অস্ট্রেলিয়ার একটি স্কুলে ২০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। কুইন্সল্যান্ডের গ্রামীণ ব্যানানা শায়ারের একটি স্কুলে প্রায় ২০ বছর ধরে অবহেলিত একটি পাথরের স্ল্যাবের ওপর এই পায়ের ছাপগুলো পড়ে ছিল।
২০০২ সালে কয়লাখনিতে খুঁজে পাওয়া যায় পাথরটি এবং অদ্ভুত পায়ের ছাপ দেখে এটি স্থানীয় একটি স্কুলে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। পাথরটি স্কুলের প্রবেশমুখে প্রদর্শিত হচ্ছিল। তবে, সম্প্রতি জীবাশ্মবিদ অ্যান্থনি রোমিলিওকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করে ছাপগুলো পরীক্ষা করতে।
রোমিলিও জানান, পাথরটি প্রায় ২০ কোটি বছরের পুরোনো এবং এটি সম্ভবত প্রাথমিক জুরাসিক যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। পাথরের স্ল্যাবের ওপরে ৪৭টি পৃথক ডাইনোসরের ৬৬টি জীবাশ্ম পায়ের ছাপ রয়েছে, যা মোটামুটি এক বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।
জীবাশ্ম পায়ের ছাপগুলো ভালোভাবে দেখতে প্রতিটি পাথরের ছবি নিয়ে একটি ৩ডি মডেল তৈরি করেছিলেন রোমিলিও। পায়ের ছাপের আকার স্পষ্ট করার জন্য ছবির কন্ট্রাস্ট ও আলোর সামঞ্জস্য করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় একযোগে ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সবচেয়ে বড় সন্ধান হিসেবে গণ্য হয়েছে এই আবিষ্কার। এই ছাপগুলোর মাধ্যমে বিশেষ করে ডাইনোসরের পরিমাণ, চলাফেরা ও আচরণ সম্পর্কে বিরল তথ্য পাওয়া গেছে।
রোমিলিও বলেন, ‘এটি এমন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা জুরাসিক যুগে ডাইনোসরের অস্তিত্বের আরও স্পষ্ট ছবি দেয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় এখনো পর্যন্ত ডাইনোসরের কোনো হাড় পাওয়া যায়নি, সুতরাং এই পায়ের ছাপগুলো আমাদের অনেক মূল্যবান তথ্য দেয়।’
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো সাধারণত গবেষকদের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। বর্তমানে বৃহত্তর পৃথিবীজুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে এসব প্রমাণ।
স্কুলের শিক্ষকেরা প্রথমে ভেবেছিলেন এটি নকল পাথর। তবে রোমিলিওর পরীক্ষায় এটি প্রমাণিত হয় যে, এটি আসল ডাইনোসরের পায়ের ছাপ।
অ্যানোমিওপাস স্ক্যামবাস নামে ছোট ও দুপেয়ে চলা উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরের পায়ের ছাপ এই স্ল্যাবের ওপর পাওয়া গেছে। রোমিলিও আরও বলেন, ‘এমন পাথরের খোঁজ সাধারণত বিশেষজ্ঞ জীবাশ্মবিদের হাতে হয় না, বরং সেগুলো সাধারণ মানুষই খুঁজে পান।’
রোমিলিও এবং তাঁর গবেষক দলের গবেষণাপত্রটি ‘হিস্টোরিকাল বায়োলজি’ নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও লাইভ সায়েন্স
অস্ট্রেলিয়ার একটি স্কুলে ২০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। কুইন্সল্যান্ডের গ্রামীণ ব্যানানা শায়ারের একটি স্কুলে প্রায় ২০ বছর ধরে অবহেলিত একটি পাথরের স্ল্যাবের ওপর এই পায়ের ছাপগুলো পড়ে ছিল।
২০০২ সালে কয়লাখনিতে খুঁজে পাওয়া যায় পাথরটি এবং অদ্ভুত পায়ের ছাপ দেখে এটি স্থানীয় একটি স্কুলে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। পাথরটি স্কুলের প্রবেশমুখে প্রদর্শিত হচ্ছিল। তবে, সম্প্রতি জীবাশ্মবিদ অ্যান্থনি রোমিলিওকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করে ছাপগুলো পরীক্ষা করতে।
রোমিলিও জানান, পাথরটি প্রায় ২০ কোটি বছরের পুরোনো এবং এটি সম্ভবত প্রাথমিক জুরাসিক যুগের প্রতিনিধিত্ব করে। পাথরের স্ল্যাবের ওপরে ৪৭টি পৃথক ডাইনোসরের ৬৬টি জীবাশ্ম পায়ের ছাপ রয়েছে, যা মোটামুটি এক বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।
জীবাশ্ম পায়ের ছাপগুলো ভালোভাবে দেখতে প্রতিটি পাথরের ছবি নিয়ে একটি ৩ডি মডেল তৈরি করেছিলেন রোমিলিও। পায়ের ছাপের আকার স্পষ্ট করার জন্য ছবির কন্ট্রাস্ট ও আলোর সামঞ্জস্য করেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ায় একযোগে ডাইনোসরের পায়ের ছাপের সবচেয়ে বড় সন্ধান হিসেবে গণ্য হয়েছে এই আবিষ্কার। এই ছাপগুলোর মাধ্যমে বিশেষ করে ডাইনোসরের পরিমাণ, চলাফেরা ও আচরণ সম্পর্কে বিরল তথ্য পাওয়া গেছে।
রোমিলিও বলেন, ‘এটি এমন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ, যা জুরাসিক যুগে ডাইনোসরের অস্তিত্বের আরও স্পষ্ট ছবি দেয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় এখনো পর্যন্ত ডাইনোসরের কোনো হাড় পাওয়া যায়নি, সুতরাং এই পায়ের ছাপগুলো আমাদের অনেক মূল্যবান তথ্য দেয়।’
এই গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো সাধারণত গবেষকদের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। বর্তমানে বৃহত্তর পৃথিবীজুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে এসব প্রমাণ।
স্কুলের শিক্ষকেরা প্রথমে ভেবেছিলেন এটি নকল পাথর। তবে রোমিলিওর পরীক্ষায় এটি প্রমাণিত হয় যে, এটি আসল ডাইনোসরের পায়ের ছাপ।
অ্যানোমিওপাস স্ক্যামবাস নামে ছোট ও দুপেয়ে চলা উদ্ভিদভোজী ডাইনোসরের পায়ের ছাপ এই স্ল্যাবের ওপর পাওয়া গেছে। রোমিলিও আরও বলেন, ‘এমন পাথরের খোঁজ সাধারণত বিশেষজ্ঞ জীবাশ্মবিদের হাতে হয় না, বরং সেগুলো সাধারণ মানুষই খুঁজে পান।’
রোমিলিও এবং তাঁর গবেষক দলের গবেষণাপত্রটি ‘হিস্টোরিকাল বায়োলজি’ নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও লাইভ সায়েন্স
চাঁদে মরিচা ধরছে। আর এর জন্য দায়ী আমাদের পৃথিবী। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমনই এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁদের গবেষণায় দেখা , পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে ছুটে যাওয়া অক্সিজেন কণার প্রভাবে চাঁদের খনিজ পদার্থ হেমাটাইটে (haematite) রূপান্তরিত হচ্ছে।
১৫ ঘণ্টা আগেঅর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় (৫৩ বছর) পর আবারও চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা করতে চলেছে মানবজাতি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আর্টেমিস ২ নামের এই মিশনে চারজন নভোচারী চাঁদকে ঘিরে ১০ দিনের মিশনে অংশ নেবেন। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর পর এই প্রথম কোনো নভোচারী পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথের বাইরে পা রাখবেন।
২ দিন আগেপ্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরদের রাজত্বের অবসান হয় এক ভয়ংকর গ্রহাণু আছড়ে পড়ার মাধ্যমে। প্রায় ১২ কিলোমিটার প্রস্থের একটি গ্রহাণু ঘণ্টায় প্রায় ৪৩ হাজার কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীতে আঘাত হানে। এই সংঘর্ষের ফলে একের পর এক প্রাণঘাতী ঘটনা শুরু হয়। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রজ
৩ দিন আগেপ্রাচীন মিসরীয়রা তাদের পিরামিডগুলোকে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবে অনেকেই মনে করেন বহিরাগতদের ঠেকাতে তারা পিরামিডের ভেতর ফাঁদ তৈরি করে রাখতেন। এই তথ্য কতটুকু সত্য তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্স।
৪ দিন আগে