দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। আজ বুধবার ভোরে তাঁদের বহনকারী স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি ফ্লোরিডার উপকূলে অবতরণ করে। এই যাত্রার মোট সময় প্রায় ১৭ ঘণ্টা।
আইএসএস পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার (২৬১ মাইল) উচ্চতায় অবস্থিত। ফলে ১৭ ঘণ্টায় পৃথিবীতে পৌঁছাতে মহাকাশযানের গতি ঘণ্টায় মাত্র ১৫ মাইল হওয়াই যথেষ্ট। সাধারণত নাসার তত্ত্বাবধানে কোনো মহাকাশযানের আইএসএস থেকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে এমন সময়ই লাগে। কিন্তু সেখানে রাশিয়ার রসকসমসের তত্ত্বাবধানে সয়ুজ রকেটের লাগে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টা। সে হিসাবে গতি হয় ঘণ্টায় প্রায় ৭৫ মাইল।
একটি রকেটকে মহাকাশে পৌঁছানোর জন্য কমপক্ষে প্রতি সেকেন্ডে ৮ কিলোমিটার গতিতে চলতে হয়! ত্বরণ বাদ দিলে এই গতিতে একটি রকেটের তত্ত্বগতভাবে প্রায় ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে আইএসএস–এ পৌঁছাতে পারার কথা।
প্রশ্ন হলো, তাহলে আইএসএস–এ পৌঁছাছে বা সেখান থেকে ফিরতে নাসার রকেটের ১৬ ঘণ্টা বা তার বেশি, আর রাশিয়ার রকেটের সাড়ে ৩ ঘণ্টা কেন লাগে? যেখানে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরতে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্রুর সময় লেগেছে ১৭ ঘণ্টা।
এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে অথবা প্রকৃতপক্ষে মহাকাশের যেকোনো জায়গা থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসা একটি জটিল ও বিপজ্জনক প্রক্রিয়া। এ জন্য মিশনের পেছনে থাকা বিজ্ঞানীদের পরিবর্তনশীল অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হয়।
আবহাওয়া, সমুদ্রস্রোত এবং উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর অবস্থানের পরিবর্তনের কারণে অবতরণের আদর্শ স্থান যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই মহাকাশযানটি দ্রুত অবতরণ করার চেষ্টা মহাকাশচারীদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
আইএসএস পৃথিবীকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮ হাজার কিলোমিটার (১৭ হাজার ৫০০ মাইল) গতিতে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে স্পেসএক্সের রকেটকে কক্ষপথ থেকে বের করে আনতে যথেষ্ট ধীর করতে হয়।
তবে, অবিলম্বে ফিরে আসা সম্ভব নয়, কারণ অবতরণের স্থানগুলোর সঙ্গে সঠিকভাবে তাকে তাল মেলাতে হবে। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মহাকাশযান তার গতিপথের সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত অবতরণস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করে। এটি সঠিক সময়ে করতে হয়, যাতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের জন্য নিরাপদ প্রবেশ কোণ নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া মহাকাশযানগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় উচ্চ তাপের সম্মুখীন হয়। প্যারাস্যুটগুলো বেশ উঁচুতেই অবমুক্ত করা হয়, যাতে অবতরণের আগেই গতি ধীর হয়ে যায়, তাপমাত্রা অতিরিক্ত না বাড়ে এবং নিরাপদে সমুদ্রে অবতরণ করতে পারে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি, সমুদ্রস্রোত এবং উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে স্পেসএক্স অবতরণের জন্য একটি স্থান সাবধানে নির্ধারণ করে। যদি প্রথম অবতরণের সময় বা স্থান আদর্শ না হয়, তাহলে ক্যাপসুলটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে কক্ষপথে আরও কিছু সময় থাকতে পারে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করতে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগে।
তবে, এর আগে রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুল মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় অবতরণের রেকর্ড গড়ে। এর কারণ নাসা ও স্পেসএক্সের অনেক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা উপেক্ষা করে সয়ুজ ক্যাপসুলটি পৃথিবীর দিকে সরাসরি পথে যাত্রা করেছিল। এটি বেশ বিপজ্জনক এবং মহাকাশচারীদের জন্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। সেই যাই হোক, এর ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক দ্রুত হয়।
অন্যদিকে, ক্রু ড্রাগন একটি নিরাপদ যাত্রা এবং আরও দীর্ঘ, নিয়ন্ত্রিত অবতরণের প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দেয়। এ কারণেই বেশি সময় লাগে।
দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। আজ বুধবার ভোরে তাঁদের বহনকারী স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি ফ্লোরিডার উপকূলে অবতরণ করে। এই যাত্রার মোট সময় প্রায় ১৭ ঘণ্টা।
আইএসএস পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪২০ কিলোমিটার (২৬১ মাইল) উচ্চতায় অবস্থিত। ফলে ১৭ ঘণ্টায় পৃথিবীতে পৌঁছাতে মহাকাশযানের গতি ঘণ্টায় মাত্র ১৫ মাইল হওয়াই যথেষ্ট। সাধারণত নাসার তত্ত্বাবধানে কোনো মহাকাশযানের আইএসএস থেকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে এমন সময়ই লাগে। কিন্তু সেখানে রাশিয়ার রসকসমসের তত্ত্বাবধানে সয়ুজ রকেটের লাগে মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টা থেকে ৪ ঘণ্টা। সে হিসাবে গতি হয় ঘণ্টায় প্রায় ৭৫ মাইল।
একটি রকেটকে মহাকাশে পৌঁছানোর জন্য কমপক্ষে প্রতি সেকেন্ডে ৮ কিলোমিটার গতিতে চলতে হয়! ত্বরণ বাদ দিলে এই গতিতে একটি রকেটের তত্ত্বগতভাবে প্রায় ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে আইএসএস–এ পৌঁছাতে পারার কথা।
প্রশ্ন হলো, তাহলে আইএসএস–এ পৌঁছাছে বা সেখান থেকে ফিরতে নাসার রকেটের ১৬ ঘণ্টা বা তার বেশি, আর রাশিয়ার রকেটের সাড়ে ৩ ঘণ্টা কেন লাগে? যেখানে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরতে স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্রুর সময় লেগেছে ১৭ ঘণ্টা।
এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে অথবা প্রকৃতপক্ষে মহাকাশের যেকোনো জায়গা থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসা একটি জটিল ও বিপজ্জনক প্রক্রিয়া। এ জন্য মিশনের পেছনে থাকা বিজ্ঞানীদের পরিবর্তনশীল অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হয়।
আবহাওয়া, সমুদ্রস্রোত এবং উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর অবস্থানের পরিবর্তনের কারণে অবতরণের আদর্শ স্থান যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তিত হতে পারে। তাই মহাকাশযানটি দ্রুত অবতরণ করার চেষ্টা মহাকাশচারীদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
আইএসএস পৃথিবীকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮ হাজার কিলোমিটার (১৭ হাজার ৫০০ মাইল) গতিতে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবীতে ফিরে আসার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে স্পেসএক্সের রকেটকে কক্ষপথ থেকে বের করে আনতে যথেষ্ট ধীর করতে হয়।
তবে, অবিলম্বে ফিরে আসা সম্ভব নয়, কারণ অবতরণের স্থানগুলোর সঙ্গে সঠিকভাবে তাকে তাল মেলাতে হবে। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মহাকাশযান তার গতিপথের সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত অবতরণস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করে। এটি সঠিক সময়ে করতে হয়, যাতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের জন্য নিরাপদ প্রবেশ কোণ নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া মহাকাশযানগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় উচ্চ তাপের সম্মুখীন হয়। প্যারাস্যুটগুলো বেশ উঁচুতেই অবমুক্ত করা হয়, যাতে অবতরণের আগেই গতি ধীর হয়ে যায়, তাপমাত্রা অতিরিক্ত না বাড়ে এবং নিরাপদে সমুদ্রে অবতরণ করতে পারে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি, সমুদ্রস্রোত এবং উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে স্পেসএক্স অবতরণের জন্য একটি স্থান সাবধানে নির্ধারণ করে। যদি প্রথম অবতরণের সময় বা স্থান আদর্শ না হয়, তাহলে ক্যাপসুলটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে কক্ষপথে আরও কিছু সময় থাকতে পারে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নিরাপদে পৃথিবীতে অবতরণ করতে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগে।
তবে, এর আগে রাশিয়ার সয়ুজ ক্যাপসুল মাত্র সাড়ে ৩ ঘণ্টায় অবতরণের রেকর্ড গড়ে। এর কারণ নাসা ও স্পেসএক্সের অনেক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা উপেক্ষা করে সয়ুজ ক্যাপসুলটি পৃথিবীর দিকে সরাসরি পথে যাত্রা করেছিল। এটি বেশ বিপজ্জনক এবং মহাকাশচারীদের জন্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। সেই যাই হোক, এর ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক দ্রুত হয়।
অন্যদিকে, ক্রু ড্রাগন একটি নিরাপদ যাত্রা এবং আরও দীর্ঘ, নিয়ন্ত্রিত অবতরণের প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দেয়। এ কারণেই বেশি সময় লাগে।
চাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
১ দিন আগেপ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
২ দিন আগেপ্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
৩ দিন আগে