আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরাটি রয়েছে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আমাদের সৌরজগতে নবম কোনো গ্রহ থেকে থাকলেও এই টেলিস্কোপ তার প্রথম বছরেই সেটি শনাক্ত করতে পারবে।
এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রাণঘাতী গ্রহাণুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আকাশগঙ্গার একটি মানচিত্রও তৈরি করবে। এ ছাড়া মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশজুড়ে থাকা রহস্যময় পদার্থ—ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও উত্তর দেবে এই টেলিস্কোপ। আগামী ১০ বছর ধরে মহাকাশের ছবি তুলতে থাকবে এটি।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রনমার রয়্যালের প্রফেসর ক্যাথরিন হাইম্যানস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তের জন্য ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। দশকজুড়ে আমরা এমন একটি অসাধারণ যন্ত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি।’
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি টেলিস্কোপের ধারণ করা বিশদ ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা সেন্টার পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আমাদের সৌরজগতে বস্তু শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ বাড়াতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।
এটি চিলির আন্দিজ পর্বতের সেরো পাচনে অবস্থিত। এই পর্বতে আরও কিছু গবেষণা উপযোগী বেসরকারি দূরবীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। খুব উঁচু, অত্যন্ত শুষ্ক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এই স্থান রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত।
এই অবজারভেটরি ভেতরেও একই রকম। টেলিস্কোপের ডোমে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল রয়েছে।
প্রকল্পের কমিশনিং বিজ্ঞানী এলানা আরবাক জানান, শুধু নক্ষত্রের আলোই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপটিতে তিনটি আয়না রয়েছে। আকাশ থেকে আগত আলো প্রথমে ৮ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের মূল আয়নায় পড়ে, তারপর ৩ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এরপর ৪ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের তৃতীয় আয়নার মাধ্যমে ক্যামেরায় প্রবেশ করে।
এই আয়নাগুলোকে সব সময় ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হয়। একটি সূক্ষ্ম ধুলাও চিত্রের গুণমান নষ্ট করতে পারে। টেলিস্কোপের আয়নাগুলোর উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা ও দ্রুতগতির কারণে বহুদূরের (অর্থাৎ মহাকালের প্রাচীন সময়ের) বস্তু দেখার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ধারণ করা সম্ভব হয়।
এই টেলিস্কোপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা আইফোন ১৬ প্রো ক্যামেরার তুলনায় ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট দিতে পারে। এতটাই সূক্ষ্ম যে চাঁদে রাখা একটি গলফ বলের ছবি তোলা সম্ভব এবং একটি ছবি দেখাতে প্রয়োজন হবে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন।
এটি টানা ১০ বছর ধরে প্রতি তিন দিন পর রাতের আকাশের ছবি তুলবে। এই ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার, ওজন ২ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে। কারণ, এর গম্বুজ ও মাউন্ট অত্যন্ত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার গুইলেম মেগিয়াস বলেন, ‘প্রথম ছবিটা যখন এখানে উঠল, তখন একটা বিশেষ মুহূর্ত অনুভব করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন এই প্রকল্পে কাজ শুরু করি, তখন এক সহকর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর আমি জন্মেছি ১৯৯৭ সালে। এতে বোঝা যায়, এটি এক প্রজন্মের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাধনার ফসল।’
বিশ্বজুড়ে শত শত বিজ্ঞানী এই টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবেন। একপর্যায়ে প্রতি রাতে ১ কোটি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প চারটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে—আকাশে পরিবর্তনশীল বস্তু বা ট্রানজিয়েন্ট পর্যবেক্ষণ, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার গঠন, সৌরজগতের মানচিত্র তৈরি এবং ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের উদ্ভব বোঝা।
তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর নিরবচ্ছিন্নতা। একই জায়গা বারবার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবার পরিবর্তন ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করবে এটি।
প্রফেসর হেইম্যানস বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল দিকটাই সবচেয়ে নতুন ও ব্যতিক্রমী বিষয়। এটা এমন কিছু দেখাতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।
এ ছাড়া এটি আমাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন এই বছরের শুরুতে ওয়াইআর ৪ নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে কিছুদিনের জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ক্যামেরার বড় আয়নাগুলো এমন বস্তু থেকে আসা দুর্বল আলো ও বিকৃতি শনাক্ত করে তাদের গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলিস ডিসন বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করার জন্য এত বড় তথ্যভান্ডার আগে কখনো ছিল না।’
তিনি এসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, আকাশগঙ্গার তারাগুলো কতটা দূর অতীতে প্রসারিত হয়েছিল।
বর্তমানে তারাগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেরা রুবিনের কল্যাণে সেটির ১২ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়তো তথ্য মিলবে।
এ ছাড়া বহুদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে থাকা সৌরজগতের নবম গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই টেলিস্কোপ সম্ভবত চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে।
গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ৭০০ গুণ দূরে থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরাটি রয়েছে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আমাদের সৌরজগতে নবম কোনো গ্রহ থেকে থাকলেও এই টেলিস্কোপ তার প্রথম বছরেই সেটি শনাক্ত করতে পারবে।
এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রাণঘাতী গ্রহাণুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আকাশগঙ্গার একটি মানচিত্রও তৈরি করবে। এ ছাড়া মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশজুড়ে থাকা রহস্যময় পদার্থ—ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও উত্তর দেবে এই টেলিস্কোপ। আগামী ১০ বছর ধরে মহাকাশের ছবি তুলতে থাকবে এটি।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রনমার রয়্যালের প্রফেসর ক্যাথরিন হাইম্যানস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তের জন্য ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। দশকজুড়ে আমরা এমন একটি অসাধারণ যন্ত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি।’
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি টেলিস্কোপের ধারণ করা বিশদ ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা সেন্টার পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আমাদের সৌরজগতে বস্তু শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ বাড়াতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।
এটি চিলির আন্দিজ পর্বতের সেরো পাচনে অবস্থিত। এই পর্বতে আরও কিছু গবেষণা উপযোগী বেসরকারি দূরবীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। খুব উঁচু, অত্যন্ত শুষ্ক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এই স্থান রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত।
এই অবজারভেটরি ভেতরেও একই রকম। টেলিস্কোপের ডোমে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল রয়েছে।
প্রকল্পের কমিশনিং বিজ্ঞানী এলানা আরবাক জানান, শুধু নক্ষত্রের আলোই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপটিতে তিনটি আয়না রয়েছে। আকাশ থেকে আগত আলো প্রথমে ৮ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের মূল আয়নায় পড়ে, তারপর ৩ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এরপর ৪ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের তৃতীয় আয়নার মাধ্যমে ক্যামেরায় প্রবেশ করে।
এই আয়নাগুলোকে সব সময় ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হয়। একটি সূক্ষ্ম ধুলাও চিত্রের গুণমান নষ্ট করতে পারে। টেলিস্কোপের আয়নাগুলোর উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা ও দ্রুতগতির কারণে বহুদূরের (অর্থাৎ মহাকালের প্রাচীন সময়ের) বস্তু দেখার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ধারণ করা সম্ভব হয়।
এই টেলিস্কোপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা আইফোন ১৬ প্রো ক্যামেরার তুলনায় ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট দিতে পারে। এতটাই সূক্ষ্ম যে চাঁদে রাখা একটি গলফ বলের ছবি তোলা সম্ভব এবং একটি ছবি দেখাতে প্রয়োজন হবে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন।
এটি টানা ১০ বছর ধরে প্রতি তিন দিন পর রাতের আকাশের ছবি তুলবে। এই ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার, ওজন ২ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে। কারণ, এর গম্বুজ ও মাউন্ট অত্যন্ত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার গুইলেম মেগিয়াস বলেন, ‘প্রথম ছবিটা যখন এখানে উঠল, তখন একটা বিশেষ মুহূর্ত অনুভব করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন এই প্রকল্পে কাজ শুরু করি, তখন এক সহকর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর আমি জন্মেছি ১৯৯৭ সালে। এতে বোঝা যায়, এটি এক প্রজন্মের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাধনার ফসল।’
বিশ্বজুড়ে শত শত বিজ্ঞানী এই টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবেন। একপর্যায়ে প্রতি রাতে ১ কোটি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প চারটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে—আকাশে পরিবর্তনশীল বস্তু বা ট্রানজিয়েন্ট পর্যবেক্ষণ, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার গঠন, সৌরজগতের মানচিত্র তৈরি এবং ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের উদ্ভব বোঝা।
তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর নিরবচ্ছিন্নতা। একই জায়গা বারবার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবার পরিবর্তন ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করবে এটি।
প্রফেসর হেইম্যানস বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল দিকটাই সবচেয়ে নতুন ও ব্যতিক্রমী বিষয়। এটা এমন কিছু দেখাতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।
এ ছাড়া এটি আমাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন এই বছরের শুরুতে ওয়াইআর ৪ নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে কিছুদিনের জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ক্যামেরার বড় আয়নাগুলো এমন বস্তু থেকে আসা দুর্বল আলো ও বিকৃতি শনাক্ত করে তাদের গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলিস ডিসন বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করার জন্য এত বড় তথ্যভান্ডার আগে কখনো ছিল না।’
তিনি এসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, আকাশগঙ্গার তারাগুলো কতটা দূর অতীতে প্রসারিত হয়েছিল।
বর্তমানে তারাগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেরা রুবিনের কল্যাণে সেটির ১২ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়তো তথ্য মিলবে।
এ ছাড়া বহুদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে থাকা সৌরজগতের নবম গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই টেলিস্কোপ সম্ভবত চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে।
গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ৭০০ গুণ দূরে থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরাটি রয়েছে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আমাদের সৌরজগতে নবম কোনো গ্রহ থেকে থাকলেও এই টেলিস্কোপ তার প্রথম বছরেই সেটি শনাক্ত করতে পারবে।
এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রাণঘাতী গ্রহাণুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আকাশগঙ্গার একটি মানচিত্রও তৈরি করবে। এ ছাড়া মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশজুড়ে থাকা রহস্যময় পদার্থ—ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও উত্তর দেবে এই টেলিস্কোপ। আগামী ১০ বছর ধরে মহাকাশের ছবি তুলতে থাকবে এটি।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রনমার রয়্যালের প্রফেসর ক্যাথরিন হাইম্যানস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তের জন্য ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। দশকজুড়ে আমরা এমন একটি অসাধারণ যন্ত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি।’
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি টেলিস্কোপের ধারণ করা বিশদ ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা সেন্টার পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আমাদের সৌরজগতে বস্তু শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ বাড়াতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।
এটি চিলির আন্দিজ পর্বতের সেরো পাচনে অবস্থিত। এই পর্বতে আরও কিছু গবেষণা উপযোগী বেসরকারি দূরবীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। খুব উঁচু, অত্যন্ত শুষ্ক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এই স্থান রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত।
এই অবজারভেটরি ভেতরেও একই রকম। টেলিস্কোপের ডোমে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল রয়েছে।
প্রকল্পের কমিশনিং বিজ্ঞানী এলানা আরবাক জানান, শুধু নক্ষত্রের আলোই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপটিতে তিনটি আয়না রয়েছে। আকাশ থেকে আগত আলো প্রথমে ৮ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের মূল আয়নায় পড়ে, তারপর ৩ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এরপর ৪ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের তৃতীয় আয়নার মাধ্যমে ক্যামেরায় প্রবেশ করে।
এই আয়নাগুলোকে সব সময় ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হয়। একটি সূক্ষ্ম ধুলাও চিত্রের গুণমান নষ্ট করতে পারে। টেলিস্কোপের আয়নাগুলোর উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা ও দ্রুতগতির কারণে বহুদূরের (অর্থাৎ মহাকালের প্রাচীন সময়ের) বস্তু দেখার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ধারণ করা সম্ভব হয়।
এই টেলিস্কোপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা আইফোন ১৬ প্রো ক্যামেরার তুলনায় ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট দিতে পারে। এতটাই সূক্ষ্ম যে চাঁদে রাখা একটি গলফ বলের ছবি তোলা সম্ভব এবং একটি ছবি দেখাতে প্রয়োজন হবে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন।
এটি টানা ১০ বছর ধরে প্রতি তিন দিন পর রাতের আকাশের ছবি তুলবে। এই ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার, ওজন ২ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে। কারণ, এর গম্বুজ ও মাউন্ট অত্যন্ত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার গুইলেম মেগিয়াস বলেন, ‘প্রথম ছবিটা যখন এখানে উঠল, তখন একটা বিশেষ মুহূর্ত অনুভব করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন এই প্রকল্পে কাজ শুরু করি, তখন এক সহকর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর আমি জন্মেছি ১৯৯৭ সালে। এতে বোঝা যায়, এটি এক প্রজন্মের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাধনার ফসল।’
বিশ্বজুড়ে শত শত বিজ্ঞানী এই টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবেন। একপর্যায়ে প্রতি রাতে ১ কোটি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প চারটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে—আকাশে পরিবর্তনশীল বস্তু বা ট্রানজিয়েন্ট পর্যবেক্ষণ, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার গঠন, সৌরজগতের মানচিত্র তৈরি এবং ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের উদ্ভব বোঝা।
তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর নিরবচ্ছিন্নতা। একই জায়গা বারবার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবার পরিবর্তন ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করবে এটি।
প্রফেসর হেইম্যানস বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল দিকটাই সবচেয়ে নতুন ও ব্যতিক্রমী বিষয়। এটা এমন কিছু দেখাতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।
এ ছাড়া এটি আমাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন এই বছরের শুরুতে ওয়াইআর ৪ নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে কিছুদিনের জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ক্যামেরার বড় আয়নাগুলো এমন বস্তু থেকে আসা দুর্বল আলো ও বিকৃতি শনাক্ত করে তাদের গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলিস ডিসন বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করার জন্য এত বড় তথ্যভান্ডার আগে কখনো ছিল না।’
তিনি এসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, আকাশগঙ্গার তারাগুলো কতটা দূর অতীতে প্রসারিত হয়েছিল।
বর্তমানে তারাগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেরা রুবিনের কল্যাণে সেটির ১২ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়তো তথ্য মিলবে।
এ ছাড়া বহুদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে থাকা সৌরজগতের নবম গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই টেলিস্কোপ সম্ভবত চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে।
গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ৭০০ গুণ দূরে থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিজিটাল ক্যামেরাটি রয়েছে চিলির ভেরা সি রুবিন অবজারভেটরিতে। এটি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে বোঝাপড়া পাল্টে দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আমাদের সৌরজগতে নবম কোনো গ্রহ থেকে থাকলেও এই টেলিস্কোপ তার প্রথম বছরেই সেটি শনাক্ত করতে পারবে।
এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা প্রাণঘাতী গ্রহাণুগুলো শনাক্ত করতে পারবে এবং আকাশগঙ্গার একটি মানচিত্রও তৈরি করবে। এ ছাড়া মহাবিশ্বের অধিকাংশ অংশজুড়ে থাকা রহস্যময় পদার্থ—ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কেও উত্তর দেবে এই টেলিস্কোপ। আগামী ১০ বছর ধরে মহাকাশের ছবি তুলতে থাকবে এটি।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রনমার রয়্যালের প্রফেসর ক্যাথরিন হাইম্যানস বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মুহূর্তের জন্য ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। দশকজুড়ে আমরা এমন একটি অসাধারণ যন্ত্র নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছি।’
এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান অংশীদার যুক্তরাজ্য। দেশটি টেলিস্কোপের ধারণ করা বিশদ ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য ডেটা সেন্টার পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, আমাদের সৌরজগতে বস্তু শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ বাড়াতে সাহায্য করবে এই টেলিস্কোপ।
এটি চিলির আন্দিজ পর্বতের সেরো পাচনে অবস্থিত। এই পর্বতে আরও কিছু গবেষণা উপযোগী বেসরকারি দূরবীক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। খুব উঁচু, অত্যন্ত শুষ্ক ও অন্ধকারাচ্ছন্ন এই স্থান রাতের আকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য উপযুক্ত।
এই অবজারভেটরি ভেতরেও একই রকম। টেলিস্কোপের ডোমে যেন কোনো আলো ঢুকতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল রয়েছে।
প্রকল্পের কমিশনিং বিজ্ঞানী এলানা আরবাক জানান, শুধু নক্ষত্রের আলোই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত।
মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপটিতে তিনটি আয়না রয়েছে। আকাশ থেকে আগত আলো প্রথমে ৮ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের মূল আয়নায় পড়ে, তারপর ৩ দশমিক ৪ মিটার ব্যাসের দ্বিতীয় আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এরপর ৪ দশমিক ৮ মিটার ব্যাসের তৃতীয় আয়নার মাধ্যমে ক্যামেরায় প্রবেশ করে।
এই আয়নাগুলোকে সব সময় ধুলোবালিমুক্ত রাখতে হয়। একটি সূক্ষ্ম ধুলাও চিত্রের গুণমান নষ্ট করতে পারে। টেলিস্কোপের আয়নাগুলোর উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতা ও দ্রুতগতির কারণে বহুদূরের (অর্থাৎ মহাকালের প্রাচীন সময়ের) বস্তু দেখার জন্য প্রয়োজনীয় আলো ধারণ করা সম্ভব হয়।
এই টেলিস্কোপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ হলো ৩ হাজার ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, যা আইফোন ১৬ প্রো ক্যামেরার তুলনায় ৬৭ গুণ বেশি স্পষ্ট দিতে পারে। এতটাই সূক্ষ্ম যে চাঁদে রাখা একটি গলফ বলের ছবি তোলা সম্ভব এবং একটি ছবি দেখাতে প্রয়োজন হবে ৪০০টি আলট্রা এইচডি টিভি স্ক্রিন।
এটি টানা ১০ বছর ধরে প্রতি তিন দিন পর রাতের আকাশের ছবি তুলবে। এই ক্যামেরার দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং প্রস্থ ৩ মিটার, ওজন ২ হাজার ৮০০ কেজি। প্রতি রাতে প্রায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলবে। কারণ, এর গম্বুজ ও মাউন্ট অত্যন্ত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার গুইলেম মেগিয়াস বলেন, ‘প্রথম ছবিটা যখন এখানে উঠল, তখন একটা বিশেষ মুহূর্ত অনুভব করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন এই প্রকল্পে কাজ শুরু করি, তখন এক সহকর্মী ছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর আমি জন্মেছি ১৯৯৭ সালে। এতে বোঝা যায়, এটি এক প্রজন্মের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সাধনার ফসল।’
বিশ্বজুড়ে শত শত বিজ্ঞানী এই টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করবেন। একপর্যায়ে প্রতি রাতে ১ কোটি তথ্য পাঠানো সম্ভব হবে।
এই প্রকল্প চারটি মূল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে—আকাশে পরিবর্তনশীল বস্তু বা ট্রানজিয়েন্ট পর্যবেক্ষণ, মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গার গঠন, সৌরজগতের মানচিত্র তৈরি এবং ডার্ক ম্যাটার ও মহাবিশ্বের উদ্ভব বোঝা।
তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর নিরবচ্ছিন্নতা। একই জায়গা বারবার পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবার পরিবর্তন ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীদের সতর্ক করবে এটি।
প্রফেসর হেইম্যানস বলেন, ‘এই পরিবর্তনশীল দিকটাই সবচেয়ে নতুন ও ব্যতিক্রমী বিষয়। এটা এমন কিছু দেখাতে পারে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।
এ ছাড়া এটি আমাদের রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন এই বছরের শুরুতে ওয়াইআর ৪ নামের একটি গ্রহাণু নিয়ে কিছুদিনের জন্য উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। ক্যামেরার বড় আয়নাগুলো এমন বস্তু থেকে আসা দুর্বল আলো ও বিকৃতি শনাক্ত করে তাদের গতিপথ নির্ধারণে সাহায্য করবে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলিস ডিসন বলেন, ‘আমাদের গ্যালাক্সি নিয়ে কাজ করার জন্য এত বড় তথ্যভান্ডার আগে কখনো ছিল না।’
তিনি এসব ছবি বিশ্লেষণ করে দেখবেন, আকাশগঙ্গার তারাগুলো কতটা দূর অতীতে প্রসারিত হয়েছিল।
বর্তমানে তারাগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। তবে ভেরা রুবিনের কল্যাণে সেটির ১২ লাখ আলোকবর্ষ পর্যন্ত হয়তো তথ্য মিলবে।
এ ছাড়া বহুদিন ধরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে থাকা সৌরজগতের নবম গ্রহের অস্তিত্ব সম্পর্কে এই টেলিস্কোপ সম্ভবত চূড়ান্ত উত্তর দিতে পারবে।
গ্রহটি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যকার দূরত্বের ৭০০ গুণ দূরে থাকতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৪ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ওয়াটসন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে মিলে ১৯৫৩ সালে ডিএনএর কাঠামোগত রহস্য উন্মোচন করেন। এই আবিষ্কারকে ‘বিশ শতকের অন্যতম সেরা অগ্রগতি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আবিষ্কার আণবিক জীববিজ্ঞানের দ্রুত বিকাশের পথ প্রশস্ত করেছিল।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হলো ডিএনএর দুটি সর্পিল বা প্যাঁচানো মইয়ের মতো কাঠামো, যা পরস্পরকে পেঁচিয়ে থাকে। এই কাঠামোতে দুটি শৃঙ্খল থাকে, সেটি আবার হাইড্রোজেন বন্ধনের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই শৃঙ্খলগুলো অ্যাডেনিন (A) ও থাইমিন (T) এবং সাইটোসিন (C) ও গুয়ানিনের (G) মতো নাইট্রোজেনাস বেস জোড়া দিয়ে গঠিত।
জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স—এই তিনজন বিজ্ঞানী ১৯৬২ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান। এই আবিষ্কারের সময় তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা জীবনের রহস্য আবিষ্কার করেছি।’
যদিও এই আবিষ্কারের পেছনে কিংস কলেজের গবেষক রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তোলা এক্স-রে চিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। সেটি তাঁর সম্মতি ছাড়াই ওয়াটসন ও ক্রিক ব্যবহার করেছিলেন। মরিস উইলকিন্স ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে ডিএনএ অণুর কাঠামো নির্ণয়ের কাজ করেছিলেন।
এমন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্যের পরও পরবর্তীকালে বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে জেমস ওয়াটসনের খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘আফ্রিকার সম্ভাবনা নিয়ে গভীরভাবে হতাশ’। কারণ, ‘আমাদের সব সামাজিক নীতি এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি যে তাদের (আফ্রিকানদের) বুদ্ধিমত্তা আমাদের মতোই—যদিও সব পরীক্ষামূলক ফলাফলে তেমনটি দেখা যায় না।’ এই মন্তব্যের জেরে নিউইয়র্কের কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির চ্যান্সেলরের পদ হারান তিনি।
২০১৯ সালে ওয়াটসন পুনরায় একই ধরনের মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি আরও একবার বর্ণ ও বুদ্ধিমত্তার মধ্যে যোগসূত্র টেনেছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ল্যাবরেটরি তাঁর চ্যান্সেলর ইমেরিটাসসহ সমস্ত সম্মানসূচক পদ কেড়ে নেয়। ল্যাবরেটরি সেই সময় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘ড. ওয়াটসনের বক্তব্য নিন্দনীয় এবং বিজ্ঞানের দ্বারা অসমর্থিত।’
২০১৪ সালে বৈজ্ঞানিক মহলে একঘরে হওয়ার অনুভূতির কথা বলে ওয়াটসন তাঁর নোবেল পদকটি ৪৮ লাখ ডলারে (প্রায় ৩৬ কোটি টাকা) নিলামে বিক্রি করে দেন। যদিও পদকটি ক্রয় করা এক রুশ বিলিয়নিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি আবার তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
১৯২৮ সালের এপ্রিলে শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন জেমস ওয়াটসন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য স্কলারশিপ পান। ডিএনএ নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি কেমব্রিজে যান, যেখানে ফ্রান্সিস ক্রিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ডিএনএর গঠন আবিষ্কারের পর তিনি হার্ভার্ডে জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৮ সালে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরির দায়িত্ব নেন। এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত করার কৃতিত্ব তাঁর।

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
২৩ জুন ২০২৫
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৪ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমস জানিয়েছে, গেরমোঁপ্রে ছোটবেলা থেকেই বরফযুগের প্রাণীদের নিয়ে মুগ্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলজিয়ান ইনস্টিটিউট অব ন্যাচারাল সায়েন্সেসে কাজ করার সময় গ্রামের একটি গুহা থেকে পাওয়া প্রাগৈতিহাসিক কিছু প্রাণীর হাড় পরীক্ষা করছিলেন।
এই কাজ করতে গিয়ে একটি মাথার খুলির দিকে মনোযোগী হন গেরমোঁপ্রে। দীর্ঘদিন ধরে খুলিটিকে বরফযুগের কোনো নেকড়ের বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেরমোঁপ্রে বুঝতে পারেন—এটির নাক বা মুখের অংশটি ছোট ও চওড়া এবং এগুলো গৃহপালিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য।
পরে রেডিওকার্বন পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই খুলির বয়স প্রায় ৩৫ হাজার বছর। আর বৈশিষ্টগুলোই বলে দিচ্ছে, এটি সেই সময়ের কোনো নেকড়ে নয়, বরং মানুষের সান্নিধ্যে থাকা প্রাচীন কোনো কুকুর হতে পারে।
গেরমোঁপ্রে বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, কেউ বিশ্বাস করবে না।’ তবে তাঁর এই গবেষণা প্রকাশের পর থেকে বিজ্ঞানমহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করেন, এটি আসলে অস্বাভাবিক আকৃতির একটি নেকড়ের মাথার খুলি। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সত্যিই গৃহপালিত কুকুরের সবচেয়ে পুরোনো নিদর্শন।
গেরমোঁপ্রে মনে করেন, এটি এমন এক যুগের চিহ্ন, যখন মানুষ প্রথমবারের মতো প্রাণীদের সঙ্গে সহাবস্থান শুরু করেছিল। তিনি বিশ্বাস করেন, কুকুর গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া মানুষের উদ্যোগেই ঘটেছিল। প্রাচীন মানুষেরা নেকড়ে শাবক লালন করত, আক্রমণাত্মকদের বেছে হত্যা করত আর শান্তগুলোকে নিজেদের সঙ্গী বানাত। এভাবেই ধীরে ধীরে জন্ম নেয় প্যালিওলিথিক কুকুর।
বরফযুগের বেলজিয়াম ছিল খোলা তৃণভূমি—চারপাশে ম্যামথ, ঘোড়া, রেইনডিয়ার আর বন্য সিংহ-ভালুকের ভিড়। এমন বিপজ্জনক পৃথিবীতে কুকুর ছিল মানুষের সহচর, রক্ষক ও পথপ্রদর্শক।
গেরমোঁপ্রের মতে, এই প্রাচীন খুলি শুধু একটি প্রাণীর নয়, মানবসভ্যতার প্রথম বন্ধুত্বের প্রতীকও বটে—যখন মানুষ আর কুকুর একে অন্যের ভরসা হয়ে উঠেছিল বরফে ঢাকা নীরব পৃথিবীর প্রান্তরে।

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
২৩ জুন ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৪ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী প্রথম ওভেন হিসেবে ইতিহাস গড়েছে।
স্পেস ডট কম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ওভেন ব্যবহার করে নভোচারীরা ২৮ মিনিটে রোস্টেড চিকেন উইংস রান্না করতে সক্ষম হন। মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় তাপ সমভাবে ছড়ায় না বলে মহাকাশে রান্না করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওভেনটি এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যাতে এটি তিয়ানগং স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো চাপ সৃষ্টি না করে এবং ধোঁয়াবিহীন ও স্থিতিশীল তাপমাত্রায় রান্না করা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নভোচারীরা বিশেষভাবে তৈরি একটি গ্রিল কেস-এ চিকেন উইংস নিয়ে স্পেস স্টেশনের দেয়ালের একটি ছোট কেবিন আকৃতির অংশে স্থাপন করছেন।
অ্যারোস্পেস নলেজ সাময়িকীর প্রধান সম্পাদক ওয়াং ইয়ানান চায়না ডেইলিকে বলেন, ‘পৃথিবীতে যেমন ওভেনের ভেতর বাতাস ঘুরে তাপ সঞ্চালন ঘটায়, মহাকাশে তা হয় না। কারণ সেখানে কনভেকশন নামের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া অনুপস্থিত। তাই প্রকৌশলীদের এমন একটি বিশেষ পদ্ধতি বের করতে হয়েছে যাতে খাবার সমভাবে গরম হয় এবং রান্নার ধোঁয়াও নিরাপদভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। নভোচারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত থাকে।’
ওভেনটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রাখা হয়েছে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৯০ ডিগ্রিতে। এর ফলে নভোচারীরা প্রসেসড ফুড গরম করার পাশাপাশি খাবার রান্নাও করতে পারছেন।
এর আগে ২০২০ সালে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ প্রথমবারের মতো মহাকাশে খাবার বেক করার একটি পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ন্যানোরেকস ও জিরো জি কিচেন যৌথভাবে তৈরি একটি প্রোটোটাইপ ওভেন ব্যবহার করে ওই পরীক্ষা চালায়। তখন পাঁচটি চকলেট চিপ কুকি বেক করা হয়। এটি ছিল মহাকাশে প্রথমবারের মতো কোনো খাবার বেক করার ঘটনা। পরবর্তীতে স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানে করে এর মধ্যে তিনটি কুকি পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পৌঁছান শেনঝো-২১ মিশনের তিন নভোচারী। তাঁরা সেখানে প্রায় ছয় মাসের জন্য অবস্থান করবেন। শেনঝো-২০ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। শেনঝো-২০ এর সদস্যরা গত এপ্রিল থেকে স্টেশনে অবস্থান করছেন এবং আগামী ৫ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
২৩ জুন ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

শনি গ্রহের বৃহত্তম এবং রহস্যময় উপগ্রহ টাইটান। চরম শীতল পরিবেশের এই উপগ্রহ রসায়ন শাস্ত্রের এক অতি মৌলিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বস্তু সাধারণত একে অপরের সঙ্গে মেশে না, যেমন পৃথিবীতে তেল ও পানি—টাইটানের তীব্র ঠান্ডায় (মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দুটো একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারে।
সুইডেনের চালমার্স ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এবং নাসার বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কার মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চালমার্সের রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মার্টিন রাম।
সাধারণত পৃথিবীতে পোলার এবং নন-পোলার অণুগুলো একে অপরের সঙ্গে মেশে না। এটি ‘লাইক ডিসলভস লাইক’ নীতি নামে পরিচিত। পানির মতো পোলার অণুগুলোতে আধানের বণ্টন অসম থাকে, আর তেলের মতো নন-পোলার অণুগুলোতে আধান সুষম থাকে। এই ভিন্নতার কারণেই এরা একে অপরকে বিকর্ষণ করে এবং আলাদা স্তর তৈরি করে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটিতে দেখানো হয়েছে, টাইটানের চরম শীতল পরিস্থিতি এই নিয়মকে উল্টে দেয়। গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে টাইটানের পরিবেশ তৈরি করে পরীক্ষা করেন এবং দেখেন যে পোলার হাইড্রোজেন সায়ানাইড এবং নন-পোলার হাইড্রোকার্বন (যেমন মিথেন ও ইথেন) কঠিন রূপে একসঙ্গে ক্রিস্টালাইজড (স্ফটিক) হতে পারে।
অধ্যাপক রাম জানান, হাইড্রোজেন সায়ানাইড ক্রিস্টালগুলোর মধ্যে আন্তঃআণবিক শক্তি অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই শক্তির কারণেই নন-পোলার অণুগুলো ক্রিস্টাল কাঠামোর ভেতরে প্রবেশ করে একসঙ্গে থাকতে পারে। এই ঘটনা পৃথিবীতে প্রায় অসম্ভব।
অধ্যাপক রাম বলেন, ‘এই আবিষ্কার টাইটানের ভূতত্ত্ব এবং এর অদ্ভুত সব ল্যান্ডস্কেপ—যেমন হ্রদ, সমুদ্র এবং বালিয়াড়ি—বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক হবে।’
তিনি আরও মন্তব্য করেন, টাইটানের মতো চরম, প্রতিকূল পরিবেশে প্রাণের উৎপত্তির আগে রসায়ন কীভাবে কাজ করতে পারত, এই গবেষণা সেই বিষয়েও নতুন অন্তর্দৃষ্টি যোগ করবে। হাইড্রোজেন সায়ানাইডের এই ভূমিকা প্রাণ সৃষ্টির মৌলিক উপাদান, যেমন প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড এবং জেনেটিক কোডের জন্য প্রয়োজনীয় নিউক্লিওবেস অজৈবিকভাবে তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
২৩ জুন ২০২৫
নোবেলজয়ী আমেরিকান বিজ্ঞানী জেমস ওয়াটসন মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ডিএনএর (DNA) যুগান্তকারী ডাবল হেলিক্স কাঠামো আবিষ্কারকদের অন্যতম তিনি। তিনি কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে দীর্ঘদিন গবেষণা করেছেন। ল্যাবরেটরি কর্তৃপক্ষ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
বেলজিয়ামের জীবাশ্মবিজ্ঞানী মিৎসে গেরমোঁপ্রে দাবি করেছেন, তাঁর আবিষ্কার মানুষের সঙ্গে কুকুরের বন্ধুত্বের ইতিহাসকে নতুন করে লিখতে পারে। তাঁর মতে, কুকুরের গৃহপালিত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার বছর আগে, যা প্রচলিত ধারণার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বছর আগে!
২ দিন আগে
বারবিকিউ পার্টি চলছে এখন মহাকাশেও! তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে চীনের ছয়জন নভোচারী এই আয়োজন করেছেন। চীনের অ্যাস্ট্রোনট সেন্টার (এসিসি) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, শেনঝো–২০ ও শেনঝো–২১ মিশনের নভোচারীরা একটি নতুন ধরনের ওভেন ব্যবহার করে রান্না করছেন, যা মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে ব্যবহারের উপযোগী
৪ দিন আগে