্রশ্ন: জাতীয় দলে খেলার সুবাদে অনেক গ্রেট ক্রিকেটারের সঙ্গে আপনার কথা বলার সুযোগ হয়েছে। বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে ওয়াসিম আকরাম, চামিন্দা ভাসের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কি কখনো কথা হয়েছে? তাঁদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন?
শরীফুল: চামিন্দা ভাসের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ হয়েছে। খুবই ভালো মনের মানুষ। বিপিএলেও আমরা একই দলে (ঢাকা ডমিনেটরস) ছিলাম। তিনি আমাকে বোলিংয়ের সমস্যা নিয়ে সহায়তা করেছেন। গ্রেট বোলারদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন: মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে কি কোনো বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন, যা আপনার বোলিংয়ে কাজে এসেছে?
শরীফুল: মোস্তাফিজ ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা দারুণ। বোলারদের মধ্যে তিনি আমাকে সবচেয়ে বেশি গাইড করেন। কারণ, দলে আমি আর তিনি বাঁহাতি পেসার। যখন কোনো ওভারে খারাপ করি, তখন তিনি আমাকে গাইড করেন। তাঁর অনেক অভিজ্ঞতা। ভাই তো আইপিএলে খেলেছেন বেশ কয়েকবার, তাই তাঁর শেয়ার করা অভিজ্ঞতাগুলো অনেক কিছু শিখতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন: আপনার কি কাউন্টি খেলার কোনো ইচ্ছা আছে? কোনো ক্লাবের সঙ্গে কি এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে?
শরীফুল: কাউন্টি খেলার স্বপ্ন রয়েছে। কয়েক মাস আগে ইংলিশ কাউন্টি দল এসেক্স কর্তৃপক্ষ আমার এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, জানতে চেয়েছিল আসন্ন মৌসুমে আমি খেলতে পারব কি না। এখনো এসব আলোচনা চলছে। কাউন্টি খেলার ইচ্ছাটা বেশ পুরোনো। সেখানে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই।
প্রশ্ন: সামনেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যেখানে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ শুরু করবে। সবশেষ টেস্ট সিরিজেও আপনি ছিলেন দলে। এবার বছরজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে। সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কী ভাবছেন?
শরীফুল: চ্যালেঞ্জের কিছু নেই, যদি দলে সুযোগ পাই। যেখান থেকে শেষ করেছি, সেখান থেকেই আবার শুরু করতে চাই। আমাদের কাজই হলো দলকে আমার পারফরম্যান্স দিয়ে ম্যাচ জেতানো। এ বছর আমাদের অনেক খেলা। আমাদের ফিটনেস ঠিক রেখেই খেলতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক লোডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফিটনেসের কাজ আরও বেশি বেশি করতে হবে।

লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পর কেটে গেছে চার বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু যে ক্লাবে তিনি প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন, তাঁর ‘মেসি’ হয়ে ওঠা যেখানে, সেই জায়গা কি এত সহজেই স্মৃতি থেকে ‘ডিলিট’ করা সম্ভব! দীর্ঘদিন পর ফিরে মেসি নস্টালজিক হয়ে পড়লেন।
৪ ঘণ্টা আগে
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হাঁটিহাঁটি পায়ে শুরু হয় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা। ২৫ বছরে ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি কেনা
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ লেগে গেছে। যুদ্ধের কারণ আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যের পর খেপেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি
৪ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পর কেটে গেছে চার বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু যে ক্লাবে তিনি প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন, তাঁর ‘মেসি’ হয়ে ওঠা যেখানে, সেই জায়গা কি এত সহজেই স্মৃতি থেকে ‘ডিলিট’ করা সম্ভব! দীর্ঘদিন পর ফিরে মেসি নস্টালজিক হয়ে পড়লেন।
৮৯৪ দিন পর ৭ নভেম্বর ক্যাম্প ন্যুতে ফিরেছে বার্সেলোনা ফুটবল। যে ক্লাবের জার্সিতে মেসি অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন, তাঁর অনেক স্মৃতি ক্যাম্প ন্যুতে, সেখানে অনেকটা নিভৃতে ঘুরে গেলেন তিনি। মাঠে কিছু ছবি তুলে নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে সেটা পোস্ট করেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লেখেন, ‘আমি গত রাতে ফিরে গিয়েছিলাম এমন এক জায়গায়, যেটাকে অনেক মিস করি। এই জায়গাটা ছিল আমার মন-প্রাণ। অনেক সুখ ছিল এখানে। আমি যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ সেটা আপনারা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।’
২০২১ সালে কান্নাভেজা চোখে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে গিয়েছিলেন মেসি। সেই দৃশ্য ফুটবলভক্তদের স্মৃতিতে এখনো তরতাজা। বার্সায় এরপর তাঁর ফেরার গুঞ্জন শোনা গেলেও সেটা গুঞ্জনই রয়ে গেছে। আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফিরতে পারেননি বার্সায়। ইনস্টাগ্রামে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘একদিন আবার ফিরতে পারব। খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় জানানোর জন্য নয়। বরং এমন কিছুর জন্য যেটা আগে কখনো পারিনি।’
বার্সা ছেড়ে মেসি ২০২১ সালে গিয়েছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। কিন্তু দুই বছর থাকার পর পিএসজির পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল তাঁর কাছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামি। ঠিক তার এক মাস আগে (২০২৩-এর জুনে) সংস্কারের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্প ন্যুতে। ৮৯৪ দিন পর ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার পর অনুশীলন করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি-লামিনে ইয়ামালরা। এদিকে মায়ামির জার্সিতে ২৮ মাসে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ৮৫ ম্যাচ খেলেছেন। ৭৬ গোল করেছেন ও অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৮ গোলে।

লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পর কেটে গেছে চার বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু যে ক্লাবে তিনি প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন, তাঁর ‘মেসি’ হয়ে ওঠা যেখানে, সেই জায়গা কি এত সহজেই স্মৃতি থেকে ‘ডিলিট’ করা সম্ভব! দীর্ঘদিন পর ফিরে মেসি নস্টালজিক হয়ে পড়লেন।
৮৯৪ দিন পর ৭ নভেম্বর ক্যাম্প ন্যুতে ফিরেছে বার্সেলোনা ফুটবল। যে ক্লাবের জার্সিতে মেসি অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন, তাঁর অনেক স্মৃতি ক্যাম্প ন্যুতে, সেখানে অনেকটা নিভৃতে ঘুরে গেলেন তিনি। মাঠে কিছু ছবি তুলে নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে সেটা পোস্ট করেন মেসি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লেখেন, ‘আমি গত রাতে ফিরে গিয়েছিলাম এমন এক জায়গায়, যেটাকে অনেক মিস করি। এই জায়গাটা ছিল আমার মন-প্রাণ। অনেক সুখ ছিল এখানে। আমি যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ সেটা আপনারা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।’
২০২১ সালে কান্নাভেজা চোখে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে গিয়েছিলেন মেসি। সেই দৃশ্য ফুটবলভক্তদের স্মৃতিতে এখনো তরতাজা। বার্সায় এরপর তাঁর ফেরার গুঞ্জন শোনা গেলেও সেটা গুঞ্জনই রয়ে গেছে। আর্জেন্টাইন তারকা ফরোয়ার্ড ফিরতে পারেননি বার্সায়। ইনস্টাগ্রামে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেন, ‘একদিন আবার ফিরতে পারব। খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় জানানোর জন্য নয়। বরং এমন কিছুর জন্য যেটা আগে কখনো পারিনি।’
বার্সা ছেড়ে মেসি ২০২১ সালে গিয়েছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি)। কিন্তু দুই বছর থাকার পর পিএসজির পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল তাঁর কাছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামি। ঠিক তার এক মাস আগে (২০২৩-এর জুনে) সংস্কারের জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায় ক্যাম্প ন্যুতে। ৮৯৪ দিন পর ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ক্যাম্প ন্যুতে ফেরার পর অনুশীলন করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি-লামিনে ইয়ামালরা। এদিকে মায়ামির জার্সিতে ২৮ মাসে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ৮৫ ম্যাচ খেলেছেন। ৭৬ গোল করেছেন ও অ্যাসিস্ট করেছেন ৩৮ গোলে।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হাঁটিহাঁটি পায়ে শুরু হয় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা। ২৫ বছরে ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি কেনা
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ লেগে গেছে। যুদ্ধের কারণ আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যের পর খেপেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হাঁটিহাঁটি পায়ে শুরু হয় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা। ২৫ বছরে ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি কেনা যাবে ৮০০ টাকায়।
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী চলা ক্রিকেট কনফারেন্স শেষ হলো আজ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে বাংলাদেশের আড়াই দশকের স্মরণীয় মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট স্মারক সংগ্রাহক জুনায়েদ পাইকার। ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে বাছাই করা ৫০টি ঐতিহাসিক ম্যাচ টিকিট নিয়ে সাজানো এই গ্রন্থে ফুটে উঠেছে আড়াই দশকের আবেগ, স্মৃতি ও গৌরব। জুনায়েদ বলেন, ‘এই টিকেট শুধু স্মারক নয়, আমাদের ক্রিকেটের পথচলা ও অগ্রগতির প্রতীক।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট জাদুঘর ফেসবুকে বইটির একটি বিজ্ঞাপনও করেছে। দুই মলাটের এই বইয়ের দাম ৮০০ টাকা। বইটি কীভাবে কেনা যাবে, সেটার লিংকও বাংলাদেশ ক্রিকেট জাদুঘর ফেসবুকে দিয়েছে।
‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ স্মারকগ্রন্থে বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়ও থাকবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন জুনায়েদ। ২০১৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচসহ বাংলাদেশের স্মরণীয় কিছু সিরিজ জয়ও থাকবে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ স্মারকগ্রন্থে। বইয়ে নিজের শুভেচ্ছা বার্তায় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘প্রতিটি টিকেটই একটি গল্প-মুহূর্ত, মাইলফলক ও আবেগের গল্প, যা আমাদের ক্রিকেট পরিচয়কে গড়ে তুলেছে।’
টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী নিয়ে যখন ঢাকায় উৎসব, নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল অবস্থান করছে সিলেটে। আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। এই টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম শততম টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন।

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হাঁটিহাঁটি পায়ে শুরু হয় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা। ২৫ বছরে ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি কেনা যাবে ৮০০ টাকায়।
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী চলা ক্রিকেট কনফারেন্স শেষ হলো আজ। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে বাংলাদেশের আড়াই দশকের স্মরণীয় মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট স্মারক সংগ্রাহক জুনায়েদ পাইকার। ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে বাছাই করা ৫০টি ঐতিহাসিক ম্যাচ টিকিট নিয়ে সাজানো এই গ্রন্থে ফুটে উঠেছে আড়াই দশকের আবেগ, স্মৃতি ও গৌরব। জুনায়েদ বলেন, ‘এই টিকেট শুধু স্মারক নয়, আমাদের ক্রিকেটের পথচলা ও অগ্রগতির প্রতীক।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট জাদুঘর ফেসবুকে বইটির একটি বিজ্ঞাপনও করেছে। দুই মলাটের এই বইয়ের দাম ৮০০ টাকা। বইটি কীভাবে কেনা যাবে, সেটার লিংকও বাংলাদেশ ক্রিকেট জাদুঘর ফেসবুকে দিয়েছে।
‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ স্মারকগ্রন্থে বাংলাদেশের শততম টেস্ট জয়ও থাকবে বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন জুনায়েদ। ২০১৭ সালে কলম্বোর পি সারা ওভালে সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচসহ বাংলাদেশের স্মরণীয় কিছু সিরিজ জয়ও থাকবে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ স্মারকগ্রন্থে। বইয়ে নিজের শুভেচ্ছা বার্তায় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘প্রতিটি টিকেটই একটি গল্প-মুহূর্ত, মাইলফলক ও আবেগের গল্প, যা আমাদের ক্রিকেট পরিচয়কে গড়ে তুলেছে।’
টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী নিয়ে যখন ঢাকায় উৎসব, নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল অবস্থান করছে সিলেটে। আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। এই টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম শততম টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পর কেটে গেছে চার বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু যে ক্লাবে তিনি প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন, তাঁর ‘মেসি’ হয়ে ওঠা যেখানে, সেই জায়গা কি এত সহজেই স্মৃতি থেকে ‘ডিলিট’ করা সম্ভব! দীর্ঘদিন পর ফিরে মেসি নস্টালজিক হয়ে পড়লেন।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ লেগে গেছে। যুদ্ধের কারণ আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যের পর খেপেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ লেগে গেছে। যুদ্ধের কারণ আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যের পর খেপেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকাল ক্রিকেট কনফারেন্সের প্রথম দিনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর ফুটবল নিয়ে মারপিটের কথা বলেছিলেন। আজ ঢাকার একটি চার তারকা হোটেলে নারী ফুটবলের একটি প্রোগ্রামে তাবিথের কাছে সেই প্রসঙ্গ। উত্তরে সাংবাদিকদের বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘দেখুন আমরা যারা ফুটবল নিয়ে কাজ করি বা ফুটবলটাকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি, যখনই আমরা ফুটবল নিয়ে কোন নেতিবাচক কমেন্ট আমরা শুনি, অবশ্যই আমরা ব্যথিত হই এবং আঘাতপ্রাপ্ত হই। তাও কদিন আগে আমাদের ক্রিকেট কনফারেন্সের সময় আমরা একটা বক্তব্য শুনেছিলাম যেটা ফুটবলের বিরুদ্ধে যায় এবং খেলোয়াড়দের ওপর অপমানজনক একটা মন্তব্য করা হয়েছে। তার প্রসঙ্গে আমি ব্যক্তিগত প্যাডে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিসিবি সভাপতির কাছে একটা চিঠি পাঠিয়েছি।’
আসিফের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বাফুফে একটা চিঠি এরই মধ্যে পাঠিয়েছে বিসিবির কাছে। চিঠির জবাবে বিসিবি একটা সমাধানের পথ খুঁজে দেবে বলে আশা তাবিথের। ঢাকার একটি চার তারকা হোটেলে নারী ফুটবলের একটি প্রোগ্রামে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আশা করি, এই চিঠির উত্তরে আমরা অনেক ব্যাপারে স্পষ্ট জানতে পারব। যখন স্পষ্ট কিছু জানতে পারব বা বিসিবির অবস্থান আমরা জানতে পারব, সেখানে সমাধানের একটা পথ খুঁজে নেব। আমরা সবাই খেলোয়াড়। আমরা সবাই ক্রীড়াবিদ। আর আমাদের সকল ফেডারেশনের দায়িত্ব হলো ঐক্যবদ্ধ থাকা। তা আমরা চাইব না কোনো একটা ইস্যুতে বা কোনো কারোর ইস্যুতে সেটা আমাদের আমাদের বিভক্ত করে ফেলে। অতি শীঘ্রই আপনারা দেখবেন যে সকল ক্রীড়া ফেডারেশন এক হয়ে বাংলাদেশের জন্য এবং বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি।’
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির দুই দিনব্যাপী ক্রিকেট কনফারেন্স। গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সের প্রথম দিনে বিসিবি পরিচালক ও সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেছিলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’ তাঁর এমন মন্তব্যের পর নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশের ফুটবল অঙ্গনে। বিসিবির এই পরিচালক ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন ফুটবলাররা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ লেগে গেছে। যুদ্ধের কারণ আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যের পর খেপেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
টেস্ট অভিষেকে বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী উপলক্ষ্যে গতকাল ক্রিকেট কনফারেন্সের প্রথম দিনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর ফুটবল নিয়ে মারপিটের কথা বলেছিলেন। আজ ঢাকার একটি চার তারকা হোটেলে নারী ফুটবলের একটি প্রোগ্রামে তাবিথের কাছে সেই প্রসঙ্গ। উত্তরে সাংবাদিকদের বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘দেখুন আমরা যারা ফুটবল নিয়ে কাজ করি বা ফুটবলটাকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে জাগ্রত করার চেষ্টা করছি, যখনই আমরা ফুটবল নিয়ে কোন নেতিবাচক কমেন্ট আমরা শুনি, অবশ্যই আমরা ব্যথিত হই এবং আঘাতপ্রাপ্ত হই। তাও কদিন আগে আমাদের ক্রিকেট কনফারেন্সের সময় আমরা একটা বক্তব্য শুনেছিলাম যেটা ফুটবলের বিরুদ্ধে যায় এবং খেলোয়াড়দের ওপর অপমানজনক একটা মন্তব্য করা হয়েছে। তার প্রসঙ্গে আমি ব্যক্তিগত প্যাডে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিসিবি সভাপতির কাছে একটা চিঠি পাঠিয়েছি।’
আসিফের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বাফুফে একটা চিঠি এরই মধ্যে পাঠিয়েছে বিসিবির কাছে। চিঠির জবাবে বিসিবি একটা সমাধানের পথ খুঁজে দেবে বলে আশা তাবিথের। ঢাকার একটি চার তারকা হোটেলে নারী ফুটবলের একটি প্রোগ্রামে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আশা করি, এই চিঠির উত্তরে আমরা অনেক ব্যাপারে স্পষ্ট জানতে পারব। যখন স্পষ্ট কিছু জানতে পারব বা বিসিবির অবস্থান আমরা জানতে পারব, সেখানে সমাধানের একটা পথ খুঁজে নেব। আমরা সবাই খেলোয়াড়। আমরা সবাই ক্রীড়াবিদ। আর আমাদের সকল ফেডারেশনের দায়িত্ব হলো ঐক্যবদ্ধ থাকা। তা আমরা চাইব না কোনো একটা ইস্যুতে বা কোনো কারোর ইস্যুতে সেটা আমাদের আমাদের বিভক্ত করে ফেলে। অতি শীঘ্রই আপনারা দেখবেন যে সকল ক্রীড়া ফেডারেশন এক হয়ে বাংলাদেশের জন্য এবং বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য আমরা কাজ করছি।’
দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেট কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া কর্মকর্তাদের নিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে বিসিবির দুই দিনব্যাপী ক্রিকেট কনফারেন্স। গতকাল ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ক্রিকেট কনফারেন্সের প্রথম দিনে বিসিবি পরিচালক ও সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেছিলেন, ‘ফুটবলারদের জন্য (ক্রিকেট) খেলা যাচ্ছে না সারা দেশে। তারা উইকেট ভেঙে ফেলল, উইকেট নষ্ট করে ফেলেছে। আবার ২৪ তারিখ আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল খেলা কুমিল্লা স্টেডিয়ামে। এই সমস্যাটা শুধু কুমিল্লার না। প্রতিটা জেলার স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে ফুটবল, প্রতিটা জেলার যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও ফুটবল দখল করে রেখেছে এবং ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ।’ তাঁর এমন মন্তব্যের পর নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশের ফুটবল অঙ্গনে। বিসিবির এই পরিচালক ক্ষমা না চাইলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন ফুটবলাররা।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পর কেটে গেছে চার বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু যে ক্লাবে তিনি প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন, তাঁর ‘মেসি’ হয়ে ওঠা যেখানে, সেই জায়গা কি এত সহজেই স্মৃতি থেকে ‘ডিলিট’ করা সম্ভব! দীর্ঘদিন পর ফিরে মেসি নস্টালজিক হয়ে পড়লেন।
৪ ঘণ্টা আগে
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হাঁটিহাঁটি পায়ে শুরু হয় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা। ২৫ বছরে ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি কেনা
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি ও ভিত্তি তৈরি করা।
নারী কোচের বর্তমান সংখ্যা নিয়ে সাইমন বলেন, ‘আমরা একটা জরিপ করেছি। সেখানে দেখা গেছে নারী-পুরুষ লিগ মিলিয়ে নারী কোচের সংখ্যা মাত্র ২২ শতাংশ। আমরা এই চার বছরে অনেক নারী কোচ বাড়াতে চাই।’ বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ফিফার এই উদ্যোগের সঙ্গে বাফুফে সম্পৃক্ত হতে পেরে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ফুটবলে কার্যকর পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন, ‘নারী ফুটবলে আমাদের ক্লাব সংখ্যা কম। নারীদের ঘরোয়া লিগ বাড়ানো, তাদের আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করব। ফিফা আমাদের টেকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করবে।’
বাফুফে ২০২৫-২৮ সালে নারী ফুটবলে কী কী করতে চায় সেই পরিকল্পনা ডিসপ্লেও করেনি কিংবা পুরোপুরি প্রকাশও করেনি। মাঠের খেলা বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ফুটবলারদের সুরক্ষার বিষয়টিও বাফুফে সভাপতি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু নারী ফুটবলারদের খেলার মান উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ থাকব না। নারী হিসেবে তাদের সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতার পাশেও দাঁড়াব। অনেক সময় নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়। আমরা সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা, মরক্কো দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন। মরক্কো দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে মরক্কো সব সময় পাশে থাকবে।’ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফল্য আনছে এটা আসলেই বেশ গর্বের বিষয়।’
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ব্যাংক। আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকা ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, ‘ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত। আগামী দিনেও ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলারদের সাথে থাকবে।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ফিফা কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের পক্ষে জার্সি তুলে দিয়েছেন।

বিশ্বজুড়ে নারী ফুটবলের প্রসারের লক্ষ্যে ‘এমপাওয়ার হার’ নামে এক বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফিফা। এশিয়ান অঞ্চলে নারী ফুটবলে উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান সাইমন আন্তোনির উপস্থিতিতে ২০২৫-২৮ চক্রের সেই পরিকল্পনায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ, বাণিজ্যিক উন্নয়ন বৃদ্ধি ও ভিত্তি তৈরি করা।
নারী কোচের বর্তমান সংখ্যা নিয়ে সাইমন বলেন, ‘আমরা একটা জরিপ করেছি। সেখানে দেখা গেছে নারী-পুরুষ লিগ মিলিয়ে নারী কোচের সংখ্যা মাত্র ২২ শতাংশ। আমরা এই চার বছরে অনেক নারী কোচ বাড়াতে চাই।’ বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ফিফার এই উদ্যোগের সঙ্গে বাফুফে সম্পৃক্ত হতে পেরে বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই উদ্যোগের মাধ্যমে নারী ফুটবলে কার্যকর পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মনে করেন, ‘নারী ফুটবলে আমাদের ক্লাব সংখ্যা কম। নারীদের ঘরোয়া লিগ বাড়ানো, তাদের আরও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা করব। ফিফা আমাদের টেকনিক্যাল ও আর্থিকভাবে সহায়তা করবে।’
বাফুফে ২০২৫-২৮ সালে নারী ফুটবলে কী কী করতে চায় সেই পরিকল্পনা ডিসপ্লেও করেনি কিংবা পুরোপুরি প্রকাশও করেনি। মাঠের খেলা বৃদ্ধির পাশাপাশি নারী ফুটবলারদের সুরক্ষার বিষয়টিও বাফুফে সভাপতি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু নারী ফুটবলারদের খেলার মান উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ থাকব না। নারী হিসেবে তাদের সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতার পাশেও দাঁড়াব। অনেক সময় নারীরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়। আমরা সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেব।’
আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা, মরক্কো দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত ছিলেন। মরক্কো দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উন্নয়নে মরক্কো সব সময় পাশে থাকবে।’ আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা সাফল্য আনছে এটা আসলেই বেশ গর্বের বিষয়।’
বাংলাদেশের নারী ফুটবলে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ব্যাংক। আজকের অনুষ্ঠানে ঢাকা ব্যাংকের প্রতিনিধি বলেন, ‘ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্বিত। আগামী দিনেও ঢাকা ব্যাংক নারী ফুটবলারদের সাথে থাকবে।’ বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের তারকা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ফিফা কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের পক্ষে জার্সি তুলে দিয়েছেন।

এখন পর্যন্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শরীফুল ইসলাম ৬ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ২০২৫ বিপিএলের শেষ দিকে ছন্দে ফিরেছেন, ডিপিএলে সেটা ধরে রেখেছেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠা, তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাল রাতে শরীফুল কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
২৩ মার্চ ২০২৫
লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পর কেটে গেছে চার বছরেরও বেশি সময়। কিন্তু যে ক্লাবে তিনি প্রায় দুই দশক কাটিয়েছেন, তাঁর ‘মেসি’ হয়ে ওঠা যেখানে, সেই জায়গা কি এত সহজেই স্মৃতি থেকে ‘ডিলিট’ করা সম্ভব! দীর্ঘদিন পর ফিরে মেসি নস্টালজিক হয়ে পড়লেন।
৪ ঘণ্টা আগে
টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হাঁটিহাঁটি পায়ে শুরু হয় টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা। ২৫ বছরে ঐতিহাসিক কিছু মুহূর্ত নিয়ে ‘মেমোরেবল ম্যাচ টিকেটস’ নামে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি কেনা
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মধ্যে ‘যুদ্ধ’ লেগে গেছে। যুদ্ধের কারণ আসিফ আকবরের ফুটবল নিয়ে ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য। আলোড়ন তোলা এই বক্তব্যের পর খেপেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
৪ ঘণ্টা আগে