মানুষের দুটি চোখ রয়েছে, কারণ তাদের মধ্যবর্তী কয়েক ইঞ্চির ব্যবধান বস্তুর গভীরতা বুঝতে ও ত্রিমাত্রিক জগৎকে দেখতে সাহায্য করে। আবার মানুষের কানও দুটি। এক কান থেকে আরেক কানে শব্দ পৌঁছাতে সময়ের যে কিঞ্চিৎ পার্থক্য থাকে তার মাধ্যমে শব্দ কোন দিক থেকে আসছে তা বোঝা যায়। তবে নাকে দুটি ছিদ্র বা নাসারন্ধ্র থাকার প্রয়োজনীয়তা কী, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়!
অক্সিজেন ও ঘ্রাণ নিতে সাহায্য করে নাসারন্ধ্র। একই সঙ্গে দুটি কাজ করতে পারে নাসারন্ধ্র। তবে প্রতিটি নাসারন্ধ্র বিভিন্ন সময়ে একটির চেয়ে আরেকটি কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সেসময় নাকের একটি ছিদ্র দিয়ে অন্যটির চেয়ে বেশি বাতাস প্রবেশ করে, এর মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ঘ্রাণ আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।
শ্বাস নেওয়ার সময়ও উচ্চ বায়ুপ্রবাহ গ্রহণকারী নাসারন্ধ্রটি ঘ্রাণ শনাক্ত করতে পারে। তবে ঘ্রাণটি দ্রুত নাসারন্ধ্রের সংবেদনশীল রিসেপ্টরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রিসেপ্টরগুলো একধরনের তরলে আচ্ছাদিত থাকে। যদি ঘ্রাণটির মাইক্রোস্কোপিক কণাগুলো এই ধরনের তরলে দ্রুত দ্রবীভূত হতে পারে তাহলে, উচ্চ বায়ুপ্রবাহের নাসারন্ধ্রটি এটিকে শনাক্ত করতে পারে। আর ঘ্রাণটির মাইক্রোস্কোপিক কণাগুলো দ্রুত দ্রবীভূত হতে না পারলে, সেই নাসারন্ধ্র এটিকে খুব দুর্বল ঘ্রাণ হিসেবে শনাক্ত করে।
বিপরীতে, কম বায়ু প্রবাহের নাসারন্ধ্রে ঘ্রাণের কণাগুলো ভালোভাবে দ্রবীভূত হয়। এর জন্য ঘ্রাণ শনাক্তে বেশি সময় পাওয়া যায়। ফলে ঘ্রাণটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
ঘ্রাণ বুঝতে সহায়তা করে নাকের সংবেদনশীল কোষ। কিছু ঘ্রাণের কণা এই রিসেপ্টর কোষগুলোর সঙ্গে আবদ্ধ হতে তুলনামূলক বেশি সময় নেয়। তাই কম বায়ুপ্রবাহের নাসারন্ধ্রটি ঘ্রাণ শনাক্ত করার জন্য বেশি সময়। এর ফলে দুই নাসারন্ধ্র মিলে বড় পরিসরে এবং আরও নিখুঁতভাবে ঘ্রাণ শনাক্তে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ, ভালোমতো ঘ্রাণ শনাক্তের জন্য নাকের দুটি ছিদ্র থাকার দরকার আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দুটি নাসারন্ধ্রের কোনটি শ্বাসপ্রশ্বাসকে এবং কোনটি ঘ্রাণ শনাক্ত করার কাজকে বেশি গুরুত্ব দেবে, সেই অগ্রাধিকার ক্রমটি দিনে কয়েকবার পরিবর্তিত হয়।
দুটি নাসারন্ধ্রের আরেকটি সুবিধা হলো, সর্দির কারণে নাকের একটি ছিদ্র বন্ধ থাকলে তখন আরেক ছিদ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ব্রিটানিকা
মানুষের দুটি চোখ রয়েছে, কারণ তাদের মধ্যবর্তী কয়েক ইঞ্চির ব্যবধান বস্তুর গভীরতা বুঝতে ও ত্রিমাত্রিক জগৎকে দেখতে সাহায্য করে। আবার মানুষের কানও দুটি। এক কান থেকে আরেক কানে শব্দ পৌঁছাতে সময়ের যে কিঞ্চিৎ পার্থক্য থাকে তার মাধ্যমে শব্দ কোন দিক থেকে আসছে তা বোঝা যায়। তবে নাকে দুটি ছিদ্র বা নাসারন্ধ্র থাকার প্রয়োজনীয়তা কী, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়!
অক্সিজেন ও ঘ্রাণ নিতে সাহায্য করে নাসারন্ধ্র। একই সঙ্গে দুটি কাজ করতে পারে নাসারন্ধ্র। তবে প্রতিটি নাসারন্ধ্র বিভিন্ন সময়ে একটির চেয়ে আরেকটি কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সেসময় নাকের একটি ছিদ্র দিয়ে অন্যটির চেয়ে বেশি বাতাস প্রবেশ করে, এর মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট ঘ্রাণ আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।
শ্বাস নেওয়ার সময়ও উচ্চ বায়ুপ্রবাহ গ্রহণকারী নাসারন্ধ্রটি ঘ্রাণ শনাক্ত করতে পারে। তবে ঘ্রাণটি দ্রুত নাসারন্ধ্রের সংবেদনশীল রিসেপ্টরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। রিসেপ্টরগুলো একধরনের তরলে আচ্ছাদিত থাকে। যদি ঘ্রাণটির মাইক্রোস্কোপিক কণাগুলো এই ধরনের তরলে দ্রুত দ্রবীভূত হতে পারে তাহলে, উচ্চ বায়ুপ্রবাহের নাসারন্ধ্রটি এটিকে শনাক্ত করতে পারে। আর ঘ্রাণটির মাইক্রোস্কোপিক কণাগুলো দ্রুত দ্রবীভূত হতে না পারলে, সেই নাসারন্ধ্র এটিকে খুব দুর্বল ঘ্রাণ হিসেবে শনাক্ত করে।
বিপরীতে, কম বায়ু প্রবাহের নাসারন্ধ্রে ঘ্রাণের কণাগুলো ভালোভাবে দ্রবীভূত হয়। এর জন্য ঘ্রাণ শনাক্তে বেশি সময় পাওয়া যায়। ফলে ঘ্রাণটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
ঘ্রাণ বুঝতে সহায়তা করে নাকের সংবেদনশীল কোষ। কিছু ঘ্রাণের কণা এই রিসেপ্টর কোষগুলোর সঙ্গে আবদ্ধ হতে তুলনামূলক বেশি সময় নেয়। তাই কম বায়ুপ্রবাহের নাসারন্ধ্রটি ঘ্রাণ শনাক্ত করার জন্য বেশি সময়। এর ফলে দুই নাসারন্ধ্র মিলে বড় পরিসরে এবং আরও নিখুঁতভাবে ঘ্রাণ শনাক্তে সহায়তা করতে পারে। অর্থাৎ, ভালোমতো ঘ্রাণ শনাক্তের জন্য নাকের দুটি ছিদ্র থাকার দরকার আছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দুটি নাসারন্ধ্রের কোনটি শ্বাসপ্রশ্বাসকে এবং কোনটি ঘ্রাণ শনাক্ত করার কাজকে বেশি গুরুত্ব দেবে, সেই অগ্রাধিকার ক্রমটি দিনে কয়েকবার পরিবর্তিত হয়।
দুটি নাসারন্ধ্রের আরেকটি সুবিধা হলো, সর্দির কারণে নাকের একটি ছিদ্র বন্ধ থাকলে তখন আরেক ছিদ্র দিয়ে শ্বাস নেওয়া যায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস, ব্রিটানিকা
মহাকাশ গবেষণায় নতুন এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে যা সৌরজগৎ সম্পর্কে আমাদের ধারণা আবারও বদলে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষকদলের দাবি, সৌরজগতের একেবারে প্রান্তে লুকিয়ে আছে রহস্যময় নবম গ্রহ ‘প্ল্যানেট নাইন’ বা ‘প্ল্যানেট এক্স’।
১৭ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
২ দিন আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
২ দিন আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৪ দিন আগে