বিজ্ঞান ডেস্ক
মহাকাশের যতটুকু স্থান পৃথিবীতে থাকা টেলিস্কোপ এবং বিভিন্ন স্পেসে থাকা টেলিস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা যায় তা অনেকটা বল আকৃতির। বর্তমান ধারণা অনুযায়ী মহাবিশ্বে দুই শত পঁচিশ বিলিয়ন থেকে দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি রয়েছে। অনেকগুলো স্টার সিস্টেম যখন মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তাকে গ্যালাক্সি বলে। আবার অনেকগুলো গ্যালাক্সি মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে কিছুটা কাছাকাছি থাকতে পারে। এই গ্যালাক্সি গ্রুপকে একত্রে গ্যালাক্সি ক্লাস্টার বলে। মহাকাশে গ্যালাক্সি থাকে যে স্থানে সেই জায়গাকে বলে কনস্টেলাশন। আর মহাকাশে গ্যালাকটিক দূরত্ব মাপা হয় আলোকবর্ষ অথবা কেপিসি (কিলো পার সেকেন্ড) এককের মাধ্যমে। কিছু কিছু গ্যালাক্সি আছে রাতের আকাশে বেশ উজ্জ্বলভাবে খালি চোখে দেখা যায়। নিচে এগুলোর কয়েকটির বর্ণনা দেওয়া হলো।
মিল্কিওয়ে
আমাদের সোলার সিস্টেম এই গ্যালাক্সিতে অবস্থিত। এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। মিল্কিওয়ে ২০০–৪০০ বিলিয়ন তারার সমন্বয়ে গঠিত। এটি মহাকাশের সাগিটারিয়াস কনস্টেলাশনে অবস্থিত। রাতের আকাশে এই গ্যালাক্সির তারাগুলোই বেশি করে দেখা যায়।
বড় ম্যাগেনালিক মেঘ
এটি মহাকাশের ডোরানো কনস্টেলাশনে অবস্থিত। এটির ব্যাস হচ্ছে ১৪,০০০ আলোকবর্ষ। শুধুমাত্র পৃথিবীর দক্ষিণ হেমিস্ফিয়ার থেকে এই গ্যালাক্সি দেখা যায়।
ছোট ম্যাগেনালিক মেঘ
এটি মহাকাশের টুকানা কনস্টেলাশনে অবস্থিত। এটির ব্যাস হচ্ছে ৭,০০০ আলোকবর্ষ। শুধুমাত্র পৃথিবীর দক্ষিণ হেমিস্ফিয়ার থেকে এই গ্যালাক্সি দেখা যায়।
অ্যান্ড্রমেডা গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। ৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পার্সিয়ান জ্যোতির্বিদ আল সুফি সর্বপ্রথম এই গ্যালাক্সির কথা উল্লেখ করেন। এটি ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এর মানে হলো ৭৭০ কিলো পার সেকেন্ড দূরে অবস্থিত এই গ্যালাক্সি। আমাদের মিল্কিওয়ের অন্যতম কাছাকাছি গ্যালাক্সি হচ্ছে অ্যান্ড্রমেডা গ্যালাক্সি।
ট্রিয়াংগুলুম গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে ২.৭৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এটির ব্যাস হচ্ছে ৬০,০০০ আলোকবর্ষ। এটি মহাকাশের ট্রিয়াংগুলুম কনস্টেলাশনে অবস্থিত।
সেন্টাউরুস এ
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে ১০–১৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এটির ব্যাস হচ্ছে ৬০,০০০ আলোকবর্ষ। স্কটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ১৮২৬ সালে এটি আবিষ্কার করেন। এটি মহাকাশের সেন্টাউরুস কনস্টেলাশনে অবস্থিত।
বোডস গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে ১২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এটির ব্যাস হচ্ছে ৯০,০০০ আলোকবর্ষ। এটির আকার তুলনামূলকভাবে বড় এবং অনেক বেশি উজ্জ্বল। এটি মহাকাশের উরসা মেজর কনস্টেলাশনে অবস্থিত।
স্কাল্পচার গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের মাঝামাঝি পর্যায়ের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি মহাকাশের স্কাল্পচার কনস্টেলাশনে অবস্থিত। এই গ্যালাক্সিটি হচ্ছে স্টারবাস্ট গ্যালাক্সি। সেই গ্যালাক্সিকেই স্টারবাস্ট গ্যালাক্সি বলা হয় যেখানে এখনো স্টার বা তারা তৈরির প্রক্রিয়া চলমান থাকে। খালি চোখে এই গ্যালাক্সি বেশ উজ্জ্বল দেখা যায়।
মহাকাশের যতটুকু স্থান পৃথিবীতে থাকা টেলিস্কোপ এবং বিভিন্ন স্পেসে থাকা টেলিস্কোপের সাহায্যে পর্যবেক্ষণ করা যায় তা অনেকটা বল আকৃতির। বর্তমান ধারণা অনুযায়ী মহাবিশ্বে দুই শত পঁচিশ বিলিয়ন থেকে দুই ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি রয়েছে। অনেকগুলো স্টার সিস্টেম যখন মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তাকে গ্যালাক্সি বলে। আবার অনেকগুলো গ্যালাক্সি মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে কিছুটা কাছাকাছি থাকতে পারে। এই গ্যালাক্সি গ্রুপকে একত্রে গ্যালাক্সি ক্লাস্টার বলে। মহাকাশে গ্যালাক্সি থাকে যে স্থানে সেই জায়গাকে বলে কনস্টেলাশন। আর মহাকাশে গ্যালাকটিক দূরত্ব মাপা হয় আলোকবর্ষ অথবা কেপিসি (কিলো পার সেকেন্ড) এককের মাধ্যমে। কিছু কিছু গ্যালাক্সি আছে রাতের আকাশে বেশ উজ্জ্বলভাবে খালি চোখে দেখা যায়। নিচে এগুলোর কয়েকটির বর্ণনা দেওয়া হলো।
মিল্কিওয়ে
আমাদের সোলার সিস্টেম এই গ্যালাক্সিতে অবস্থিত। এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। মিল্কিওয়ে ২০০–৪০০ বিলিয়ন তারার সমন্বয়ে গঠিত। এটি মহাকাশের সাগিটারিয়াস কনস্টেলাশনে অবস্থিত। রাতের আকাশে এই গ্যালাক্সির তারাগুলোই বেশি করে দেখা যায়।
বড় ম্যাগেনালিক মেঘ
এটি মহাকাশের ডোরানো কনস্টেলাশনে অবস্থিত। এটির ব্যাস হচ্ছে ১৪,০০০ আলোকবর্ষ। শুধুমাত্র পৃথিবীর দক্ষিণ হেমিস্ফিয়ার থেকে এই গ্যালাক্সি দেখা যায়।
ছোট ম্যাগেনালিক মেঘ
এটি মহাকাশের টুকানা কনস্টেলাশনে অবস্থিত। এটির ব্যাস হচ্ছে ৭,০০০ আলোকবর্ষ। শুধুমাত্র পৃথিবীর দক্ষিণ হেমিস্ফিয়ার থেকে এই গ্যালাক্সি দেখা যায়।
অ্যান্ড্রমেডা গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। ৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে পার্সিয়ান জ্যোতির্বিদ আল সুফি সর্বপ্রথম এই গ্যালাক্সির কথা উল্লেখ করেন। এটি ২.৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এর মানে হলো ৭৭০ কিলো পার সেকেন্ড দূরে অবস্থিত এই গ্যালাক্সি। আমাদের মিল্কিওয়ের অন্যতম কাছাকাছি গ্যালাক্সি হচ্ছে অ্যান্ড্রমেডা গ্যালাক্সি।
ট্রিয়াংগুলুম গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে ২.৭৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এটির ব্যাস হচ্ছে ৬০,০০০ আলোকবর্ষ। এটি মহাকাশের ট্রিয়াংগুলুম কনস্টেলাশনে অবস্থিত।
সেন্টাউরুস এ
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে ১০–১৬ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এটির ব্যাস হচ্ছে ৬০,০০০ আলোকবর্ষ। স্কটিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ১৮২৬ সালে এটি আবিষ্কার করেন। এটি মহাকাশের সেন্টাউরুস কনস্টেলাশনে অবস্থিত।
বোডস গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি পৃথিবী থেকে ১২ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। এটির ব্যাস হচ্ছে ৯০,০০০ আলোকবর্ষ। এটির আকার তুলনামূলকভাবে বড় এবং অনেক বেশি উজ্জ্বল। এটি মহাকাশের উরসা মেজর কনস্টেলাশনে অবস্থিত।
স্কাল্পচার গ্যালাক্সি
এটি এক ধরনের মাঝামাঝি পর্যায়ের সর্পিলাকার গ্যালাক্সি। এটি মহাকাশের স্কাল্পচার কনস্টেলাশনে অবস্থিত। এই গ্যালাক্সিটি হচ্ছে স্টারবাস্ট গ্যালাক্সি। সেই গ্যালাক্সিকেই স্টারবাস্ট গ্যালাক্সি বলা হয় যেখানে এখনো স্টার বা তারা তৈরির প্রক্রিয়া চলমান থাকে। খালি চোখে এই গ্যালাক্সি বেশ উজ্জ্বল দেখা যায়।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে