পৃথিবীতে প্রথম জিন থেরাপির মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছে এক জন্মগত বধির শিশু। এটি বধিরতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া ওই শিশুর নাম ওপাল স্যান্ডি। সে শ্রবণীয় স্নায়ুরোগের কারণে বধির হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। শ্রবণীয় স্নায়ুরোগ এমন একটি অবস্থা যা অভ্যন্তরীণ কান থেকে মস্তিষ্কে গমনীয় স্নায়ু আবেগকে ব্যাহত করে। ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু ১৬ মিনিটের অস্ত্রোপচারের পর ১৮ মাস বয়সী ওই শিশু প্রায় পুরোপুরি শুনতে পায় এবং খেলনা ড্রামের সঙ্গে খেলা উপভোগ করে। অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির কানে কার্যকরী জিন স্থাপন করা হয়।
সন্তান শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার পর তার মা-বাবা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। ওপালের মা জো স্যান্ডি বলেন, ‘আমি সত্যিই এটি বিশ্বাস করতে পারিনি। এটা অবিশ্বাস্য।’
অক্সফোর্ডশায়ারের মেয়ে শিশুটিকে অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। এটি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের অংশ, যারা কর্ড ট্রায়াল চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বধির শিশুদের ট্রায়ালে নিয়োগ করা হচ্ছে এবং তাদের পাঁচ বছর ধরে অনুসরণ করা হবে।
ট্রাস্টের কানের চিকিৎসক এবং অস্ত্রোপচারের প্রধান তদারক অধ্যাপক মনোহর বানস বলেন, ‘প্রাথমিক ফলাফল আমার আশা বা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এবং এই পদ্ধতি এই ধরনের বধির রোগীদের নিরাময় করতে পারে। ওপালের কাছ থেকে পাওয়া থেকে ফলাফল বিস্ময়কর। এটি স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধারের কাছাকাছি। তাই আমরা আশা করি, এটি একটি সম্ভাব্য নিরাময় হতে পারে।’
অধ্যাপক মনোহর বানস আরও বলেন, ‘এখানে অনেক কাজ হয়েছে, কয়েক দশকের কাজ। অবশেষে এমন কিছু পেলাম যা আসলে মানুষের মধ্যে কাজ করে। এটা ছিল বেশ দর্শনীয় এবং সত্যিই আশ্চর্যজনক।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওটিওএফ জিনের ত্রুটির কারণে অডিটরি নিউরোপ্যাথি হতে পারে, যা ওটোফেরলিন নামক প্রোটিন তৈরি করে। এটি কানের কোষগুলোকে শ্রবণীয় স্নায়ুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম করে। বধিরতা কাটাতে কানে বায়োটেক ফার্ম রেজেনারনের জিনের একটি কার্যকরী অনুলিপি পাঠানো হয়।
আরেকটি শিশুকেও সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। সেটির ফলাফলও ইতিবাচক।
কানের এই কর্ড ট্রায়াল তিন ধরনের। ওপালসহ তিনটি বধির শিশুর এক কানে স্বল্পমাত্রার জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। অপর তিন শিশুর এক কানে উচ্চমাত্রার ডোজ দেওয়া হবে। তারপর এটি যদি নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আরও শিশু একই সময়ে উভয় কানে ডোজ পাবে। বিশ্বব্যাপী মোট ১৮ জন শিশুর ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
ব্যান্স বলেন, ‘ওপাল বিশ্বের প্রথম শিশু যে জিন থেরাপি নিয়েছে। আমরা যত দূর জানি সে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী রোগী।’
জিন থেরাপি ডিবি-ওটিও বিশেষ করে ওটিওএফ মিউটেশন শিশুদের জন্য। জিনকে কানের অভ্যন্তরে নেওয়ার জন্য একটি নিরাপদ ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
ব্যান্স বলেন, ‘জিন থেরাপির শুরু মাত্র। এটি বধিরতার চিকিৎসায় একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।’
ন্যাশনাল ডেফ চিলড্রেন সোসাইটির একজন সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা মার্টিন ম্যাকলিন বলেন, ‘বধিরতা কখনোই সুখ বা পরিপূর্ণতার জন্য বাধা হওয়া উচিত নয়। অনেক পরিবার এই যাত্রাকে স্বাগত জানাবে এবং আমরা চিকিৎসা প্রাপ্ত শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল সম্পর্কে জানতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
এদিকে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার সঙ্গে ওপালে বাবা-মা এক মধুর সমস্যায় পড়েছেন। তাদের মেয়ের নতুন শখ চামচ দিয়ে টেবিলে আঘাত করে জোরালো শব্দ করা।
পৃথিবীতে প্রথম জিন থেরাপির মাধ্যমে শ্রবণশক্তি ফিরে পেয়েছে এক জন্মগত বধির শিশু। এটি বধিরতার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়া ওই শিশুর নাম ওপাল স্যান্ডি। সে শ্রবণীয় স্নায়ুরোগের কারণে বধির হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। শ্রবণীয় স্নায়ুরোগ এমন একটি অবস্থা যা অভ্যন্তরীণ কান থেকে মস্তিষ্কে গমনীয় স্নায়ু আবেগকে ব্যাহত করে। ত্রুটিপূর্ণ জিনের কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে।
কিন্তু ১৬ মিনিটের অস্ত্রোপচারের পর ১৮ মাস বয়সী ওই শিশু প্রায় পুরোপুরি শুনতে পায় এবং খেলনা ড্রামের সঙ্গে খেলা উপভোগ করে। অস্ত্রোপচারের সময় শিশুটির কানে কার্যকরী জিন স্থাপন করা হয়।
সন্তান শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার পর তার মা-বাবা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। ওপালের মা জো স্যান্ডি বলেন, ‘আমি সত্যিই এটি বিশ্বাস করতে পারিনি। এটা অবিশ্বাস্য।’
অক্সফোর্ডশায়ারের মেয়ে শিশুটিকে অ্যাডেনব্রুক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। এটি কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের অংশ, যারা কর্ড ট্রায়াল চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্য, স্পেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বধির শিশুদের ট্রায়ালে নিয়োগ করা হচ্ছে এবং তাদের পাঁচ বছর ধরে অনুসরণ করা হবে।
ট্রাস্টের কানের চিকিৎসক এবং অস্ত্রোপচারের প্রধান তদারক অধ্যাপক মনোহর বানস বলেন, ‘প্রাথমিক ফলাফল আমার আশা বা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এবং এই পদ্ধতি এই ধরনের বধির রোগীদের নিরাময় করতে পারে। ওপালের কাছ থেকে পাওয়া থেকে ফলাফল বিস্ময়কর। এটি স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি পুনরুদ্ধারের কাছাকাছি। তাই আমরা আশা করি, এটি একটি সম্ভাব্য নিরাময় হতে পারে।’
অধ্যাপক মনোহর বানস আরও বলেন, ‘এখানে অনেক কাজ হয়েছে, কয়েক দশকের কাজ। অবশেষে এমন কিছু পেলাম যা আসলে মানুষের মধ্যে কাজ করে। এটা ছিল বেশ দর্শনীয় এবং সত্যিই আশ্চর্যজনক।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওটিওএফ জিনের ত্রুটির কারণে অডিটরি নিউরোপ্যাথি হতে পারে, যা ওটোফেরলিন নামক প্রোটিন তৈরি করে। এটি কানের কোষগুলোকে শ্রবণীয় স্নায়ুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম করে। বধিরতা কাটাতে কানে বায়োটেক ফার্ম রেজেনারনের জিনের একটি কার্যকরী অনুলিপি পাঠানো হয়।
আরেকটি শিশুকেও সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। সেটির ফলাফলও ইতিবাচক।
কানের এই কর্ড ট্রায়াল তিন ধরনের। ওপালসহ তিনটি বধির শিশুর এক কানে স্বল্পমাত্রার জিন থেরাপি দেওয়া হয়েছে। অপর তিন শিশুর এক কানে উচ্চমাত্রার ডোজ দেওয়া হবে। তারপর এটি যদি নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে আরও শিশু একই সময়ে উভয় কানে ডোজ পাবে। বিশ্বব্যাপী মোট ১৮ জন শিশুর ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে।
ব্যান্স বলেন, ‘ওপাল বিশ্বের প্রথম শিশু যে জিন থেরাপি নিয়েছে। আমরা যত দূর জানি সে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী রোগী।’
জিন থেরাপি ডিবি-ওটিও বিশেষ করে ওটিওএফ মিউটেশন শিশুদের জন্য। জিনকে কানের অভ্যন্তরে নেওয়ার জন্য একটি নিরাপদ ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
ব্যান্স বলেন, ‘জিন থেরাপির শুরু মাত্র। এটি বধিরতার চিকিৎসায় একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।’
ন্যাশনাল ডেফ চিলড্রেন সোসাইটির একজন সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা মার্টিন ম্যাকলিন বলেন, ‘বধিরতা কখনোই সুখ বা পরিপূর্ণতার জন্য বাধা হওয়া উচিত নয়। অনেক পরিবার এই যাত্রাকে স্বাগত জানাবে এবং আমরা চিকিৎসা প্রাপ্ত শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল সম্পর্কে জানতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
এদিকে শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার সঙ্গে ওপালে বাবা-মা এক মধুর সমস্যায় পড়েছেন। তাদের মেয়ের নতুন শখ চামচ দিয়ে টেবিলে আঘাত করে জোরালো শব্দ করা।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ তো বটেই, বিশ্বজুড়েই বজ্রপাতের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা, বিশেষ করে বাংলাদেশে। আর এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রযুক্তির এর ড্রোন আনার ঘোষণা দিয়েছে জাপানি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি।
২ দিন আগেমহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
৬ দিন আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
৭ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
৭ দিন আগে