নিজস্ব প্রতিবেদক
শুরুটা হয়েছিল মিরপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে জাতীয় পতাকা গেড়ে পাকিস্তান দলের অনুশীলনকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে বাংলাদেশে হয়েছে বিস্তর সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবাই ব্যাপারটিকে এড়িয়ে গেলেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ব্যাখ্যা দিয়েছে নিজেদের মতো করে। শেষমেশ জল আর বেশি দূর গড়ায়নি।
কিন্তু খোদ এ দেশের নাগরিক যখন পাকিস্তানের জার্সি গায়ে, পতাকা হাতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা আউট হলে কিংবা ফখর জামান ছক্কা মারলে উল্লাস করেন; তখন দেশপ্রেমী বাংলাদেশিদের খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টির পর এ দেশের পাকিস্তানি সমর্থকদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজের কষ্টের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন মাশরাফি মুর্তজা। দল জিতুক বা হারুক, নিজেদের মাঠে শুধু বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে বলেছিলেন দেশের ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক।
তবু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কজন বাংলাদেশি নাগরিক। এবার তাই আর কোনো নীরব প্রতিবাদ নয়, রীতিমতো গণপিটুনি দিতে উদ্যত হন বাংলাদেশের ভক্তেরা।
শেরেবাংলার গ্যালারিতে পাকিস্তানের জার্সি পরে খেলা দেখছিলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। ব্যাপারটি চোখে পড়তেই তাঁকে জার্সি খুলে পায়ের নিচে রাখতে বলেন বাংলাদেশি সমর্থকেরা। প্রথমে তিনি জার্সি খুলতে অপারগতা জানালে তাঁর গায়ে হাত তুলতে যান দেশের পতাকার রঙে সেজে আসা এক ব্যক্তি। এ সময় পাকিস্তান-ভক্তকে তিনি বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আর তুই এখানে পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে এসেছিস। তোর লজ্জা লাগে না?’ পাশে থাকা অন্য বাংলাদেশি ভক্তেরাও তাঁকে চাপ দিলে একপর্যায়ে পাকিস্তানের জার্সি খুলে ফেলতে বাধ্য হন তিনি। ঘটনাটির ভিডিও মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
পাকিস্তানের এবারের সফরের শুরু থেকেই বাংলাদেশিদের ব্যর্থতায় খোদ এ দেশেরই দর্শকদের মাঠে উচ্ছ্বাস করতে দেখে বোঝার উপায় নেই খেলাটা এ দেশে হচ্ছে নাকি অন্য কোনো দেশে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও এ দেশে তাঁদের অনেক সমর্থক পেয়ে আনন্দিত। আর দেশটির টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর জামান তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কজন বাংলাদেশির পাকিস্তানের পতাকা হাতে ও জার্সি গায়ে ছবি আপলোড করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘তোমরা আমাদের গৌরবান্বিত করেছ। যেন ঘরের মাঠে খেলার অনুভূতি হচ্ছে!’
যদিও এসব ছবিতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনেক কাশ্মীরিকেও দেখা গেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছে কয়েক হাজার কাশ্মীরি। মূলত তাঁরাই পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে মাঠে এসেছিলেন। কেউ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশি সহপাঠীদের।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
শুরুটা হয়েছিল মিরপুরে বিসিবি একাডেমি মাঠে জাতীয় পতাকা গেড়ে পাকিস্তান দলের অনুশীলনকে কেন্দ্র করে। এ নিয়ে বাংলাদেশে হয়েছে বিস্তর সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবাই ব্যাপারটিকে এড়িয়ে গেলেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ব্যাখ্যা দিয়েছে নিজেদের মতো করে। শেষমেশ জল আর বেশি দূর গড়ায়নি।
কিন্তু খোদ এ দেশের নাগরিক যখন পাকিস্তানের জার্সি গায়ে, পতাকা হাতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা আউট হলে কিংবা ফখর জামান ছক্কা মারলে উল্লাস করেন; তখন দেশপ্রেমী বাংলাদেশিদের খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টির পর এ দেশের পাকিস্তানি সমর্থকদের কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজের কষ্টের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন মাশরাফি মুর্তজা। দল জিতুক বা হারুক, নিজেদের মাঠে শুধু বাংলাদেশের পতাকা ওড়াতে বলেছিলেন দেশের ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক।
তবু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কজন বাংলাদেশি নাগরিক। এবার তাই আর কোনো নীরব প্রতিবাদ নয়, রীতিমতো গণপিটুনি দিতে উদ্যত হন বাংলাদেশের ভক্তেরা।
শেরেবাংলার গ্যালারিতে পাকিস্তানের জার্সি পরে খেলা দেখছিলেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। ব্যাপারটি চোখে পড়তেই তাঁকে জার্সি খুলে পায়ের নিচে রাখতে বলেন বাংলাদেশি সমর্থকেরা। প্রথমে তিনি জার্সি খুলতে অপারগতা জানালে তাঁর গায়ে হাত তুলতে যান দেশের পতাকার রঙে সেজে আসা এক ব্যক্তি। এ সময় পাকিস্তান-ভক্তকে তিনি বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। আর তুই এখানে পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে এসেছিস। তোর লজ্জা লাগে না?’ পাশে থাকা অন্য বাংলাদেশি ভক্তেরাও তাঁকে চাপ দিলে একপর্যায়ে পাকিস্তানের জার্সি খুলে ফেলতে বাধ্য হন তিনি। ঘটনাটির ভিডিও মুহূর্তেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
পাকিস্তানের এবারের সফরের শুরু থেকেই বাংলাদেশিদের ব্যর্থতায় খোদ এ দেশেরই দর্শকদের মাঠে উচ্ছ্বাস করতে দেখে বোঝার উপায় নেই খেলাটা এ দেশে হচ্ছে নাকি অন্য কোনো দেশে।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও এ দেশে তাঁদের অনেক সমর্থক পেয়ে আনন্দিত। আর দেশটির টপ অর্ডার ব্যাটার ফখর জামান তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কজন বাংলাদেশির পাকিস্তানের পতাকা হাতে ও জার্সি গায়ে ছবি আপলোড করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, ‘তোমরা আমাদের গৌরবান্বিত করেছ। যেন ঘরের মাঠে খেলার অনুভূতি হচ্ছে!’
যদিও এসব ছবিতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অনেক কাশ্মীরিকেও দেখা গেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছে কয়েক হাজার কাশ্মীরি। মূলত তাঁরাই পাকিস্তানকে সমর্থন দিতে মাঠে এসেছিলেন। কেউ সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশি সহপাঠীদের।
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপের ম্যাচ নিয়ে নাটক তো কম হচ্ছে না। দুই দলকে এক গ্রুপে রাখা নিয়ে চলছে সমালোচনা। এমনকি তাদের মাঠে নামার সময় যখন ঘনিয়ে আসছে, সেই মুহূর্তে তাদের ম্যাচ বাতিলের আবেদনও করা হয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
১০ মিনিট আগে২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতে যাচ্ছে নতুন ইতিহাস। মেয়েদের বৈশ্বিক এই ইভেন্টে ম্যাচ কর্মকর্তাদের সবাই নারী। এই ইতিহাসের অংশ হলেন বাংলাদেশের সাথিরা জাকির জেসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) আজ সেটা নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মাঠে গড়াতে আর বেশি সময় বাকি নেই। সূচি অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই ম্যাচ। ভক্ত-সমর্থকেরা যখন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়, তখনই বেধেছে এক ঝামেলা।
৩ ঘণ্টা আগেনেপালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে দুই দিন আটকে থাকার পর অবশেষে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাঁদের ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে। একই ফ্লাইটে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও দেশে ফিরেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে