মানুষের শুক্রাণু লেজের সাহায্যে ঘন তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে পথ করে নিয়ে এগিয়ে চলে। কিন্তু এই এগিয়ে চলার পথে শুক্রাণু পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক সূত্র, যা নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র নামে পরিচিত, সেই সূত্রকেই অমান্য করে। সম্প্রতি প্রখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী পিআরএক্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গণিতজ্ঞ কেন্তা ইশিমতো ও তাঁর সহকর্মীরা গবেষণা চালনা যে, শুক্রাণুসহ একই ধরনের চলৎশক্তিসম্পন্ন বস্তু বা অণুজীবগুলো কীভাবে মানুষের শরীরের ঘন তরলের ভেতর দিয়ে সাঁতার কাটে। বিশেষ করে, এসব ঘন তরলে সাঁতার কাটার ক্ষেত্রে এসব তরলের ঘনত্ব শুক্রাণুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারত। অন্তত পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব তাই বলে। সে বিষয়টি জানতেই বিস্তর গবেষণা করেন তাঁরা।
১৬৮৬ সালের দিকে যখন নিউটন গতির সূত্রগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন বাহ্যিক বস্তুর ক্ষেত্রে সেই সূত্রগুলো বিবেচনা করলেও অণুজীবের ক্ষেত্রে আঠালো কোনো তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এসব তত্ত্ব কখনো বিবেচিত হতে পারে সেটি নিশ্চয়ই ভাবেননি। কিন্তু নিউটন না ভাবলেও তাঁর প্রায় ৩৫০ বছর পর এসে কিয়োটো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভেবেছেন।
নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রটি হলো—‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।’ এই তত্ত্ব প্রকৃতির একটি নির্দিষ্ট প্রতিসাম্যকে নির্দেশ করে, যেখানে দুটি পরস্পরবিরোধী শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করে। কিন্তু প্রকৃতির সর্বত্রই বোধ হয় এই তত্ত্ব সমানভাবে কাজ করে না। বিশেষ করে তরলে পদার্থের মধ্য দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এই সূত্র পুরোপুরি কাজ করে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কোষগুলো নিজের শক্তি নিজেই উৎপাদন করে। মানুষের শুক্রাণুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ঘন আঠালো তরলের ভেতর দিয়ে চলাফেরার সময় শুক্রাণুও নিজের অভ্যন্তরীণ শক্তির সাহায্যে এগিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় শুক্রাণু একপ্রকার বল প্রয়োগ করেই এগিয়ে যায়। কিন্তু বিপরীতে সমান বল শুক্রাণুকে বাধা দেয় না। ফলে এ ক্ষেত্রে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রও প্রযোজ্য হয় না।
ইশিমতো ও তাঁর সহকর্মীরা মানুষের শুক্রাণুর পরীক্ষামূলক তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন এবং সবুজ শৈবাল ক্ল্যামিডোমোনাসের চলৎশক্তির একটি মডেলও তৈরি করেছেন। এ দুটি কোষই বেশ পাতলা ও আঁকাবাঁকা ফ্ল্যাজেলা বা লেজ ব্যবহার করে সাঁতার কাটে, যা কোষের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে এবং কোষকে সামনের দিকে চালিত করার জন্য আকৃতি পরিবর্তন করে।
সাধারণত উচ্চ ঘনত্বের তরলগুলো একটি ফ্ল্যাজেলার শক্তিকে নষ্ট করে শুক্রাণুকে নড়াচড়া করতে বাধা দিতে পারে। তবু যেভাবেই হোক শুক্রাণুর স্থিতিস্থাপক লেজ তার চারপাশে কোনো প্রতিক্রিয়া উসকে না দিয়ে শুক্রাণুকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শুক্রাণুর লেজের স্থিতিস্থাপকতা একেবারেই অনন্য। এর ফলে সেটি আশপাশের তরলে খুব সামান্য শক্তি ব্যয় করেই শুক্রাণুকে এগিয়ে নিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কার সক্রিয় অণুজীবের মতো বৈশিষ্ট্য দেখায় এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রোবটের নকশা তৈরিতে বেশ অবদান রাখবে।
মানুষের শুক্রাণু লেজের সাহায্যে ঘন তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে পথ করে নিয়ে এগিয়ে চলে। কিন্তু এই এগিয়ে চলার পথে শুক্রাণু পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক সূত্র, যা নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র নামে পরিচিত, সেই সূত্রকেই অমান্য করে। সম্প্রতি প্রখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী পিআরএক্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গণিতজ্ঞ কেন্তা ইশিমতো ও তাঁর সহকর্মীরা গবেষণা চালনা যে, শুক্রাণুসহ একই ধরনের চলৎশক্তিসম্পন্ন বস্তু বা অণুজীবগুলো কীভাবে মানুষের শরীরের ঘন তরলের ভেতর দিয়ে সাঁতার কাটে। বিশেষ করে, এসব ঘন তরলে সাঁতার কাটার ক্ষেত্রে এসব তরলের ঘনত্ব শুক্রাণুর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারত। অন্তত পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব তাই বলে। সে বিষয়টি জানতেই বিস্তর গবেষণা করেন তাঁরা।
১৬৮৬ সালের দিকে যখন নিউটন গতির সূত্রগুলো নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন বাহ্যিক বস্তুর ক্ষেত্রে সেই সূত্রগুলো বিবেচনা করলেও অণুজীবের ক্ষেত্রে আঠালো কোনো তরল পদার্থের মধ্য দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এসব তত্ত্ব কখনো বিবেচিত হতে পারে সেটি নিশ্চয়ই ভাবেননি। কিন্তু নিউটন না ভাবলেও তাঁর প্রায় ৩৫০ বছর পর এসে কিয়োটো ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভেবেছেন।
নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রটি হলো—‘প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।’ এই তত্ত্ব প্রকৃতির একটি নির্দিষ্ট প্রতিসাম্যকে নির্দেশ করে, যেখানে দুটি পরস্পরবিরোধী শক্তি একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করে। কিন্তু প্রকৃতির সর্বত্রই বোধ হয় এই তত্ত্ব সমানভাবে কাজ করে না। বিশেষ করে তরলে পদার্থের মধ্য দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এই সূত্র পুরোপুরি কাজ করে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের কোষগুলো নিজের শক্তি নিজেই উৎপাদন করে। মানুষের শুক্রাণুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ঘন আঠালো তরলের ভেতর দিয়ে চলাফেরার সময় শুক্রাণুও নিজের অভ্যন্তরীণ শক্তির সাহায্যে এগিয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় শুক্রাণু একপ্রকার বল প্রয়োগ করেই এগিয়ে যায়। কিন্তু বিপরীতে সমান বল শুক্রাণুকে বাধা দেয় না। ফলে এ ক্ষেত্রে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রও প্রযোজ্য হয় না।
ইশিমতো ও তাঁর সহকর্মীরা মানুষের শুক্রাণুর পরীক্ষামূলক তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন এবং সবুজ শৈবাল ক্ল্যামিডোমোনাসের চলৎশক্তির একটি মডেলও তৈরি করেছেন। এ দুটি কোষই বেশ পাতলা ও আঁকাবাঁকা ফ্ল্যাজেলা বা লেজ ব্যবহার করে সাঁতার কাটে, যা কোষের শরীর থেকে বেরিয়ে আসে এবং কোষকে সামনের দিকে চালিত করার জন্য আকৃতি পরিবর্তন করে।
সাধারণত উচ্চ ঘনত্বের তরলগুলো একটি ফ্ল্যাজেলার শক্তিকে নষ্ট করে শুক্রাণুকে নড়াচড়া করতে বাধা দিতে পারে। তবু যেভাবেই হোক শুক্রাণুর স্থিতিস্থাপক লেজ তার চারপাশে কোনো প্রতিক্রিয়া উসকে না দিয়ে শুক্রাণুকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শুক্রাণুর লেজের স্থিতিস্থাপকতা একেবারেই অনন্য। এর ফলে সেটি আশপাশের তরলে খুব সামান্য শক্তি ব্যয় করেই শুক্রাণুকে এগিয়ে নিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কার সক্রিয় অণুজীবের মতো বৈশিষ্ট্য দেখায় এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রোবটের নকশা তৈরিতে বেশ অবদান রাখবে।
মানুষের মস্তিষ্কের ভেতর নীরব চিন্তাভাবনা বা ‘ইনার স্পিচ’ (মনের কথা) শনাক্ত করার কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের-কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
৩৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়া এক উল্কাপিণ্ডকে পৃথিবীর থেকেও প্রাচীন বলে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই উল্কাপিণ্ডের বয়স ৪৫৬ কোটি বছর—যা পৃথিবীর বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪৫৪ কোটি বছরের তুলনায় প্রায় ২ কোটি বছর বেশি।
১ দিন আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে।
২ দিন আগেমানববর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির
৩ দিন আগে