ইয়েমেনের একটি কূপ। বিশাল তার মুখ। স্থানীয় জনগণ মনে করেন, জিন বন্দী রয়েছে কূপটিতে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের আল-মাহার প্রদেশের একটি মরুভূমিতে। প্রায় ১০০ ফুট চওড়া কূপটির গভীরতা ১১২ মিটার বা ৩৬৭ ফুট। একটি প্রমাণ মাপের ৩০ তলা বাড়ি অনায়াসে ঢুকে যাবে এই কূপের ভেতরে।
ইয়েমেনিরা অবশ্য এই কূপের ধারে ঘেঁষেন না। নাম করতেও ভয় পান। তাঁদের ধারণা, নাম উচ্চারণ করলে অভিশাপ নেমে আসতে পারে। কাছে গেলে কুয়োর বিশাল হাঁ-মুখ চোখের নিমেষে ভেতরে টেনে নেবে তাঁদের।
এই কূপটির নাম বারহুট কূপ। বারহুটকে স্থানীয়রা ‘ওয়েল অব হেল’ বা 'নরকের কূপ' নামে ডাকেন। বাকি বিশ্বেও বারহুটের এই নামটিই জনপ্রিয় বেশি।
সম্প্রতি ১০ জন বিজ্ঞানী বারহুট অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদের মধ্যে আটজন কূপের ভেতর প্রবেশ করেছিলেন। বাকিরা তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বাইরে।
বারহুটে কোনো ‘জিন’ বা দৈত্যের দেখা পাননি তাঁরা। কোনো লোহার শলাকা গাঁথা কারাগারেরও নয়। তবে অদ্ভুত একটা গন্ধ পেয়েছেন।
গুহার ভেতরে বহু পশু পাখির মৃতদেহ পড়েছিল। গন্ধটি তার থেকেই তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান গুহা বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন, গন্ধটি পচনের নয়। অসহনীয়ও নয়। গন্ধের কারণ জানতে মৃত পশুপাখির দেহগুলো সংগ্রহ করে এনেছেন তাঁরা। আর এনেছেন গুহার মাটি, পাথর, বৃষ্টির জমা পানির নমুনা।
গুহার নিচে এক ধরনের উজ্জ্বল সবুজ নিটোল গোল পাথরেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এক ঝলকে দেখে মনে হতে পারে, পাতিলেবুর রঙের এবং আকারের মুক্তা। তবে আসলে সেগুলি মুক্তা নয়। গুহার ভেতর চুঁইয়ে পড়া বৃষ্টির জলের ক্যালসিয়াম থেকে এই ধরনের পাথর তৈরি হয়। নাম ‘কেভ পার্ল’ বা 'গুহা-মুক্তা'।
গুহার ভেতর চুনাপাথরও পেয়েছেন ওমানি বিজ্ঞানীরা। এত দিন ধরে যে ভয় ইয়েমেনিদের কাবু করে রেখেছিল, তা যে আদতে ভিত্তিহীন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ওমানের এই গুহা বিজ্ঞানীরা। বারহুটের কূপের সঙ্গে যে আর পাঁচটা প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি গহ্বরের গঠনগত তেমন তফাৎ নেই, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই ধরনের গহ্বরকে বলা হয় 'সিঙ্কহোল'। ভূপৃষ্ঠের নিচে জমে থাকা জলে পাথর ধীরে ধীরে দ্রবীভূত হয়ে গেলে এমন গর্ত তৈরি হয়। বাহরুটের মতো কূপ তৈরি হতে লক্ষাধিক বছর সময় লেগে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। তাঁরা জানিয়েছেন, এর সঙ্গে দুর্ভাগ্য, বিপদ বা আতঙ্কের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিছুদিন আগেই ইয়েমেন সরকার জানিয়েছিল, তারা বারহুটে ৫০ মিটারের নিচে নামতে পারেননি। যারা নামছিলেন, তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন।
ইয়েমেনের একটি কূপ। বিশাল তার মুখ। স্থানীয় জনগণ মনে করেন, জিন বন্দী রয়েছে কূপটিতে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের আল-মাহার প্রদেশের একটি মরুভূমিতে। প্রায় ১০০ ফুট চওড়া কূপটির গভীরতা ১১২ মিটার বা ৩৬৭ ফুট। একটি প্রমাণ মাপের ৩০ তলা বাড়ি অনায়াসে ঢুকে যাবে এই কূপের ভেতরে।
ইয়েমেনিরা অবশ্য এই কূপের ধারে ঘেঁষেন না। নাম করতেও ভয় পান। তাঁদের ধারণা, নাম উচ্চারণ করলে অভিশাপ নেমে আসতে পারে। কাছে গেলে কুয়োর বিশাল হাঁ-মুখ চোখের নিমেষে ভেতরে টেনে নেবে তাঁদের।
এই কূপটির নাম বারহুট কূপ। বারহুটকে স্থানীয়রা ‘ওয়েল অব হেল’ বা 'নরকের কূপ' নামে ডাকেন। বাকি বিশ্বেও বারহুটের এই নামটিই জনপ্রিয় বেশি।
সম্প্রতি ১০ জন বিজ্ঞানী বারহুট অভিযানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদের মধ্যে আটজন কূপের ভেতর প্রবেশ করেছিলেন। বাকিরা তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বাইরে।
বারহুটে কোনো ‘জিন’ বা দৈত্যের দেখা পাননি তাঁরা। কোনো লোহার শলাকা গাঁথা কারাগারেরও নয়। তবে অদ্ভুত একটা গন্ধ পেয়েছেন।
গুহার ভেতরে বহু পশু পাখির মৃতদেহ পড়েছিল। গন্ধটি তার থেকেই তৈরি হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান গুহা বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন, গন্ধটি পচনের নয়। অসহনীয়ও নয়। গন্ধের কারণ জানতে মৃত পশুপাখির দেহগুলো সংগ্রহ করে এনেছেন তাঁরা। আর এনেছেন গুহার মাটি, পাথর, বৃষ্টির জমা পানির নমুনা।
গুহার নিচে এক ধরনের উজ্জ্বল সবুজ নিটোল গোল পাথরেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এক ঝলকে দেখে মনে হতে পারে, পাতিলেবুর রঙের এবং আকারের মুক্তা। তবে আসলে সেগুলি মুক্তা নয়। গুহার ভেতর চুঁইয়ে পড়া বৃষ্টির জলের ক্যালসিয়াম থেকে এই ধরনের পাথর তৈরি হয়। নাম ‘কেভ পার্ল’ বা 'গুহা-মুক্তা'।
গুহার ভেতর চুনাপাথরও পেয়েছেন ওমানি বিজ্ঞানীরা। এত দিন ধরে যে ভয় ইয়েমেনিদের কাবু করে রেখেছিল, তা যে আদতে ভিত্তিহীন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন ওমানের এই গুহা বিজ্ঞানীরা। বারহুটের কূপের সঙ্গে যে আর পাঁচটা প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি গহ্বরের গঠনগত তেমন তফাৎ নেই, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই ধরনের গহ্বরকে বলা হয় 'সিঙ্কহোল'। ভূপৃষ্ঠের নিচে জমে থাকা জলে পাথর ধীরে ধীরে দ্রবীভূত হয়ে গেলে এমন গর্ত তৈরি হয়। বাহরুটের মতো কূপ তৈরি হতে লক্ষাধিক বছর সময় লেগে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান। তাঁরা জানিয়েছেন, এর সঙ্গে দুর্ভাগ্য, বিপদ বা আতঙ্কের কোনো সম্পর্ক নেই।
কিছুদিন আগেই ইয়েমেন সরকার জানিয়েছিল, তারা বারহুটে ৫০ মিটারের নিচে নামতে পারেননি। যারা নামছিলেন, তাঁরা ভয় পেয়েছিলেন।
মানুষের মস্তিষ্কের ভেতর নীরব চিন্তাভাবনা বা ‘ইনার স্পিচ’ (মনের কথা) শনাক্ত করার কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এটিকে একটি বড় অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়ির ওপর আছড়ে পড়া এক উল্কাপিণ্ডকে পৃথিবীর থেকেও প্রাচীন বলে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, এই উল্কাপিণ্ডের বয়স ৪৫৬ কোটি বছর—যা পৃথিবীর বর্তমান আনুমানিক বয়স ৪৫৪ কোটি বছরের তুলনায় প্রায় ২ কোটি বছর বেশি।
২ দিন আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণায় আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক আভি লোয়েব। তিনি দাবি করেছেন, সৌরজগতের দিকে ধেয়ে আসা ‘৩১ /অ্যাটলাস’ (31 /ATLAS) নামের একটি মহাজাগতিক বস্তু সম্ভবত প্রাকৃতিক নয়, বরং এটি কোনো বুদ্ধিমান সভ্যতার তৈরি করা প্রযুক্তিগত বস্তু হতে পারে।
৩ দিন আগেমানববর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা বায়োচার বা একধরনের শুষ্ক চারকোল সার সংকট মোকাবিলা, পরিবেশদূষণ হ্রাস ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষকেরা বলছেন, এটি কেবল কৃষি নয়, বরং বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা, অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির
৪ দিন আগে