ঢাকা: হোক সে মাছরাঙা বা হাড়গিলা, কিংবা হোক পড়শি চড়ুই পাখিরা কিন্তু আছে পৃথিবীতে। অনেকেই চলে গেছে অভিমানে। অনেক প্রজাতি হয়তো এখন চোখে পড়ে কম। কিন্তু এখনো ঘুরে ঘুরে পৃথিবীর আকাশ মন্থনের জন্য, মানুষের উড়তে না পারার আক্ষেপ জন্মানোর জন্য পাখিরা ঠিকই আছে। কিন্তু কত পাখি আছে? গবেষকেরা বলছেন, সংখ্যাটি প্রায় ৫ হাজার কোটি।
কত রাজ্যের পাখি যে আছে! কত যে তার ডানার রকমফের, সে বলে শেষ করা যাবে না। ‘পায়রা ঘুঘু কোকিল চড়ুই চন্দনা টুনটুনি/কারে তোমার পছন্দ হয়, সেই কথাটি শুনি!’ সুকুমার রায়ের ‘সঙ্গীহারা’ ছড়ার দুই লাইনেও দেখা হলো ছয় পাখির সঙ্গে। এই ছয় সংখ্যাটির সঙ্গে কিন্তু মিল আছে সাম্প্রতিক এই গবেষণারও। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি, সিডনির গবেষকদের করা এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, পৃথিবীতে এখন প্রায় ৫ হাজার কোটি পাখি রয়েছে। এ হিসাবে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের বিপরীতে রয়েছে অন্তত ছয়টি করে পাখি।
পাখি নিয়ে চলা এযাবৎকালের বিভিন্ন গবেষণার তথ্যকে সন্নিবেশিত করে এই গবেষণা করা হয়েছে। এতে উড়তে না পারা পাখি ইমু এবং পেঙ্গুইনকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বে এখনো টিকে থাকা ৯ হাজার ৭০০ প্রজাতির পাখির মোট সংখ্যা ৫ হাজার কোটি।
এ সম্পর্কিত গবেষণা প্রবন্ধটি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে প্রকাশিত হয়েছে গেল সপ্তাহে। ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পাখি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত রেইনবো লরিকিট জাতের পাখি আছে ১ কোটি ৯০ লাখ। ফলে পাখিপ্রেমীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তবে এমন অনেক প্রজাতির কথাও গবেষণায় উঠে এসেছে, যেগুলো সত্যিই বিরল প্রজাতির। এমন পাখির কথাও বলা হয়েছে, যাদের মাত্র ১০০ সদস্য টিকে আছে এখন পৃথিবীতে।
এই বিষয়ে গবেষণা নিবন্ধটির সহলেখক ও নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক উইল কর্নওয়েল অনলাইন বিজ্ঞান পত্রিকা সায়েন্সডেইলিকে বলেন, ‘নিজেদের প্রজাতির সদস্য সংখ্যা গণনায় মানুষ অক্লান্ত। চেষ্টার কোনো শেষ নেই। হ্যাঁ আমরা সংখ্যা ৭৮০ কোটি। এবার অন্য প্রজাতির দিকেও তাকানো দরকার। মানুষের বাইরে অন্য কোনো প্রজাতির সদস্য সংখ্যা গণনার এটিই প্রথম উদ্যোগ।’
গবেষণায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই–বার্ডের ভুক্তিগুলোকে কাজে লাগানো হয়েছে। ই–বার্ড হচ্ছে এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পাখিপ্রেমী ও এ সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা পাখিদের আবাসস্থল ও সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করে। এই বিরাট তথ্যভান্ডারকে কাজে লাগিয়ে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের গবেষণার মাধ্যমে গবেষকেরা একটি গাণিতিক পদ্ধতি দাঁড় করান। বিশেষ এই অ্যালগরিদমের মাধ্যমেই তাঁরা শেষ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে এখনো টিকে থাকা পাখিদের একটি সম্ভাব্য সংখ্যা বের করেছেন।
গবেষণাকাজটিতে নেতৃত্ব দেন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পোস্টডক্টোরাল পর্যায়ের গবেষক কোরি কালাঘান। সায়েন্সডেইলিকে তিনি বলেন, ‘আমরা পাখি নিয়ে গবেষণাটি করেছি। এ থেকে পাখিদের একটা সম্ভাব্য সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর অন্য প্রজাতির প্রাণীদের সম্ভাব্য সংখ্যা নির্ণয়েরও একটি পদ্ধতি কিন্তু আমরা হাজির করেছি। যেকোনো প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টি মূলত তার সম্পর্কে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে।’
ঢাকা: হোক সে মাছরাঙা বা হাড়গিলা, কিংবা হোক পড়শি চড়ুই পাখিরা কিন্তু আছে পৃথিবীতে। অনেকেই চলে গেছে অভিমানে। অনেক প্রজাতি হয়তো এখন চোখে পড়ে কম। কিন্তু এখনো ঘুরে ঘুরে পৃথিবীর আকাশ মন্থনের জন্য, মানুষের উড়তে না পারার আক্ষেপ জন্মানোর জন্য পাখিরা ঠিকই আছে। কিন্তু কত পাখি আছে? গবেষকেরা বলছেন, সংখ্যাটি প্রায় ৫ হাজার কোটি।
কত রাজ্যের পাখি যে আছে! কত যে তার ডানার রকমফের, সে বলে শেষ করা যাবে না। ‘পায়রা ঘুঘু কোকিল চড়ুই চন্দনা টুনটুনি/কারে তোমার পছন্দ হয়, সেই কথাটি শুনি!’ সুকুমার রায়ের ‘সঙ্গীহারা’ ছড়ার দুই লাইনেও দেখা হলো ছয় পাখির সঙ্গে। এই ছয় সংখ্যাটির সঙ্গে কিন্তু মিল আছে সাম্প্রতিক এই গবেষণারও। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটি, সিডনির গবেষকদের করা এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, পৃথিবীতে এখন প্রায় ৫ হাজার কোটি পাখি রয়েছে। এ হিসাবে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের বিপরীতে রয়েছে অন্তত ছয়টি করে পাখি।
পাখি নিয়ে চলা এযাবৎকালের বিভিন্ন গবেষণার তথ্যকে সন্নিবেশিত করে এই গবেষণা করা হয়েছে। এতে উড়তে না পারা পাখি ইমু এবং পেঙ্গুইনকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বে এখনো টিকে থাকা ৯ হাজার ৭০০ প্রজাতির পাখির মোট সংখ্যা ৫ হাজার কোটি।
এ সম্পর্কিত গবেষণা প্রবন্ধটি প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে প্রকাশিত হয়েছে গেল সপ্তাহে। ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পাখি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত রেইনবো লরিকিট জাতের পাখি আছে ১ কোটি ৯০ লাখ। ফলে পাখিপ্রেমীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তবে এমন অনেক প্রজাতির কথাও গবেষণায় উঠে এসেছে, যেগুলো সত্যিই বিরল প্রজাতির। এমন পাখির কথাও বলা হয়েছে, যাদের মাত্র ১০০ সদস্য টিকে আছে এখন পৃথিবীতে।
এই বিষয়ে গবেষণা নিবন্ধটির সহলেখক ও নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক উইল কর্নওয়েল অনলাইন বিজ্ঞান পত্রিকা সায়েন্সডেইলিকে বলেন, ‘নিজেদের প্রজাতির সদস্য সংখ্যা গণনায় মানুষ অক্লান্ত। চেষ্টার কোনো শেষ নেই। হ্যাঁ আমরা সংখ্যা ৭৮০ কোটি। এবার অন্য প্রজাতির দিকেও তাকানো দরকার। মানুষের বাইরে অন্য কোনো প্রজাতির সদস্য সংখ্যা গণনার এটিই প্রথম উদ্যোগ।’
গবেষণায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই–বার্ডের ভুক্তিগুলোকে কাজে লাগানো হয়েছে। ই–বার্ড হচ্ছে এমন এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা পাখিপ্রেমী ও এ সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা পাখিদের আবাসস্থল ও সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার করে। এই বিরাট তথ্যভান্ডারকে কাজে লাগিয়ে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ের গবেষণার মাধ্যমে গবেষকেরা একটি গাণিতিক পদ্ধতি দাঁড় করান। বিশেষ এই অ্যালগরিদমের মাধ্যমেই তাঁরা শেষ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে এখনো টিকে থাকা পাখিদের একটি সম্ভাব্য সংখ্যা বের করেছেন।
গবেষণাকাজটিতে নেতৃত্ব দেন নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পোস্টডক্টোরাল পর্যায়ের গবেষক কোরি কালাঘান। সায়েন্সডেইলিকে তিনি বলেন, ‘আমরা পাখি নিয়ে গবেষণাটি করেছি। এ থেকে পাখিদের একটা সম্ভাব্য সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। কিন্তু তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর অন্য প্রজাতির প্রাণীদের সম্ভাব্য সংখ্যা নির্ণয়েরও একটি পদ্ধতি কিন্তু আমরা হাজির করেছি। যেকোনো প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টি মূলত তার সম্পর্কে পাওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে।’
মানুষের মস্তিষ্কের ভেতর নীরব চিন্তাভাবনা বা ‘ইনার স্পিচ’ (মনের কথা) শনাক্ত করার কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়া এক উল্কাপিণ্ডকে পৃথিবীর থেকেও প্রাচীন বলে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই উল্কাপিণ্ডের বয়স ৪৫৬ কোটি বছর—যা পৃথিবীর বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪৫৪ কোটি বছরের তুলনায় প্রায় ২ কোটি বছর বেশি।
২ দিন আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে।
৩ দিন আগেমানববর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির
৪ দিন আগে