পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে জটিল গঠনের বালিয়াড়িগুলি পরিচিত স্টার ডিউন নামে। এদের বয়স কত অর্থাৎ উৎপত্তি কবে তা এত দিন পর্যন্ত ছিল মানুষের অজানা। তবে সম্প্রতি এ ধরনের একটি বালিয়াড়ির বয়স নির্ণয় করেছেন বিজ্ঞানীরা।
স্টার ডিউন বা পিরামিড ডিউন তাদের স্বতন্ত্র গঠনের কারণে এমন নাম পেয়েছে। উচ্চতায় কয়েক শ মিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। আফ্রিকা, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহেও পাওয়া যায় এই বালিয়াড়ি। তবে বিশেষজ্ঞরা এগুলো কখন গঠিত হয়েছিল তা শনাক্ত করতে পারেননি।
এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন মরক্কোর লালা লালিয়া নামের এ ধরনের একটি স্টার ডিউন বা বালিয়াড়ি গঠিত হয়েছে ১৩ হাজার বছর আগে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
দিক পরিবর্তন করে এমন বিপরীত বায়ু দ্বারা সৃষ্টি হয় এ ধরনের বালিয়াড়ি । তাদের বয়স জানতে পারা বিজ্ঞানীদের এ ধরনের বাতাস বুঝতে এবং সেই যুগের জলবায়ু সম্পর্কে তথ্য পেতে সাহায্য করবে বলে জানান অ্যাবেরিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিওফ ডালার। বার্কবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চার্লস ব্রিস্টোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন তিনি।
লালা লালিয়া (আদিবাসী অ্যামাজিঘদের ভাষা থেকে আসা নামটির অর্থ সর্বোচ্চ পবিত্র বিন্দু) দক্ষিণ-পূর্ব মরক্কোর এরগ চেব্বি মরুভূমিতে অবস্থিত। এটি ১০০ মিটার উঁচু এবং ৭০০ মিটার প্রশস্ত।
এর প্রাথমিক গঠনের পর, এটি প্রায় ৮ হাজার বছর ধরে ওই অবস্থাতেই ছিল। তারপরে গত কয়েক হাজার বছরে দ্রুত প্রসারিত হয়।
‘এই ফলাফলগুলি সম্ভবত অনেক মানুষকে অবাক করবে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই বিশাল বালিয়াড়িটি কত দ্রুত তৈরি হয়েছে এবং এটি বছরে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বেগে মরুভূমিতে চলছে।’ ডালার যোগ করেন।
বিজ্ঞানীরা বালিয়াড়ির বয়স বের করতে লুমিনিসেন্স ডেটিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করেন। পদ্ধতিটি কখন বালির দানা শেষবার দিনের আলোতে উন্মুক্ত হয়েছিল তা প্রকাশ করে।
বালির নমুনাগুলি মরক্কো থেকে নেওয়া হয়েছিল এবং একটি পুরোনো দিনের ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপের মতো পরিবেশে আবছা লাল আলোর মধ্যে একটি গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করা হয়।
অধ্যাপক ডালার বালির খনিজ দানাকে ‘অল্প রিচার্জেবল ব্যাটারি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা প্রাকৃতিক পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তা থেকে আসা স্ফটিকগুলির মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে। বালি যত বেশি সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে, তত বেশি তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসে এবং তত বেশি শক্তি তৈরি হয়।
যখন এগুলো গবেষণাগারে উন্মুক্ত হয়, তখন তারা আলোর আকারে শক্তি ছেড়ে দেয় এবং বিজ্ঞানীরা তাদের বয়স গণনা করতে পারেন।
‘আমাদের অন্ধকার গবেষণাগারে, আমরা এই বালির দানাগুলি থেকে আলো দেখতে পাই। আলো যত বেশি উজ্জ্বল দানাগুলি তত বেশি পুরোনো এবং চাপা পড়ার পর থেকে এটি তত দীর্ঘ সময় অতিক্রম করেছে।’ বলেন অধ্যাপক ডালার।
এ ধরনের বালিয়াড়ির আর একটি উদাহরণ উত্তর আমেরিকার কলোরাডোর স্টার ডিউন। এটি যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বালিয়াড়ি এবং এটির উচ্চতা ২২৫ মিটার।
এ ধরনের বালিয়াড়িতে ওঠা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেন ডালার। ‘আরোহণের সময় দুই কদম ওপরে উঠলে এক কদম পিছু হটবেন। তবে সেখানে পৌঁছে গেলে নিজকে দুর্ভাগা ভাববেন না মোটেই। কারণ তারা ওপর থেকে অনেক সুন্দর।’
পৃথিবীর বৃহত্তম ও সবচেয়ে জটিল গঠনের বালিয়াড়িগুলি পরিচিত স্টার ডিউন নামে। এদের বয়স কত অর্থাৎ উৎপত্তি কবে তা এত দিন পর্যন্ত ছিল মানুষের অজানা। তবে সম্প্রতি এ ধরনের একটি বালিয়াড়ির বয়স নির্ণয় করেছেন বিজ্ঞানীরা।
স্টার ডিউন বা পিরামিড ডিউন তাদের স্বতন্ত্র গঠনের কারণে এমন নাম পেয়েছে। উচ্চতায় কয়েক শ মিটার পর্যন্ত পৌঁছায়। আফ্রিকা, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকার পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহেও পাওয়া যায় এই বালিয়াড়ি। তবে বিশেষজ্ঞরা এগুলো কখন গঠিত হয়েছিল তা শনাক্ত করতে পারেননি।
এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন মরক্কোর লালা লালিয়া নামের এ ধরনের একটি স্টার ডিউন বা বালিয়াড়ি গঠিত হয়েছে ১৩ হাজার বছর আগে।
এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
দিক পরিবর্তন করে এমন বিপরীত বায়ু দ্বারা সৃষ্টি হয় এ ধরনের বালিয়াড়ি । তাদের বয়স জানতে পারা বিজ্ঞানীদের এ ধরনের বাতাস বুঝতে এবং সেই যুগের জলবায়ু সম্পর্কে তথ্য পেতে সাহায্য করবে বলে জানান অ্যাবেরিস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিওফ ডালার। বার্কবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চার্লস ব্রিস্টোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন তিনি।
লালা লালিয়া (আদিবাসী অ্যামাজিঘদের ভাষা থেকে আসা নামটির অর্থ সর্বোচ্চ পবিত্র বিন্দু) দক্ষিণ-পূর্ব মরক্কোর এরগ চেব্বি মরুভূমিতে অবস্থিত। এটি ১০০ মিটার উঁচু এবং ৭০০ মিটার প্রশস্ত।
এর প্রাথমিক গঠনের পর, এটি প্রায় ৮ হাজার বছর ধরে ওই অবস্থাতেই ছিল। তারপরে গত কয়েক হাজার বছরে দ্রুত প্রসারিত হয়।
‘এই ফলাফলগুলি সম্ভবত অনেক মানুষকে অবাক করবে। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এই বিশাল বালিয়াড়িটি কত দ্রুত তৈরি হয়েছে এবং এটি বছরে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বেগে মরুভূমিতে চলছে।’ ডালার যোগ করেন।
বিজ্ঞানীরা বালিয়াড়ির বয়স বের করতে লুমিনিসেন্স ডেটিং নামে একটি কৌশল ব্যবহার করেন। পদ্ধতিটি কখন বালির দানা শেষবার দিনের আলোতে উন্মুক্ত হয়েছিল তা প্রকাশ করে।
বালির নমুনাগুলি মরক্কো থেকে নেওয়া হয়েছিল এবং একটি পুরোনো দিনের ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপের মতো পরিবেশে আবছা লাল আলোর মধ্যে একটি গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করা হয়।
অধ্যাপক ডালার বালির খনিজ দানাকে ‘অল্প রিচার্জেবল ব্যাটারি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা প্রাকৃতিক পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তা থেকে আসা স্ফটিকগুলির মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করে। বালি যত বেশি সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে, তত বেশি তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসে এবং তত বেশি শক্তি তৈরি হয়।
যখন এগুলো গবেষণাগারে উন্মুক্ত হয়, তখন তারা আলোর আকারে শক্তি ছেড়ে দেয় এবং বিজ্ঞানীরা তাদের বয়স গণনা করতে পারেন।
‘আমাদের অন্ধকার গবেষণাগারে, আমরা এই বালির দানাগুলি থেকে আলো দেখতে পাই। আলো যত বেশি উজ্জ্বল দানাগুলি তত বেশি পুরোনো এবং চাপা পড়ার পর থেকে এটি তত দীর্ঘ সময় অতিক্রম করেছে।’ বলেন অধ্যাপক ডালার।
এ ধরনের বালিয়াড়ির আর একটি উদাহরণ উত্তর আমেরিকার কলোরাডোর স্টার ডিউন। এটি যৌথভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বালিয়াড়ি এবং এটির উচ্চতা ২২৫ মিটার।
এ ধরনের বালিয়াড়িতে ওঠা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেন ডালার। ‘আরোহণের সময় দুই কদম ওপরে উঠলে এক কদম পিছু হটবেন। তবে সেখানে পৌঁছে গেলে নিজকে দুর্ভাগা ভাববেন না মোটেই। কারণ তারা ওপর থেকে অনেক সুন্দর।’
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
১ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে