
পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২-এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাব সিস্টেম পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ পাঠিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) প্রকৌশলীরা। অন্যদিকে, ২৪ মার্চ ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করা হবে। এর ফলে প্রতিটি মহাকাশযানে এখন তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র কার্যকর থাকবে।
১৯৭৭ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ভয়েজার মহাকাশযান দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দুটি মহাকাশযান একসঙ্গে ১০ বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহন করছিল। তবে, সময়ের সঙ্গে তাদের শক্তি সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে গেছে। ভয়েজার মহাকাশযান দুটি প্লুটোনিয়ামের তাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করত এবং প্রতিবছর ৪ ওয়াট বিদ্যুৎশক্তি খরচ করছে।
ভয়েজার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুজান ডড নাসা বলেন, ‘ভয়েজাররা উৎক্ষেপণের পর থেকে মহাকাশের এক অপ্রতিরোধ্য নক্ষত্র হয়ে উঠেছে এবং আমরা চাই যেন এটি যতটা সম্ভব চলতে থাকে। তবে, বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ কমে যাচ্ছে। যদি এখনই কোনো যন্ত্র বন্ধ না করা হয়, তাহলে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যেই মিশন শেষ ঘোষণা করতে হবে।’
অজানা মহাকাশের অনুসন্ধান
ভয়েজার-১ বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ বিলিয়ন মাইল (২৫ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে এবং ভয়েজার-২ ১৩ বিলিয়ন মাইল (২১ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। তারা বর্তমানে সোলার হেলিওস্ফিয়ারি (সূর্যের পারিপার্শ্বিক চুম্বকক্ষেত্র ও কণার বলয়) থেকে বাইরে মহাশূন্যের অন্যান্য অঞ্চলে অনুসন্ধান করছে।
১৯৮০-র দশকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহগুলোর কাছে গিয়ে মিশনের প্রথম লক্ষ্য পূর্ণ করার পর ভয়েজার যন্ত্রগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীরা তাদের অজানা মহাশূন্যের পরিসরে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১২ সালে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করে ভয়েজার-১। ২০১৮ সালে একই কাজ করে ভয়েজার-২। তবে দুটি মহাকাশযানের যাত্রাপথ আলাদা ছিল। মহাকাশযান দুটি ভিন্ন পথে থাকায় এগুলো মহাশূন্যের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের অনুসন্ধানে করেছে, যা সৌরজগতের বাইরের অজানা বিশ্ব সম্পর্কে আরও মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়েজার প্রকল্পের দল একে একে যন্ত্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে মহাকাশযানগুলোর যাত্রা চলতে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নাসা ভয়েজার-২-এর প্লাজমা সায়েন্স যন্ত্র বন্ধ করে দিয়েছে। এই যন্ত্র মহাশূন্যে চার্জড পরমাণুর সংখ্যা পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তবে মূলত এর অবস্থানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আউটপুট ডেটা সীমিত হয়ে গেছে। অপরদিকে, ভয়েজার-১-এর অভিন্ন যন্ত্রটি বহু বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ তার কার্যক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে।
গত সপ্তাহে, ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা তিনটি টেলিস্কোপের সমন্বয়ে তৈরি একটি যন্ত্র ছিল। এই টেলিস্কোপগুলো মহাশূন্যে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক বিকিরণ পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণ করত। এসব বিকিরণ আমাদের সৌরজগৎ ও সূর্য থেকে নির্গত হয়।
ভয়েজার প্রকল্পের দল এই যন্ত্রের মাধ্যমে মহাকাশযানটির তথ্য সংগ্রহ করেছিল এবং এর সাহায্যে তারা নির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছিল কখন এবং কোথায় ভয়েজার-১ হেলিওস্ফিয়ার (সূর্যের চুম্বকীয় বলয়) অতিক্রম করে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করেছে।
এ মাসের শেষে ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা সৌরজগৎ ও আমাদের গ্যালাক্সিতে আয়ন, ইলেকট্রন এবং কসমিক রে পরিমাপ করে। এই যন্ত্রের বিভিন্ন সিস্টেমে একটি টেলিস্কোপ ও ম্যাগনেটোস্ফেরিক পার্টিকল অ্যানালাইজার (চুম্বকীয় কণা পর্যবেক্ষণকারী) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ রয়েছে এবং একটি ঘূর্ণনশীল প্ল্যাটফর্ম স্টেপার মোটরের মাধ্যমে চলে।
পৃথিবীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই মোটর ৫ লাখ ধাপ পার করে। এই পরীক্ষা নিশ্চিত করেছিল যে, ১৯৮০ সালে শনি গ্রহের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়েজার-২ সফলভাবে কাজ করবে। এখন, যখন এটি বন্ধ হবে, মোটরটি ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ধাপেরও বেশি সম্পন্ন করবে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, প্রতিটি মহাকাশযান এখনো অনন্য ডেটা সংগ্রহ করতে থাকবে। তবে, একটি বড় পরিবর্তন আসছে, কারণ তারা ইন্টারস্টেলার স্পেসে (আন্তনক্ষত্রীয় মহাশূন্য) দুটি ভিন্ন স্থানে একসঙ্গে একই ধরনের কণার পরিমাপ করতে পারবে না।
যতই ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর বয়স বাড়ছে, ততই প্রকল্পের প্রকৌশলীরা নতুন এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর সমাধানে আরও সৃজনশীল হয়ে উঠছেন। যেমন: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অনন্য ত্রুটিগুলো মোকাবিলা করা। মহাশূন্যে বিশাল দূরত্বের কারণে এসব সমস্যার সমাধান খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তবে প্রকৌশলীরা নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁদের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
দুটি যন্ত্র বন্ধ করার পর উভয় ভয়েজার মহাকাশযান আরও একটি বছর পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম হবে। এরপর, প্রতি মহাকাশযানে একটি করে অতিরিক্ত যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ২০২৬ সালে, ভয়েজার-১-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র এবং ভয়েজার-২-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২ তাদের যাত্রা চালিয়ে যাবে। কারণ তাদের প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম এবং ম্যাগনেটোমিটার যন্ত্র চালু থাকবে। প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম মহাশূন্যের প্লাজমা ক্ষেত্রের মধ্যে তরঙ্গ পরিমাপ করে এবং ম্যাগনেটোমিটার চুম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন পরিমাপ করে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, ‘উভয় ভয়েজারই কসমিক রে (মহাজাগতিক বিকিরণ), আন্তনক্ষত্রীয় প্লাজমা, আন্তনক্ষত্রীয় চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আন্তনক্ষত্রীয় মাধ্যমের রেডিও তরঙ্গ সম্পর্কে অনন্য তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে, যার মধ্যে সূর্য থেকে ছড়ানো প্রভাবও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নাসার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহাকাশযানগুলো যথেষ্ট শক্তি সংরক্ষণ করতে পারবে, যাতে ২০৩০–এর দশক পর্যন্ত কমপক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র চালু রাখা সম্ভব হবে। তবে তারা জানেন যে, যেকোনো নতুন চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা আসতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর যাত্রার অবসান ঘটাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও নাসা

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২-এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাব সিস্টেম পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ পাঠিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) প্রকৌশলীরা। অন্যদিকে, ২৪ মার্চ ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করা হবে। এর ফলে প্রতিটি মহাকাশযানে এখন তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র কার্যকর থাকবে।
১৯৭৭ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ভয়েজার মহাকাশযান দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দুটি মহাকাশযান একসঙ্গে ১০ বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহন করছিল। তবে, সময়ের সঙ্গে তাদের শক্তি সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে গেছে। ভয়েজার মহাকাশযান দুটি প্লুটোনিয়ামের তাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করত এবং প্রতিবছর ৪ ওয়াট বিদ্যুৎশক্তি খরচ করছে।
ভয়েজার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুজান ডড নাসা বলেন, ‘ভয়েজাররা উৎক্ষেপণের পর থেকে মহাকাশের এক অপ্রতিরোধ্য নক্ষত্র হয়ে উঠেছে এবং আমরা চাই যেন এটি যতটা সম্ভব চলতে থাকে। তবে, বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ কমে যাচ্ছে। যদি এখনই কোনো যন্ত্র বন্ধ না করা হয়, তাহলে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যেই মিশন শেষ ঘোষণা করতে হবে।’
অজানা মহাকাশের অনুসন্ধান
ভয়েজার-১ বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ বিলিয়ন মাইল (২৫ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে এবং ভয়েজার-২ ১৩ বিলিয়ন মাইল (২১ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। তারা বর্তমানে সোলার হেলিওস্ফিয়ারি (সূর্যের পারিপার্শ্বিক চুম্বকক্ষেত্র ও কণার বলয়) থেকে বাইরে মহাশূন্যের অন্যান্য অঞ্চলে অনুসন্ধান করছে।
১৯৮০-র দশকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহগুলোর কাছে গিয়ে মিশনের প্রথম লক্ষ্য পূর্ণ করার পর ভয়েজার যন্ত্রগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীরা তাদের অজানা মহাশূন্যের পরিসরে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১২ সালে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করে ভয়েজার-১। ২০১৮ সালে একই কাজ করে ভয়েজার-২। তবে দুটি মহাকাশযানের যাত্রাপথ আলাদা ছিল। মহাকাশযান দুটি ভিন্ন পথে থাকায় এগুলো মহাশূন্যের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের অনুসন্ধানে করেছে, যা সৌরজগতের বাইরের অজানা বিশ্ব সম্পর্কে আরও মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়েজার প্রকল্পের দল একে একে যন্ত্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে মহাকাশযানগুলোর যাত্রা চলতে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নাসা ভয়েজার-২-এর প্লাজমা সায়েন্স যন্ত্র বন্ধ করে দিয়েছে। এই যন্ত্র মহাশূন্যে চার্জড পরমাণুর সংখ্যা পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তবে মূলত এর অবস্থানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আউটপুট ডেটা সীমিত হয়ে গেছে। অপরদিকে, ভয়েজার-১-এর অভিন্ন যন্ত্রটি বহু বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ তার কার্যক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে।
গত সপ্তাহে, ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা তিনটি টেলিস্কোপের সমন্বয়ে তৈরি একটি যন্ত্র ছিল। এই টেলিস্কোপগুলো মহাশূন্যে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক বিকিরণ পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণ করত। এসব বিকিরণ আমাদের সৌরজগৎ ও সূর্য থেকে নির্গত হয়।
ভয়েজার প্রকল্পের দল এই যন্ত্রের মাধ্যমে মহাকাশযানটির তথ্য সংগ্রহ করেছিল এবং এর সাহায্যে তারা নির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছিল কখন এবং কোথায় ভয়েজার-১ হেলিওস্ফিয়ার (সূর্যের চুম্বকীয় বলয়) অতিক্রম করে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করেছে।
এ মাসের শেষে ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা সৌরজগৎ ও আমাদের গ্যালাক্সিতে আয়ন, ইলেকট্রন এবং কসমিক রে পরিমাপ করে। এই যন্ত্রের বিভিন্ন সিস্টেমে একটি টেলিস্কোপ ও ম্যাগনেটোস্ফেরিক পার্টিকল অ্যানালাইজার (চুম্বকীয় কণা পর্যবেক্ষণকারী) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ রয়েছে এবং একটি ঘূর্ণনশীল প্ল্যাটফর্ম স্টেপার মোটরের মাধ্যমে চলে।
পৃথিবীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই মোটর ৫ লাখ ধাপ পার করে। এই পরীক্ষা নিশ্চিত করেছিল যে, ১৯৮০ সালে শনি গ্রহের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়েজার-২ সফলভাবে কাজ করবে। এখন, যখন এটি বন্ধ হবে, মোটরটি ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ধাপেরও বেশি সম্পন্ন করবে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, প্রতিটি মহাকাশযান এখনো অনন্য ডেটা সংগ্রহ করতে থাকবে। তবে, একটি বড় পরিবর্তন আসছে, কারণ তারা ইন্টারস্টেলার স্পেসে (আন্তনক্ষত্রীয় মহাশূন্য) দুটি ভিন্ন স্থানে একসঙ্গে একই ধরনের কণার পরিমাপ করতে পারবে না।
যতই ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর বয়স বাড়ছে, ততই প্রকল্পের প্রকৌশলীরা নতুন এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর সমাধানে আরও সৃজনশীল হয়ে উঠছেন। যেমন: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অনন্য ত্রুটিগুলো মোকাবিলা করা। মহাশূন্যে বিশাল দূরত্বের কারণে এসব সমস্যার সমাধান খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তবে প্রকৌশলীরা নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁদের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
দুটি যন্ত্র বন্ধ করার পর উভয় ভয়েজার মহাকাশযান আরও একটি বছর পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম হবে। এরপর, প্রতি মহাকাশযানে একটি করে অতিরিক্ত যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ২০২৬ সালে, ভয়েজার-১-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র এবং ভয়েজার-২-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২ তাদের যাত্রা চালিয়ে যাবে। কারণ তাদের প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম এবং ম্যাগনেটোমিটার যন্ত্র চালু থাকবে। প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম মহাশূন্যের প্লাজমা ক্ষেত্রের মধ্যে তরঙ্গ পরিমাপ করে এবং ম্যাগনেটোমিটার চুম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন পরিমাপ করে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, ‘উভয় ভয়েজারই কসমিক রে (মহাজাগতিক বিকিরণ), আন্তনক্ষত্রীয় প্লাজমা, আন্তনক্ষত্রীয় চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আন্তনক্ষত্রীয় মাধ্যমের রেডিও তরঙ্গ সম্পর্কে অনন্য তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে, যার মধ্যে সূর্য থেকে ছড়ানো প্রভাবও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নাসার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহাকাশযানগুলো যথেষ্ট শক্তি সংরক্ষণ করতে পারবে, যাতে ২০৩০–এর দশক পর্যন্ত কমপক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র চালু রাখা সম্ভব হবে। তবে তারা জানেন যে, যেকোনো নতুন চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা আসতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর যাত্রার অবসান ঘটাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও নাসা

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২-এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাব সিস্টেম পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ পাঠিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) প্রকৌশলীরা। অন্যদিকে, ২৪ মার্চ ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করা হবে। এর ফলে প্রতিটি মহাকাশযানে এখন তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র কার্যকর থাকবে।
১৯৭৭ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ভয়েজার মহাকাশযান দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দুটি মহাকাশযান একসঙ্গে ১০ বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহন করছিল। তবে, সময়ের সঙ্গে তাদের শক্তি সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে গেছে। ভয়েজার মহাকাশযান দুটি প্লুটোনিয়ামের তাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করত এবং প্রতিবছর ৪ ওয়াট বিদ্যুৎশক্তি খরচ করছে।
ভয়েজার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুজান ডড নাসা বলেন, ‘ভয়েজাররা উৎক্ষেপণের পর থেকে মহাকাশের এক অপ্রতিরোধ্য নক্ষত্র হয়ে উঠেছে এবং আমরা চাই যেন এটি যতটা সম্ভব চলতে থাকে। তবে, বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ কমে যাচ্ছে। যদি এখনই কোনো যন্ত্র বন্ধ না করা হয়, তাহলে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যেই মিশন শেষ ঘোষণা করতে হবে।’
অজানা মহাকাশের অনুসন্ধান
ভয়েজার-১ বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ বিলিয়ন মাইল (২৫ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে এবং ভয়েজার-২ ১৩ বিলিয়ন মাইল (২১ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। তারা বর্তমানে সোলার হেলিওস্ফিয়ারি (সূর্যের পারিপার্শ্বিক চুম্বকক্ষেত্র ও কণার বলয়) থেকে বাইরে মহাশূন্যের অন্যান্য অঞ্চলে অনুসন্ধান করছে।
১৯৮০-র দশকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহগুলোর কাছে গিয়ে মিশনের প্রথম লক্ষ্য পূর্ণ করার পর ভয়েজার যন্ত্রগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীরা তাদের অজানা মহাশূন্যের পরিসরে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১২ সালে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করে ভয়েজার-১। ২০১৮ সালে একই কাজ করে ভয়েজার-২। তবে দুটি মহাকাশযানের যাত্রাপথ আলাদা ছিল। মহাকাশযান দুটি ভিন্ন পথে থাকায় এগুলো মহাশূন্যের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের অনুসন্ধানে করেছে, যা সৌরজগতের বাইরের অজানা বিশ্ব সম্পর্কে আরও মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়েজার প্রকল্পের দল একে একে যন্ত্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে মহাকাশযানগুলোর যাত্রা চলতে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নাসা ভয়েজার-২-এর প্লাজমা সায়েন্স যন্ত্র বন্ধ করে দিয়েছে। এই যন্ত্র মহাশূন্যে চার্জড পরমাণুর সংখ্যা পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তবে মূলত এর অবস্থানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আউটপুট ডেটা সীমিত হয়ে গেছে। অপরদিকে, ভয়েজার-১-এর অভিন্ন যন্ত্রটি বহু বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ তার কার্যক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে।
গত সপ্তাহে, ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা তিনটি টেলিস্কোপের সমন্বয়ে তৈরি একটি যন্ত্র ছিল। এই টেলিস্কোপগুলো মহাশূন্যে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক বিকিরণ পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণ করত। এসব বিকিরণ আমাদের সৌরজগৎ ও সূর্য থেকে নির্গত হয়।
ভয়েজার প্রকল্পের দল এই যন্ত্রের মাধ্যমে মহাকাশযানটির তথ্য সংগ্রহ করেছিল এবং এর সাহায্যে তারা নির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছিল কখন এবং কোথায় ভয়েজার-১ হেলিওস্ফিয়ার (সূর্যের চুম্বকীয় বলয়) অতিক্রম করে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করেছে।
এ মাসের শেষে ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা সৌরজগৎ ও আমাদের গ্যালাক্সিতে আয়ন, ইলেকট্রন এবং কসমিক রে পরিমাপ করে। এই যন্ত্রের বিভিন্ন সিস্টেমে একটি টেলিস্কোপ ও ম্যাগনেটোস্ফেরিক পার্টিকল অ্যানালাইজার (চুম্বকীয় কণা পর্যবেক্ষণকারী) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ রয়েছে এবং একটি ঘূর্ণনশীল প্ল্যাটফর্ম স্টেপার মোটরের মাধ্যমে চলে।
পৃথিবীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই মোটর ৫ লাখ ধাপ পার করে। এই পরীক্ষা নিশ্চিত করেছিল যে, ১৯৮০ সালে শনি গ্রহের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়েজার-২ সফলভাবে কাজ করবে। এখন, যখন এটি বন্ধ হবে, মোটরটি ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ধাপেরও বেশি সম্পন্ন করবে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, প্রতিটি মহাকাশযান এখনো অনন্য ডেটা সংগ্রহ করতে থাকবে। তবে, একটি বড় পরিবর্তন আসছে, কারণ তারা ইন্টারস্টেলার স্পেসে (আন্তনক্ষত্রীয় মহাশূন্য) দুটি ভিন্ন স্থানে একসঙ্গে একই ধরনের কণার পরিমাপ করতে পারবে না।
যতই ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর বয়স বাড়ছে, ততই প্রকল্পের প্রকৌশলীরা নতুন এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর সমাধানে আরও সৃজনশীল হয়ে উঠছেন। যেমন: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অনন্য ত্রুটিগুলো মোকাবিলা করা। মহাশূন্যে বিশাল দূরত্বের কারণে এসব সমস্যার সমাধান খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তবে প্রকৌশলীরা নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁদের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
দুটি যন্ত্র বন্ধ করার পর উভয় ভয়েজার মহাকাশযান আরও একটি বছর পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম হবে। এরপর, প্রতি মহাকাশযানে একটি করে অতিরিক্ত যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ২০২৬ সালে, ভয়েজার-১-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র এবং ভয়েজার-২-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২ তাদের যাত্রা চালিয়ে যাবে। কারণ তাদের প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম এবং ম্যাগনেটোমিটার যন্ত্র চালু থাকবে। প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম মহাশূন্যের প্লাজমা ক্ষেত্রের মধ্যে তরঙ্গ পরিমাপ করে এবং ম্যাগনেটোমিটার চুম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন পরিমাপ করে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, ‘উভয় ভয়েজারই কসমিক রে (মহাজাগতিক বিকিরণ), আন্তনক্ষত্রীয় প্লাজমা, আন্তনক্ষত্রীয় চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আন্তনক্ষত্রীয় মাধ্যমের রেডিও তরঙ্গ সম্পর্কে অনন্য তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে, যার মধ্যে সূর্য থেকে ছড়ানো প্রভাবও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নাসার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহাকাশযানগুলো যথেষ্ট শক্তি সংরক্ষণ করতে পারবে, যাতে ২০৩০–এর দশক পর্যন্ত কমপক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র চালু রাখা সম্ভব হবে। তবে তারা জানেন যে, যেকোনো নতুন চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা আসতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর যাত্রার অবসান ঘটাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও নাসা

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২-এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাব সিস্টেম পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ পাঠিয়েছেন নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) প্রকৌশলীরা। অন্যদিকে, ২৪ মার্চ ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করা হবে। এর ফলে প্রতিটি মহাকাশযানে এখন তিনটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র কার্যকর থাকবে।
১৯৭৭ সালে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ভয়েজার মহাকাশযান দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দুটি মহাকাশযান একসঙ্গে ১০ বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহন করছিল। তবে, সময়ের সঙ্গে তাদের শক্তি সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে গেছে। ভয়েজার মহাকাশযান দুটি প্লুটোনিয়ামের তাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করত এবং প্রতিবছর ৪ ওয়াট বিদ্যুৎশক্তি খরচ করছে।
ভয়েজার প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুজান ডড নাসা বলেন, ‘ভয়েজাররা উৎক্ষেপণের পর থেকে মহাকাশের এক অপ্রতিরোধ্য নক্ষত্র হয়ে উঠেছে এবং আমরা চাই যেন এটি যতটা সম্ভব চলতে থাকে। তবে, বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ কমে যাচ্ছে। যদি এখনই কোনো যন্ত্র বন্ধ না করা হয়, তাহলে হয়তো কয়েক মাসের মধ্যেই মিশন শেষ ঘোষণা করতে হবে।’
অজানা মহাকাশের অনুসন্ধান
ভয়েজার-১ বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১৫ বিলিয়ন মাইল (২৫ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে এবং ভয়েজার-২ ১৩ বিলিয়ন মাইল (২১ বিলিয়ন কিলোমিটার) দূরে অবস্থান করছে। তারা বর্তমানে সোলার হেলিওস্ফিয়ারি (সূর্যের পারিপার্শ্বিক চুম্বকক্ষেত্র ও কণার বলয়) থেকে বাইরে মহাশূন্যের অন্যান্য অঞ্চলে অনুসন্ধান করছে।
১৯৮০-র দশকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহগুলোর কাছে গিয়ে মিশনের প্রথম লক্ষ্য পূর্ণ করার পর ভয়েজার যন্ত্রগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বিজ্ঞানীরা তাদের অজানা মহাশূন্যের পরিসরে তথ্য সংগ্রহ চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১২ সালে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করে ভয়েজার-১। ২০১৮ সালে একই কাজ করে ভয়েজার-২। তবে দুটি মহাকাশযানের যাত্রাপথ আলাদা ছিল। মহাকাশযান দুটি ভিন্ন পথে থাকায় এগুলো মহাশূন্যের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের অনুসন্ধানে করেছে, যা সৌরজগতের বাইরের অজানা বিশ্ব সম্পর্কে আরও মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়েজার প্রকল্পের দল একে একে যন্ত্রগুলো বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে মহাকাশযানগুলোর যাত্রা চলতে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নাসা ভয়েজার-২-এর প্লাজমা সায়েন্স যন্ত্র বন্ধ করে দিয়েছে। এই যন্ত্র মহাশূন্যে চার্জড পরমাণুর সংখ্যা পরিমাপ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। তবে মূলত এর অবস্থানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর আউটপুট ডেটা সীমিত হয়ে গেছে। অপরদিকে, ভয়েজার-১-এর অভিন্ন যন্ত্রটি বহু বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ তার কার্যক্ষমতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে।
গত সপ্তাহে, ভয়েজার-১-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা তিনটি টেলিস্কোপের সমন্বয়ে তৈরি একটি যন্ত্র ছিল। এই টেলিস্কোপগুলো মহাশূন্যে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক বিকিরণ পরিমাপ এবং পর্যবেক্ষণ করত। এসব বিকিরণ আমাদের সৌরজগৎ ও সূর্য থেকে নির্গত হয়।
ভয়েজার প্রকল্পের দল এই যন্ত্রের মাধ্যমে মহাকাশযানটির তথ্য সংগ্রহ করেছিল এবং এর সাহায্যে তারা নির্দিষ্টভাবে জানতে পেরেছিল কখন এবং কোথায় ভয়েজার-১ হেলিওস্ফিয়ার (সূর্যের চুম্বকীয় বলয়) অতিক্রম করে ইন্টারস্টেলার স্পেস বা আন্তনক্ষত্রীয় স্থানে প্রবেশ করেছে।
এ মাসের শেষে ভয়েজার-২-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা সৌরজগৎ ও আমাদের গ্যালাক্সিতে আয়ন, ইলেকট্রন এবং কসমিক রে পরিমাপ করে। এই যন্ত্রের বিভিন্ন সিস্টেমে একটি টেলিস্কোপ ও ম্যাগনেটোস্ফেরিক পার্টিকল অ্যানালাইজার (চুম্বকীয় কণা পর্যবেক্ষণকারী) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ রয়েছে এবং একটি ঘূর্ণনশীল প্ল্যাটফর্ম স্টেপার মোটরের মাধ্যমে চলে।
পৃথিবীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই মোটর ৫ লাখ ধাপ পার করে। এই পরীক্ষা নিশ্চিত করেছিল যে, ১৯৮০ সালে শনি গ্রহের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়েজার-২ সফলভাবে কাজ করবে। এখন, যখন এটি বন্ধ হবে, মোটরটি ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ধাপেরও বেশি সম্পন্ন করবে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, প্রতিটি মহাকাশযান এখনো অনন্য ডেটা সংগ্রহ করতে থাকবে। তবে, একটি বড় পরিবর্তন আসছে, কারণ তারা ইন্টারস্টেলার স্পেসে (আন্তনক্ষত্রীয় মহাশূন্য) দুটি ভিন্ন স্থানে একসঙ্গে একই ধরনের কণার পরিমাপ করতে পারবে না।
যতই ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর বয়স বাড়ছে, ততই প্রকল্পের প্রকৌশলীরা নতুন এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলোর সমাধানে আরও সৃজনশীল হয়ে উঠছেন। যেমন: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং অনন্য ত্রুটিগুলো মোকাবিলা করা। মহাশূন্যে বিশাল দূরত্বের কারণে এসব সমস্যার সমাধান খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। তবে প্রকৌশলীরা নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাঁদের কার্যক্ষমতা বজায় রাখার চেষ্টা করছেন।
দুটি যন্ত্র বন্ধ করার পর উভয় ভয়েজার মহাকাশযান আরও একটি বছর পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম হবে। এরপর, প্রতি মহাকাশযানে একটি করে অতিরিক্ত যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ২০২৬ সালে, ভয়েজার-১-এর লো-এনার্জি চার্জড পার্টিকল যন্ত্র এবং ভয়েজার-২-এর কসমিক রে সাবসিস্টেম বন্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে ভয়েজার-১ ও ভয়েজার-২ তাদের যাত্রা চালিয়ে যাবে। কারণ তাদের প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম এবং ম্যাগনেটোমিটার যন্ত্র চালু থাকবে। প্লাজমা ওয়েভ সাবসিস্টেম মহাশূন্যের প্লাজমা ক্ষেত্রের মধ্যে তরঙ্গ পরিমাপ করে এবং ম্যাগনেটোমিটার চুম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন পরিমাপ করে।
ভয়েজার প্রকল্পের বিজ্ঞানী লিন্ডা স্পিলকার বলেন, ‘উভয় ভয়েজারই কসমিক রে (মহাজাগতিক বিকিরণ), আন্তনক্ষত্রীয় প্লাজমা, আন্তনক্ষত্রীয় চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং আন্তনক্ষত্রীয় মাধ্যমের রেডিও তরঙ্গ সম্পর্কে অনন্য তথ্য সংগ্রহ করতে থাকবে, যার মধ্যে সূর্য থেকে ছড়ানো প্রভাবও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নাসার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহাকাশযানগুলো যথেষ্ট শক্তি সংরক্ষণ করতে পারবে, যাতে ২০৩০–এর দশক পর্যন্ত কমপক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক যন্ত্র চালু রাখা সম্ভব হবে। তবে তারা জানেন যে, যেকোনো নতুন চ্যালেঞ্জ বা সমস্যা আসতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত ভয়েজার মহাকাশযানগুলোর যাত্রার অবসান ঘটাতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন ও নাসা

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার–১ ও ভয়েজার–২ এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
০৬ মার্চ ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার–১ ও ভয়েজার–২ এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
০৬ মার্চ ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার–১ ও ভয়েজার–২ এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
০৬ মার্চ ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত মহাকাশযান ভয়েজার–১ ও ভয়েজার–২ এর বৈজ্ঞানিক যন্ত্রগুলো বন্ধ করতে যাচ্ছে নাসা। এর মাধ্যমে মহাকাশযানগুলো শক্তি সঞ্চয় করবে এবং আরও দীর্ঘদিন মিশন চালিয়ে যেতে পারবে। মহাকাশযান দুটি প্রায় ৪৭ বছর আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করে নাসা।
০৬ মার্চ ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৫ দিন আগে