ইংলিশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ থেকে ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হয়ে ওঠাই বলে দেয়, বেন স্টোকস কত দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলেছেন; মাঠের বাইরের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ছেড়ে বাইশ গজে শতভাগ নিংড়ে দিয়েছেন।
তবে ভালো-মন্দ সবকিছুরই শেষ আছে। স্টোকস এই চিরন্তন সত্যি মনে করেই বোধহয় ধীরে ধীরে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। ‘ধীর’ সিদ্ধান্তের প্রথম পদক্ষেপটা একটু তাড়াতাড়িই নিয়ে ফেলেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। ক্রিকেটের জন্মদাতাদের প্রথমবার সত্যিকারের বিশ্ব জয়ের (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার মহানায়ক যে ওয়ানডে সংস্করণকেই সবার আগে বিদায় জানিয়েছেন! বিদায়ের মঞ্চ হিসেবেও যথাযথ জায়গাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড ছেড়ে ইংল্যান্ডে আসার পর যে ডারহামকে ‘ঘর’ বানিয়েছিলেন, যে কাউন্টি দলকে আপন করে নিয়েছিলেন; দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ডারহামের মাঠ চেস্টার লি স্ট্রিটেই গত রাতে নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেছেন।
তবে ৩১ বছর বয়সী স্টোকস মনে করেন, সিদ্ধান্তটা যথাসময়েই নিয়েছেন তিনি। ব্যস্ত সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন সংস্করণেই খেলা চালিয়ে যাওয়া তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ছিল। বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালকে তারকা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মানুষকে অতিমাত্রায় ক্রিকেট ঠেসে দেওয়া হচ্ছে। (ঠাসা সূচিতে) তিন সংস্করণ চালিয়ে যাওয়া ভীষণ কঠিন। আমরা গাড়ি নই যে, জ্বালানি ভরিয়ে চলতে থাকব। ফুরিয়ে গেলে আবার ভরিয়ে নেব ও চলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখব।’
এ বছরের জুনে নিজের আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু করেছে ইংল্যান্ড। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি গিয়ে যা শেষ হবে। এ সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৩ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। আগামী এক বছরে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে খেলায় ব্যস্ত থাকতে হবে ১০০ দিনেরও বেশি। এ ছাড়া কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ, রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপ, ভাইটালিটি টি-২০ ব্লাস্ট, দ্য হানড্রেডের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট তো আছেই।
মানসিক অবসাদে ছয় মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা স্টোকস এই চাপ আর নিতে পারছিলেন না। তার ওপর টেস্টের নেতৃত্ব ভার পাওয়ায় ও সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় এই দুই সংস্করণেই বেশি মনোযোগী হতে চাইছিলেন তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরই অবসরের সিদ্ধান্তটা স্টুয়ার্ট ব্রডকে জানিয়েছিলাম। সে ৩৬ বছর বয়সেও টেস্ট খেলছে। কারণ, ২০১৬ সালের পর আর ওয়ানডে খেলেনি। আমার বয়সও যখন ৩৬ হবে, তখন পেছনে ফিরে এই মুহূর্তের কথা স্মরণ করব। বলতে পারব, ঠিক সময়ে ওয়ানডে ছেড়েছি বলেই এখনো টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি।’
আগামী বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ধরে রাখার অভিযানে নামবে ইংল্যান্ড। আইপিএল খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকায় স্টোকসকে খুব করে পেতে চাইবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। দলের প্রয়োজনে আবার ফিরবেন কি না—এমন প্রশ্নে স্টোকসের ভাষ্য, ‘এই সংস্করণ অনেক দিন ধরে না খেলা একজনের হুট করে দলে ঢুকে পড়া উচিত হবে না। এতে করে যার সুযোগ পাওয়ার কথা, তার প্রতি অবিচার করা হবে। আমি হয়তো সেটা করতে চাইব না। কিন্তু আইসিসি ইভেন্ট বলে কথা। দল চাইলে আমি হ্যাঁ বলে দিতেও (ফিরতেও) পারি।’
ইংলিশ ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ থেকে ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হয়ে ওঠাই বলে দেয়, বেন স্টোকস কত দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলেছেন; মাঠের বাইরের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ছেড়ে বাইশ গজে শতভাগ নিংড়ে দিয়েছেন।
তবে ভালো-মন্দ সবকিছুরই শেষ আছে। স্টোকস এই চিরন্তন সত্যি মনে করেই বোধহয় ধীরে ধীরে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। ‘ধীর’ সিদ্ধান্তের প্রথম পদক্ষেপটা একটু তাড়াতাড়িই নিয়ে ফেলেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। ক্রিকেটের জন্মদাতাদের প্রথমবার সত্যিকারের বিশ্ব জয়ের (ওয়ানডে বিশ্বকাপ) স্বাদ পাইয়ে দেওয়ার মহানায়ক যে ওয়ানডে সংস্করণকেই সবার আগে বিদায় জানিয়েছেন! বিদায়ের মঞ্চ হিসেবেও যথাযথ জায়গাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড ছেড়ে ইংল্যান্ডে আসার পর যে ডারহামকে ‘ঘর’ বানিয়েছিলেন, যে কাউন্টি দলকে আপন করে নিয়েছিলেন; দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ডারহামের মাঠ চেস্টার লি স্ট্রিটেই গত রাতে নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেছেন।
তবে ৩১ বছর বয়সী স্টোকস মনে করেন, সিদ্ধান্তটা যথাসময়েই নিয়েছেন তিনি। ব্যস্ত সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন সংস্করণেই খেলা চালিয়ে যাওয়া তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ছিল। বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালকে তারকা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মানুষকে অতিমাত্রায় ক্রিকেট ঠেসে দেওয়া হচ্ছে। (ঠাসা সূচিতে) তিন সংস্করণ চালিয়ে যাওয়া ভীষণ কঠিন। আমরা গাড়ি নই যে, জ্বালানি ভরিয়ে চলতে থাকব। ফুরিয়ে গেলে আবার ভরিয়ে নেব ও চলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখব।’
এ বছরের জুনে নিজের আন্তর্জাতিক মৌসুম শুরু করেছে ইংল্যান্ড। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি গিয়ে যা শেষ হবে। এ সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২৩ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। আগামী এক বছরে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে খেলায় ব্যস্ত থাকতে হবে ১০০ দিনেরও বেশি। এ ছাড়া কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ, রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপ, ভাইটালিটি টি-২০ ব্লাস্ট, দ্য হানড্রেডের মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট তো আছেই।
মানসিক অবসাদে ছয় মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা স্টোকস এই চাপ আর নিতে পারছিলেন না। তার ওপর টেস্টের নেতৃত্ব ভার পাওয়ায় ও সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় এই দুই সংস্করণেই বেশি মনোযোগী হতে চাইছিলেন তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরই অবসরের সিদ্ধান্তটা স্টুয়ার্ট ব্রডকে জানিয়েছিলাম। সে ৩৬ বছর বয়সেও টেস্ট খেলছে। কারণ, ২০১৬ সালের পর আর ওয়ানডে খেলেনি। আমার বয়সও যখন ৩৬ হবে, তখন পেছনে ফিরে এই মুহূর্তের কথা স্মরণ করব। বলতে পারব, ঠিক সময়ে ওয়ানডে ছেড়েছি বলেই এখনো টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি।’
আগামী বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ধরে রাখার অভিযানে নামবে ইংল্যান্ড। আইপিএল খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকায় স্টোকসকে খুব করে পেতে চাইবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। দলের প্রয়োজনে আবার ফিরবেন কি না—এমন প্রশ্নে স্টোকসের ভাষ্য, ‘এই সংস্করণ অনেক দিন ধরে না খেলা একজনের হুট করে দলে ঢুকে পড়া উচিত হবে না। এতে করে যার সুযোগ পাওয়ার কথা, তার প্রতি অবিচার করা হবে। আমি হয়তো সেটা করতে চাইব না। কিন্তু আইসিসি ইভেন্ট বলে কথা। দল চাইলে আমি হ্যাঁ বলে দিতেও (ফিরতেও) পারি।’
৪ বছর পর ব্যাট হাতে নামলেন, তবে ব্রেন্ডন টেলর ভোলেননি নিজের সেই ক্ল্যাসিক ব্যাটিং। বুলাওয়েতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও জিম্বাবুয়ের নখদন্তহীন ব্যাটিং। ম্যাট হেনরির তোপেরমুখে ১২৫ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকেরা। দলের স্কোরের ৪৪ রানই টেলরের। সর্বোচ্চ বল মোকাবিলা (১০৭), সর্বোচ্চ মিনিট (১৪৩) ধরে
৪ ঘণ্টা আগেমিরপুরের মূল মাঠ থেকে শুরু করে গ্রিনহাউসের উইকেটগুলো—পছন্দ করছে না বিসিবিও। এমন অবস্থায় বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে শোকজ করেছেন। মাঠ ও উইকেট সংস্কারের জন্য ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তবে কাজের গতি দেখে বিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর কার হাতে উঠছে—সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। তার আগে আজ আয়োজকেরা প্রকাশ করেছেন ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকা।
৫ ঘণ্টা আগে৮ মাস ধরে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে নেই বাবর আজম। সবশেষ ১১ টি-টোয়েন্টিতে নেই ফিফটিও, তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়েও বিভিন্ন সময় সমালোচনা হয়। তরুণদের সঙ্গে বাবরকেও এখন লড়াই করতে হচ্ছে। হাসান নওয়াজ-সাইম আইয়ুবদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও হাই স্ট্রাইকরেট বাবরের পজিশনকে নড়বড়েই করে রেখেছে।
৬ ঘণ্টা আগে