ভারতের মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার পাদালিয়া গ্রাম। এ গ্রামেরই কৃষক ভেস্তা মান্ডলোই। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন—তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গোলাকার যে পাথরের পূজা করে এসেছে তা আসলে বিশালাকার ডাইনোসরের ডিম। লাখ লাখ বছরের ব্যবধানে এই ডিম এখন জীবাশ্মে রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেস্তা মান্ডলোইয়ের মতো তাঁর গ্রামের অনেক কৃষকই বলের মতো আকৃতির গোলাকার পাথরের পূজা করে আসছেন। স্থানীয়ভাবে এ ধরনের পাথর ‘কঙ্কর ভৈরব’ বা পাথরের শিব নামে পরিচিত। খোলা মাঠে একটি ডুমুর গাছের গোড়ায় গুচ্ছ আকারে থাকা এই পাথরগুলোকে কৃষকেরা তাঁদের জমি ও গবাদিপশুর অভিভাবক হিসাবে বিবেচনা করেন।
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানীর পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে যে—মান্ডলোইয়ের পূজা দেওয়া পাথর আসলে একটি টাইটানোসরের ডিম। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের ডাইনোসর প্রজাতির ডিম।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নর্মদা নদীর উপত্যকা বরাবর ডাইনোসরগুলো ধ্বংস হয়েছিল। ওই ডাইনোসরদের অসংখ্য জীবাশ্ম পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৯ শতকের গোড়ার দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে ডাইনোসরের হাড়, দাঁত, নখ এবং ডিম পাওয়া গেছে। মান্ডলোইয়ের কঙ্কর ভৈরব এ ধরনের জীবাশ্মের সর্বশেষ আবিষ্কার।
কঙ্কর মানে পাথর এবং ভৈরব হলো হিন্দু দেবতা শিবের অন্য নাম। তবে পাথরের এই শিবকে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু রীতিতে পানি কিংবা দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে পূজা করা হয় না। দিওয়ালির কাছাকাছি সময়ে বছরে একবার গ্রামের মানুষেরা দেবতার সুরক্ষা পেতে এই পাথরের ওপর দিয়ে হেঁটে যায়।
মধ্যপ্রদেশের ওই অঞ্চলটিতে বহু বছর ধরেই ডাইনোসরের জীবাশ্ম অনুসন্ধান করে আসছেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক বিশাল ভার্মা। গত জানুয়ারিতে ভার্মা সহ জীবাশ্মবিদদের একটি দল ধর জেলার কয়েকটি এলাকায় গুচ্ছ আকারে তৃণভোজী টাইটানোসরের ২৫৬টি ডিম খুঁজে পেয়েছে। পরে একটি গবেষণা জার্নালে তাঁরা লম্বা গলার ওই ডাইনোসরদের প্রজনন এবং বাসা বাঁধার অভ্যাস সম্পর্কে নতুন নানা তথ্য প্রকাশ করেন। গুচ্ছ আকারে ডিমগুলোর অবস্থান এটাই ধারণা দেয় যে—টাইটানোসরদের প্রজনন অভ্যাস পাখিদের মতোই ছিল।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ধর জেলার পাদালিয়া গ্রাম। এ গ্রামেরই কৃষক ভেস্তা মান্ডলোই। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন—তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গোলাকার যে পাথরের পূজা করে এসেছে তা আসলে বিশালাকার ডাইনোসরের ডিম। লাখ লাখ বছরের ব্যবধানে এই ডিম এখন জীবাশ্মে রূপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেস্তা মান্ডলোইয়ের মতো তাঁর গ্রামের অনেক কৃষকই বলের মতো আকৃতির গোলাকার পাথরের পূজা করে আসছেন। স্থানীয়ভাবে এ ধরনের পাথর ‘কঙ্কর ভৈরব’ বা পাথরের শিব নামে পরিচিত। খোলা মাঠে একটি ডুমুর গাছের গোড়ায় গুচ্ছ আকারে থাকা এই পাথরগুলোকে কৃষকেরা তাঁদের জমি ও গবাদিপশুর অভিভাবক হিসাবে বিবেচনা করেন।
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানীর পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে যে—মান্ডলোইয়ের পূজা দেওয়া পাথর আসলে একটি টাইটানোসরের ডিম। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের ডাইনোসর প্রজাতির ডিম।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, প্রায় সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নর্মদা নদীর উপত্যকা বরাবর ডাইনোসরগুলো ধ্বংস হয়েছিল। ওই ডাইনোসরদের অসংখ্য জীবাশ্ম পরবর্তীতে আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৯ শতকের গোড়ার দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে ডাইনোসরের হাড়, দাঁত, নখ এবং ডিম পাওয়া গেছে। মান্ডলোইয়ের কঙ্কর ভৈরব এ ধরনের জীবাশ্মের সর্বশেষ আবিষ্কার।
কঙ্কর মানে পাথর এবং ভৈরব হলো হিন্দু দেবতা শিবের অন্য নাম। তবে পাথরের এই শিবকে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু রীতিতে পানি কিংবা দুধ দিয়ে স্নান করিয়ে পূজা করা হয় না। দিওয়ালির কাছাকাছি সময়ে বছরে একবার গ্রামের মানুষেরা দেবতার সুরক্ষা পেতে এই পাথরের ওপর দিয়ে হেঁটে যায়।
মধ্যপ্রদেশের ওই অঞ্চলটিতে বহু বছর ধরেই ডাইনোসরের জীবাশ্ম অনুসন্ধান করে আসছেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক বিশাল ভার্মা। গত জানুয়ারিতে ভার্মা সহ জীবাশ্মবিদদের একটি দল ধর জেলার কয়েকটি এলাকায় গুচ্ছ আকারে তৃণভোজী টাইটানোসরের ২৫৬টি ডিম খুঁজে পেয়েছে। পরে একটি গবেষণা জার্নালে তাঁরা লম্বা গলার ওই ডাইনোসরদের প্রজনন এবং বাসা বাঁধার অভ্যাস সম্পর্কে নতুন নানা তথ্য প্রকাশ করেন। গুচ্ছ আকারে ডিমগুলোর অবস্থান এটাই ধারণা দেয় যে—টাইটানোসরদের প্রজনন অভ্যাস পাখিদের মতোই ছিল।
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে মানুষের আগ্রহের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষেরই যেখানে আগ্রহ সীমাহীন, সেখানে যেসব গবেষক চাঁদ নিয়ে কাজ করছেন তাদের আগ্রহ কেমন হতে পারে? এবার বিজ্ঞানীদের সেই আগ্রহ মেটাতেই চাঁদের মাটিতে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন বা আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণাকেন্দ্র (আইএলআরএস) গড়তে
১৭ ঘণ্টা আগেসাধারণত গাছের চাহিদা বুঝতে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুমানের ওপর নির্ভর করেন কৃষকেরা। তবে ভবিষ্যতে গাছও জানাতে পারবে তার প্রয়োজনের কথা। কখন তার পানির প্রয়োজন বা কীটের আক্রমণ হয়েছে, তা সে নিজেই কৃষককে জানিয়ে দেবে।
১৯ ঘণ্টা আগেআপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন—কেন কুকুর, বিড়াল বা গরিলার মতো আপনার সারা শরীর ঘন লোমে ঢাকা নয়? মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয় যাদের লোম পাতলা। হাতি, গন্ডার এবং নেংটি ইঁদুরের গায়েও খুব কম লোম থাকে। তিমি এবং ডলফিনের মতো কিছু সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
৩ দিন আগেপ্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি বছর আগে গঠিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে ঘূর্ণনের গতি কমছে পৃথিবীর। এর ফলে দীর্ঘ হচ্ছে দিনগুলোও। মানবজীবনের সময়কাল অনুযায়ী এই পরিবর্তন খুব একটা দৃশ্যমান না হলেও দীর্ঘ সময় পর তা পৃথিবীর পরিবেশে বড় পরিবর্তন এনেছে।
৩ দিন আগে