আজকের পত্রিকা ডেস্ক
‘অনেক নক্ষত্রে ভরে গেছে এই সন্ধ্যার আকাশ–এই রাতের আকাশ; এইখানে ফাল্গুনের ছায়ামাখা ঘাসে শুয়ে আছি; এখন মরণ ভালো–শরীরে লাগিয়া রবে এই সব ঘাস; অনেক নক্ষত্র রবে চিরকাল যেন কাছাকাছি।’—তারার পানে চেয়ে থেকে কবি জীবনানন্দ দাশের এ বাসনা হাজার বছর ধরে লালন করছে পৃথিবীর মানুষ। মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আদিকাল থেকেই। সেই আগ্রহ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের যাত্রা।
নক্ষত্রের রহস্য উদ্ঘাটনে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের চেষ্টায় মহাকাশের দারুণ সব ছবি দিচ্ছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। নতুন করে পাঠানো হবে হাবলের উত্তরসূরি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এতেও তৃপ্ত হচ্ছে না মানুষ। মহাকাশ নিয়ে আরও তথ্য জানতে এবার পাঠানো হবে বেলুন। তবে এটি কোনো সাধারণ বেলুন নয়। একটি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা দখল করে থাকা এই বেলুনে করে পাঠানো হবে টেলিস্কোপ। আগামী বছরের এপ্রিলে ‘সুপারবিট’ নামের এ বেলুন নিউজিল্যান্ডের ওয়ানাকা থেকে যাত্রা শুরু করবে। এ প্রকল্পের পুরো ব্যাপারটা দেখছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, কানাডার মহাকাশ সংস্থা, ডারহাম, টরন্টো ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়।
কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে অনেক দূরের সব ছায়াপথ থেকে আলো আসে পৃথিবীর টেলিস্কোপে। অবিরাম ছুটে চলা সেই আলো ধূলিকণাময় এ বায়ুমণ্ডলে এসে নতুন রূপ পায়। ফলে পৃথিবীর টেলিস্কোপে ধরা পড়া ছবি হয়ে যায় ঝাপসা। এ জন্য পৃথিবীর পরিমণ্ডলের ভেতরে থেকেই এ সমস্যার সমাধান করতে ‘টেলিস্কোপ বেলুন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমায় অবস্থায় করবে। গবেষকেরা বলছেন, এমন এক জায়গায় এটি থাকবে, যেখান থেকে আর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ গেলে মহাশূন্য। এটি পৃথিবীর চারপাশে পরিভ্রমণ করে আকাশের বিভিন্ন ছবি তুলবে।
ব্যাটারি চার্জের জন্য দিনের বেলা সৌরবিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখবে।
মহাকাশের ডার্ক ম্যাটার এবং অদৃশ্য অন্যান্য বস্তু নিয়ে কাজ করবে ‘সুপারবিট’। ডার্ক ম্যাটার হচ্ছে সেই ধরনের পদার্থ, যেটি সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায়নি। অর্থাৎ এর উৎস এবং গঠন নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। মহাকাশে এদের সংখ্যা অনেক। আলোকরশ্মি বাঁকিয়ে ফেলার অদ্ভুত রহস্য ভেদ করতে ডার্ক ম্যাটার নিয়ে কাজ করছেন জ্যোতির্বিদেরা।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড মাসেই বলেন, ‘আদিম গুহামানব যেমন পাথর ভেঙে এর গঠন দেখত, সুপারবিট তেমন কাজই করবে। শুধু প্রক্রিয়াটা ভিন্ন। আর এটি যে ছবি পাঠাবে সেগুলো আগের চেয়ে আরও পরিষ্কার এবং দারুণ দেখাবে। সুপারবিটে থাকবে অর্ধ মিটার ব্যাসের আয়না। আর বেলুনে থাকা হিলিয়াম একে সহজেই বাতাসে ভেসে বেড়াতে সাহায্য করবে। এমন মেশিন বানাতে যে খরচ হয় এর চেয়ে অনেক কম খরচে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
গবেষক দলের একজন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র মোহামেদ শাবান জানান, ‘নতুন এ বেলুন-প্রযুক্তি মহাকাশযাত্রা আরও সহজ ও পরিবেশবান্ধব করবে। আমরা ইলেকট্রনিক ও মেকানিক্যাল সিস্টেম যাচাই করে দেখেছি, এ পদ্ধতি ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে।’
প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার মহাকাশে মানুষের যাত্রাপথ সহজ করে দিচ্ছে। আর মহাকাশকে নিয়ে আসছে হাতের মুঠোয়। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন পুরো মহাকাশকে বলা হবে ‘স্পেস ভিলেজ’।
‘অনেক নক্ষত্রে ভরে গেছে এই সন্ধ্যার আকাশ–এই রাতের আকাশ; এইখানে ফাল্গুনের ছায়ামাখা ঘাসে শুয়ে আছি; এখন মরণ ভালো–শরীরে লাগিয়া রবে এই সব ঘাস; অনেক নক্ষত্র রবে চিরকাল যেন কাছাকাছি।’—তারার পানে চেয়ে থেকে কবি জীবনানন্দ দাশের এ বাসনা হাজার বছর ধরে লালন করছে পৃথিবীর মানুষ। মহাকাশ নিয়ে মানুষের আগ্রহ আদিকাল থেকেই। সেই আগ্রহ থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের যাত্রা।
নক্ষত্রের রহস্য উদ্ঘাটনে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের চেষ্টায় মহাকাশের দারুণ সব ছবি দিচ্ছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। নতুন করে পাঠানো হবে হাবলের উত্তরসূরি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এতেও তৃপ্ত হচ্ছে না মানুষ। মহাকাশ নিয়ে আরও তথ্য জানতে এবার পাঠানো হবে বেলুন। তবে এটি কোনো সাধারণ বেলুন নয়। একটি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা দখল করে থাকা এই বেলুনে করে পাঠানো হবে টেলিস্কোপ। আগামী বছরের এপ্রিলে ‘সুপারবিট’ নামের এ বেলুন নিউজিল্যান্ডের ওয়ানাকা থেকে যাত্রা শুরু করবে। এ প্রকল্পের পুরো ব্যাপারটা দেখছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, কানাডার মহাকাশ সংস্থা, ডারহাম, টরন্টো ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়।
কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরত্ব পাড়ি দিয়ে অনেক দূরের সব ছায়াপথ থেকে আলো আসে পৃথিবীর টেলিস্কোপে। অবিরাম ছুটে চলা সেই আলো ধূলিকণাময় এ বায়ুমণ্ডলে এসে নতুন রূপ পায়। ফলে পৃথিবীর টেলিস্কোপে ধরা পড়া ছবি হয়ে যায় ঝাপসা। এ জন্য পৃথিবীর পরিমণ্ডলের ভেতরে থেকেই এ সমস্যার সমাধান করতে ‘টেলিস্কোপ বেলুন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমায় অবস্থায় করবে। গবেষকেরা বলছেন, এমন এক জায়গায় এটি থাকবে, যেখান থেকে আর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ গেলে মহাশূন্য। এটি পৃথিবীর চারপাশে পরিভ্রমণ করে আকাশের বিভিন্ন ছবি তুলবে।
ব্যাটারি চার্জের জন্য দিনের বেলা সৌরবিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখবে।
মহাকাশের ডার্ক ম্যাটার এবং অদৃশ্য অন্যান্য বস্তু নিয়ে কাজ করবে ‘সুপারবিট’। ডার্ক ম্যাটার হচ্ছে সেই ধরনের পদার্থ, যেটি সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা যায়নি। অর্থাৎ এর উৎস এবং গঠন নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। মহাকাশে এদের সংখ্যা অনেক। আলোকরশ্মি বাঁকিয়ে ফেলার অদ্ভুত রহস্য ভেদ করতে ডার্ক ম্যাটার নিয়ে কাজ করছেন জ্যোতির্বিদেরা।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড মাসেই বলেন, ‘আদিম গুহামানব যেমন পাথর ভেঙে এর গঠন দেখত, সুপারবিট তেমন কাজই করবে। শুধু প্রক্রিয়াটা ভিন্ন। আর এটি যে ছবি পাঠাবে সেগুলো আগের চেয়ে আরও পরিষ্কার এবং দারুণ দেখাবে। সুপারবিটে থাকবে অর্ধ মিটার ব্যাসের আয়না। আর বেলুনে থাকা হিলিয়াম একে সহজেই বাতাসে ভেসে বেড়াতে সাহায্য করবে। এমন মেশিন বানাতে যে খরচ হয় এর চেয়ে অনেক কম খরচে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’
গবেষক দলের একজন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির ছাত্র মোহামেদ শাবান জানান, ‘নতুন এ বেলুন-প্রযুক্তি মহাকাশযাত্রা আরও সহজ ও পরিবেশবান্ধব করবে। আমরা ইলেকট্রনিক ও মেকানিক্যাল সিস্টেম যাচাই করে দেখেছি, এ পদ্ধতি ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যাবে।’
প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার মহাকাশে মানুষের যাত্রাপথ সহজ করে দিচ্ছে। আর মহাকাশকে নিয়ে আসছে হাতের মুঠোয়। সেদিন বেশি দূরে নয় যখন পুরো মহাকাশকে বলা হবে ‘স্পেস ভিলেজ’।
প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
১৯ ঘণ্টা আগেগণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
২ দিন আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
৩ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৫ দিন আগে