মানুষের চোখের গঠন খুবই জটিল। চোখের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে আলো ও অন্ধকারে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রবণতা। যেমন, মানুষ যেমন উজ্জ্বল সূর্যালোকে দেখতে পারে, তেমনি অল্প আলোতেও কিছুটা দেখতে পারে। তবে তীব্র আলো থেকে হুট করে অন্ধকার হলে চোখ এই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কয়েক মিনিট সময় নেয়।
এ ছাড়া মোটামুটি অন্ধকারের মধ্যেও মানুষ সামান্য দেখতে পারে। তবে এই দেখার জন্য চোখের কয়েক মিনিট সময় লাগে। এর কারণ জানার জন্য আগে আলোর সঙ্গে চোখের বিভিন্ন অংশ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটা জেনে নিতে হবে।
মানুষের দৃষ্টিসীমা চোখের তিনটি ভিন্ন অংশের ওপর নির্ভরশীল—
পিউপিল: পিউপিল আলোর পরিমাণের ওপর নির্ভর করে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। উজ্জ্বল পরিবেশে চোখের মধ্যে প্রবেশ করা তীব্র আলো আটকাতে পারে পিউপিল। এটি সংকুচিত হয়ে আলো প্রবেশের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
রেটিনার রড ও কোণ কোষ: মানুষের চোখ দুটি ভিন্ন ধরনের কোষ দিয়ে আলো অনুভব করে—রড ও কোন। কোন কোষ উজ্জ্বল আলোতে রং নির্ধারণ করতে পারে। আর রড কোষ সাদা ও কালো রং নির্ধারণ করে এবং কম আলোতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
রোডোপসিন: রোডোপসিন একটি রাসায়নিক উপাদান যা রড কোষে পাওয়া যায়।
রাতের বেলা বা অন্ধকারে দেখার জন্য চোখের মূল উপাদান হলো রোডোপসিন। রডগুলোকে ফোটন (আলোক কণা) শোষণ করতে ও আলো শনাক্তে সাহায্য করে এই রাসায়নিক। যখন রোডোপসিনের একটি অণু ফোটন শোষণ করে, তখন এটি অপসিন ও রেটিনাল নামে দুটি অণুতে বিভক্ত হয়। দুটি অণু বেশিক্ষণ বিভক্ত অবস্থায় থাকে না। পরবর্তীতে অণুগুলো রোডোপসিনে গিয়ে নির্দিষ্ট হারে আবার মিলিত হয়। তবে এই প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর গতিতে হয়।
সুতরাং যখন মানুষ উজ্জ্বল আলোতে থাকে তখন চোখের সমস্ত রোডোপসিন রেটিনাল ও অপসিন অণুতে বিভক্ত হয়। সে সময় যদি আলো নিভিয়ে অন্ধকারে দেখার চেষ্টা করা হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই দেখা যাবে না।
কোনো কিছু দেখার জন্য কোন কোষের অনেক আলোর প্রয়োজন হয়, তাই এ ক্ষেত্রে এগুলো কোনো কাজে আসে না। আবার আলো থেকে হঠাৎ করে অন্ধকারে আসার সঙ্গে সঙ্গে রডেও কোনো রোডোপসিন থাকে না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই দেখা যায় না। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে রেটিনাল ও অপসিন রোডোপসিনে পুনরায় মিলিত হয়, ফলে মানুষ অন্ধকারে আবার দেখতে পারে।
চোখে রেটিনাল কোষ তৈরিতে সাহায্য করে ভিটামিন এ। কোনো মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ না থাকলে রড কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেটিনাল অণু তৈরি হয় না। ফলে চোখে পর্যাপ্ত রোডোপসিনও তৈরি হয় না। তাই যাদের ভিটামিন এ–এর ঘাটতি রয়েছে, তাদের প্রায়ই রাতকানা রোগ হয়।
মানুষের চোখের গঠন খুবই জটিল। চোখের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে আলো ও অন্ধকারে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রবণতা। যেমন, মানুষ যেমন উজ্জ্বল সূর্যালোকে দেখতে পারে, তেমনি অল্প আলোতেও কিছুটা দেখতে পারে। তবে তীব্র আলো থেকে হুট করে অন্ধকার হলে চোখ এই নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কয়েক মিনিট সময় নেয়।
এ ছাড়া মোটামুটি অন্ধকারের মধ্যেও মানুষ সামান্য দেখতে পারে। তবে এই দেখার জন্য চোখের কয়েক মিনিট সময় লাগে। এর কারণ জানার জন্য আগে আলোর সঙ্গে চোখের বিভিন্ন অংশ কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটা জেনে নিতে হবে।
মানুষের দৃষ্টিসীমা চোখের তিনটি ভিন্ন অংশের ওপর নির্ভরশীল—
পিউপিল: পিউপিল আলোর পরিমাণের ওপর নির্ভর করে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। উজ্জ্বল পরিবেশে চোখের মধ্যে প্রবেশ করা তীব্র আলো আটকাতে পারে পিউপিল। এটি সংকুচিত হয়ে আলো প্রবেশের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
রেটিনার রড ও কোণ কোষ: মানুষের চোখ দুটি ভিন্ন ধরনের কোষ দিয়ে আলো অনুভব করে—রড ও কোন। কোন কোষ উজ্জ্বল আলোতে রং নির্ধারণ করতে পারে। আর রড কোষ সাদা ও কালো রং নির্ধারণ করে এবং কম আলোতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
রোডোপসিন: রোডোপসিন একটি রাসায়নিক উপাদান যা রড কোষে পাওয়া যায়।
রাতের বেলা বা অন্ধকারে দেখার জন্য চোখের মূল উপাদান হলো রোডোপসিন। রডগুলোকে ফোটন (আলোক কণা) শোষণ করতে ও আলো শনাক্তে সাহায্য করে এই রাসায়নিক। যখন রোডোপসিনের একটি অণু ফোটন শোষণ করে, তখন এটি অপসিন ও রেটিনাল নামে দুটি অণুতে বিভক্ত হয়। দুটি অণু বেশিক্ষণ বিভক্ত অবস্থায় থাকে না। পরবর্তীতে অণুগুলো রোডোপসিনে গিয়ে নির্দিষ্ট হারে আবার মিলিত হয়। তবে এই প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর গতিতে হয়।
সুতরাং যখন মানুষ উজ্জ্বল আলোতে থাকে তখন চোখের সমস্ত রোডোপসিন রেটিনাল ও অপসিন অণুতে বিভক্ত হয়। সে সময় যদি আলো নিভিয়ে অন্ধকারে দেখার চেষ্টা করা হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই দেখা যাবে না।
কোনো কিছু দেখার জন্য কোন কোষের অনেক আলোর প্রয়োজন হয়, তাই এ ক্ষেত্রে এগুলো কোনো কাজে আসে না। আবার আলো থেকে হঠাৎ করে অন্ধকারে আসার সঙ্গে সঙ্গে রডেও কোনো রোডোপসিন থাকে না। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছুই দেখা যায় না। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে রেটিনাল ও অপসিন রোডোপসিনে পুনরায় মিলিত হয়, ফলে মানুষ অন্ধকারে আবার দেখতে পারে।
চোখে রেটিনাল কোষ তৈরিতে সাহায্য করে ভিটামিন এ। কোনো মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ না থাকলে রড কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেটিনাল অণু তৈরি হয় না। ফলে চোখে পর্যাপ্ত রোডোপসিনও তৈরি হয় না। তাই যাদের ভিটামিন এ–এর ঘাটতি রয়েছে, তাদের প্রায়ই রাতকানা রোগ হয়।
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
১ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৩ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৫ দিন আগে