আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ডাব বা নারকেলের পানি ও শাঁস খেতে আমরা বেশ পছন্দ করি। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ বাড়িতে নারকেলগাছ থাকে। এই গাছের সব অংশ ব্যবহারের উপযোগী বলে এর চাহিদাও বেশি। তবে গাছ থাকুক আর না থাকুক, সুযোগ পেলেই ডাবের পানি খাওয়া হয় অনেকের। মাথায় কখনো কি প্রশ্ন জেগেছে, নারকেল বা ডাবের ভেতর কীভাবে পানি আসে বা কীভাবে সংরক্ষিত থাকে।
ডাব বা নারকেলের ভেতর কীভাবে পানি উৎপন্ন হয়, সেটি এক গবেষণায় দেখিয়েছেন কেনিয়ার জোমো কেনিয়াটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও প্রযুক্তি গবেষক অধ্যাপক গ্যাস্টন আডোইও।
গবেষণায় বলা হয়, সব ধরনের নারকেলগাছেই পানি থাকে, তবে লম্বা জাতের গাছগুলোর নারকেলে বেশি পানি থাকে আর ছোট বা বামন জাতের গাছগুলোতে তুলনামূলক কম হয়। সাধারণত অপরিপক্ব ও কচি সবুজ নারকেল, যেগুলোকে ডাব বলা হয়; সেগুলো থেকে বেশি পানি পাওয়া যায়। নারকেল পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শাঁস বৃদ্ধি পায় এবং পানি শাঁসের মধ্যে শোষিত হয়। পুরো পাকা বাদামি নারকেলে পানির পরিমাণ তাই কম থাকে, আবার অনেক সময় পানি থাকেও না।
নারকেলে পানি কীভাবে তৈরি হয়, তা ভালোভাবে বোঝার জন্য এর শারীরিক গঠন বুঝে নেওয়া জরুরি। নারকেল তিন স্তরের একটি ফল। এর তিনটি স্তর থাকে—এক্সোকার্প (অপরিপক্ব নারকেলে দেখা সবুজ মসৃণ বাইরের স্তর), মেসোকার্প (এক্সোকার্পের নিচে অবস্থিত ফাইব্রাস খোসা) ও এন্ডোকার্প (ভেতরের কঠিন, কাঠের শেলের মতো স্তর; যা ভেতরের শাঁসকে রক্ষা করে)।
এন্ডোকার্পের মধ্যে দুটি উপাদান থাকে: শাঁস (যা অপরিপক্ব নারকেলে নরম, জেলির মতো থাকে আর পাকা হলে কঠিন হয়ে যায়) এবং নারকেলের পানি। এই পানি বীজকে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং নারকেল ফলের বিকাশের সময় স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। গাছের শিকড় থেকে শোষিত হয়ে গাছের ভাসকুলার সিস্টেমের (পানি ও পুষ্টি পরিবহনব্যবস্থা) মাধ্যমে তৈরি হয়ে পরিশোধিত রস ফলের মধ্যে পৌঁছায়।
শিকড়ের মাধ্যমে মাটির পানি শোষণ করে নারকেলগাছ। সেই শোষিত পানি পরে গাছের কাণ্ড ও শাখা দিয়ে ওপরে উঠতে থাকে এবং শেষে ফলের মধ্যে চলে আসে। ফলটি এই পানি সংরক্ষণ করে, যা নারকেলের গর্তে জমে থাকে। জমে থাকা এই পানি তার পুষ্টি উপাদানসহ শাঁসের বিকাশে সাহায্য করে।
অতএব, নারকেল পানি বৃষ্টি বা সমুদ্রের পানি নয়, এটি গাছ দ্বারা স্বাভাবিকভাবে পরিশোধিত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ পরিষ্কার তরল।
এই পানির প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি আর বাকি অংশে বিভিন্ন উপাদান থাকে, যা আমাদের জন্যও উপকারী। যেমন খনিজ (সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম) মানব স্নায়ু ও পেশিকে পুষ্টি দেয়; প্রোটিন (অ্যামিনো অ্যাসিড ও এনজাইম) গাছ ও মানুষের বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে; চিনি (ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ) পানির হালকা মিষ্টতা তৈরি করে এবং এতে অল্প পরিমাণে ভিটামিন (ভিটামিন সি ও বি ভিটামিন) থাকে।
নারকেলে পানির পরিমাণ
অপরিপক্ব ও সবুজ নারকেল (৬ থেকে ৮ মাস বয়সী) যা ডাব হিসেবে পরিচিত, এগুলোতে সাধারণত ৩০০ মিলিলিটার থেকে ১ লিটার পর্যন্ত পানি থাকে। আর পরিপক্ব নারকেল (১২ মাস বা তার বেশি বয়সী) পানির পরিমাণ কম থাকে। কারণ, তরলটি আংশিকভাবে শাঁসে শোষিত হয়ে যায়।
অধিক বৃষ্টিপাতের এলাকায় হওয়া নারকেলে পানি বেশি থাকে আর খরা এলাকায় ফলের মধ্যে পানি কম দেখা যায়। আবার খনিজে পরিপূর্ণ সুস্থ মাটি উচ্চ মানের পুষ্টিসমৃদ্ধ নারকেল পানি তৈরি করে। খনিজের অভাব বা লবণাক্ত মাটি তা নিম্নমানের নারকেল পানি উৎপন্ন করে। আর অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত গাছ ছোট আকারের নারকেল উৎপন্ন করে, যার মধ্যে পানি কম থাকে।
নারকেলগাছের প্রয়োজনীয় পরিবেশ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চল, মধ্য আমেরিকা ও আফ্রিকার উপকূলীয় অর্থনীতিতে নারকেলগাছ ও নারকেল পানির বেশ প্রভাব রয়েছে। এসব এলাকায় টেকসই চাষাবাদপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাটি ব্যবস্থাপনা (মাটি পরীক্ষণ ও জৈব সার ব্যবহার) করতে হয়, যাতে সঠিক পুষ্টির পরিমাণ বজায় থাকে, যা উচ্চমানের নারকেল পানি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে নারকেলগাছ বাড়ে, সেখানকার তাজা পানির জলাধারকে লবণাক্ত পানির আক্রমণ থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ড্রিপ সেচ ও মালচিং মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা নারকেল পানি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়।
পোকামাকড় ও রোগের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিগুলো (যেমন নারকেলগাছের সঙ্গে কলা বা শিমের চাষ) ও একীভূত পোকা ব্যবস্থাপনা সুস্থ গাছ উৎপন্ন করতে সাহায্য করতে পারে, যা বড় আকারের নারকেল ও পর্যাপ্ত পানি দেয়।
ডাব বা নারকেলের পানি ও শাঁস খেতে আমরা বেশ পছন্দ করি। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ বাড়িতে নারকেলগাছ থাকে। এই গাছের সব অংশ ব্যবহারের উপযোগী বলে এর চাহিদাও বেশি। তবে গাছ থাকুক আর না থাকুক, সুযোগ পেলেই ডাবের পানি খাওয়া হয় অনেকের। মাথায় কখনো কি প্রশ্ন জেগেছে, নারকেল বা ডাবের ভেতর কীভাবে পানি আসে বা কীভাবে সংরক্ষিত থাকে।
ডাব বা নারকেলের ভেতর কীভাবে পানি উৎপন্ন হয়, সেটি এক গবেষণায় দেখিয়েছেন কেনিয়ার জোমো কেনিয়াটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ও প্রযুক্তি গবেষক অধ্যাপক গ্যাস্টন আডোইও।
গবেষণায় বলা হয়, সব ধরনের নারকেলগাছেই পানি থাকে, তবে লম্বা জাতের গাছগুলোর নারকেলে বেশি পানি থাকে আর ছোট বা বামন জাতের গাছগুলোতে তুলনামূলক কম হয়। সাধারণত অপরিপক্ব ও কচি সবুজ নারকেল, যেগুলোকে ডাব বলা হয়; সেগুলো থেকে বেশি পানি পাওয়া যায়। নারকেল পরিপক্ব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর শাঁস বৃদ্ধি পায় এবং পানি শাঁসের মধ্যে শোষিত হয়। পুরো পাকা বাদামি নারকেলে পানির পরিমাণ তাই কম থাকে, আবার অনেক সময় পানি থাকেও না।
নারকেলে পানি কীভাবে তৈরি হয়, তা ভালোভাবে বোঝার জন্য এর শারীরিক গঠন বুঝে নেওয়া জরুরি। নারকেল তিন স্তরের একটি ফল। এর তিনটি স্তর থাকে—এক্সোকার্প (অপরিপক্ব নারকেলে দেখা সবুজ মসৃণ বাইরের স্তর), মেসোকার্প (এক্সোকার্পের নিচে অবস্থিত ফাইব্রাস খোসা) ও এন্ডোকার্প (ভেতরের কঠিন, কাঠের শেলের মতো স্তর; যা ভেতরের শাঁসকে রক্ষা করে)।
এন্ডোকার্পের মধ্যে দুটি উপাদান থাকে: শাঁস (যা অপরিপক্ব নারকেলে নরম, জেলির মতো থাকে আর পাকা হলে কঠিন হয়ে যায়) এবং নারকেলের পানি। এই পানি বীজকে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং নারকেল ফলের বিকাশের সময় স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। গাছের শিকড় থেকে শোষিত হয়ে গাছের ভাসকুলার সিস্টেমের (পানি ও পুষ্টি পরিবহনব্যবস্থা) মাধ্যমে তৈরি হয়ে পরিশোধিত রস ফলের মধ্যে পৌঁছায়।
শিকড়ের মাধ্যমে মাটির পানি শোষণ করে নারকেলগাছ। সেই শোষিত পানি পরে গাছের কাণ্ড ও শাখা দিয়ে ওপরে উঠতে থাকে এবং শেষে ফলের মধ্যে চলে আসে। ফলটি এই পানি সংরক্ষণ করে, যা নারকেলের গর্তে জমে থাকে। জমে থাকা এই পানি তার পুষ্টি উপাদানসহ শাঁসের বিকাশে সাহায্য করে।
অতএব, নারকেল পানি বৃষ্টি বা সমুদ্রের পানি নয়, এটি গাছ দ্বারা স্বাভাবিকভাবে পরিশোধিত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ পরিষ্কার তরল।
এই পানির প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি আর বাকি অংশে বিভিন্ন উপাদান থাকে, যা আমাদের জন্যও উপকারী। যেমন খনিজ (সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম) মানব স্নায়ু ও পেশিকে পুষ্টি দেয়; প্রোটিন (অ্যামিনো অ্যাসিড ও এনজাইম) গাছ ও মানুষের বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে; চিনি (ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ) পানির হালকা মিষ্টতা তৈরি করে এবং এতে অল্প পরিমাণে ভিটামিন (ভিটামিন সি ও বি ভিটামিন) থাকে।
নারকেলে পানির পরিমাণ
অপরিপক্ব ও সবুজ নারকেল (৬ থেকে ৮ মাস বয়সী) যা ডাব হিসেবে পরিচিত, এগুলোতে সাধারণত ৩০০ মিলিলিটার থেকে ১ লিটার পর্যন্ত পানি থাকে। আর পরিপক্ব নারকেল (১২ মাস বা তার বেশি বয়সী) পানির পরিমাণ কম থাকে। কারণ, তরলটি আংশিকভাবে শাঁসে শোষিত হয়ে যায়।
অধিক বৃষ্টিপাতের এলাকায় হওয়া নারকেলে পানি বেশি থাকে আর খরা এলাকায় ফলের মধ্যে পানি কম দেখা যায়। আবার খনিজে পরিপূর্ণ সুস্থ মাটি উচ্চ মানের পুষ্টিসমৃদ্ধ নারকেল পানি তৈরি করে। খনিজের অভাব বা লবণাক্ত মাটি তা নিম্নমানের নারকেল পানি উৎপন্ন করে। আর অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত গাছ ছোট আকারের নারকেল উৎপন্ন করে, যার মধ্যে পানি কম থাকে।
নারকেলগাছের প্রয়োজনীয় পরিবেশ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর অঞ্চল, মধ্য আমেরিকা ও আফ্রিকার উপকূলীয় অর্থনীতিতে নারকেলগাছ ও নারকেল পানির বেশ প্রভাব রয়েছে। এসব এলাকায় টেকসই চাষাবাদপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাটি ব্যবস্থাপনা (মাটি পরীক্ষণ ও জৈব সার ব্যবহার) করতে হয়, যাতে সঠিক পুষ্টির পরিমাণ বজায় থাকে, যা উচ্চমানের নারকেল পানি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে নারকেলগাছ বাড়ে, সেখানকার তাজা পানির জলাধারকে লবণাক্ত পানির আক্রমণ থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ড্রিপ সেচ ও মালচিং মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, যা নারকেল পানি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়।
পোকামাকড় ও রোগের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিগুলো (যেমন নারকেলগাছের সঙ্গে কলা বা শিমের চাষ) ও একীভূত পোকা ব্যবস্থাপনা সুস্থ গাছ উৎপন্ন করতে সাহায্য করতে পারে, যা বড় আকারের নারকেল ও পর্যাপ্ত পানি দেয়।
প্লাস্টিক বর্জ্যকে নতুনভাবে ব্যবহার করার এক বিস্ময়কর উপায় সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে। বিজ্ঞানীরা ‘ইশেরিশিয়া কোলাই’ বা ‘ই. কোলি’ নামে একধরনের সাধারণ ব্যাকটেরিয়াকে জিনগত পরিবর্তন করে এমনভাবে তৈরি করেছেন, যাতে এটি প্লাস্টিকজাত অণু খেয়ে তা হজম করে ব্যথানাশক ওষুধ প্যারাসিটামল উৎপাদন করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেবহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেচাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
২ দিন আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
৩ দিন আগে