আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নলকূপের অবস্থান ও গভীরতাসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে এটি অঞ্চলভিত্তিক ঝুঁকির একটি পূর্বাভাস দেয়।
অ্যাপটির প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের পরিবেশ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. হক। তিনি বলেন, ‘আই-আর্সেনিক ল্যাবরেটরির রাসায়নিক বিশ্লেষণের বিকল্প নয়, তবে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি প্রাথমিক সতর্কতামূলক সরঞ্জাম, যেটি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকেই ব্যবহার করা যাবে।’
এই প্রকল্প ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের নেতৃত্বে কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।
১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। তখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সরকার আর্সেনিক বা দূষিত পানি এড়াতে লাখ লাখ নলকূপ স্থাপন করে। এতে পানিবাহিত রোগ; যেমন ডায়রিয়া ও কলেরা কমলেও অনেক নতুন নলকূপ আর্সেনিকসমৃদ্ধ স্তর থেকে পানি তুলতে শুরু করে। ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ দীর্ঘ মেয়াদে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়।
গত দুই দশকে বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার প্রকল্পের জরিপ (২০০০-২০০৫) এবং ‘আর্সেনিক ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প’ (২০২১-২০২৩)-এর অধীনে ১০ মিলিয়নের বেশি নলকূপ রাসায়নিকভাবে পরীক্ষা করেছে। কিন্তু একটি নলকূপের গড় আয়ু মাত্র ১০ বছর। কোনো ফলোআপ পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিনিয়ত নতুন নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে, ফলে সমস্যা যা, তা রয়েই যাচ্ছে।
আর্সেনিকের প্রভাব মারাত্মক। পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা জাতীয় মান ৫০ মাইক্রোগ্রাম/লিটারের নিচে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, চর্মরোগ ও শিশুদের বিকাশজনিত সমস্যার আশঙ্কা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম/লিটার পর্যন্ত সহনীয় বললেও ধারণা করা হচ্ছে, এখনো প্রায় ২ কোটি মানুষ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে।
কীভাবে কাজ করে আই-আর্সেনিক
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তিনটি তথ্য নেয়—নলকূপের গভীরতা, লাল, হলুদ বা কালো দাগ রয়েছে কি না এবং নলকূপের ভৌগোলিক অবস্থান। এআইভিত্তিক মডেল এরপর এটি মূল্যায়ন করে জানায়, সেই নির্দিষ্ট নলকূপ কতটা নিরাপদ। ফলাফল তাৎক্ষণিক রঙে প্রদর্শিত হয়—সবুজ=সম্ভাব্য নিরাপদ, লাল=সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো, নলকূপের প্ল্যাটফর্মে থাকা দাগ। কালো দাগ (ম্যাঙ্গানিজ) সাধারণত নিরাপদ, অন্যদিকে লাল বা হলুদ দাগ (আয়রন) আর্সেনিক দূষণের ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে অগভীর নলকূপে।
গবেষক কেইন সোয়ার্টজ বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ সহজে দাগের রং চিনতে পারে এবং বেশির ভাগই জানে, তাদের নলকূপ কত গভীর। এই সাধারণ তথ্যই এআই দিয়ে বিশ্লেষণ করলে অসাধারণ ফল পাওয়া যায়।’
গবেষকদের দাবি, এই এআই মডেলের নির্ভুলতা প্রায় ৮৪ শতাংশ। আই-আর্সেনিক শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, জাতীয় পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। গবেষকেরা ‘টিয়ার-১’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হাজারো গ্রাম ও শহর, যেখানে আর্সেনিকের ঝুঁকি বেশি এবং বিকল্প নিরাপদ পানির উৎস বিরল। কার্টিন ইউনিভার্সিটির ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘এসব জায়গাই মূল অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। অ্যাপ নিজে সমাধান নয়, তবে এটি সরকারের উদ্যোগকে সঠিক দিক দেখাতে সহায়তা করতে পারে।’
গবেষকদের দাবি, ব্যাপক ব্যবহার হলে অ্যাপটি আগামী কয়েক বছরে কোটি মানুষের নিরাপদ পানির উৎস বেছে নিতে সহায়তা করতে পারে; যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবিকা রক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে। ড. হক বলেন, পরিষ্কার পানি কোনো বিলাসিতা নয়, এটা মৌলিক অধিকার। এই অ্যাপ সেই অধিকারের পথে একটি পদক্ষেপ।
বর্তমানে এটি ওয়েব অ্যাপ হিসেবে ক্রোম, ফায়ারফক্স ও সাফারির মতো ব্রাউজারে ব্যবহার উপযোগী। শিগগির এটির অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সন চালু হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নলকূপের অবস্থান ও গভীরতাসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে এটি অঞ্চলভিত্তিক ঝুঁকির একটি পূর্বাভাস দেয়।
অ্যাপটির প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের পরিবেশ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. হক। তিনি বলেন, ‘আই-আর্সেনিক ল্যাবরেটরির রাসায়নিক বিশ্লেষণের বিকল্প নয়, তবে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি প্রাথমিক সতর্কতামূলক সরঞ্জাম, যেটি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকেই ব্যবহার করা যাবে।’
এই প্রকল্প ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের নেতৃত্বে কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।
১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। তখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সরকার আর্সেনিক বা দূষিত পানি এড়াতে লাখ লাখ নলকূপ স্থাপন করে। এতে পানিবাহিত রোগ; যেমন ডায়রিয়া ও কলেরা কমলেও অনেক নতুন নলকূপ আর্সেনিকসমৃদ্ধ স্তর থেকে পানি তুলতে শুরু করে। ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ দীর্ঘ মেয়াদে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়।
গত দুই দশকে বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার প্রকল্পের জরিপ (২০০০-২০০৫) এবং ‘আর্সেনিক ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প’ (২০২১-২০২৩)-এর অধীনে ১০ মিলিয়নের বেশি নলকূপ রাসায়নিকভাবে পরীক্ষা করেছে। কিন্তু একটি নলকূপের গড় আয়ু মাত্র ১০ বছর। কোনো ফলোআপ পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিনিয়ত নতুন নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে, ফলে সমস্যা যা, তা রয়েই যাচ্ছে।
আর্সেনিকের প্রভাব মারাত্মক। পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা জাতীয় মান ৫০ মাইক্রোগ্রাম/লিটারের নিচে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, চর্মরোগ ও শিশুদের বিকাশজনিত সমস্যার আশঙ্কা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম/লিটার পর্যন্ত সহনীয় বললেও ধারণা করা হচ্ছে, এখনো প্রায় ২ কোটি মানুষ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে।
কীভাবে কাজ করে আই-আর্সেনিক
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তিনটি তথ্য নেয়—নলকূপের গভীরতা, লাল, হলুদ বা কালো দাগ রয়েছে কি না এবং নলকূপের ভৌগোলিক অবস্থান। এআইভিত্তিক মডেল এরপর এটি মূল্যায়ন করে জানায়, সেই নির্দিষ্ট নলকূপ কতটা নিরাপদ। ফলাফল তাৎক্ষণিক রঙে প্রদর্শিত হয়—সবুজ=সম্ভাব্য নিরাপদ, লাল=সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো, নলকূপের প্ল্যাটফর্মে থাকা দাগ। কালো দাগ (ম্যাঙ্গানিজ) সাধারণত নিরাপদ, অন্যদিকে লাল বা হলুদ দাগ (আয়রন) আর্সেনিক দূষণের ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে অগভীর নলকূপে।
গবেষক কেইন সোয়ার্টজ বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ সহজে দাগের রং চিনতে পারে এবং বেশির ভাগই জানে, তাদের নলকূপ কত গভীর। এই সাধারণ তথ্যই এআই দিয়ে বিশ্লেষণ করলে অসাধারণ ফল পাওয়া যায়।’
গবেষকদের দাবি, এই এআই মডেলের নির্ভুলতা প্রায় ৮৪ শতাংশ। আই-আর্সেনিক শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, জাতীয় পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। গবেষকেরা ‘টিয়ার-১’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হাজারো গ্রাম ও শহর, যেখানে আর্সেনিকের ঝুঁকি বেশি এবং বিকল্প নিরাপদ পানির উৎস বিরল। কার্টিন ইউনিভার্সিটির ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘এসব জায়গাই মূল অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। অ্যাপ নিজে সমাধান নয়, তবে এটি সরকারের উদ্যোগকে সঠিক দিক দেখাতে সহায়তা করতে পারে।’
গবেষকদের দাবি, ব্যাপক ব্যবহার হলে অ্যাপটি আগামী কয়েক বছরে কোটি মানুষের নিরাপদ পানির উৎস বেছে নিতে সহায়তা করতে পারে; যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবিকা রক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে। ড. হক বলেন, পরিষ্কার পানি কোনো বিলাসিতা নয়, এটা মৌলিক অধিকার। এই অ্যাপ সেই অধিকারের পথে একটি পদক্ষেপ।
বর্তমানে এটি ওয়েব অ্যাপ হিসেবে ক্রোম, ফায়ারফক্স ও সাফারির মতো ব্রাউজারে ব্যবহার উপযোগী। শিগগির এটির অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সন চালু হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নলকূপের অবস্থান ও গভীরতাসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে এটি অঞ্চলভিত্তিক ঝুঁকির একটি পূর্বাভাস দেয়।
অ্যাপটির প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের পরিবেশ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. হক। তিনি বলেন, ‘আই-আর্সেনিক ল্যাবরেটরির রাসায়নিক বিশ্লেষণের বিকল্প নয়, তবে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি প্রাথমিক সতর্কতামূলক সরঞ্জাম, যেটি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকেই ব্যবহার করা যাবে।’
এই প্রকল্প ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের নেতৃত্বে কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।
১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। তখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সরকার আর্সেনিক বা দূষিত পানি এড়াতে লাখ লাখ নলকূপ স্থাপন করে। এতে পানিবাহিত রোগ; যেমন ডায়রিয়া ও কলেরা কমলেও অনেক নতুন নলকূপ আর্সেনিকসমৃদ্ধ স্তর থেকে পানি তুলতে শুরু করে। ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ দীর্ঘ মেয়াদে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়।
গত দুই দশকে বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার প্রকল্পের জরিপ (২০০০-২০০৫) এবং ‘আর্সেনিক ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প’ (২০২১-২০২৩)-এর অধীনে ১০ মিলিয়নের বেশি নলকূপ রাসায়নিকভাবে পরীক্ষা করেছে। কিন্তু একটি নলকূপের গড় আয়ু মাত্র ১০ বছর। কোনো ফলোআপ পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিনিয়ত নতুন নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে, ফলে সমস্যা যা, তা রয়েই যাচ্ছে।
আর্সেনিকের প্রভাব মারাত্মক। পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা জাতীয় মান ৫০ মাইক্রোগ্রাম/লিটারের নিচে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, চর্মরোগ ও শিশুদের বিকাশজনিত সমস্যার আশঙ্কা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম/লিটার পর্যন্ত সহনীয় বললেও ধারণা করা হচ্ছে, এখনো প্রায় ২ কোটি মানুষ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে।
কীভাবে কাজ করে আই-আর্সেনিক
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তিনটি তথ্য নেয়—নলকূপের গভীরতা, লাল, হলুদ বা কালো দাগ রয়েছে কি না এবং নলকূপের ভৌগোলিক অবস্থান। এআইভিত্তিক মডেল এরপর এটি মূল্যায়ন করে জানায়, সেই নির্দিষ্ট নলকূপ কতটা নিরাপদ। ফলাফল তাৎক্ষণিক রঙে প্রদর্শিত হয়—সবুজ=সম্ভাব্য নিরাপদ, লাল=সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো, নলকূপের প্ল্যাটফর্মে থাকা দাগ। কালো দাগ (ম্যাঙ্গানিজ) সাধারণত নিরাপদ, অন্যদিকে লাল বা হলুদ দাগ (আয়রন) আর্সেনিক দূষণের ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে অগভীর নলকূপে।
গবেষক কেইন সোয়ার্টজ বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ সহজে দাগের রং চিনতে পারে এবং বেশির ভাগই জানে, তাদের নলকূপ কত গভীর। এই সাধারণ তথ্যই এআই দিয়ে বিশ্লেষণ করলে অসাধারণ ফল পাওয়া যায়।’
গবেষকদের দাবি, এই এআই মডেলের নির্ভুলতা প্রায় ৮৪ শতাংশ। আই-আর্সেনিক শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, জাতীয় পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। গবেষকেরা ‘টিয়ার-১’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হাজারো গ্রাম ও শহর, যেখানে আর্সেনিকের ঝুঁকি বেশি এবং বিকল্প নিরাপদ পানির উৎস বিরল। কার্টিন ইউনিভার্সিটির ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘এসব জায়গাই মূল অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। অ্যাপ নিজে সমাধান নয়, তবে এটি সরকারের উদ্যোগকে সঠিক দিক দেখাতে সহায়তা করতে পারে।’
গবেষকদের দাবি, ব্যাপক ব্যবহার হলে অ্যাপটি আগামী কয়েক বছরে কোটি মানুষের নিরাপদ পানির উৎস বেছে নিতে সহায়তা করতে পারে; যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবিকা রক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে। ড. হক বলেন, পরিষ্কার পানি কোনো বিলাসিতা নয়, এটা মৌলিক অধিকার। এই অ্যাপ সেই অধিকারের পথে একটি পদক্ষেপ।
বর্তমানে এটি ওয়েব অ্যাপ হিসেবে ক্রোম, ফায়ারফক্স ও সাফারির মতো ব্রাউজারে ব্যবহার উপযোগী। শিগগির এটির অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সন চালু হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নলকূপের অবস্থান ও গভীরতাসংক্রান্ত তথ্য নিয়ে এটি অঞ্চলভিত্তিক ঝুঁকির একটি পূর্বাভাস দেয়।
অ্যাপটির প্রধান গবেষক ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের পরিবেশ ও জীববিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. হক। তিনি বলেন, ‘আই-আর্সেনিক ল্যাবরেটরির রাসায়নিক বিশ্লেষণের বিকল্প নয়, তবে এটি সহজে ব্যবহারযোগ্য একটি প্রাথমিক সতর্কতামূলক সরঞ্জাম, যেটি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকেই ব্যবহার করা যাবে।’
এই প্রকল্প ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের নেতৃত্বে কার্টিন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হয়েছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)।
১৯৯০-এর দশকে বাংলাদেশে আর্সেনিক দূষণের বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। তখন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সরকার আর্সেনিক বা দূষিত পানি এড়াতে লাখ লাখ নলকূপ স্থাপন করে। এতে পানিবাহিত রোগ; যেমন ডায়রিয়া ও কলেরা কমলেও অনেক নতুন নলকূপ আর্সেনিকসমৃদ্ধ স্তর থেকে পানি তুলতে শুরু করে। ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ দীর্ঘ মেয়াদে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়।
গত দুই দশকে বাংলাদেশ আর্সেনিক মিটিগেশন ওয়াটার প্রকল্পের জরিপ (২০০০-২০০৫) এবং ‘আর্সেনিক ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্প’ (২০২১-২০২৩)-এর অধীনে ১০ মিলিয়নের বেশি নলকূপ রাসায়নিকভাবে পরীক্ষা করেছে। কিন্তু একটি নলকূপের গড় আয়ু মাত্র ১০ বছর। কোনো ফলোআপ পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিনিয়ত নতুন নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে, ফলে সমস্যা যা, তা রয়েই যাচ্ছে।
আর্সেনিকের প্রভাব মারাত্মক। পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা জাতীয় মান ৫০ মাইক্রোগ্রাম/লিটারের নিচে হলেও দীর্ঘ মেয়াদে গ্রহণে ক্যানসার, হৃদ্রোগ, চর্মরোগ ও শিশুদের বিকাশজনিত সমস্যার আশঙ্কা থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ১০ মাইক্রোগ্রাম/লিটার পর্যন্ত সহনীয় বললেও ধারণা করা হচ্ছে, এখনো প্রায় ২ কোটি মানুষ নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে।
কীভাবে কাজ করে আই-আর্সেনিক
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তিনটি তথ্য নেয়—নলকূপের গভীরতা, লাল, হলুদ বা কালো দাগ রয়েছে কি না এবং নলকূপের ভৌগোলিক অবস্থান। এআইভিত্তিক মডেল এরপর এটি মূল্যায়ন করে জানায়, সেই নির্দিষ্ট নলকূপ কতটা নিরাপদ। ফলাফল তাৎক্ষণিক রঙে প্রদর্শিত হয়—সবুজ=সম্ভাব্য নিরাপদ, লাল=সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো, নলকূপের প্ল্যাটফর্মে থাকা দাগ। কালো দাগ (ম্যাঙ্গানিজ) সাধারণত নিরাপদ, অন্যদিকে লাল বা হলুদ দাগ (আয়রন) আর্সেনিক দূষণের ইঙ্গিত দেয়, বিশেষ করে অগভীর নলকূপে।
গবেষক কেইন সোয়ার্টজ বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ সহজে দাগের রং চিনতে পারে এবং বেশির ভাগই জানে, তাদের নলকূপ কত গভীর। এই সাধারণ তথ্যই এআই দিয়ে বিশ্লেষণ করলে অসাধারণ ফল পাওয়া যায়।’
গবেষকদের দাবি, এই এআই মডেলের নির্ভুলতা প্রায় ৮৪ শতাংশ। আই-আর্সেনিক শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, জাতীয় পর্যায়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। গবেষকেরা ‘টিয়ার-১’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হাজারো গ্রাম ও শহর, যেখানে আর্সেনিকের ঝুঁকি বেশি এবং বিকল্প নিরাপদ পানির উৎস বিরল। কার্টিন ইউনিভার্সিটির ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, ‘এসব জায়গাই মূল অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। অ্যাপ নিজে সমাধান নয়, তবে এটি সরকারের উদ্যোগকে সঠিক দিক দেখাতে সহায়তা করতে পারে।’
গবেষকদের দাবি, ব্যাপক ব্যবহার হলে অ্যাপটি আগামী কয়েক বছরে কোটি মানুষের নিরাপদ পানির উৎস বেছে নিতে সহায়তা করতে পারে; যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবিকা রক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে। ড. হক বলেন, পরিষ্কার পানি কোনো বিলাসিতা নয়, এটা মৌলিক অধিকার। এই অ্যাপ সেই অধিকারের পথে একটি পদক্ষেপ।
বর্তমানে এটি ওয়েব অ্যাপ হিসেবে ক্রোম, ফায়ারফক্স ও সাফারির মতো ব্রাউজারে ব্যবহার উপযোগী। শিগগির এটির অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ভার্সন চালু হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৬ মিনিট আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে এই খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরবর্তীতে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলিটির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকেই বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত, আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলিটি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে এই খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরবর্তীতে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলিটির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকেই বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত, আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলিটি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারী
০৪ জুলাই ২০২৫
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারী
০৪ জুলাই ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৬ মিনিট আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারী
০৪ জুলাই ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৬ মিনিট আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

মানুষের মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক অনুকরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দক্ষতা বাড়ানোর একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মস্তিষ্কের নিউরনগুলোর (স্নায়ুকোষের) সংযোগ যেভাবে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে এআই মডেলগুলো আরও ভালো কাজ করতে পারে।
নিউরোকম্পিউটিং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মানবমস্তিষ্কের ‘নিউরাল ওয়্যারিং’ পদ্ধতি অনুকরণ করে জেনারেটিভ এআই এবং চ্যাটজিপিটির মতো অন্যান্য আধুনিক এআই মডেলে ব্যবহৃত কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো যেতে পারে।
তাঁরা এই পদ্ধতির নাম দিয়েছেন টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (টিএসএম)। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নিউরন কেবল কাছের বা সম্পর্কিত নিউরনের সঙ্গে যুক্ত হয় যেভাবে মানুষের মস্তিষ্ক দক্ষতার সঙ্গে তথ্য সংগঠিত করে গুছিয়ে সংরক্ষণ করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র লেকচারার ড. রোমান বাউয়ার বলেন, ‘খুব বেশি শক্তি না খরচ করেও বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব। এতে পারফরম্যান্সও কমে না। আমাদের গবেষণা তা ই বলছে।’
গবেষকেরা জানান, অপ্রয়োজনীয় বিপুলসংখ্যক সংযোগ বাদ দেয় এই মডেলটি। যার ফলে নির্ভুলতা বজায় রেখে এআই আরও দ্রুত ও টেকসইভাবে কাজ করতে পারে।
ড. বাউয়ার বলেন, ‘বর্তমানে বড় বড় এআই মডেলগুলো প্রশিক্ষণ দিতে ১০ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ লাগে। যে গতিতে এআই মডেল বাড়ছে, তাতে এই পদ্ধতি ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই টেকসই ও নির্ভরযোগ্য নয়।’
এই পদ্ধতির একটি উন্নত সংস্করণও তৈরি করেছেন গবেষকেরা। এর নাম দিয়েছেন এনহ্যান্সড টপোগ্রাফিক্যাল স্পার্স ম্যাপিং (ইটিএসএম)। এটি ‘প্রুনিং’-এর মতো করে অপ্রয়োজনীয় সংযোগগুলো ছাঁটাই করে ফেলে। যার ফলে এআই আরও দক্ষ ও কার্যকর হয়ে ওঠে।
এটি মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে শেখার সময় ধীরে ধীরে নিজের স্নায়ু সংযোগগুলো পরিশুদ্ধ বা সাজিয়ে নেয়, তার মতোই।
গবেষকেরা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখছেন যে এই পদ্ধতিতে ‘নিওরোমরফিক কম্পিউটার’ তৈরি করা যায় কি না, যেগুলো একদম মানুষের মস্তিষ্কের মতোভাবে চিন্তা ও কাজ করতে পারবে।

বাংলাদেশে পানির অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় একটি নতুন অ্যাপ চালু হয়েছে, যা ল্যাব টেস্ট ছাড়াই একটি নলকূপের পানি নিরাপদ কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দিতে পারবে। ‘আই-আর্সেনিক’ নামের এই অ্যাপ গত এক দশকের ভূগর্ভস্থ পানির গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সমন্বয়ে তৈরি। ব্যবহারকারী
০৪ জুলাই ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়েও প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৬ মিনিট আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
২ দিন আগে