ধারণা করা হয়, ২ লাখ ৯৫ হাজার থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার বছর আগের মধ্যবর্তী সময়টিতে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বানর গোত্রের সবচেয়ে বড় প্রজাতিটি। আজকের দিনের ওরাংওটাংদের পূর্বসূরি বিবেচনা করা হয় ওই প্রজাতিটিকে। গিগান্টোপিথেকাস ব্ল্যাকি বা গিগ্যান্টো নামে পরিচিত ওই বনমানুষেরা ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতো এবং ওজন হতো ৩০০ কেজি পর্যন্ত।
নিউ সায়েন্টিস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিগ্যান্টোরা পৃথিবীর বুকে প্রায় ২০ লাখ বছর বেঁচে ছিল। ১৯৩৫ সালে হংকংয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী ওষুধের দোকানে একটি জীবাশ্ম দাঁত আবিষ্কারের সূত্র ধরে প্রথমবারের মতো ওই প্রজাতিটিকে নিয়ে নানা রহস্য ডালপালা ছড়ায়।
বিশাল আকারের ওই দাঁতটিকে প্রাথমিকভাবে ড্রাগনের বলে ধারণা করা হয়েছিল। পরে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, এটি আসলে একটি বানরের দাঁত!
এই প্রজাতি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কিরা ওয়েস্টওয়ে বলেন, ‘আপনি যখন তাদের নিয়ে চিন্তা করেন, তখন আপনি আসলে দৈত্যদের নিয়ে চিন্তা করেন। আর সাধারণত দৈত্যকার কিছু ভাবলে আপনার মাথায় আসে ডাইনোসরের কথা। তবে এটি একটি দৈত্য বানর।’
দৈত্যাকৃতির ওই বানরেরা কখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল—তা জানতে কিরা ওয়েস্টওয়ে ও তাঁর সহকর্মীরা দক্ষিণ চীনের গুয়াংজি প্রদেশের গুহা গুলোতে পরবর্তী সময়ে পাওয়া গিগ্যান্টোদের শত শত দাঁত এবং চারটি চোয়ালের টুকরো নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। দাঁত এবং হাড়ের মধ্যে ইউরেনিয়ামের মতো কিছু উপাদানের তেজস্ক্রিয় ক্ষয় দেখে গবেষকেরা মৃত্যুর পর কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে তা পরিমাপ করতে পারেন।
গবেষক দলটি ওই গুহাগুলোর মধ্যে পাওয়া অন্যান্য জীবাশ্ম যেমন পরাগ এবং পলির মতো উপাদানগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মত দিয়েছিলেন গিগ্যান্টোরা তৃণভোজী ছিল। এ সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ‘আমরা দেখেছি ২৩ লাখ বছর আগে সেখানকার পরিবেশটি বন এবং ঘাসের আবরণে আবৃত ছিল। এমন পরিবেশ গিগ্যান্টোদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আদর্শ ছিল।’
তবে জীবাশ্ম দাঁত নিয়ে গবেষণা করে এর মধ্যে গিগ্যান্টোদের প্রিয় খাবার না পাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী চাপের লক্ষণগুলো শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা দাবি করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গিগ্যান্টোদের স্বর্গরাজ্য ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করেছিল। পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারা এবং জলবায়ুর কারণে খাদ্য সম্ভারে যে পরিবর্তন এসেছিল—সেই পরিবর্তনই সম্ভবত গিগ্যান্টোদের দুর্ভাগ্য রচনা করেছিল বলে মনে করেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা লিখেছেন, ‘খাপ খাইয়ে নেওয়ার সংগ্রামের ফলে পৃথিবীতে বসবাসকারী সর্বশ্রেষ্ঠ বানরদের বিলুপ্তি ঘটেছে।’
গিগ্যান্টোদের বিলুপ্তির কারণ হিসেবে আরও একটি ধারণার সূত্রপাত হয়েছিল। ওই ধারণা অনুযায়ী, মানুষের সরাসরি পূর্বপুরুষ বিবেচনা করা হয় যে প্রজাতিটিকে—সেই হোমিনিনদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল গিগ্যান্টোরা। হোমিনিনরা দলে দলে গিগ্যান্টোদের শিকার করেছিল। তবে এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ধারণাটিকে নাকচ করে দিয়েছে গবেষক দলটি।
ধারণা করা হয়, ২ লাখ ৯৫ হাজার থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার বছর আগের মধ্যবর্তী সময়টিতে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বানর গোত্রের সবচেয়ে বড় প্রজাতিটি। আজকের দিনের ওরাংওটাংদের পূর্বসূরি বিবেচনা করা হয় ওই প্রজাতিটিকে। গিগান্টোপিথেকাস ব্ল্যাকি বা গিগ্যান্টো নামে পরিচিত ওই বনমানুষেরা ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতো এবং ওজন হতো ৩০০ কেজি পর্যন্ত।
নিউ সায়েন্টিস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিগ্যান্টোরা পৃথিবীর বুকে প্রায় ২০ লাখ বছর বেঁচে ছিল। ১৯৩৫ সালে হংকংয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী ওষুধের দোকানে একটি জীবাশ্ম দাঁত আবিষ্কারের সূত্র ধরে প্রথমবারের মতো ওই প্রজাতিটিকে নিয়ে নানা রহস্য ডালপালা ছড়ায়।
বিশাল আকারের ওই দাঁতটিকে প্রাথমিকভাবে ড্রাগনের বলে ধারণা করা হয়েছিল। পরে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, এটি আসলে একটি বানরের দাঁত!
এই প্রজাতি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কিরা ওয়েস্টওয়ে বলেন, ‘আপনি যখন তাদের নিয়ে চিন্তা করেন, তখন আপনি আসলে দৈত্যদের নিয়ে চিন্তা করেন। আর সাধারণত দৈত্যকার কিছু ভাবলে আপনার মাথায় আসে ডাইনোসরের কথা। তবে এটি একটি দৈত্য বানর।’
দৈত্যাকৃতির ওই বানরেরা কখন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল—তা জানতে কিরা ওয়েস্টওয়ে ও তাঁর সহকর্মীরা দক্ষিণ চীনের গুয়াংজি প্রদেশের গুহা গুলোতে পরবর্তী সময়ে পাওয়া গিগ্যান্টোদের শত শত দাঁত এবং চারটি চোয়ালের টুকরো নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। দাঁত এবং হাড়ের মধ্যে ইউরেনিয়ামের মতো কিছু উপাদানের তেজস্ক্রিয় ক্ষয় দেখে গবেষকেরা মৃত্যুর পর কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে তা পরিমাপ করতে পারেন।
গবেষক দলটি ওই গুহাগুলোর মধ্যে পাওয়া অন্যান্য জীবাশ্ম যেমন পরাগ এবং পলির মতো উপাদানগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মত দিয়েছিলেন গিগ্যান্টোরা তৃণভোজী ছিল। এ সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, ‘আমরা দেখেছি ২৩ লাখ বছর আগে সেখানকার পরিবেশটি বন এবং ঘাসের আবরণে আবৃত ছিল। এমন পরিবেশ গিগ্যান্টোদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আদর্শ ছিল।’
তবে জীবাশ্ম দাঁত নিয়ে গবেষণা করে এর মধ্যে গিগ্যান্টোদের প্রিয় খাবার না পাওয়ার দীর্ঘস্থায়ী চাপের লক্ষণগুলো শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা। তাঁরা দাবি করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গিগ্যান্টোদের স্বর্গরাজ্য ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করেছিল। পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারা এবং জলবায়ুর কারণে খাদ্য সম্ভারে যে পরিবর্তন এসেছিল—সেই পরিবর্তনই সম্ভবত গিগ্যান্টোদের দুর্ভাগ্য রচনা করেছিল বলে মনে করেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা লিখেছেন, ‘খাপ খাইয়ে নেওয়ার সংগ্রামের ফলে পৃথিবীতে বসবাসকারী সর্বশ্রেষ্ঠ বানরদের বিলুপ্তি ঘটেছে।’
গিগ্যান্টোদের বিলুপ্তির কারণ হিসেবে আরও একটি ধারণার সূত্রপাত হয়েছিল। ওই ধারণা অনুযায়ী, মানুষের সরাসরি পূর্বপুরুষ বিবেচনা করা হয় যে প্রজাতিটিকে—সেই হোমিনিনদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল গিগ্যান্টোরা। হোমিনিনরা দলে দলে গিগ্যান্টোদের শিকার করেছিল। তবে এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে ধারণাটিকে নাকচ করে দিয়েছে গবেষক দলটি।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
১ দিন আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
২ দিন আগেপ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
৩ দিন আগে