মেজবাহ নূর

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব সভ্যতার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
পেনিসিলিন
এমন একটি আবিষ্কার হলো—পেনিসিলিন। এটি এখন একটি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপ হিসেবেই বেশি পরিচিত। বেশির ভাগ পেনিসিলিনই সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে আহরণ করা হয়। তবে শুধু দুটি প্রাকৃতিক পেনিসিলিনকে পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়: পেনিসিলিন জি ও পেনিসিলিন ভি। পেনিসিলিন ছিল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করা প্রথম ওষুধ। তবে এই পিনিসিলিনই আবিষ্কৃত হয়েছিল অপ্রত্যাশিতভাবে।

১৯২৮ সালে লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে স্টেফাইলোককাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং। মাঝে গবেষণা স্থগিত রেখে তিনি স্কটল্যান্ডে বেড়াতে যান। যাওয়ার সময় স্টেফাইলোককাসের একটি নমুনা কাচের পাত্রে রেখে যান। ভুল করে গবেষণাগারের জানালা খুলে রেখে যান। তবে এই ভুলের ফলেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কারটি করে বসেন ফ্লেমিং।
গবেষণাগারে ফিরে ফ্লেমিং দেখতে পান খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস পাতা উড়ে এসে জীবাণু ভর্তি প্লেটের ওপর পড়েছে। জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তিনি। ফ্লেমিং বুঝতে পারলেন, এই আগাছাগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে যার জন্য এই পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্লেমিং পরীক্ষা করে দেখেন, আগাছাগুলোর ওপর একরকম ছত্রাক জন্ম নিয়েছে।
সেই ছত্রাকগুলো বেছে বেছে জীবাণুর ওপর দিতেই ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। তাই তিনি এর নাম দিলেন ‘পেনিসিলিন’।
সুপার গ্লু
বিশ্বজুড়ে তখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ড. হ্যারি কুভার মিত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করছিলেন। মিত্র বাহিনীর জন্য প্লাস্টিক গান সাইট (বন্দুকের যে অংশ দিয়ে নিশানা ঠিক করা হয়) বানাতে কাজ করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এমন এক ধরনের আঠালো রাসায়নিক (সাইয়ানোঅ্যাক্রিলেট) উদ্ভাবন করে ফেলেন যা খুব দ্রুত কোনো কিছুর সঙ্গে সেঁটে যেতে পারে। তবে তখনকার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তিনি তখন সেই রাসায়নিক নিয়ে আর মাথা ঘামাননি।
এর প্রায় নয় বছর পর, ১৯৫১ সালে ড. কুভার কাজ করছিলেন ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানিতে। সেখানে জেট প্লেনের ককপিটের ওপরের আচ্ছাদনের জন্য তাপ প্রতিরোধী এক্রিলেট পলিমার বানানোর এক প্রকল্পের সুপারভাইজর ছিলেন। সেখানে কাজ করতে করতে একদিন ফ্রেড জয়নার নামক আরেক গবেষকের সঙ্গে সেই নয় বছর আগেকার আঠালো রাসায়নিকটি আবার উদ্ভাবন করেন।
তাঁরা এটি একজোড়া রিফ্র্যাক্টোমিটার প্রিজমের মাঝে এটি লাগিয়ে দেখলেন, ওগুলো অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে একে অপরের সঙ্গে জোড়া লেগেছে। এভাবেই উদ্ভাবিত হয় ‘সুপার গ্লু’।
১৯৫৮ সালে সুপার গ্লু বাজারে আনে ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানি। নাম দেওয়া হয় ইস্টম্যান #৯১০। পরবর্তীতে অবশ্য এর নাম ‘সুপার গ্লু’ দেওয়া হয়। মূলত এখান থেকেই নামটির প্রচলন হয়।
এক্স-রে
এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি হচ্ছে এক ধরনের তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ। সাধারণ আলোর সঙ্গে এক্স-রের পার্থক্য হলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে। মানব শরীরের ত্বকের মতো পাতলা প্রাচীর ভেদ করতে পারে। এক্স–রে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি তোলার কাজে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রের কাজের পরিধি আরও অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। ক্যানসার কোষ ধ্বংসের কাজেও বর্তমানে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এক্স-রে। তবে এই এক্স-রে কিনা আবিষ্কৃত হয়েছিল ভুলে!
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের উরজবার্গ শহরের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলহেম রন্টজেন ক্যাথোড রশ্মি কাচের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কি না পরীক্ষা করছিলেন। তাঁর ক্যাথোড টিউবটি ভারী কালো কাগজে আচ্ছাদিত হওয়া সত্ত্বেও একটি ভাস্বর সবুজ আলো একটি ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিনে প্রক্ষেপিত হয়েছিল।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি দেখতে পেলেন, রহস্যময় এই আলো বেশির ভাগ পদার্থ ভেদ করে গেলেও একটি ছায়া রেখে যায়। রশ্মিটি কী তা তিনি জানতেন না বলে এটির নাম দেন ‘এক্স’। অর্থাৎ, একে ‘অজানা’ রশ্মি বলে ডাকেন রন্টজেন।
একদিন রন্টজেন তাঁর স্ত্রীকে ডাকলেন। স্ত্রীকে বললেন পর্দার সামনে হাত মেলে ধরতে। স্ত্রীর হাতের আঙুলে ছিল বিয়ের আংটি। টিউবের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে রন্টজেন দেখতে পেলেন পর্দায় তাঁর স্ত্রীর হাতের হাড়ের ছবি ভেসে উঠেছে এবং আংটির স্থানে কালো রঙের ছায়া দেখা যাচ্ছে। রন্টজেন আবিষ্কার করেন, এক্স-রে মানুষের ত্বক ভেদ করে হাড় এবং টিস্যুকে দৃশ্যমান রেখে পার হতে পারে। এই আবিষ্কারের খবর দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এক বছরের মধ্যে, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা শরীরে বন্দুকের গুলি, হাড়ের ফাটল, কিডনিতে পাথর এবং গিলে ফেলা বস্তু শনাক্ত করতে এক্স-রে ব্যবহার শুরু করেন। এই আবিষ্কারের জন্য রন্টজেন ১৯০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান।
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর যখন রন্টজেন নিজের অজান্তেই এই এক্স-রে আবিষ্কার করেন তখনো পদার্থবিজ্ঞানের অনেক মৌলিক বিষয় আবিষ্কৃত হয়নি। এক্স-রে আবিষ্কারের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে অল্প সময়ের মধ্যেই পদার্থবিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিষ্কৃত হয়। বলা যায়, এক্স-রে আবিষ্কারের ফলেই দাঁড়িয়ে গেছে পুরো বিশ শতকের পদার্থবিজ্ঞান।
অবশ্য উইলহেমের আবিষ্কৃত এক্স-রের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। রোগনির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক্স-রে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিজ্ঞানী উইলহেম যেভাবে বায়ুশূন্য টিউবে বিদ্যুৎপ্রবাহের মাধ্যমে এক্স-রে উৎপন্ন করেছিলেন, আজও একই কৌশলে এক্স-রে উৎপন্ন করা হয়।
উইলহেম রন্টজেনের সম্মানার্থে রঞ্জনরশ্মির এককের নামও রাখা হয়েছে রন্টজেন। এক রন্টজেন বলতে সেই পরিমাণ বিকিরণ বোঝায় যা স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় এক মিলিমিটার বায়ুতে এক স্থির বৈদ্যুতিক আধানের সমান আধান উৎপন্ন করতে পারে।

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব সভ্যতার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
পেনিসিলিন
এমন একটি আবিষ্কার হলো—পেনিসিলিন। এটি এখন একটি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপ হিসেবেই বেশি পরিচিত। বেশির ভাগ পেনিসিলিনই সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে আহরণ করা হয়। তবে শুধু দুটি প্রাকৃতিক পেনিসিলিনকে পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়: পেনিসিলিন জি ও পেনিসিলিন ভি। পেনিসিলিন ছিল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করা প্রথম ওষুধ। তবে এই পিনিসিলিনই আবিষ্কৃত হয়েছিল অপ্রত্যাশিতভাবে।

১৯২৮ সালে লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে স্টেফাইলোককাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং। মাঝে গবেষণা স্থগিত রেখে তিনি স্কটল্যান্ডে বেড়াতে যান। যাওয়ার সময় স্টেফাইলোককাসের একটি নমুনা কাচের পাত্রে রেখে যান। ভুল করে গবেষণাগারের জানালা খুলে রেখে যান। তবে এই ভুলের ফলেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কারটি করে বসেন ফ্লেমিং।
গবেষণাগারে ফিরে ফ্লেমিং দেখতে পান খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস পাতা উড়ে এসে জীবাণু ভর্তি প্লেটের ওপর পড়েছে। জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তিনি। ফ্লেমিং বুঝতে পারলেন, এই আগাছাগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে যার জন্য এই পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্লেমিং পরীক্ষা করে দেখেন, আগাছাগুলোর ওপর একরকম ছত্রাক জন্ম নিয়েছে।
সেই ছত্রাকগুলো বেছে বেছে জীবাণুর ওপর দিতেই ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। তাই তিনি এর নাম দিলেন ‘পেনিসিলিন’।
সুপার গ্লু
বিশ্বজুড়ে তখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ড. হ্যারি কুভার মিত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করছিলেন। মিত্র বাহিনীর জন্য প্লাস্টিক গান সাইট (বন্দুকের যে অংশ দিয়ে নিশানা ঠিক করা হয়) বানাতে কাজ করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এমন এক ধরনের আঠালো রাসায়নিক (সাইয়ানোঅ্যাক্রিলেট) উদ্ভাবন করে ফেলেন যা খুব দ্রুত কোনো কিছুর সঙ্গে সেঁটে যেতে পারে। তবে তখনকার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তিনি তখন সেই রাসায়নিক নিয়ে আর মাথা ঘামাননি।
এর প্রায় নয় বছর পর, ১৯৫১ সালে ড. কুভার কাজ করছিলেন ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানিতে। সেখানে জেট প্লেনের ককপিটের ওপরের আচ্ছাদনের জন্য তাপ প্রতিরোধী এক্রিলেট পলিমার বানানোর এক প্রকল্পের সুপারভাইজর ছিলেন। সেখানে কাজ করতে করতে একদিন ফ্রেড জয়নার নামক আরেক গবেষকের সঙ্গে সেই নয় বছর আগেকার আঠালো রাসায়নিকটি আবার উদ্ভাবন করেন।
তাঁরা এটি একজোড়া রিফ্র্যাক্টোমিটার প্রিজমের মাঝে এটি লাগিয়ে দেখলেন, ওগুলো অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে একে অপরের সঙ্গে জোড়া লেগেছে। এভাবেই উদ্ভাবিত হয় ‘সুপার গ্লু’।
১৯৫৮ সালে সুপার গ্লু বাজারে আনে ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানি। নাম দেওয়া হয় ইস্টম্যান #৯১০। পরবর্তীতে অবশ্য এর নাম ‘সুপার গ্লু’ দেওয়া হয়। মূলত এখান থেকেই নামটির প্রচলন হয়।
এক্স-রে
এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি হচ্ছে এক ধরনের তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ। সাধারণ আলোর সঙ্গে এক্স-রের পার্থক্য হলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে। মানব শরীরের ত্বকের মতো পাতলা প্রাচীর ভেদ করতে পারে। এক্স–রে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি তোলার কাজে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রের কাজের পরিধি আরও অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। ক্যানসার কোষ ধ্বংসের কাজেও বর্তমানে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এক্স-রে। তবে এই এক্স-রে কিনা আবিষ্কৃত হয়েছিল ভুলে!
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের উরজবার্গ শহরের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলহেম রন্টজেন ক্যাথোড রশ্মি কাচের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কি না পরীক্ষা করছিলেন। তাঁর ক্যাথোড টিউবটি ভারী কালো কাগজে আচ্ছাদিত হওয়া সত্ত্বেও একটি ভাস্বর সবুজ আলো একটি ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিনে প্রক্ষেপিত হয়েছিল।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি দেখতে পেলেন, রহস্যময় এই আলো বেশির ভাগ পদার্থ ভেদ করে গেলেও একটি ছায়া রেখে যায়। রশ্মিটি কী তা তিনি জানতেন না বলে এটির নাম দেন ‘এক্স’। অর্থাৎ, একে ‘অজানা’ রশ্মি বলে ডাকেন রন্টজেন।
একদিন রন্টজেন তাঁর স্ত্রীকে ডাকলেন। স্ত্রীকে বললেন পর্দার সামনে হাত মেলে ধরতে। স্ত্রীর হাতের আঙুলে ছিল বিয়ের আংটি। টিউবের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে রন্টজেন দেখতে পেলেন পর্দায় তাঁর স্ত্রীর হাতের হাড়ের ছবি ভেসে উঠেছে এবং আংটির স্থানে কালো রঙের ছায়া দেখা যাচ্ছে। রন্টজেন আবিষ্কার করেন, এক্স-রে মানুষের ত্বক ভেদ করে হাড় এবং টিস্যুকে দৃশ্যমান রেখে পার হতে পারে। এই আবিষ্কারের খবর দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এক বছরের মধ্যে, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা শরীরে বন্দুকের গুলি, হাড়ের ফাটল, কিডনিতে পাথর এবং গিলে ফেলা বস্তু শনাক্ত করতে এক্স-রে ব্যবহার শুরু করেন। এই আবিষ্কারের জন্য রন্টজেন ১৯০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান।
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর যখন রন্টজেন নিজের অজান্তেই এই এক্স-রে আবিষ্কার করেন তখনো পদার্থবিজ্ঞানের অনেক মৌলিক বিষয় আবিষ্কৃত হয়নি। এক্স-রে আবিষ্কারের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে অল্প সময়ের মধ্যেই পদার্থবিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিষ্কৃত হয়। বলা যায়, এক্স-রে আবিষ্কারের ফলেই দাঁড়িয়ে গেছে পুরো বিশ শতকের পদার্থবিজ্ঞান।
অবশ্য উইলহেমের আবিষ্কৃত এক্স-রের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। রোগনির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক্স-রে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিজ্ঞানী উইলহেম যেভাবে বায়ুশূন্য টিউবে বিদ্যুৎপ্রবাহের মাধ্যমে এক্স-রে উৎপন্ন করেছিলেন, আজও একই কৌশলে এক্স-রে উৎপন্ন করা হয়।
উইলহেম রন্টজেনের সম্মানার্থে রঞ্জনরশ্মির এককের নামও রাখা হয়েছে রন্টজেন। এক রন্টজেন বলতে সেই পরিমাণ বিকিরণ বোঝায় যা স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় এক মিলিমিটার বায়ুতে এক স্থির বৈদ্যুতিক আধানের সমান আধান উৎপন্ন করতে পারে।
মেজবাহ নূর

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব সভ্যতার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
পেনিসিলিন
এমন একটি আবিষ্কার হলো—পেনিসিলিন। এটি এখন একটি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপ হিসেবেই বেশি পরিচিত। বেশির ভাগ পেনিসিলিনই সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে আহরণ করা হয়। তবে শুধু দুটি প্রাকৃতিক পেনিসিলিনকে পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়: পেনিসিলিন জি ও পেনিসিলিন ভি। পেনিসিলিন ছিল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করা প্রথম ওষুধ। তবে এই পিনিসিলিনই আবিষ্কৃত হয়েছিল অপ্রত্যাশিতভাবে।

১৯২৮ সালে লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে স্টেফাইলোককাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং। মাঝে গবেষণা স্থগিত রেখে তিনি স্কটল্যান্ডে বেড়াতে যান। যাওয়ার সময় স্টেফাইলোককাসের একটি নমুনা কাচের পাত্রে রেখে যান। ভুল করে গবেষণাগারের জানালা খুলে রেখে যান। তবে এই ভুলের ফলেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কারটি করে বসেন ফ্লেমিং।
গবেষণাগারে ফিরে ফ্লেমিং দেখতে পান খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস পাতা উড়ে এসে জীবাণু ভর্তি প্লেটের ওপর পড়েছে। জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তিনি। ফ্লেমিং বুঝতে পারলেন, এই আগাছাগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে যার জন্য এই পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্লেমিং পরীক্ষা করে দেখেন, আগাছাগুলোর ওপর একরকম ছত্রাক জন্ম নিয়েছে।
সেই ছত্রাকগুলো বেছে বেছে জীবাণুর ওপর দিতেই ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। তাই তিনি এর নাম দিলেন ‘পেনিসিলিন’।
সুপার গ্লু
বিশ্বজুড়ে তখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ড. হ্যারি কুভার মিত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করছিলেন। মিত্র বাহিনীর জন্য প্লাস্টিক গান সাইট (বন্দুকের যে অংশ দিয়ে নিশানা ঠিক করা হয়) বানাতে কাজ করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এমন এক ধরনের আঠালো রাসায়নিক (সাইয়ানোঅ্যাক্রিলেট) উদ্ভাবন করে ফেলেন যা খুব দ্রুত কোনো কিছুর সঙ্গে সেঁটে যেতে পারে। তবে তখনকার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তিনি তখন সেই রাসায়নিক নিয়ে আর মাথা ঘামাননি।
এর প্রায় নয় বছর পর, ১৯৫১ সালে ড. কুভার কাজ করছিলেন ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানিতে। সেখানে জেট প্লেনের ককপিটের ওপরের আচ্ছাদনের জন্য তাপ প্রতিরোধী এক্রিলেট পলিমার বানানোর এক প্রকল্পের সুপারভাইজর ছিলেন। সেখানে কাজ করতে করতে একদিন ফ্রেড জয়নার নামক আরেক গবেষকের সঙ্গে সেই নয় বছর আগেকার আঠালো রাসায়নিকটি আবার উদ্ভাবন করেন।
তাঁরা এটি একজোড়া রিফ্র্যাক্টোমিটার প্রিজমের মাঝে এটি লাগিয়ে দেখলেন, ওগুলো অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে একে অপরের সঙ্গে জোড়া লেগেছে। এভাবেই উদ্ভাবিত হয় ‘সুপার গ্লু’।
১৯৫৮ সালে সুপার গ্লু বাজারে আনে ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানি। নাম দেওয়া হয় ইস্টম্যান #৯১০। পরবর্তীতে অবশ্য এর নাম ‘সুপার গ্লু’ দেওয়া হয়। মূলত এখান থেকেই নামটির প্রচলন হয়।
এক্স-রে
এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি হচ্ছে এক ধরনের তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ। সাধারণ আলোর সঙ্গে এক্স-রের পার্থক্য হলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে। মানব শরীরের ত্বকের মতো পাতলা প্রাচীর ভেদ করতে পারে। এক্স–রে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি তোলার কাজে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রের কাজের পরিধি আরও অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। ক্যানসার কোষ ধ্বংসের কাজেও বর্তমানে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এক্স-রে। তবে এই এক্স-রে কিনা আবিষ্কৃত হয়েছিল ভুলে!
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের উরজবার্গ শহরের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলহেম রন্টজেন ক্যাথোড রশ্মি কাচের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কি না পরীক্ষা করছিলেন। তাঁর ক্যাথোড টিউবটি ভারী কালো কাগজে আচ্ছাদিত হওয়া সত্ত্বেও একটি ভাস্বর সবুজ আলো একটি ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিনে প্রক্ষেপিত হয়েছিল।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি দেখতে পেলেন, রহস্যময় এই আলো বেশির ভাগ পদার্থ ভেদ করে গেলেও একটি ছায়া রেখে যায়। রশ্মিটি কী তা তিনি জানতেন না বলে এটির নাম দেন ‘এক্স’। অর্থাৎ, একে ‘অজানা’ রশ্মি বলে ডাকেন রন্টজেন।
একদিন রন্টজেন তাঁর স্ত্রীকে ডাকলেন। স্ত্রীকে বললেন পর্দার সামনে হাত মেলে ধরতে। স্ত্রীর হাতের আঙুলে ছিল বিয়ের আংটি। টিউবের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে রন্টজেন দেখতে পেলেন পর্দায় তাঁর স্ত্রীর হাতের হাড়ের ছবি ভেসে উঠেছে এবং আংটির স্থানে কালো রঙের ছায়া দেখা যাচ্ছে। রন্টজেন আবিষ্কার করেন, এক্স-রে মানুষের ত্বক ভেদ করে হাড় এবং টিস্যুকে দৃশ্যমান রেখে পার হতে পারে। এই আবিষ্কারের খবর দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এক বছরের মধ্যে, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা শরীরে বন্দুকের গুলি, হাড়ের ফাটল, কিডনিতে পাথর এবং গিলে ফেলা বস্তু শনাক্ত করতে এক্স-রে ব্যবহার শুরু করেন। এই আবিষ্কারের জন্য রন্টজেন ১৯০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান।
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর যখন রন্টজেন নিজের অজান্তেই এই এক্স-রে আবিষ্কার করেন তখনো পদার্থবিজ্ঞানের অনেক মৌলিক বিষয় আবিষ্কৃত হয়নি। এক্স-রে আবিষ্কারের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে অল্প সময়ের মধ্যেই পদার্থবিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিষ্কৃত হয়। বলা যায়, এক্স-রে আবিষ্কারের ফলেই দাঁড়িয়ে গেছে পুরো বিশ শতকের পদার্থবিজ্ঞান।
অবশ্য উইলহেমের আবিষ্কৃত এক্স-রের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। রোগনির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক্স-রে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিজ্ঞানী উইলহেম যেভাবে বায়ুশূন্য টিউবে বিদ্যুৎপ্রবাহের মাধ্যমে এক্স-রে উৎপন্ন করেছিলেন, আজও একই কৌশলে এক্স-রে উৎপন্ন করা হয়।
উইলহেম রন্টজেনের সম্মানার্থে রঞ্জনরশ্মির এককের নামও রাখা হয়েছে রন্টজেন। এক রন্টজেন বলতে সেই পরিমাণ বিকিরণ বোঝায় যা স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় এক মিলিমিটার বায়ুতে এক স্থির বৈদ্যুতিক আধানের সমান আধান উৎপন্ন করতে পারে।

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব সভ্যতার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
পেনিসিলিন
এমন একটি আবিষ্কার হলো—পেনিসিলিন। এটি এখন একটি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপ হিসেবেই বেশি পরিচিত। বেশির ভাগ পেনিসিলিনই সাধারণত প্রাকৃতিক উপায়ে আহরণ করা হয়। তবে শুধু দুটি প্রাকৃতিক পেনিসিলিনকে পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়: পেনিসিলিন জি ও পেনিসিলিন ভি। পেনিসিলিন ছিল ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করা প্রথম ওষুধ। তবে এই পিনিসিলিনই আবিষ্কৃত হয়েছিল অপ্রত্যাশিতভাবে।

১৯২৮ সালে লন্ডনের এক ল্যাবরেটরিতে স্টেফাইলোককাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন আলেক্সান্ডার ফ্লেমিং। মাঝে গবেষণা স্থগিত রেখে তিনি স্কটল্যান্ডে বেড়াতে যান। যাওয়ার সময় স্টেফাইলোককাসের একটি নমুনা কাচের পাত্রে রেখে যান। ভুল করে গবেষণাগারের জানালা খুলে রেখে যান। তবে এই ভুলের ফলেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে বিস্ময়কর আবিষ্কারটি করে বসেন ফ্লেমিং।
গবেষণাগারে ফিরে ফ্লেমিং দেখতে পান খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির বাগান থেকে কিছু ঘাস পাতা উড়ে এসে জীবাণু ভর্তি প্লেটের ওপর পড়েছে। জীবাণুর কালচারের মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তিনি। ফ্লেমিং বুঝতে পারলেন, এই আগাছাগুলোর মধ্যে এমন কিছু আছে যার জন্য এই পরিবর্তন ঘটেছে। ফ্লেমিং পরীক্ষা করে দেখেন, আগাছাগুলোর ওপর একরকম ছত্রাক জন্ম নিয়েছে।
সেই ছত্রাকগুলো বেছে বেছে জীবাণুর ওপর দিতেই ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাম। তাই তিনি এর নাম দিলেন ‘পেনিসিলিন’।
সুপার গ্লু
বিশ্বজুড়ে তখন চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ড. হ্যারি কুভার মিত্র বাহিনীর হয়ে কাজ করছিলেন। মিত্র বাহিনীর জন্য প্লাস্টিক গান সাইট (বন্দুকের যে অংশ দিয়ে নিশানা ঠিক করা হয়) বানাতে কাজ করছিলেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এমন এক ধরনের আঠালো রাসায়নিক (সাইয়ানোঅ্যাক্রিলেট) উদ্ভাবন করে ফেলেন যা খুব দ্রুত কোনো কিছুর সঙ্গে সেঁটে যেতে পারে। তবে তখনকার উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় তিনি তখন সেই রাসায়নিক নিয়ে আর মাথা ঘামাননি।
এর প্রায় নয় বছর পর, ১৯৫১ সালে ড. কুভার কাজ করছিলেন ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানিতে। সেখানে জেট প্লেনের ককপিটের ওপরের আচ্ছাদনের জন্য তাপ প্রতিরোধী এক্রিলেট পলিমার বানানোর এক প্রকল্পের সুপারভাইজর ছিলেন। সেখানে কাজ করতে করতে একদিন ফ্রেড জয়নার নামক আরেক গবেষকের সঙ্গে সেই নয় বছর আগেকার আঠালো রাসায়নিকটি আবার উদ্ভাবন করেন।
তাঁরা এটি একজোড়া রিফ্র্যাক্টোমিটার প্রিজমের মাঝে এটি লাগিয়ে দেখলেন, ওগুলো অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে একে অপরের সঙ্গে জোড়া লেগেছে। এভাবেই উদ্ভাবিত হয় ‘সুপার গ্লু’।
১৯৫৮ সালে সুপার গ্লু বাজারে আনে ইস্টম্যান কোডাক কোম্পানি। নাম দেওয়া হয় ইস্টম্যান #৯১০। পরবর্তীতে অবশ্য এর নাম ‘সুপার গ্লু’ দেওয়া হয়। মূলত এখান থেকেই নামটির প্রচলন হয়।
এক্স-রে
এক্স-রে বা রঞ্জন রশ্মি হচ্ছে এক ধরনের তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ। সাধারণ আলোর সঙ্গে এক্স-রের পার্থক্য হলো তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে। মানব শরীরের ত্বকের মতো পাতলা প্রাচীর ভেদ করতে পারে। এক্স–রে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি তোলার কাজে এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রের কাজের পরিধি আরও অনেক বেশি বাড়ানো হয়েছে। ক্যানসার কোষ ধ্বংসের কাজেও বর্তমানে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এক্স-রে। তবে এই এক্স-রে কিনা আবিষ্কৃত হয়েছিল ভুলে!
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যের উরজবার্গ শহরের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলহেম রন্টজেন ক্যাথোড রশ্মি কাচের মধ্য দিয়ে যেতে পারে কি না পরীক্ষা করছিলেন। তাঁর ক্যাথোড টিউবটি ভারী কালো কাগজে আচ্ছাদিত হওয়া সত্ত্বেও একটি ভাস্বর সবুজ আলো একটি ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিনে প্রক্ষেপিত হয়েছিল।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি দেখতে পেলেন, রহস্যময় এই আলো বেশির ভাগ পদার্থ ভেদ করে গেলেও একটি ছায়া রেখে যায়। রশ্মিটি কী তা তিনি জানতেন না বলে এটির নাম দেন ‘এক্স’। অর্থাৎ, একে ‘অজানা’ রশ্মি বলে ডাকেন রন্টজেন।
একদিন রন্টজেন তাঁর স্ত্রীকে ডাকলেন। স্ত্রীকে বললেন পর্দার সামনে হাত মেলে ধরতে। স্ত্রীর হাতের আঙুলে ছিল বিয়ের আংটি। টিউবের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে রন্টজেন দেখতে পেলেন পর্দায় তাঁর স্ত্রীর হাতের হাড়ের ছবি ভেসে উঠেছে এবং আংটির স্থানে কালো রঙের ছায়া দেখা যাচ্ছে। রন্টজেন আবিষ্কার করেন, এক্স-রে মানুষের ত্বক ভেদ করে হাড় এবং টিস্যুকে দৃশ্যমান রেখে পার হতে পারে। এই আবিষ্কারের খবর দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এক বছরের মধ্যে, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা শরীরে বন্দুকের গুলি, হাড়ের ফাটল, কিডনিতে পাথর এবং গিলে ফেলা বস্তু শনাক্ত করতে এক্স-রে ব্যবহার শুরু করেন। এই আবিষ্কারের জন্য রন্টজেন ১৯০১ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান।
১৮৯৫ সালের ৮ নভেম্বর যখন রন্টজেন নিজের অজান্তেই এই এক্স-রে আবিষ্কার করেন তখনো পদার্থবিজ্ঞানের অনেক মৌলিক বিষয় আবিষ্কৃত হয়নি। এক্স-রে আবিষ্কারের তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে অল্প সময়ের মধ্যেই পদার্থবিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবিষ্কৃত হয়। বলা যায়, এক্স-রে আবিষ্কারের ফলেই দাঁড়িয়ে গেছে পুরো বিশ শতকের পদার্থবিজ্ঞান।
অবশ্য উইলহেমের আবিষ্কৃত এক্স-রের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞান। রোগনির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক্স-রে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিজ্ঞানী উইলহেম যেভাবে বায়ুশূন্য টিউবে বিদ্যুৎপ্রবাহের মাধ্যমে এক্স-রে উৎপন্ন করেছিলেন, আজও একই কৌশলে এক্স-রে উৎপন্ন করা হয়।
উইলহেম রন্টজেনের সম্মানার্থে রঞ্জনরশ্মির এককের নামও রাখা হয়েছে রন্টজেন। এক রন্টজেন বলতে সেই পরিমাণ বিকিরণ বোঝায় যা স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় এক মিলিমিটার বায়ুতে এক স্থির বৈদ্যুতিক আধানের সমান আধান উৎপন্ন করতে পারে।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৮ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৮ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে বিদায়ী এই বছরটিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ইস্টার আইল্যান্ডের একটি খনিতে পড়ে থাকা অসমাপ্ত পাথরের মূর্তিগুলো বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা জানতে পেরেছেন, প্রাচীন পলিনেশীয়রা কীভাবে পাহাড় কেটে ধাপে ধাপে বিশাল মোয়াই মূর্তি তৈরি করত।
এদিকে, ইতালির পম্পেই নগরীতে নতুন করে খননকাজ শুরু হওয়ার পর একটি পাথরের সিঁড়ি আবিষ্কৃত হয়েছে, যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হওয়ার আগে শহরটি দেখতে কেমন ছিল তা জানতে সহায়তা করেছে।
পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৫ হাজার ২০০টি গর্ত নিয়েও নতুন ধারণা দিয়েছেন গবেষকেরা। এই গর্তগুলোর নির্মাতা কারা এবং কেন এগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল—ড্রোন ফুটেজ ও উদ্ভিদকণা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।
কিছু গবেষণা আবার নতুন প্রশ্নও উসকে দিয়েছে। যেমন—চিকিৎসা নথি না থাকায় বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জেন অস্টেনের মৃত্যুর কারণ জানতে গবেষকেরা তাঁর লেখার ভাষা ও শব্দচয়ন বিশ্লেষণ করছেন।

এ বছর ঐতিহাসিক বিষয়ে আলোচিত আবিষ্কারগুলোর একটি হলো, অস্ট্রিয়ার প্রত্যন্ত গির্জায় সংরক্ষিত রহস্যময় একটি মমি। ১৭০০ সাল থেকে ‘বাতাসে শুকানো যাজক’ নামে পরিচিত এই দেহটির পরিচয় দীর্ঘদিন অজানা ছিল। আধুনিক স্ক্যান ও রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, তিনি ছিলেন ফ্রাঞ্জ জাভের সিডলার ফন রোজেনেগ নামে একজন অভিজাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি গির্জার যাজক হয়েছিলেন। গবেষকেরা তাঁর দেহ সংরক্ষণের এক অজানা পদ্ধতি ও মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণও চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে ডেনমার্কে সংরক্ষিত হিয়র্টস্প্রিং নৌকাটির উৎস নিয়েও রহস্যের পর্দা উঠেছে। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় আগের এই নৌকাটি অস্ত্রে ভরা ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় এটি দ্বীপে আক্রমণ করার উদ্দেশে যোদ্ধাদের বহন করছিল। বিশ্লেষণে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। এটিকে তৎকালীন কোনো নাবিকের সরাসরি প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রমাণ মিলেছে—অভিযাত্রী আর্নেস্ট শ্যাকলটনের জাহাজ এইচএমএস অ্যান্ডিউরেন্স ভাঙা স্টিয়ারিং নয়, বরং কাঠামোগত দুর্বলতার কারণেই ডুবে গিয়েছিল।

১৪ হাজার বছর আগে বরফ যুগের ‘টুমাট পাপিজ’ নামে পরিচিত দুটি সংরক্ষিত শাবককে এত দিন গৃহপালিত কুকুর মনে করা হলেও নতুন জেনেটিক গবেষণায় জানা গেছে, এগুলো আসলে নেকড়ে শাবক ছিল এবং মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এ ছাড়া ১৮১২ সালে নেপোলিয়নের রাশিয়া অভিযান নিয়েও নতুন তথ্য মিলেছে। সেই সময়ে নিহত ফরাসি সেনাদের দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করে টাইফাসের পাশাপাশি প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং ফিভারের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা ওই বাহিনীর বিপুল প্রাণহানির অন্যতম কারণ হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিজ্ঞানের হাত ধরে ইতিহাসের বহু অন্ধকার কোণ আলোকিত করেছে এবং আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে মানবসভ্যতার দীর্ঘ ও জটিল পথচলা।

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব
২৩ এপ্রিল ২০২৩
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৮ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৮ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক গবেষণা বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সব স্যাটেলাইট একযোগে অচল হয়ে পড়লে প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে সময় লাগবে গড়ে মাত্র ২.৮ দিন।
গত সাত বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে স্যাটেলাইটের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালে যেখানে প্রায় ৪ হাজার স্যাটেলাইট ছিল, এখন সেই সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজারে পৌঁছেছে। এই বিস্ফোরণধর্মী বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্প। নিম্ন-পৃথিবী কক্ষপথে (৩৪০ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়) বর্তমানে স্টারলিংকের স্যাটেলাইটই রয়েছে ৯ হাজারের বেশি।
কক্ষপথে এত বেশি স্যাটেলাইট থাকার কারণে নিয়মিত সংঘর্ষ এড়াতে ‘কলিশন অ্যাভয়ডেন্স ম্যানুভার’ বা গতিপথ পরিবর্তনের কৌশল নিতে হয়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে তারা ১ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করেছে।
গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে নিও সায়েন্টিস্ট জানিয়েছে, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা থিয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্যাটেলাইটের অবস্থানসংক্রান্ত উন্মুক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংঘর্ষ ঝুঁকি পরিমাপের জন্য নতুন একটি সূচক তৈরি করেছেন। এই সূচকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্র্যাশ ক্লক’।
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে যদি সব স্যাটেলাইট হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারাত, তবে প্রথম সংঘর্ষ হতে সময় লাগত প্রায় ১২১ দিন। কিন্তু বর্তমানে সেই সময় নেমে এসেছে মাত্র ২.৮ দিনে। এই তথ্য বিজ্ঞানীদেরও বিস্মিত করেছে।
সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে অচল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম হলেও ২০২৪ সালের মে মাসে শক্তিশালী সৌরঝড়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোতে অস্বাভাবিক ঢেউয়ের মতো প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী সৌরঝড় হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন—আগামী বছরগুলোতে স্পেসএক্স, অ্যামাজন ও চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও হাজার হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। ফলে কক্ষপথে ভিড় আরও বাড়বে, আর ‘ক্র্যাশ ক্লক’-এর সময়সীমা আরও এগিয়ে আসবে। এই পরিস্থিতি মহাকাশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা সামনে আনছে।

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব
২৩ এপ্রিল ২০২৩
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৮ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই ডাইনোসরগুলো ছিল ‘প্রোসাওরোপড’ (prosauropod) প্রজাতির। এ প্রজাতির ডাইনোসরের গলা লম্বা ও মাথা ছোট এবং ধারালো নখবিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী ছিল।
মিলানভিত্তিক জীবাশ্মবিদ ক্রিস্টিয়ানো ডাল সাসো বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, আমি যে অঞ্চলে বাস করি, সেখানেই এমন এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের দেখা পাব।’
গত সেপ্টেম্বরে মিলানের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কের একটি খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে কয়েক শ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই পায়ের ছাপগুলো একজন আলোকচিত্রীর চোখে ধরা পড়ে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০ থেকে ২৫ কোটি বছর আগে ট্রায়াসিক যুগে এই পাহাড়ের অংশটি ছিল একটি সমুদ্র তীরবর্তী সমতল ভূমি, যা পরে আল্পাইন পর্বতমালায় রূপান্তরিত হয়।
ডাল সাসো আরও বলেন, এই জায়গা ডাইনোসরে পরিপূর্ণ ছিল; এটি একটি বিশাল বৈজ্ঞানিক সম্পদ।
ডাল সাসো আরও যোগ করেন, ডাইনোসরের দলগুলো সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করত এবং সেখানে আরও কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে মনে হয়, পশুরা আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে দলবদ্ধ হয়ে বৃত্তাকারে অবস্থান নিত।
আবিষ্কারকেরা বলছেন, প্রোসাওরোপডগুলো ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারত। তারা সাধারণত দুই পায়ে হাঁটত, তবে কিছু ক্ষেত্রে পায়ের ছাপের সামনে হাতের ছাপও পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা সম্ভবত মাঝেমধ্যে থেমে বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাদের সামনের পা মাটিতে রাখত।
আলোকচিত্রী এলিয়ো ডেলা ফেরেরা এই স্থান আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আবিষ্কার আমাদের সবার মধ্যে ভাবনার খোরাক জোগাবে এবং আমরা যেখানে বাস করি, আমাদের ঘর, আমাদের পৃথিবী, এই জায়গাগুলো সম্পর্কে আমরা কতটা কম জানি, তা বোঝায়।’
ইতালির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম এবং যাতায়াতের কোনো পথ নেই। তাই গবেষণার কাজে ড্রোনের পাশাপাশি রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী বছর ইতালিতে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া স্টেলভিও ন্যাশনাল পার্কটি সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইতালির সীমান্তবর্তী ফ্রায়েল উপত্যকায় অবস্থিত। মন্ত্রণালয় জানায়, এটি যেন অনেকটা এমন যে, স্বয়ং ইতিহাসই বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়া ইভেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছে; প্রকৃতি ও ক্রীড়ার মধ্যে এক প্রতীকী সেতুবন্ধনের মাধ্যমে অতীত ও বর্তমানকে এক সুতায় গেঁথেছে।

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব
২৩ এপ্রিল ২০২৩
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৮ দিন আগে
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা।
১১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার উপকূলে একদিন। স্যামন মাছের ঝাঁক পড়িমড়ি করে ছুটতে দেখা গেল। তাদের পিছেই চোখে পড়ল কিলার হোয়েল নামে পরিচিত অরকা ও হোয়াইট–সাইডেড ডলফিনের দলকে। তাও আবার একসঙ্গে! এই দুই শিকারী প্রাণীকে জোটবেঁধে স্যামন শিকারে ছুটতে দেখে যারপরনাই বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। শিকার একই হওয়ায় দুই শিকারী জোট বেঁধেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ নিয়ে একটি গবেষণাও প্রকাশিত হয়েছে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এই দুই শিকারি প্রাণীর মধ্যে হয়তো একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
গবেষকেরা বলছেন, ‘কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া উপকূলে প্যাসিফিক হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন ও নর্দার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েলের মধ্যে এ ধরনের একটি রহস্যজনক সম্পর্ক দেখা যায়, যেখানে এই দুই সিটাসিয়ান প্রজাতিকে প্রায়ই একে অপরের কয়েক মিটারের মধ্যেই দেখা যায়।’
ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লাইবনিজ ইনস্টিটিউট ও হাকাই ইনস্টিটিউটের সঙ্গে কাজ করা বিজ্ঞানীরা ড্রোন ভিডিও ও শব্দগত রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে জানান, এই প্রথম অরকা ও ডলফিনের এভাবে খাদ্য চাহিদা পূরণে যৌথভাবে কাজ করতে দেখা গেল।
গবেষণার প্রধান লেখক সারা ফরচুন দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘স্যামন শিকারের পারদর্শিতায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই তিমিগুলো। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও বিশেষায়িত শিকারি। মনে হচ্ছিল ডলফিনগুলো তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। অরকাদের এভাবে ডলফিনের অনুসরণ করতে দেখা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর ভীষণ রোমাঞ্চকর।’
দুই শিকারির মধ্যে সদ্য গড়ে ওঠা এই সম্পর্কের কারণ নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন। একটি সম্ভাবনা হলো ক্লেপ্টোপ্যারাসিটিজম, যেখানে ডলফিনেরা অরকার শিকার ছিনিয়ে নিতে পারে।
আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে, ডলফিনেরা স্তন্যপায়ীভোজী ট্রানসিয়েন্ট কিলার হোয়েল এবং কিছুটা কম মাত্রায় বড় হাঙরের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
তবে সারা ফরচুনের মতে, যদি ডলফিনেরা পরজীবীর মতো আচরণ করত, তাহলে সদ্য ধরা শিকার নিয়ে সাধারণত অত্যন্ত রক্ষণশীল কিলার হোয়েলেরা এতটা শান্ত থাকত না, যেমনটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে। এতে গবেষকদের সামনে সবচেয়ে জোরালো ব্যাখ্যাটি উঠে এসেছে, এই দুই শিকারি আসলে পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
সারা ফরচুন আরও বলেন, ‘অরকাগুলো নিজেদের অবস্থান এমনভাবে নিচ্ছিল, যেন তারা ডলফিনদের অনুসরণ করছে। ফলে ডলফিনদেরই নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের আরও গভীরভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করতে এবং আসলে কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টা করতে আগ্রহী করে তোলে।’
এই সহযোগিতা নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে, কারণ নর্দার্ন রেসিডেন্ট অরকারা মূলত স্যামন শিকারে বিশেষজ্ঞ আর হোয়াইট–সাইডেড ডলফিন সাধারণত হেরিং ও অ্যাঙ্কোভির মতো ছোট মাছ খেয়ে থাকে।

প্রতিটি আবিষ্কার বা উদ্ভাবনের পেছনে থাকে একেক একজন জিনিয়াসের মেধা আর অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে এমন কিছু আবিষ্কার রয়েছে যেগুলোর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো বিজ্ঞানীর নাম, কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হলো সেই আবিষ্কারের লক্ষ্যই তাঁর ছিল না! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। তবে পরবর্তীতে সেসব আবিষ্কারই মানব
২৩ এপ্রিল ২০২৩
দশকের পর দশক কিংবা শতাব্দীকাল ধরে মানবসভ্যতার নানা অধ্যায়ে জমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে বিশ্বজুড়ে এ বছর গবেষকেরা যেন গোয়েন্দার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। প্রত্নতত্ত্ব, জেনেটিক বিজ্ঞান, মাইক্রোবায়োলজি ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ২০২৫ সালে উন্মোচিত হয়েছে বহু ঐতিহাসিক রহস্য।
২ দিন আগে
কোনো বড় ধরনের সৌরঝড় বা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের কারণে যদি পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো হঠাৎ নিজেদের গতিপথ পরিবর্তনের সক্ষমতা হারায়, তবে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
৮ দিন আগে
উত্তর ইতালির একটি ন্যাশনাল পার্কে ২১ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। তাও আবার একটি-দুটি নয়, হাজার হাজার। এই পায়ের ছাপগুলোর কয়েকটির ব্যাস ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত। আর এগুলো সমান্তরাল সারিতে সাজানো। এসবের মধ্যে অনেকগুলোতে আঙুল ও নখের ছাপ স্পষ্ট বোঝা গেছে
৮ দিন আগে