
প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়, বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসরেরা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়।
ডাইনোসরদের এই সফলতার রহস্যভেদের চেষ্টা বিজ্ঞানীরা চালিয়ে যাচ্ছেন বহু আগে থেকেই। নতুন এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে থাকতে পারে তাদের জীবাশ্মের মলে।
সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওন্টোলজিস্ট (ফসিল নিয়ে গবেষণা করে নানা তথ্য বের করেন যাঁরা) মার্টিন কভার্নস্ট্রোম ও তাঁর দল ডাইনোসরের মল ও বমির জীবাশ্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন, যেগুলোকে ‘ব্রোমালাইটস’ বলা হয়। গত বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত ডাইনোসরদের উত্থান বিষয়ের এই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান লেখকও তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জীবনের অনেক কিছু জানি, বিলুপ্তি সম্পর্কেও জানি, কিন্তু তাদের বিকাশ কীভাবে ঘটেছিল তা এখনো পরিষ্কার নয়।’
গবেষক দলটি পোল্যান্ডের দক্ষিণে ২৫ বছরে সংগৃহীত পাঁচ শতাধিক জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেছেন। এসব জীবাশ্ম ২০ কোটি বছর কিংবা তারও আগের। অর্থাৎ, ট্রায়াসিক যুগের শেষ থেকে শুরুর জুরাসিক যুগ পর্যন্ত সময়ের।
কভার্নস্ট্রোম বলেন, ‘ব্রোমালাইটস আমাদের অতীত পরিবেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দেয়। কিন্তু আগে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এগুলোকে নিছক মজার জন্য সংগ্রহ করা হতো।’
তারা দেখেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব ব্রোমালাইট আকার ও বৈচিত্র্যে বেড়েছে। এতে বোঝা যায়, বিশালাকায় এই প্রাণীদের বিকাশ ও খাদ্যাভ্যাস বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠছিল ক্রমেই।
ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং এর ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করে এবং অনুসন্ধান এলাকায় পাওয়া জীবাশ্ম কঙ্কাল ও পায়ের ছাপের সঙ্গে এগুলো মিলিয়ে গবেষকেরা কোন প্রাণীগুলো এগুলো তৈরি করেছিল তা শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
এটি গবেষকদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত এবং কী ধরনের ডাইনোসর বা অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী ওই এলাকায় ছিল। এই বিশ্লেষণ সম্পন্ন করতে ১০ বছর সময় লেগেছিল। এটি গবেষক দলটিকে ডাইনোসরদের ক্ষমতাধর হয়ে ওঠার কারণ বোঝার জন্য একটি স্পষ্ট চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছে।
পোল্যান্ডের সলতিকোভ অঞ্চলের একটি জীবাশ্ম সাইটে পাওয়া বড় থেরোপড ডাইনোসরের পায়ের ছাপগুলোও এই গবেষণার অংশ ছিল।
কিছু ক্ষেত্রে, ব্রোমালাইটের আকৃতি এবং আকার দেখে কোন ডাইনোসর এটি তৈরি করেছিল তা সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, একটি সর্পিল আকৃতির মল একটি সর্পিল অন্ত্রবিশিষ্ট প্রাণী থেকে এসেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, জীবাশ্মের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বিশেষায়িত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হয়।
বিশেষ করে তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, এগুলো শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

এবার বরং গবেষণার পদ্ধতি সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক। জীবাশ্মগুলোর আকার, গঠন এবং ভেতরের উপাদান বিশ্লেষণ করতে তারা উন্নত থ্রি ডি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করেন।
ব্রোমালাইটগুলো বিশ্লেষণে গবেষকেরা উচ্চক্ষমতার এক্স-রে ব্যবহার করেছেন। এটি হাসপাতালের সিটি স্ক্যানারের মতো কাজ করে, তবে আরও শক্তিশালী। এতে জীবাশ্মগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।
ফলাফল হিসেবে ডাইনোসরের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মলের জীবাশ্মে মাছ, পোকামাকড়, গাছপালা এবং ডাইনোসরের শিকার অন্যান্য প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।
কিছু ক্ষেত্রে অবশেষগুলো এতটাই ভালোভাবে সংরক্ষিত ছিল যে পুরো মাছ বা ছোট পোকা পরিষ্কার দেখা গেছে।
গবেষকেরা দেখেছেন, প্রথম দিকে ডাইনোসরের পূর্বপুরুষেরা সর্বভুক ছিল। তারা গাছপালা ও প্রাণী উভয়ই খেত। পরে তারা ভাগ হয়ে মাংসাশী ও তৃণভোজী প্রজাতিতে বিবর্তিত হয়।
গবেষণা বলছে, একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে গাছপালার বৈচিত্র্য বাড়ে। এর ফলে ডাইনোসরের মধ্যে বৃহৎ তৃণভোজী প্রজাতির উদ্ভব ঘটে, যা পরবর্তীতে বৃহৎ মাংসাশী ডাইনোসরের আবির্ভাবে ভূমিকা রাখে।
ডাইনোসরের দাঁড়ানোর ভঙ্গি এবং পায়ের গঠন তাদের দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দক্ষ করেছিল, যা তাদের প্রতিযোগীদের থেকে এগিয়ে রেখেছিল। অন্যদিকে, জলবায়ুর পরিবর্তনে তারা খাদ্যাভ্যাসে দ্রুত অভিযোজিত হতে পেরেছিল। এটি এদের এলাকা শাসনের আরেকটি কারণ বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ডাইনোসররা তাদের খাদ্যতালিকায় গাছের বৈচিত্র্য যোগ করে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে ছিল, যা পোল্যান্ডের জীবাশ্ম বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছে। যেমন—তৃণভোজী ডাইনোসরদের মলে গাছের ফার্ন ও কাঠকয়লা পাওয়া গেছে। গবেষকদের ধারণা, কাঠকয়লা সম্ভবত বিষাক্ত ফার্নকে নিষ্ক্রিয় করত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাইনোসরের দেহের গঠন তাদের দ্রুত চলতে এবং খাদ্যের জন্য আরও দক্ষ হতে সাহায্য করেছিল। পাশাপাশি, খাদ্যাভ্যাস ছিল বৈচিত্র্যময়, যা তাদের প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
অন্যদিকে, তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপেরা নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি।
গবেষণার একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক গ্রেজগোরজ নিয়েডজউইজকি বলেছেন, ডাইনোসরের সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে, তা হলো সবজি খাও, সুস্থ থাকো এবং দীর্ঘজীবী হও।

এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাধ্যাকর্ষণের কারণে আমরা বসে-দাঁড়িয়ে প্লেটে বা হাতে নিয়ে খাবার খেতে পারি; কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সেখানকার খাবার ও খাওয়ার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত নভোচারীরা হিমায়িত বা শুকনো খাবার খান। আর এসব খাবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে নিয়ে যেতে হয়।
তবে এবার মহাকাশেই বাতাস (thin air) ও নভোচারীদের প্রস্রাব থেকে খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ‘সোলেইন’ (Solein) নামে একটি প্রোটিন পাউডার খেয়ে ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে যাওয়া নভোচারীরা বেঁচে থাকতে পারবেন।
ইএসএ জানিয়েছে, একটি নতুন পাইলট প্রকল্পের আওতায় তারা সোলেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তৈরি করতে প্রয়োজন কেবল মাইক্রোব (অণুজীব), বাতাস ও বিদ্যুৎ।
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের প্রস্রাবেই পাওয়া যায়।
ইএসএ ঘোষণা দিয়েছে, এই খাবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তৈরির জন্য তারা একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের মতে, এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের খাদ্যব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
সোলার ফুডসের স্পেস ও ডিফেন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরত্তু লুকানেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল শুরু। আমাদের লক্ষ্য হলো, মহাকাশে সোলেইন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আশা করছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের প্রধান প্রোটিন উৎস হয়ে উঠবে সোলেইন।’
প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোবি-ওয়ান’ (HOBI-WAN), এর পূর্ণরূপ Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে উন্নয়ন করা হবে, এরপর তা মাইক্রোগ্র্যাভিটি (অল্প মহাকর্ষ) পরিবেশে পরীক্ষা করা হবে।
ইএসএর প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান ওমবারজেন বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি খাদ্য উপাদান তৈরি করা, যা মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে।
অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান আরও বলেন, মানবজাতি যদি একদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদে বা মঙ্গলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে সীমিত সরবরাহের মধ্যেও টিকে থাকার মতো উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসএ ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা তৈরি করছে।
সূত্র: স্পেস ডটকম

মাধ্যাকর্ষণের কারণে আমরা বসে-দাঁড়িয়ে প্লেটে বা হাতে নিয়ে খাবার খেতে পারি; কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই, তাই সেখানকার খাবার ও খাওয়ার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন। সাধারণত নভোচারীরা হিমায়িত বা শুকনো খাবার খান। আর এসব খাবার পৃথিবী থেকে মহাকাশে নিয়ে যেতে হয়।
তবে এবার মহাকাশেই বাতাস (thin air) ও নভোচারীদের প্রস্রাব থেকে খাদ্য তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ‘সোলেইন’ (Solein) নামে একটি প্রোটিন পাউডার খেয়ে ভবিষ্যতে চাঁদ বা মঙ্গলে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে যাওয়া নভোচারীরা বেঁচে থাকতে পারবেন।
ইএসএ জানিয়েছে, একটি নতুন পাইলট প্রকল্পের আওতায় তারা সোলেইন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটি তৈরি করতে প্রয়োজন কেবল মাইক্রোব (অণুজীব), বাতাস ও বিদ্যুৎ।
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের প্রস্রাবেই পাওয়া যায়।
ইএসএ ঘোষণা দিয়েছে, এই খাবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) তৈরির জন্য তারা একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করবে। তাদের মতে, এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের খাদ্যব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে।
সোলার ফুডসের স্পেস ও ডিফেন্স বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আরত্তু লুকানেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল শুরু। আমাদের লক্ষ্য হলো, মহাকাশে সোলেইন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। আমরা আশা করছি, ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশচারীদের প্রধান প্রোটিন উৎস হয়ে উঠবে সোলেইন।’
প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হোবি-ওয়ান’ (HOBI-WAN), এর পূর্ণরূপ Hydrogen Oxidizing Bacteria In Weightlessness As a source of Nutrition। প্রথম ধাপে এই প্রযুক্তি পৃথিবীতে উন্নয়ন করা হবে, এরপর তা মাইক্রোগ্র্যাভিটি (অল্প মহাকর্ষ) পরিবেশে পরীক্ষা করা হবে।
ইএসএর প্রধান অনুসন্ধান বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান ওমবারজেন বলেন, এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি খাদ্য উপাদান তৈরি করা, যা মহাকাশ অভিযানে নভোচারীদের জন্য সার্বিক কল্যাণ বয়ে আনবে।
অ্যাঞ্জেলিক ভ্যান আরও বলেন, মানবজাতি যদি একদিন দীর্ঘ সময়ের জন্য চাঁদে বা মঙ্গলে অবস্থান করতে চায়, তাহলে সীমিত সরবরাহের মধ্যেও টিকে থাকার মতো উদ্ভাবনী ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইএসএ ভবিষ্যতের মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা তৈরি করছে।
সূত্র: স্পেস ডটকম

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

প্রায় ২৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ডাইনোসরদের । শুরুতে তারা যে খুব একটা দাপটের সঙ্গে বাস করছিল তা নয়। বরং অন্যান্য প্রাচীন সরীসৃপদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ছিল। তবে, ৩ কোটি বছর পর ডাইনোসররা পৃথিবীর শাসক হয়ে ওঠে এবং তাদের অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী সরীসৃপ বিলুপ্ত হয়ে যায়...
২৮ নভেম্বর ২০২৪
এই প্রোটিন তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান সোলার ফুডস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সোলেইন তৈরিতে প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নাইট্রোজেনের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরিয়া, যা মানুষের মূত্রেই পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগে
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
৩ দিন আগে