অ্যান্টার্কটিকায় যেসব বড় বড় গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ আছে—সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো থোয়াইটস গ্লেসিয়ার। যা ডুমসডে গ্লেসিয়ার নামেও পরিচিত। দীর্ঘ ছয় বছরের গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে হারে এই গ্লেসিয়ার গলে যাচ্ছে, তাতে আগামী ২০০ বছরের মধ্যেই এটি নিঃশেষ হয়ে যাবে। যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে অন্তত ২ মিটার।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল থোয়াইটস গ্লেসিয়ার নিয়ে গবেষণার জন্য ইন্টারন্যাশনাল থোয়াইটস গ্লেসিয়ার কোলাবোরেশন (আইটিজিসি) নামে একটি দল গঠন করেন। তাঁরা এই গ্লেসিয়ার কবে নাগাদ গলে যেতে পারে এবং তার ফলাফল কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, চলতি শতাব্দীতে এই গ্লেসিয়ারের গলে যাওয়ার হার বেড়েছে। গবেষক দলের সদস্য ও সামুদ্রিক ভূপদার্থবিদ রব লার্টার বলেছেন, গত ৩০ বছরে থোয়াইটসের গলন যথেষ্ট ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানগুলো ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনে এর গলন হার আরও বাড়বে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, থোয়াইটস গ্লেসিয়ারসহ অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তরের বড় একটি অংশই আগামী ২০০ বছরের মধ্যে ধসে যেতে পারে, যার পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। এই গ্লেসিয়ারে যে পরিমাণ বরফ আছে, তা গলে গেলে সমুদ্রের উচ্চতা ২ ফুটেরও বেশি বাড়বে।
আইটিজিসির গবেষণা অনুসারে, থোয়াইটস গ্লেসিয়ারের আয়তন ১ লাখ ৯২ হাজার বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও প্রায় ৪৫ হাজার বর্গকিলোমিটার বেশি। এটি প্রস্থে ১২০ কিলোমিটার। এই গ্লেসিয়ারটির উচ্চতা বা গভীরতা গড়ে ৮০০ থেকে ১২০০ মিটারের মধ্যে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এই গ্লেসিয়ার অ্যান্টার্কটিকার বরফ স্তররে একটি বড় অংশকে আটকে রেখেছে গলে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই বরফ স্তর গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, ব্রিটেনের লন্ডন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের একাংশ হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অনেকগুলোই পানির নিচে চলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, পুরো থোয়াইটস এবং এর পেছনে থাকা অ্যান্টার্কটিক বরফের স্তরের পুরোটাই ২৩ শতকের মধ্যে গলে যেতে পারে। এমনকি যদি মানুষ দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো বন্ধ করে দেয়, তারপরও এই গলন ঠেকানো যাবে না। আইটিজিসি প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জটিল হিমবাহটির গলন ঠেকানো যাবে কি না তা বোঝার জন্য এখনো আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন।
আইটিজিসি প্রকল্পের বিজ্ঞানী ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অব আরভিনের অধ্যাপক এরিক রিগনোট বলেছেন, ‘যদিও অগ্রগতি হয়েছে, আমরা এখনো ভবিষ্যতের বিষয়ে গভীর অনিশ্চয়তা আছি। তবে আমি খুব চিন্তিত যে অ্যান্টার্কটিকার এই অংশটি এরই মধ্যে ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে।’
অ্যান্টার্কটিকায় যেসব বড় বড় গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ আছে—সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো থোয়াইটস গ্লেসিয়ার। যা ডুমসডে গ্লেসিয়ার নামেও পরিচিত। দীর্ঘ ছয় বছরের গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে হারে এই গ্লেসিয়ার গলে যাচ্ছে, তাতে আগামী ২০০ বছরের মধ্যেই এটি নিঃশেষ হয়ে যাবে। যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে অন্তত ২ মিটার।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল থোয়াইটস গ্লেসিয়ার নিয়ে গবেষণার জন্য ইন্টারন্যাশনাল থোয়াইটস গ্লেসিয়ার কোলাবোরেশন (আইটিজিসি) নামে একটি দল গঠন করেন। তাঁরা এই গ্লেসিয়ার কবে নাগাদ গলে যেতে পারে এবং তার ফলাফল কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, চলতি শতাব্দীতে এই গ্লেসিয়ারের গলে যাওয়ার হার বেড়েছে। গবেষক দলের সদস্য ও সামুদ্রিক ভূপদার্থবিদ রব লার্টার বলেছেন, গত ৩০ বছরে থোয়াইটসের গলন যথেষ্ট ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের অনুসন্ধানগুলো ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনে এর গলন হার আরও বাড়বে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, থোয়াইটস গ্লেসিয়ারসহ অ্যান্টার্কটিকার বরফের স্তরের বড় একটি অংশই আগামী ২০০ বছরের মধ্যে ধসে যেতে পারে, যার পরিণতি হবে বিপর্যয়কর। এই গ্লেসিয়ারে যে পরিমাণ বরফ আছে, তা গলে গেলে সমুদ্রের উচ্চতা ২ ফুটেরও বেশি বাড়বে।
আইটিজিসির গবেষণা অনুসারে, থোয়াইটস গ্লেসিয়ারের আয়তন ১ লাখ ৯২ হাজার বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ বাংলাদেশের আয়তনের চেয়েও প্রায় ৪৫ হাজার বর্গকিলোমিটার বেশি। এটি প্রস্থে ১২০ কিলোমিটার। এই গ্লেসিয়ারটির উচ্চতা বা গভীরতা গড়ে ৮০০ থেকে ১২০০ মিটারের মধ্যে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এই গ্লেসিয়ার অ্যান্টার্কটিকার বরফ স্তররে একটি বড় অংশকে আটকে রেখেছে গলে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই বরফ স্তর গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। যার ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি, ব্রিটেনের লন্ডন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের একাংশ হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের অনেকগুলোই পানির নিচে চলে যাবে।
বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, পুরো থোয়াইটস এবং এর পেছনে থাকা অ্যান্টার্কটিক বরফের স্তরের পুরোটাই ২৩ শতকের মধ্যে গলে যেতে পারে। এমনকি যদি মানুষ দ্রুত জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো বন্ধ করে দেয়, তারপরও এই গলন ঠেকানো যাবে না। আইটিজিসি প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জটিল হিমবাহটির গলন ঠেকানো যাবে কি না তা বোঝার জন্য এখনো আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন।
আইটিজিসি প্রকল্পের বিজ্ঞানী ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অব আরভিনের অধ্যাপক এরিক রিগনোট বলেছেন, ‘যদিও অগ্রগতি হয়েছে, আমরা এখনো ভবিষ্যতের বিষয়ে গভীর অনিশ্চয়তা আছি। তবে আমি খুব চিন্তিত যে অ্যান্টার্কটিকার এই অংশটি এরই মধ্যে ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে।’
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
২১ ঘণ্টা আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
১ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৩ দিন আগেপ্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি বছর আগে গঠিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ঘূর্ণনের গতি কমছে পৃথিবীর। এর ফলে দীর্ঘ হচ্ছে দিনগুলোও। মানবজীবনের সময়কাল অনুযায়ী এই পরিবর্তন খুব একটা দৃশ্যমান না হলেও দীর্ঘ সময় পর তা পৃথিবীর পরিবেশে বড় পরিবর্তন এনেছে।
৩ দিন আগে