ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আশপাশের কত এলাকার মানুষ যে মারা গেছে, তার ইয়ত্তা নেই। এই আগ্নেয়গিরির কারণে চাপা পড়ে গেছে অনেক প্রাচীন সভ্যতার অংশ। ধ্বংস হয়ে গেছে প্রচুর নিদর্শন। তবে সম্প্রতি ভিসুভিয়াসের পাদদেশের একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা পুড়ে যাওয়া একটি প্যাপিরাসের পাঠোদ্ধার করেছেন একদল গবেষক। আর এ কাজে তাঁদের সহায়তা করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, মূলত একটি প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি দল এই প্যাপিরাসের পাঠোদ্ধার করেন। আর এ কাজে তাঁরা মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সেই প্যাপিরাসের লেখা স্ক্যান করেছেন।
নেচারে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, পাঠোদ্ধারের পর দেখা গেছে, ওই প্যাপিরাসের লেখাগুলো মূলত মানুষের ইন্দ্রিয় ও সুখ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাচীন সভ্যতার লিখিত ইতিহাস পাঠের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে গেল এর মধ্য দিয়ে। তাঁরা বলছেন, প্রাচীন সভ্যতা বোঝার ক্ষেত্রে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের জাঁ পল গেটি জাদুঘরের প্রাচীন নিদর্শন বা অ্যান্টিকুইটিস শাখার কিউরেটর কেনেথ লাপাটিন বলেছেন, উদ্ধার করা প্যাপিরাসের লেখাগুলো মূলত সংগীতসহ সুখের অন্যান্য উৎস নিয়ে আলোচনা করে। এই আবিষ্কারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বব ফাউলার বলেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
এর আগে আঠারো শতকে ইতালির হারকিউলিনিয়াম এলাকার রোমান সভ্যতার একটি বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে এই প্যাপিরাস উদ্ধার করা হয়। এই প্যাপিরাস প্রাচীন রোমান সভ্যতার সম্পর্কে পাওয়া যাওয়া খুব অল্পসংখ্যক প্রমাণের একটি। কিন্তু এটি এত বাজেভাবে পুড়ে গিয়েছিল যে, কীভাবে এটি খোলা হবে তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে সেই বাধা কেটেছে।
২ হাজার বছর আগের রোমান সভ্যতার বিষয়ে পাওয়া যাওয়া অনেকগুলো প্যাপিরাস আবিষ্কৃত হওয়ার কয়েক শতাব্দী ধরেই অনেকেই সেগুলো খোলার চেষ্টা করেছেন। এমনটা করতে গিয়ে কিছু প্যাপিরাস ধ্বংস হয়েছে, কিছু ভেঙে গেছে। প্যাপিরোলজিস্টরা এখনো সেগুলোর পাঠোদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এই প্যাপিরাসের ব্যাপারে বিগত ২০ বছর ধরেই অনেকে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। অবশেষে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি দল সেই প্যাপিরাসের পাঠোদ্ধারে সমর্থ হলেন।
এর আগে যেসব হারকিউলিনিয়াম প্যাপিরাস খোলা হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ বিষয়বস্তুই এপিকিউরীয় দর্শনসংক্রান্ত। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এই প্যাপিরাস তৈরি করেছিলেন অ্যাথেনীয় দার্শনিক এপিকিউরাসের শিষ্য ফিলোডেমাস। আনুমানিক ৩৪১ থেকে ২৭০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে লেখা হয়েছে এই প্যাপিরাস। এতে সংগীত, চিত্র ও বাঁশিসংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের সুখ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আশপাশের কত এলাকার মানুষ যে মারা গেছে, তার ইয়ত্তা নেই। এই আগ্নেয়গিরির কারণে চাপা পড়ে গেছে অনেক প্রাচীন সভ্যতার অংশ। ধ্বংস হয়ে গেছে প্রচুর নিদর্শন। তবে সম্প্রতি ভিসুভিয়াসের পাদদেশের একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা পুড়ে যাওয়া একটি প্যাপিরাসের পাঠোদ্ধার করেছেন একদল গবেষক। আর এ কাজে তাঁদের সহায়তা করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, মূলত একটি প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি দল এই প্যাপিরাসের পাঠোদ্ধার করেন। আর এ কাজে তাঁরা মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সেই প্যাপিরাসের লেখা স্ক্যান করেছেন।
নেচারে প্রকাশিত ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, পাঠোদ্ধারের পর দেখা গেছে, ওই প্যাপিরাসের লেখাগুলো মূলত মানুষের ইন্দ্রিয় ও সুখ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে প্রাচীন সভ্যতার লিখিত ইতিহাস পাঠের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে গেল এর মধ্য দিয়ে। তাঁরা বলছেন, প্রাচীন সভ্যতা বোঝার ক্ষেত্রে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের জাঁ পল গেটি জাদুঘরের প্রাচীন নিদর্শন বা অ্যান্টিকুইটিস শাখার কিউরেটর কেনেথ লাপাটিন বলেছেন, উদ্ধার করা প্যাপিরাসের লেখাগুলো মূলত সংগীতসহ সুখের অন্যান্য উৎস নিয়ে আলোচনা করে। এই আবিষ্কারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বব ফাউলার বলেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
এর আগে আঠারো শতকে ইতালির হারকিউলিনিয়াম এলাকার রোমান সভ্যতার একটি বিধ্বস্ত বাড়ি থেকে এই প্যাপিরাস উদ্ধার করা হয়। এই প্যাপিরাস প্রাচীন রোমান সভ্যতার সম্পর্কে পাওয়া যাওয়া খুব অল্পসংখ্যক প্রমাণের একটি। কিন্তু এটি এত বাজেভাবে পুড়ে গিয়েছিল যে, কীভাবে এটি খোলা হবে তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে সেই বাধা কেটেছে।
২ হাজার বছর আগের রোমান সভ্যতার বিষয়ে পাওয়া যাওয়া অনেকগুলো প্যাপিরাস আবিষ্কৃত হওয়ার কয়েক শতাব্দী ধরেই অনেকেই সেগুলো খোলার চেষ্টা করেছেন। এমনটা করতে গিয়ে কিছু প্যাপিরাস ধ্বংস হয়েছে, কিছু ভেঙে গেছে। প্যাপিরোলজিস্টরা এখনো সেগুলোর পাঠোদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এই প্যাপিরাসের ব্যাপারে বিগত ২০ বছর ধরেই অনেকে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো ফলাফল আসেনি। অবশেষে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি দল সেই প্যাপিরাসের পাঠোদ্ধারে সমর্থ হলেন।
এর আগে যেসব হারকিউলিনিয়াম প্যাপিরাস খোলা হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ বিষয়বস্তুই এপিকিউরীয় দর্শনসংক্রান্ত। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এই প্যাপিরাস তৈরি করেছিলেন অ্যাথেনীয় দার্শনিক এপিকিউরাসের শিষ্য ফিলোডেমাস। আনুমানিক ৩৪১ থেকে ২৭০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে লেখা হয়েছে এই প্যাপিরাস। এতে সংগীত, চিত্র ও বাঁশিসংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের সুখ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে