ভূমিকা বদলেছে, তবে খেলোয়াড়ি জীবনের স্বভাব থেকে যে এখনো বের হতে পারেননি সনাথ জয়াসুরিয়া। এবারের ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজ দেখলেই অনেকে সেটা বুঝতে পারবেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেও ডাগআউটে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে লঙ্কান তারকা ব্যাটারকে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ভুলে তাঁর (জয়াসুরিয়া) মুখ যেমন ভার হয়েছে, তেমনি লঙ্কান ক্রিকেটারদের উদযাপনের সময়ও ডাগআউটে বুনো উল্লাস করেছেন।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই চারিথ আসালাঙ্কার কাঁধে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়। নতুন অধিনায়কের অধীনে শ্রীলঙ্কা ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। দলীয় স্কোর, জয়ের ব্যবধান—সব ক্ষেত্রেই লঙ্কানদের উন্নতির ছাপ দেখা গেছে। প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্যভাবে টাইয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানরা পায় ৩২ রানের জয়। তৃতীয় ওয়ানডেতে গতকাল ভারতকে ১১০ রানে হারিয়ে ২৭ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে লঙ্কানরা। কুলদীপ যাদবকে এলবিডব্লু করে ভারতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দুনিথ ভেল্লালাগে। জোয়েল উইলসন আঙুল তুলতেই কলম্বোর প্রেমাদাসায় দর্শকদের গর্জন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। আবেগে আপ্লুত জয়াসুরিয়াও তাঁর হাসি থামাতে পারছিলেন না।
শ্রীলঙ্কা সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ ভারতের বিপক্ষে জিতেছে ১৯৯৭ সালে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সেই সিরিজে ২১০ রান করেছিলেন জয়াসুরিয়া। কলম্বোতে গত রাতে যখন আরেকটি ইতিহাসের সাক্ষী হলেন, তখন মনে করেছেন ২৭ বছরের পুরোনো স্মৃতি। সিরিজ জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসালাঙ্কা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন জয়াসুরিয়াকে। জয়াসুরিয়া পুরোনো স্মৃতিচারণ করে ম্যাচ শেষে সম্প্রচারককে বলেন, ‘এটা অনেক দীর্ঘ এক সময়। ১৯৯৭ সালের সেই সিরিজে আমি খেলেছি এবং অনেক রান করেছি। ভারতের বিপক্ষে সেই সিরিজে সবশেষ জিতেছি। ২৭ বছর পর আবার জয়ী দলের অংশ হলাম।’
কলম্বোতে গত রাতে শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে ভারতের ৩০ উইকেটের ২৭টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা। সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান লেগস্পিনার জেফরি ভ্যান্ডারসে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছিটকে গেলে তাঁর পরিবর্তে ২ ম্যাচ খেলেই ঝলক দেখিয়েছেন ভ্যান্ডারসে। ৭ উইকেট ও ১০৭ রান অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজসেরা হয়েছেন ভেল্লালাগে। আসালাঙ্কা ব্যাটিংয়ে না পারলেও বোলিংয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন। ২.৮৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। আসালাঙ্কাদের প্রশংসা করে জয়াসুরিয়া বলেন,‘এসব ছেলেদের সঙ্গে থাকতে পেরে সত্যিই অনেক খুশি। তারা অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। পুরো দেশ দেখেছে আমরা কী করতে পারি।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়ে ভারত সিরিজ শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে শিষ্যদের অভয় দিয়েছিলেন জয়াসুরিয়া। দুঃসময় কাটিয়ে লঙ্কানরা গতকাল যখন আনন্দ উদযাপন করছিল, তখন কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন,‘ছেলেরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ভালো খেলেছি। তবে ফল প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। খেলোয়াড়েরা বুঝতে পেরেছে যে ভুল কোথায় হয়েছে। কলম্বোতে ফেরার পরই তারা দারুণ খেলতে থাকে।’
আরও পড়ুন:
ভূমিকা বদলেছে, তবে খেলোয়াড়ি জীবনের স্বভাব থেকে যে এখনো বের হতে পারেননি সনাথ জয়াসুরিয়া। এবারের ভারত-শ্রীলঙ্কা সিরিজ দেখলেই অনেকে সেটা বুঝতে পারবেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হলেও ডাগআউটে বেশ সক্রিয় দেখা গেছে লঙ্কান তারকা ব্যাটারকে। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ভুলে তাঁর (জয়াসুরিয়া) মুখ যেমন ভার হয়েছে, তেমনি লঙ্কান ক্রিকেটারদের উদযাপনের সময়ও ডাগআউটে বুনো উল্লাস করেছেন।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজেই চারিথ আসালাঙ্কার কাঁধে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে দলের নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়। নতুন অধিনায়কের অধীনে শ্রীলঙ্কা ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছে। দলীয় স্কোর, জয়ের ব্যবধান—সব ক্ষেত্রেই লঙ্কানদের উন্নতির ছাপ দেখা গেছে। প্রথম ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্যভাবে টাইয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানরা পায় ৩২ রানের জয়। তৃতীয় ওয়ানডেতে গতকাল ভারতকে ১১০ রানে হারিয়ে ২৭ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে লঙ্কানরা। কুলদীপ যাদবকে এলবিডব্লু করে ভারতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন দুনিথ ভেল্লালাগে। জোয়েল উইলসন আঙুল তুলতেই কলম্বোর প্রেমাদাসায় দর্শকদের গর্জন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। আবেগে আপ্লুত জয়াসুরিয়াও তাঁর হাসি থামাতে পারছিলেন না।
শ্রীলঙ্কা সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ ভারতের বিপক্ষে জিতেছে ১৯৯৭ সালে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের সেই সিরিজে ২১০ রান করেছিলেন জয়াসুরিয়া। কলম্বোতে গত রাতে যখন আরেকটি ইতিহাসের সাক্ষী হলেন, তখন মনে করেছেন ২৭ বছরের পুরোনো স্মৃতি। সিরিজ জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসালাঙ্কা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন জয়াসুরিয়াকে। জয়াসুরিয়া পুরোনো স্মৃতিচারণ করে ম্যাচ শেষে সম্প্রচারককে বলেন, ‘এটা অনেক দীর্ঘ এক সময়। ১৯৯৭ সালের সেই সিরিজে আমি খেলেছি এবং অনেক রান করেছি। ভারতের বিপক্ষে সেই সিরিজে সবশেষ জিতেছি। ২৭ বছর পর আবার জয়ী দলের অংশ হলাম।’
কলম্বোতে গত রাতে শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজে ভারতের ৩০ উইকেটের ২৭টিই নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা। সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়েছেন লঙ্কান লেগস্পিনার জেফরি ভ্যান্ডারসে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ছিটকে গেলে তাঁর পরিবর্তে ২ ম্যাচ খেলেই ঝলক দেখিয়েছেন ভ্যান্ডারসে। ৭ উইকেট ও ১০৭ রান অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিরিজসেরা হয়েছেন ভেল্লালাগে। আসালাঙ্কা ব্যাটিংয়ে না পারলেও বোলিংয়ে পুষিয়ে দিয়েছেন। ২.৮৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। আসালাঙ্কাদের প্রশংসা করে জয়াসুরিয়া বলেন,‘এসব ছেলেদের সঙ্গে থাকতে পেরে সত্যিই অনেক খুশি। তারা অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার। পুরো দেশ দেখেছে আমরা কী করতে পারি।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়ে ভারত সিরিজ শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে শিষ্যদের অভয় দিয়েছিলেন জয়াসুরিয়া। দুঃসময় কাটিয়ে লঙ্কানরা গতকাল যখন আনন্দ উদযাপন করছিল, তখন কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন,‘ছেলেরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমরা ভালো খেলেছি। তবে ফল প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। খেলোয়াড়েরা বুঝতে পেরেছে যে ভুল কোথায় হয়েছে। কলম্বোতে ফেরার পরই তারা দারুণ খেলতে থাকে।’
আরও পড়ুন:
চোট যেন লিওনেল মেসির এখন মহাশত্রু। মূল একাদশ তো দূরে থাক, বদলি খেলোয়াড় হিসেবেও খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। ইন্টার মায়ামির সবশেষ দুই ম্যাচই তিনি মিস করেছেন।
২১ মিনিট আগে২০২৫-২৬ মৌসুমের লা লিগা শুরু হচ্ছে আগামীকাল। নতুন মৌসুম শুরুর আগেই ঝামেলায় পড়েছে বার্সেলোনা। মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন বিরোধ কাটিয়ে বার্সেলোনার অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর চোটই দলকে বেশি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইমাম-উল-হক সবশেষ খেলেছেন এ বছরের এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। তবে ২০১৭ সালে পাকিস্তানের জার্সিতে অভিষেক হওয়ার পর তিন সংস্করণ মিলে কোনোমতে ১০০-এর বেশি ম্যাচ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা ইমাম ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন।
২ ঘণ্টা আগেমিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে তুমুল সমালোচিত কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে কদিন আগে। বিসিবির হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্টের প্রধান হয়ে বিসিবিতে এসেছেন টনি হেমিং। পরশু মিরপুরে এসে ঘুরে ঘুরে উইকেটগুলো দেখেন হেমিং। উইকেটের পাশে পুঁইশাকের বাগান দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে