সাধারণত শুক্রাণুর গুণগত মান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমন শুক্রাণুর ঘনত্ব, নির্দিষ্ট পরিমাণ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ, শুক্রাণুর গতিশীলতা ও শুক্রাণুর সামগ্রিক অবস্থা কেমন তার ওপর। তবে অন্যান্য প্রভাবের বাইরে, মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মান কমে যাওয়ার ওপর মোবাইল ফোনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসারে, কোনো পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে দেড় কোটির কম হলে তার শুক্রাণু দিয়ে কোনো নারীর ডিম্বাণুর নিষিক্ত হতে ১ বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। আবার সামগ্রিকভাবে শুক্রাণুর পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে ৪ কোটির কম হলে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার হার অনেকটাই কমে যায়।
কয়েক দশক ধরে পরিচালিত একাধিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিগত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়েই পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত মান কমেছে। ৫০ বছর আগে যখন পুরুষদের গড়ে প্রতি মিলিলিটারে প্রায় ১০ কোটি (৯৯ মিলিয়ন) শুক্রাণু ছিল, সেখানে বর্তমানে তা গড়ে ৪ কোটি ৭০ লাখে নেমে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা আগে ধারণা করতেন, মানুষের শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণ যেমন মানুষের শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যকার কার্যক্রমের কমবেশি হওয়া, কীটনাশক শরীরে প্রবেশ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি মানুষের জীবনপ্রণালি যেমন খাদ্যাভ্যাস, মাদক, দুশ্চিন্তা ও ধূমপানও হয়তো শুক্রাণুর গুণগত মানে প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মানের ওপর মোবাইল ফোনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না, সে বিষয়ে গবেষণা চালান সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক। ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার গবেষকেরা ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী ২ হাজার ৮৮৬ জন তরুণের ওপর এই গবেষণা চালান। ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ওই গবেষণা চালানো হয়। সম্প্রতি গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি জার্নালে।
গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, ঘন ঘন মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মানুষের শুক্রাণুর ঘনত্বের সম্পর্ক রয়েছে। সপ্তাহে যাঁরা একবারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি, তাঁদের চেয়ে যাঁরা সপ্তাহে অন্তত ২০ বার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের শুক্রাণুর ঘনত্ব অনেকটাই কম। যাঁরা মাত্র একবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণু ছিল ৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন। পক্ষান্তরে যাঁরা ২০ বারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণু ছিল ৪৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। শতাংশের বিচারে বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের শুক্রাণু কম ২১ শতাংশ।
তবে মোবাইল ফোন পকেটে রাখলে কোনো প্রভাব পড়ে কি না, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এই গবেষণার অন্যতম গবেষক রিতা রাহবান বলেন, ট্রাউজারের পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে তা শুক্রাণুর নিম্ন গুণগত মানের বিষয়ে প্রভাব ফেলে এমন সরাসরি সম্পর্ক আমরা খুঁজে পাইনি। তবে যাঁরা কাছে রাখেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে আমরা ভালো ফল দেখেছি। কিন্তু সেটি খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়।
সাধারণত শুক্রাণুর গুণগত মান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। যেমন শুক্রাণুর ঘনত্ব, নির্দিষ্ট পরিমাণ বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ, শুক্রাণুর গতিশীলতা ও শুক্রাণুর সামগ্রিক অবস্থা কেমন তার ওপর। তবে অন্যান্য প্রভাবের বাইরে, মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মান কমে যাওয়ার ওপর মোবাইল ফোনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানদণ্ড অনুসারে, কোনো পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে দেড় কোটির কম হলে তার শুক্রাণু দিয়ে কোনো নারীর ডিম্বাণুর নিষিক্ত হতে ১ বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। আবার সামগ্রিকভাবে শুক্রাণুর পরিমাণ প্রতি মিলিলিটারে ৪ কোটির কম হলে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার হার অনেকটাই কমে যায়।
কয়েক দশক ধরে পরিচালিত একাধিক গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিগত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়েই পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত মান কমেছে। ৫০ বছর আগে যখন পুরুষদের গড়ে প্রতি মিলিলিটারে প্রায় ১০ কোটি (৯৯ মিলিয়ন) শুক্রাণু ছিল, সেখানে বর্তমানে তা গড়ে ৪ কোটি ৭০ লাখে নেমে এসেছে।
বিজ্ঞানীরা আগে ধারণা করতেন, মানুষের শরীরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণ যেমন মানুষের শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যকার কার্যক্রমের কমবেশি হওয়া, কীটনাশক শরীরে প্রবেশ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে প্রভাবিত করে। পাশাপাশি মানুষের জীবনপ্রণালি যেমন খাদ্যাভ্যাস, মাদক, দুশ্চিন্তা ও ধূমপানও হয়তো শুক্রাণুর গুণগত মানে প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি মানুষের শুক্রাণুর গুণগত মানের ওপর মোবাইল ফোনের কোনো প্রভাব রয়েছে কি না, সে বিষয়ে গবেষণা চালান সুইজারল্যান্ডের একদল গবেষক। ইউনিভার্সিটি অব জেনেভার গবেষকেরা ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সী ২ হাজার ৮৮৬ জন তরুণের ওপর এই গবেষণা চালান। ২০০৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ওই গবেষণা চালানো হয়। সম্প্রতি গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি জার্নালে।
গবেষণা থেকে উঠে এসেছে, ঘন ঘন মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে মানুষের শুক্রাণুর ঘনত্বের সম্পর্ক রয়েছে। সপ্তাহে যাঁরা একবারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি, তাঁদের চেয়ে যাঁরা সপ্তাহে অন্তত ২০ বার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের শুক্রাণুর ঘনত্ব অনেকটাই কম। যাঁরা মাত্র একবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণু ছিল ৫৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন। পক্ষান্তরে যাঁরা ২০ বারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতি মিলিলিটারে শুক্রাণু ছিল ৪৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। শতাংশের বিচারে বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের শুক্রাণু কম ২১ শতাংশ।
তবে মোবাইল ফোন পকেটে রাখলে কোনো প্রভাব পড়ে কি না, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এই গবেষণার অন্যতম গবেষক রিতা রাহবান বলেন, ট্রাউজারের পকেটে মোবাইল ফোন রাখলে তা শুক্রাণুর নিম্ন গুণগত মানের বিষয়ে প্রভাব ফেলে এমন সরাসরি সম্পর্ক আমরা খুঁজে পাইনি। তবে যাঁরা কাছে রাখেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে আমরা ভালো ফল দেখেছি। কিন্তু সেটি খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়া এক উল্কাপিণ্ডকে পৃথিবীর থেকেও প্রাচীন বলে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই উল্কাপিণ্ডের বয়স ৪৫৬ কোটি বছর—যা পৃথিবীর বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪৫৪ কোটি বছরের তুলনায় প্রায় ২ কোটি বছর বেশি।
১৭ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে।
১ দিন আগেমানববর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির
২ দিন আগেদুই বছর আগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে উদ্ধার হওয়া মঙ্গল গ্রহের বিরল উল্কাপিণ্ডটি গত মাসে নিউইয়র্কে নিলামে বিক্রি হয়েছে। এই উল্কাপিণ্ডটি বিক্রি হয়েছে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি দামে। ২৪ কেজি বেশি ওজনের পাথরটি সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া গেছে। তবে পাথরটি বেআইনিভাবে পাচার করা হতে পারে বলে দাবি কর
৩ দিন আগে